গাদ্দার মোগাদিশু প্রশাসনের আহব্বান – “আশ-শাবাবের মা, বোন ও স্ত্রীদের হত্যা কর!”
সোমালিয়ায় দিন দিন বাড়ছে সংঘাত। পরাজয়ের দোরগোড়ায় পশ্চিমা সমর্থিত মোগাদিশু প্রশাসন। এমন সময় গাদ্দার প্রশাসনের এক গভর্নরের কাছ থেকে আসলো ঘৃণ্য বিবৃতি। মুজাহিদদের সাথে লড়াইয়ে কুলিয়ে উঠতে না পেরে এখন মুজাহিদদের নারীদের উপরে হামলার আহব্বান জানিয়েছে এই কাপুরুষেরা।
সোমালিয়ায় সংঘাত দেশটির গ্রামীণ এলাকা থেকে এখন শহরে দিকে তীব্রতর হচ্ছে। ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী আশ-শাবাবের ধারাবাহিক হামলায় নাজেহাল দেশটির গাদ্দার প্রশাসন। প্রতি সপ্তাহে বিভিন্ন অঞ্চল, শহর, এলাকা কিংবা ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে সরকারি বাহিনী। এসব লড়াইয়ে আশ-শাবাবের হাতে নিহত ও আহত সেনা সংখ্যাও কম নয়। সব মিলিয়ে পরাজয়ের দোরগোড়ায় এসে দাঁড়িয়েছে পশ্চিমা সমর্থিত গাদ্দার মোগাদিশু প্রশাসন।
এমন সংঘাতময় পরিস্থিতি দেশটির হিরান রাজ্যের গভর্নর আলী জেতে সম্প্রতি এই ঘৃণ্য বিবৃতিটি দিয়েছে। যেখানে এই কাপুরুষ গভর্নর বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করার আহ্বান জানিয়েছে।
গত শনিবার গভর্নর আলী জায়েতে ওসমান বুলবুর্দে শহরের ফ্রন্টলাইনে সৈন্যদের এক সমাবেশে গাদ্দার মোগাদিশু প্রশাসনিক বাহিনী এবং তার “মাওয়ীদ” সম্প্রদায়ের মিলিশিয়াদের নির্দেশ দিয়ে বলেছে যে, “আমি চাই আপনি আশ-শাবাবের যোদ্ধাদের ভাই-বোন, স্ত্রী ও মায়েদের হত্যা করুন। এরজন্য প্রয়োজনে আপনাকে আপনার আত্মীয়দের হত্যা করতে হবে, যাদের সম্পর্কে আপনি জানেন যে তারা আশ-শাবাবের সাথে রয়েছে।”
একই সাথে মোগাদিশুর ডেপুটি মেয়র আলি ইয়ারে, একটি ফেসবুক পোস্টে বলেছে, “আশ-শাবাব যোদ্ধাদের মা ও স্ত্রীদের হত্যার বিষয়ে হিরানের গভর্নরের সাথে আমি একই মত পোষণ করছি।”
এর কিছুদিন আগে গভর্নর ঘোষণা দিয়েছে যে, “সমস্ত মিডিয়া স্টেশনগুলিকে মোগাদিশু প্রশাসনের পক্ষ নিয়ে সংবাদ কাভার করা উচিত। যারা নিরপেক্ষ থাকার চেষ্টা করবে, তাদের অফিস বন্ধ করে দেওয়া হবে।” এর পরপরই দেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েক নিউজ পোর্টাল ও শতাধিক অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় করেছে সরকার। এসময় যেসমস্ত সাংবাদিকরা এর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, তাদের অনেককে বন্দী করা হয়।
পশ্চিমা সমর্থিত দেশটির কাপুরুষ গভর্নরদের এমন বক্তব্যে খোদ দেশটির জনগণের মাঝে আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার ঝড় উঠেছে। সকলেই বলছেন, সরকার তার ব্যার্থতা ঢাকতে এবং সুনিশ্চিত পরাজয়কে আড়াল করতে এসব ঘৃণ্য পদক্ষেপ নিচ্ছে। যা আশ-শাবাবের হাত থেকে তাদেরকে বাঁচাতে সক্ষম নয়, বরং এর ফলে আশ-শাবাব যোদ্ধারা হামলার তীব্রতা আরও বাড়াবে। তখন প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের অবস্থান করার মতো নিরাপদ কোনো জায়গাও থাকবে না।
