Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুজাহিদিন নিউজ # ০৪ঠা মুহাররাম , ১৪৪১ হিজরী # ২৪ আগস্ট, ২০২০ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুজাহিদিন নিউজ # ০৪ঠা মুহাররাম , ১৪৪১ হিজরী # ২৪ আগস্ট, ২০২০ঈসায়ী।

    খোরাসান | যেভাবে একজন আফগান তালেবান ওসামা বিন লাদেনের ঘাতকদের পুরো একটি টিমকে হত্যা করেছিলো

    শাইখুল জিহাদ ওসামা বিন লাদেন রহিমাহুল্লাহ্ এর শাহাদতের প্রায় দু'মাস পরে ২০১১ সালে ময়দান ওয়ার্দাক প্রদেশে এই ঘটনা ঘটে।

    ক্রুসেডার মার্কিন বাহিনী খবর পেয়েছিলো যে, ইমারতে ইসলামিয়ার প্রয়াত আমিরুল মুমিনিন মোল্লা মোহাম্মদ ওমর মুজাহিদ আফগানিস্তানের ময়দান ওয়ার্দাক প্রদেশের সৈয়দাবাদ জেলার টানগি এলাকায় অবস্থান করছেন।

    এই তথ্যের ভিত্তিতে ক্রুসেডার বাহিনী রাতে টনগি এলাকায় হেলিকপ্টার দিয়ে বেশ কয়েকবার অভিযান পরিচালনা করে, তাদের গন্তব্য আমিরুল মু'মিনিন এর অবস্থানে যেকোন মূল্য পৌঁছা।

    এ সময় স্থানীয় আইয়ুবি নামক এক শিক্ষার্থী , যিনি সবে দ্বাদশ শ্রেণি থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন, তালেবানদের স্থানীয় কমান্ডার মৌলভী মহিবুল্লাহর নেতৃত্বে তালেবানে যোগ দেন। তালেবানে যোগ দেওয়ার পর তিনি প্রথমবারের মত রাতে তালেবানদের সাথে অভিযানের জন্য বের হন এবং একটি মসজিদে তাঁরা অবস্থান নেন। তিনি দায়িত্বপান পাহারাদারির, এসময় হঠাৎ তিনি শুনতে পান চিনুক হেলিকপ্টারের শব্দ।

    তিনি মৌলভী সাহেবকে চেঁচিয়ে বললেন যে হেলিকপ্টার এসেছে, মৌলভী সাহেব এই সংবাদ পেয়েই সকল সাথীদের দ্রুত প্রস্তুত হতে বললেন , এরপর মৌলভী সাহেব স্থানীয় যুবককে রকেট দিয়ে চিনুক হেলিকপ্টার টার্গেট করে আঘাত করার নির্দেশ দিলেন। আর সে খুব দক্ষতার সাথেই তার লক্ষ্যবেধ করতে সক্ষম হয়, ফলে মহুর্তেই ধ্বংস হয়ে যায় মার্কিন হেলিকপ্টার। নিহত হয় হেলিকপ্টারে থাকা সকল মার্কিন ক্রুসেডার।

    পরের দিন দুপুরে উক্ত এলাকায় পূণরায় অভিযান ও তল্লাশী চালাতে শুরু করে মার্কিন বাহিনী। তারা প্রথমে অবস্থান নেয় মুজাহিদদের হামলার শিকারে পরিণত হওয়া চিনুক হেলিকপ্টারটির নিকটে। এরপর মুজাহিদগণ আড়াল থেকে পূণরায় বিধ্বস্ত হওয়া মার্কিন হেলিকপ্টারটি টার্গেট করে দুইটি রকেট লাঞ্চার হামলা চালান। যার ফলে এবারও পরিপূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যায় মার্কিন হেলিকপ্টারটি, ঘটনাস্থলেই তখন নিহত হয় সেখানে অবস্থানরত ৩০ মার্কিন ক্রুসেডার, আহত হয় অন্যরা।

