মুজাহিদিন নিউজ#| ১৪ রবিউস সানী ১৪৪৪ হিজরী।। ১০ নভেম্বর, ২০২২ ঈসায়ী।

[Al-Firdaws News]

শাবাবের তীব্র প্রতিরোধে পিছু হটলো সোমালি বাহিনী: হতাহত ৪৫ গাদ্দার


একদল আশ-শাবাব মুজাহিদ। ফাইল ফটো।


সাম্প্রতিক সময়ে পূর্ব আফ্রিকার দেশ সোমালিয়ায় গাদ্দার সরকার ও দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে একের পর এক সফল হামলা চালিয়ে যাচ্ছেন ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা। আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট হারাকাতুশ শাবাব আল মুজাহিদিন পরিচালিত এসব হামলায় প্রতিনিয়ত হতাহত হচ্ছে অসংখ্য গাদ্দার ও কুফফার সৈন্য।

গত ৮ ও ৯ নভেম্বর, প্রায় ডজনখানেক সফল হামলা চালিয়েছেন শাবাবের বীর মুজাহিদগণ। তার মধ্যে ৫টিই চালানো হয়েছে কেন্দ্রীয় হিরান রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে।

এর মধ্যে বড় ধরনের ২টি প্রতিরোধ অপারেশন চালানো হয়েছে রাজ্যটির মহাস শহরে। এটি আশ-শাবাব প্রশাসনের নিয়ন্ত্রিত একটি শহর। এই শরটি দখলে নেবার জন্য মার্কিন বিমানবাহিনীর সহায়তায় আকাশ ও স্থল পথে পরপর দুদিন হামলা চালিয়েছে গাদ্দার মোগাদিশু বাহিনী। কিন্তু দু’দিনই তারা শহরটি দখল করতে ব্যর্থ হয়।

ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাবের তীব্র প্রতিরোধের মুখে নাস্তানাবুদ হয়ে ফিরে যায় গাদ্দার বাহিনী। দুদিনের তীব্র এই লড়াইয়ে মার্কিন প্রশিক্ষিত অনেক গাদ্দার সৈন্য হতাহত হয়।

প্রথমিক তথ্য মতে, মুজাহিদদের হামলায় কমক্ষে ২০ গাদ্দার সৈন্য নিহত হয়েছে। সেই সাথে আহত হয়েছে আরও কমপক্ষে ২৫ শত্রু সেনা। বাস্তবে হতাহতের সংখ্যা আরও কয়েকগুণ বেশি হতে পারে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সূত্র।

আশ-শাবাবের সাম্প্রতিক সময়ের জোরদার হামলায় সোমালিয়ার গাদ্দার প্রশাসন নিজেদের মধ্যে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে। নিজেদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলোতেও নিয়মিত মুজাহিদদের হামলার শিকার হচ্ছে গাদ্দাররা। শীঘ্রই গাদ্দার প্রশাসনের পতন ঘটবে বলে আশাবাদী স্থানীয়রা।

[Al-Firdaws News]

সোমালিয়ায় তুরষ্কের পর আরব-আমিরাতের সেনা ও সামরিক শক্তি বৃদ্ধি: লক্ষ্য আশ-শাবাব!


আরব আমিরাতের একটি সামরিক কার্গো বিমান


সোমালিয়ার আধা-স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চল পুন্টল্যান্ড। সম্প্রতি অঞ্চলটির গারোয়ে এলাকায় গোপনে শত শত সেনা ও যুদ্ধ সরঞ্জাম মোতায়েন করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের গাদ্দার প্রশাসন।

আঞ্চলিক সংবাদ সংস্থা সোমালি গার্ডিয়ান এর সূত্রে জানা যায়, সোমালিয়ার বোসাসো শহরে গত মাসের শুরু থেকে অন্তত ১২টি কার্গো বিমানে করে আরব আমিরাত থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সেনা সদস্য ও ২৫০টি সাঁজোয়া যান আনা হয়েছে। যেগুলো আরজি-৩৩ মডেলের মাইন রেজিস্ট্যান্ট এ্যামবুশ প্রটেকটেড (MRAP) যান।

অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, আরব আমিরাতের অন্তত ১৮০ সেনাকে সোমালিয়ায় আনা হয়েছে, যারা PMPF বাহিনীর ঘাঁটিতে অবস্থান করছে। এটি (PMPF) গাদ্দার আরব আমিরাতের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধান, অর্থায়ন ও সামরিক প্রশিক্ষণ দ্বারা পরিচালিত একটি বাহিনী, যারা ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাবের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত।
হারাকাতুশ শাবাবের ইস্তেশহাদী কমান্ডো ফোর্স

হঠাৎ করে আমিরাতি সৈন্য ও যুদ্ধ সরঞ্জাম সোমালিয়ায় আনার পিছনে কারণ এখনো স্পষ্টভাবে বুঝা যাচ্ছে না। তবে এনিয়ে বিশ্লেষকরা দু’টি মন্তব্য করছেন।
তাহলো-
১- পুন্টল্যান্ড অঞ্চলে আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানো।
২- সোমালিয়াজুড়ে আশ-শাবাবের ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক, সামাজিক ও সামরিক প্রভাব এবং গাদ্দার সোমালি প্রশাসনের দুর্বলতার কারণে আশ-শাবাবকে রুখা।