উল্লেখ্য যে, আলী জেতে হিরান অঞ্চলের গভর্নর হওয়ার পাশাপাশি মোগাদিশু প্রশাসনের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় সামরিক নেতা হিসাবেও পরিচিত।
বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন যে, সরকারের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের এমন বিবৃতি এই অঞ্চলে উত্তেজনা আরও বাড়াবে, যা দেশের চলমান যুদ্ধে ইন্ধন জোগাবে। তাছাড়া সরকার এখন বিদেশি সমর্থন নিয়ে দেশের দ্বিতীয় পক্ষ হয়ে লড়ছে। যেখানে আশ-শাবাব দেশের প্রধান শক্তিশালী সামরিক বাহিনী, যারা দেশের সিংহভাগ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ করছেন। সেই সাথে মোটজনসংখ্যার ৮৫ শতাংশ মানুষও আশ-শাবাব নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে বসবাস করেন।
তাই এই সংঘাত শুরু হলে তা সামলাতে ব্যার্থ হবে সরকার। তখন সরকার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দেশের জনগণের হাতেই হত্যার শিকার হতে পারেন। কেননা দেশের বৃহত্তর সশস্ত্র উপজাতিরা আশ-শাবাবের উপর সন্তুষ্ট। যারা বছরের পর বছর ধরে আশ-শাবাব নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখে বসবাস করছেন। আর গাদ্দার সরকারের পরিকল্পনামাফিক এইরকম সংঘাত শুরু হলে, আশ-শাবাব উপজাতিদেরকেও যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার আহ্বান করতে পারে।
ইতিমধ্যে দেশের বৃহত্তর ৭টি উপজাতি ঘোষণা করেছে যে, যদি মোগাদিশু প্রশাসন এধরণের ভুল কোন পদক্ষেপ নেয়, তাহলে তারাও আশ-শাবাবের হয়ে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন।
প্রতিবেদক : ত্বহা আলী আদনান
সোমালিয়ায় দিন দিন বাড়ছে সংঘাত। পরাজয়ের দোরগোড়ায় পশ্চিমা সমর্থিত মোগাদিশু প্রশাসন। এমন সময় গাদ্দার প্রশাসনের এক গভর্নরের কাছ থেকে আসলো ঘৃণ্য বিবৃতি। মুজাহিদদের সাথে লড়াইয়ে কুলিয়ে উঠতে না পেরে এখন মুজাহিদদের নারীদের উপরে হামলার আহব্বান জানিয়েছে এই কাপুরুষেরা।
সোমালিয়ায় সংঘাত দেশটির গ্রামীণ এলাকা থেকে এখন শহরে দিকে তীব্রতর হচ্ছে। ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী আশ-শাবাবের ধারাবাহিক হামলায় নাজেহাল দেশটির গাদ্দার প্রশাসন। প্রতি সপ্তাহে বিভিন্ন অঞ্চল, শহর, এলাকা কিংবা ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে সরকারি বাহিনী। এসব লড়াইয়ে আশ-শাবাবের হাতে নিহত ও আহত সেনা সংখ্যাও কম নয়। সব মিলিয়ে পরাজয়ের দোরগোড়ায় এসে দাঁড়িয়েছে পশ্চিমা সমর্থিত গাদ্দার মোগাদিশু প্রশাসন।
এমন সংঘাতময় পরিস্থিতি দেশটির হিরান রাজ্যের গভর্নর আলী জেতে সম্প্রতি এই ঘৃণ্য বিবৃতিটি দিয়েছে। যেখানে এই কাপুরুষ গভর্নর বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করার আহ্বান জানিয়েছে।
গত শনিবার গভর্নর আলী জায়েতে ওসমান বুলবুর্দে শহরের ফ্রন্টলাইনে সৈন্যদের এক সমাবেশে গাদ্দার মোগাদিশু প্রশাসনিক বাহিনী এবং তার “মাওয়ীদ” সম্প্রদায়ের মিলিশিয়াদের নির্দেশ দিয়ে বলেছে যে, “আমি চাই আপনি আশ-শাবাবের যোদ্ধাদের ভাই-বোন, স্ত্রী ও মায়েদের হত্যা করুন। এরজন্য প্রয়োজনে আপনাকে আপনার আত্মীয়দের হত্যা করতে হবে, যাদের সম্পর্কে আপনি জানেন যে তারা আশ-শাবাবের সাথে রয়েছে।”