    এই সফল হামলার পরে ক্রুসেডার মার্কিন বাহিনী মুজাহিদদের সন্ধানে উক্ত এলাকায় একাধিক অভিযান শুরু করে। অভিযানের দু'দিন পরে, তালেবানদের প্রাদেশিক গভর্নর মৌলভী আহমাদ উল্লাহ গোলাম বিমানটি কারা গুলি করেছে তা জানতে ফোন করেন স্থানীয় মুজাহিদদের নিকট। স্থানীয় মুজাহিদরা বিস্তারিত সংবাদ প্রাদেশিক গভর্নরকে জানান। এরপর তিনি হেলিকপ্টারটি গুলি করা মুজাহিদদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, হেলিকপ্টারটি আমাদের উপরেও হামলা চালিয়েছিলো, যাদের টার্গেট ছিল আমিরুল মু'মিনীন মোল্লা মুহাম্মদ ওমর মুজাহিদ। আর এই অভিযানে অংশ নিয়েছিলো আমেরিকার বিশেষ বাহিনী। আমরা জানতে পেরেছি যে, এই টিমটি শাইখ ওসামা বিন লাদেন রহ. এর বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযানেও অংশগ্রহণ করেছিলো। তোমরা সকলে সতর্ক থাকবে, কেননা তাদের স্পেশাল ফোর্সের সৈন্যদেরকে তোমরা হত্যা করেছো, তারা অবশ্যই নেড়ে কুকুরের ন্যায় পূণরায় তোমাদের খোঁজে অভিযান চালাবে।

    গভর্নরের এই কথার চারদিন পরেই মার্কিন বাহিনী ওই এলাকায় ভারী অভিযান চালাতে শুরু করে এবং চার দিন যাবৎ উক্ত এলাকায় তারা মুজাহিদদের সন্ধানে অভিযান চালায়। চতুর্থদিন আসরের সময় স্থানীয় তালেবান কমান্ডার মৌলভী মহিবুল্লাহ তাঁর সহযোগীদের নিয়ে গাড়ি চালানোর সময় শত্রুরা তাকে লক্ষ্য করে আক্রমণ চালায়। ক্রুসেডার মার্কিন বাহিনীর এই আক্রমণে তিনি এবং তাঁর সাথে থাকা সকল মুজাহিদ শহাদাত বরণ করেছিলেন। আল্লাহ্ তা'আলা তাদের শাহাদাতকে কবুল করুন, আমিন।

    এরপর স্থানীয়রা জানান, এই হামলার পর বেশ কয়েকটি হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিলো, এরপর তারা ঘটনাস্থলের আশেপাশের অঞ্চলটিকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছিলো।

    এরপর তালেবানদের এই বীর মুজাহিদদের হামলায় নিহত হওয়া আমেরিকান সেনাদের শ্রদ্ধা জানাতে একটি অনুষ্ঠানে তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রপতি (ওবামা) এর চোখে অশ্রু ভরে উঠলো। আল্লাহু আকবার, এভাবেই প্রথমবারের মত আফগান তালেবানরা বিশ্ব মুসলমানদের আইডল (ওসামা বিন লাদেন) রহ. এর শাহাদাতের প্রতিশোধ নিয়েছিলেন।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    খোরাসান | মুজাহিদদের শহিদী হামলায় ৩৮ এরও অধিক মুরতাদ সৈন্য নিহত

    আফগানিস্তানের গজনি প্রদেশের দাহ-ইয়াক জেলায় মুরতাদ কাবুল সরকারি বাহিনীর কেন্দ্রে একটি শহিদী হামলা চালিয়েছেন তালেবান মুজাহিদিন। যাতে ২৮ মুরতাদ সৈন্য নিহত এবং কয়েক ডজন মুরতাদ সৈন্য আহত হয়েছে।

    বিস্তারিত রিপোর্ট থেকে জানা গেছে, ২৪ আগস্ট রাত ২ টা ২৫ মিনিটে, আফগানিস্তানের গজনী প্রদেশের দেহ ইয়াক জেলার জেলা ও পুলিশ সদর দফতরের ভবনগুলি লক্ষ্য করে একটি কৌশলগত গাড়ি বোমা হামলা করেছেন একজন জানবাজ তালেবান মুজাহিদ। অন্য মুজাহিদীনরা জেলার আশেপাশের সুরক্ষা পোস্ট ও অন্যান্য সামরিক স্থাপনার উপর ভারী ও হালকা অস্ত্র দ্বারা হামলা চালিয়েছিলো, যা সকাল অবধি অব্যাহত ছিলো।