উল্লেখ্য যে, গাদ্দার আরব আমিরাতের সেনা ও যুদ্ধসরঞ্জাম এমন এক সময়ে এই অঞ্চলে মোতায়েন করা হয়েছে, যখন আরব আমিরাত ও মিশর তিন হাজারেরও বেশি সোমালি যুবককে নিয়োগ দিয়ে সামরিক প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। এমনকি তারা সোমালি বাহিনীর হতাহত সদস্যদের চিকিৎসা দেওয়ার প্রতিশ্রুতীও দিয়েছে। ইতিপূর্বে কাতার, আরব আমিরাত, মিশর ও পাকিস্তান এই অঞ্চলে পশ্চিমা সমর্থিত গাদ্দার প্রশাসনকে টিকিয়ে রাখতে আর্থিকভাবে সহায়তা করলেও, আমিরাত এবার তুরষ্কের মতো সামরিক আগ্রাসন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যেখানে সেক্যুলার তুরস্ক এই অঞ্চলে বছরের পর বছর ধরে আশ-শাবাবের বিরুদ্ধে যুদ্ধে করে যাচ্ছে।

[Al-Firdaws News]

ফটো রিপোর্ট | ইয়েমেনে আল-কায়েদার ‘অ্যারোস অফ রাইট’ অপারেশন
মুজাহিদদের হামলায় উড়ে গেছে শত্রু বাহিনীর দুটো গাড়ি।
সাম্প্রতিক সময়ে ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা জোরদার ও তীব্রতর করেছেন আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা। চলমান এই লড়াইয়ে গাদ্দার আরব আমিরাত ও এর সহযোগী বাহিনীগুলো ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হচ্ছে।আরব আমিরাত এবং তাদের সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদী দক্ষিণ ট্রানজিশনাল কাউন্সিলের সাথে যুক্ত বাহিনীগুলো, গত সেপ্টেম্বরে এই অঞ্চলে মুজাহিদদের উপর নতুন ভাবে আক্রমণ শুরু করে। গাদ্দার বাহিনী তাদের এই অপারেশনের নাম দেয় ‘অ্যারোস অফ দ্য ওরিয়েন্ট’। এই অপারেশনের সামনে আনসারুশ শরিয়াহ এর মুজাহিদগণ, যারা আল-কায়েদা ইন দ্য অ্যারাবিয়ান পেনিনসুলা (AQAP) নামেও পরিচিত, শুরুতে কিছুটা চাপে পড়েছিলেন।শত্রুবাহিনীর আক্রমণ প্রতিরোধ করতে, মুজাহিদগণও একটি নতুন অপারেশন শুরু করে। এই অপারেশনের নাম দেয়া হয় ‘সাহামুল হক’ বা ‘অ্যারোস অফ রাইট’ বা ‘সত্যের তীর’। মুজাহিদদের এই অপারেশনে গাদ্দার আরব আমিরাতের বাহিনীর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়। এই অপারেশন প্রায় দুই মাস ধরে চলছে এবং এখনো অব্যাহত আছে।সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে গাদ্দার বাহিনীগুলোর আক্রমণে কৌশলগত কারণে কিছু কিছু জায়গা থেকে পিছু হটেন। পরবর্তিতে ‘সাহামুল হক’ শুরু হলে, পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করে। আরব আমিরাতের বাহিনী ইবিয়ান এবং শাবওয়া প্রদেশে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়। পাশাপাশি শত্রুবাহিনী যেসকল এলাকাগুলো দখল করার দাবি করেছিলো, সেগুলো ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়। ময়দানে আল-কায়েদার আধিপত্য পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়।আনসারুশ শরিয়াহ্-এর দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে শুরু হওয়া এই অঞ্চলের হামলাগুলোতে আরব আমিরাত এবং এর সংশ্লিষ্ট বাহিনীগুলোর কমপক্ষে ৭৪ সৈন্য নিহত এবং ৭৭ এর বেশি সৈন্য আহত হয়েছে। এসব হামলায় নিহতদের মধ্যে সামরিক বাহিনীর উচ্চপদস্থ ব্যক্তিরাও ছিল। এসব হামলায় গাদ্দার বাহিনীর অনেক সামরিক যানও ধ্বংস হয়েছে।তবে এই রিপোর্টে শুধু ময়দানে মুজাহিদদের সামনে হতাহত হওয়া শত্রুসেনাদের পরিসংখ্যান এসেছে। সম্মুখ যুদ্ধ ছাড়াও, আরব আমিরাতের সামরিক কনভয় এবং এটিকে সমর্থনকারী বাহিনীকে লক্ষ্যবস্তু করেও চালানো হয়েছে। সেসব হামলায় হতাহতের সুনির্দিষ্ট সংখ্যা জানা না যাওয়ায় এখানে তা যুক্ত করা হয়নি।এদিকে, আনসারুশ শরিয়াহ্’র অফিসিয়াল আল-মালাহিম মিডিয়া কর্তৃক ২৪ মিনিটের একটি ভিডিও প্রচার করা হয়েছে। ভিডিওটি দলটির আমিরের বক্তব্য দিয়ে শুরু হয় এবং ইয়ামেনের সাম্প্রতিক লড়াইয়ের ভিডিও ফুটেজগুলি নথিভুক্ত করার মাধ্যমে শেষ হয়। ভিডিওটি থেকে সংগৃহীত কিছু চিত্র এখানে দেয়া হলো:সকল ফটো একসাথে দেখুন: https://archive.org/details/yemen-aqap-arrows-of-right