একই সাথে মোগাদিশুর ডেপুটি মেয়র আলি ইয়ারে, একটি ফেসবুক পোস্টে বলেছে, “আশ-শাবাব যোদ্ধাদের মা ও স্ত্রীদের হত্যার বিষয়ে হিরানের গভর্নরের সাথে আমি একই মত পোষণ করছি।”
এর কিছুদিন আগে গভর্নর ঘোষণা দিয়েছে যে, “সমস্ত মিডিয়া স্টেশনগুলিকে মোগাদিশু প্রশাসনের পক্ষ নিয়ে সংবাদ কাভার করা উচিত। যারা নিরপেক্ষ থাকার চেষ্টা করবে, তাদের অফিস বন্ধ করে দেওয়া হবে।” এর পরপরই দেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েক নিউজ পোর্টাল ও শতাধিক অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় করেছে সরকার। এসময় যেসমস্ত সাংবাদিকরা এর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, তাদের অনেককে বন্দী করা হয়।
পশ্চিমা সমর্থিত দেশটির কাপুরুষ গভর্নরদের এমন বক্তব্যে খোদ দেশটির জনগণের মাঝে আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার ঝড় উঠেছে। সকলেই বলছেন, সরকার তার ব্যার্থতা ঢাকতে এবং সুনিশ্চিত পরাজয়কে আড়াল করতে এসব ঘৃণ্য পদক্ষেপ নিচ্ছে। যা আশ-শাবাবের হাত থেকে তাদেরকে বাঁচাতে সক্ষম নয়, বরং এর ফলে আশ-শাবাব যোদ্ধারা হামলার তীব্রতা আরও বাড়াবে। তখন প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের অবস্থান করার মতো নিরাপদ কোনো জায়গাও থাকবে না।
উল্লেখ্য যে, আলী জেতে হিরান অঞ্চলের গভর্নর হওয়ার পাশাপাশি মোগাদিশু প্রশাসনের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় সামরিক নেতা হিসাবেও পরিচিত।
বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন যে, সরকারের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের এমন বিবৃতি এই অঞ্চলে উত্তেজনা আরও বাড়াবে, যা দেশের চলমান যুদ্ধে ইন্ধন জোগাবে। তাছাড়া সরকার এখন বিদেশি সমর্থন নিয়ে দেশের দ্বিতীয় পক্ষ হয়ে লড়ছে। যেখানে আশ-শাবাব দেশের প্রধান শক্তিশালী সামরিক বাহিনী, যারা দেশের সিংহভাগ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ করছেন। সেই সাথে মোটজনসংখ্যার ৮৫ শতাংশ মানুষও আশ-শাবাব নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে বসবাস করেন।
তাই এই সংঘাত শুরু হলে তা সামলাতে ব্যার্থ হবে সরকার। তখন সরকার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দেশের জনগণের হাতেই হত্যার শিকার হতে পারেন। কেননা দেশের বৃহত্তর সশস্ত্র উপজাতিরা আশ-শাবাবের উপর সন্তুষ্ট। যারা বছরের পর বছর ধরে আশ-শাবাব নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখে বসবাস করছেন। আর গাদ্দার সরকারের পরিকল্পনামাফিক এইরকম সংঘাত শুরু হলে, আশ-শাবাব উপজাতিদেরকেও যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার আহ্বান করতে পারে।
ইতিমধ্যে দেশের বৃহত্তর ৭টি উপজাতি ঘোষণা করেছে যে, যদি মোগাদিশু প্রশাসন এধরণের ভুল কোন পদক্ষেপ নেয়, তাহলে তারাও আশ-শাবাবের হয়ে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন।
প্রতিবেদক : ত্বহা আলী আদনান
Comment