    তালেবান মুজাহিদদের এই বীরত্বপূর্ণ আক্রমণে জেলা ও পুলিশ সদর দফতরের ভবনগুলি অনেকাংশে ধ্বংস হয়ে যায়।

    ইমারতে ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয় মুখপাত্র মুহতারাম জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ (হা.) জানান যে, প্রাথমিক তথ্য অনুসারে, মুজাহিদদের উক্ত বীরত্বপূর্ণ অভিযানে কাবুল বাহিনীর ২৮ সৈন্য নিহত হয়েছে, এখনো নিখোঁজ অনেক সৈন্য এবং আহত হয়েছে আরও কয়েক ডজন সৈন্য।

    এই অভিযানটি ছাড়াও ঐ রাতে গজনীতে শত্রুদের অন্য একটি চৌকিতেও মুজাহিদদের পক্ষ হতে অভিযান চালানো হয়েছে। এতে ১০ এরও বেশি সেনা নিহত ও আহত হয়।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      খোরাসান | মুজাহিদদের হামলায় ৫৮ মুরতাদ সৈন্য নিহত, বিস্তীর্ণ এলাকা বিজয়

      ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের তালেবান মুজাহিদিন হেরাত ও লোঘার প্রদেশে কাবুল বাহিনীর বিরুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অভিযান পরিচালনা করেছেন। এতে কমপক্ষে ৫৮ মুরতাদ সৈন্য নিহত হয়েছে।

      বিস্তারিত রিপোর্ট অনুসারে, গত ২৩ আগস্ট বিকেলে তালেবান মুজাহিদিন হেরত প্রদেশের পশতুন জারঘুন জেলার কেন্দ্রে মর্টার হামলা চালান। যার ফলস্বরূপ কাবুল বাহিনীর ৮ মুরতাদ সেনা হতাহত হয় এবং তাদের কয়েকটি গাড়ি ধ্বংস হয়ে যায়। মুরতাদ বাহিনীর সদস্যরা ভয়ে কয়েক ঘন্টার জন্য তাদের ঘাঁটি ছেড়ে পালিয়েছিলো।

      এমনিভাবে ২৪ আগস্ট সকালে তালেবান মুজাহিগণ দায়াদি জেলার গুলমীর এলাকায় অভিযান চালান, যার ফলে ৩০ এরও অধিক মুরতাদ সৈন্য নিহত ও আহত হয়। বাকি সৈন্যরা ভয়ে দুটি চেকপোস্ট থেকে পালিয়ে যায়। মুরতাদ বাহিনীর পালানোর সাথে সাথে বিশাল অঞ্চল মুজাহিদদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। আলহামদুলিল্লাহ।

      এমনিভাবে লোঘার প্রদেশের মুহাম্মদ আঘা জেলায় রাস্তার পাশে মুজাহিদদের লাগানো বোমা বিস্ফোরণে কাবুল বাহিনীর ১টি ট্যাঙ্ক ধ্বংস হয়ে যায় এবং নিহত হয় ৬ মুরতাদ সৈন্য।

      অন্যদিকে, প্রদেশটির পুল-এ-মাতানী এলাকায় ভাড়াটে কাবুল সেনাবাহিনীর ঘাঁটিতে ভারী মিসাইল নিক্ষেপ করেন মুজাহিদগণ, এতে কাবুল বাহিনীর ৬ ভাড়াটে সেনা মারা গিয়েছে এবং ২ ভাড়াটে সৈন্য আহত হয়েছে।
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        নাইজেরিয়া | মুজাহিদদের হামলায় ৩৫ এরও অধিক মুরতাদ সৈন্য নিহত, ঘাঁটিসহ ৩টি সামরিকযান ধ্বংস

        মধ্য আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ায় আল-কায়েদার জানবাজ মুজাহিদদের বীরত্বপূর্ণ এক অভিযানে দেশটির মুরতাদ বাহিনীর ৩৫ এরও বেশি সৈন্য নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে আরও অনেক সৈন্য।

        বিস্তারিত রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৩ আগস্ট আল-কায়েদা সেন্ট্রাল আফ্রিকা (মধ্য আফ্রিকা) ভিত্তিক শাখা "জামা'আত আনসারুল মুসলিমিন ফী বিলাদুস-সুদান" এর জানবায মুজাহিদিন নাইজেরিয়ায় একটি বীরত্বপূর্ণ সফল অভিযান পরিচালনা করেছেন।

        নাইজেরিয়ার কাদুনা রজ্যে অবস্থিত মুরতাদ বাহিনীর একটি সামরিক ঘাঁটিতে ভারী অস্ত্রশস্ত্র দ্বারা উক্ত সফল অভিযান চালিয়েছেন মুজাহিদগণ। যার ফলে ৩৫ এরও বেশি মুরতাদ সৈন্য নিহত হয়েছিলো, আহত হয়েছে আরও অনেক। মুজাহিদদের বোমার আঘাতে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল মুরতাদ বাহিনীর ৩টি সামরিকযানসহ পুরো সামরিক ঘাঁটিটি, আর মুজাহিদগণ ১টি সামরিকযান সহ বিপুল অস্ত্রশস্ত্র গনিমত লাভ করেন।

        উল্লেখ্য যে, চলিত মাসের ৮ আগস্ট একই রাজ্যে মুজাহিদদের অন্য একটি সফল অভিযানে ২৫ মুরতাদ সৈন্য নিহত এবং ১০ এও অধিক মুরতাদ সৈন্য আহত হয়েছিলো। আলহামদুলিল্লাহ, বর্তমানে এই রাজ্যটির বেশ কিছু এলাকা মুজাহিদগণ নিয়ন্ত্রণ করছেন।
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          পশ্চিম আফ্রিকা | নাইজার সীমান্তে পালিয়ে থাকা আইএস সন্ত্রাসীদের উপর মুজাহিদদের হামলা, ৯ আইএস সদস্য নিহত ও আহত

          পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে আল-কায়েদা মুজাহিদদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে কয়েকটি অভিযান চালিয়েছিলো খারেজী গোষ্ঠী আইএসের সদস্যরা, এসকল অভিযানের মাধ্যমে আইএস সদস্যরা বেশ কয়েকজন বেসামরিক মুসলিমকে হত্যা করেছিলো।

          যার ফলে গত জুলাই মাসের শেষ দিকে আল-কায়েদা মুজাহিদগণ আইএসদের বিরুদ্ধে মালিতে অভিযান পরিচালনা করতে বাধ্য হন। এরপর মাত্র ১৯ দিনের অভিযানে মুজাহিদগণ আইএস সন্ত্রাসীদের প্রকাশ্য সকল ঘাঁটি মালি থেকে গুড়িয়ে দেন, হত্যা করেন শতাধিক আইএস সন্ত্রাসীকে। এরপর আইএসদের গোপন আস্তানাগুলোতেও মুজাহিদগণ চিরুনি অভিযান চালিয়ে হত্যা, আহত ও বন্দী করেছিলেন আরো কয়েক শতাধিক সন্ত্রাসীকে। বাকি আইএস সদস্যরা তখন মালি ছেড়ে বুর্কিনা-ফাসো ও নাইজার সীমান্তে পলায়ন করে। তখন মুজাহিদগণ বুর্কিনা-ফাসো ও নাইজারেও অভিযান চালাতে শুরু করেন।

          এর ধারাবাকিতায় ২৪ আগস্ট নাইজার সীমান্তে পালিয়ে থাকা আইএসদের একটি গোপন আস্তানায় হামলা চালান মুজাহিদগণ। যার ফলে ৬ আইএস সন্ত্রাসী নিহত হয় এবং আহত হয় আরও ৩ আইএস সদস্য। ধ্বংস করা হয়েছে তাদের একটি গাড়িও।
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            আলহামদুলিল্লাহ,, তালেবান -আল কায়দা জিহাদকে আঁকড়ে ধরেছেন। আল্লাহ তাদের বিজয় দান করেছেন। দুটি সুপার পাওয়ারের পরাজয়। সামনে দাজ্জাল ও ইয়াজুজ মাজুজ।

            Comment


            • #7
              আল্লাহ তায়ালা মুজাহিদ ভাইদের কাজকে কবুল করুন। আমীন!!
              দাওয়াহ,ইদাদ ও জিহাদের মাধ্যমে ইসলামি খিলাফাহ কায়েম হবে ইনশাআল্লাহ।

              Comment

              Working...
              X