Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুজাহিদিন নিউজ#| ১৯ রবিউস সানী ১৪৪৪ হিজরী।। ১৫ নভেম্বর, ২০২২ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুজাহিদিন নিউজ#| ১৯ রবিউস সানী ১৪৪৪ হিজরী।। ১৫ নভেম্বর, ২০২২ ঈসায়ী।

    পূর্ণ শরিয়াহ্ আইন জারি করলেন ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের সুপ্রিম লিডার আখুন্দজাদা (হাফি.)



    সম্প্রতি ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের আমিরুল মু’মিনীন শাইখুল হাদিস মৌলভি হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদাহ ও দেশটির প্রধান বিচারকগণ একটি গুরত্বপূর্ণ সভায় মিলিত হয়েছেন। যেখান থেকে এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়েছে যে, এখন থেকে আফগানিস্তানে পরিপূর্ণ শরিয়াহ্ আইন বাস্তবায়ন করা হবে। কেননা এটি আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লার পক্ষ থেকে একটি ফরজ বিধান।

    ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় মুখপাত্র মুহতারাম জাবিহুল্লাহ্ মুজাহিদ (হাফি.) গত ১৪ নভেম্বর সোমবার গভীর রাতে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে এই সিদ্ধান্তটি প্রকাশ্যে ঘোষণা করেন।ঘোষণায় বলা হয়েছে যে, সম্মানিত আমিরুল মু’মিনিন, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও বিচারকদের গুরত্বপূর্ণ এক সভা শেষে এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। যার ফলে এখন থেকে ইসলামি শরিয়াহ্ আইনের দিকগুলো ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানে সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়ন করা হবে।

    যার মধ্যে রয়েছে প্রকাশ্যে কিসাস, রজম ও হদের মতো গুরত্বপূর্ণ বিধানগুলো।এই সিদ্ধান্ত ঘোষণার সময় আমিরুল মু’মিনিন স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন যে, শরিয়াহ্ আইনের এই আদেশ প্রথমে আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লার বিধান এবং পরে আমার পক্ষ থেকে বাস্তবায়নের আদেশ। তাই এটি বাস্তবায়ন করা উপর ফরজ।
    তাই চোর, অপহরনকারী, হত্যাকারী এবং রাষ্ট্রদ্রোহের মত ইসলাম-বিরোধী প্রতিটি মামলা গুরুত্বের সাথে পর্যবেক্ষণ করুন। যেসব মামলায় হদ, কিসাস ও রজমের শাস্তি প্রদানের শর্তগুলো পূর্ণ হবে, সেসব ক্ষেত্রে আপনাদেরকে অবশ্যই শরিয়াহ্ মোতাবেক হদ ও কিসাসের রায় প্রদান করতে হবে। আর এটিই শরিয়াহ্’র তাকাযা, যা পালন করতে আপনি বাধ্য।আমিরুল মু’মিনীন এর এরূপ নির্দেশ মু’মিনদের অন্তরকে প্রশান্ত করেছে আলহামদুলিল্লাহ্‌। এই লক্ষ্যেই তো আফগানের হাজার হাজার মুসলিম গত ৪০ বছর ধরে জিহাদের ময়দানে অটল থেকে নিজেদের জীবন আল্লাহ্‌র রাস্তায় বিলেয়ে দিয়েছে অকাতরে।

    পাশাপাশি এই ঘোষণা চিন্তার বলিরেখা ফেলে দিয়েছে ইসলাম-বিরোধী শক্তিগুলোর কপালে। জাতিসংঘের সাধারণ সভায় ইমারাহকে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেয়া হয়েছে যে, (তথাকথিত) মানবাধিকার এবং নারী অধিকার বাস্তবায়ন না করা পর্যন্ত তাদেরকে কোনোভাবেই স্বীকৃতি দেয়া হবে না।বিপরীতে আমিরুল মু’মিনীনও পরিষ্কারভাবেই জানিয়েছেন যে, যাইহোক না কেন, শরীয়াহ অনুযায়ী বিচারকার্য পরিচালনা, নারী অধিকার কিংবা সরকার পরিচালনা – কোনো কিছুই পশ্চিমা ফ্রেমওয়ার্কের আদলে বা শরীয়তের নিষিদ্ধ পন্থায় করা হবে না।

    কেননা জাতিসংঘ কর্তৃক সংজ্ঞায়িত অনেক মানবাধিকার, সরকার পরিচালনার ধরন, নারী অধিকার ও আইনি শাস্তি ইত্যাদি সরাসরি শরিয়তের সাথে সাংঘর্ষিক। তাই ইমারাতে ইসলামিয়া কখনই তাদের দেওয়া সীমারেখায় থেকে রাষ্ট্র পরিচালনা করবে না। আমাদের লক্ষ্য ও আইন স্পষ্ট।উল্লেখ্য যে, আফগানিস্তানে ইমারাতে ইসলামিয়া প্রশাসন প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দেশটিতে ইসলামি শরিয়াহ্ আইন প্রয়োগ করা শুরু হয়। তবে রাজনৈতিক কারণে কিছু কিছু ক্ষেত্রে হুদুদ ও কিসাসের শাস্তি প্রয়োগে ধীর পন্থা অবলম্বন করে।

    এবিষয়ে তালিবান কর্মকর্তারা জানান যে, আমরা পরিস্থিতির কারণে শরিয়াহ্ আইনের শাস্তিগুলো বাস্তবায়ন করতে ধীর পন্থা অবলম্বন করেছি, তবে এই সময়টাতে আমরা নিজেদেরকে আইনি শর্তগুলো বাস্তবায়নের শর্তগুলো পূরণে প্রস্তুত করেছি। যা আমীরুল মুমিনিন এর স্পষ্ট বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয়েছে।






    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    মালিয়ান গাদ্দার সেনাদের উপর আল-কায়েদার সফল হামলা, হতাহত বহুসংখ্যক




    পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালির মধ্যাঞ্চলে ক্রুসেডারদের দ্বারা সমর্থিত গাদ্দার মালিয়ান সেনাবাহিনীর উপর দু-দুটি সফল হামলা চালিয়েছেন আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট প্রতিরোধ বাহিনী ”জেএনআইএম” এর মুজাহিদগণ। এতে বেশ কিছু গাদ্দার সৈন্য নিহত এবং আহত হয়।

    স্থানীয় সংবাদমাধ্যম “মিম্বার আল-ফুরসান” এর তথ্য মতে, গত ৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার মালির নিওনো শহরের প্রবেশদ্বারে একটি শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণ ঘটান মুজাহিদগণ। যা আগে থেকেই সেখানে লুকিয়ে রাখেছিলেন প্রতিরোধ যোদ্ধারা। পরে শত্রু বাহিনী বিস্ফোরণে আওতায় চলে আসলে মুজাহিদগণ রিমোট-কন্ট্রোলের মাধ্যমে তা বিস্ফোরণ ঘটান তাঁরা।

    ঐ বিস্ফোরণে তৎক্ষণাৎ সেখানে পজিশন নেয়া মালিয়ান সেনাবাহিনীর এক সদস্য নিহত হয় এবং আরো বেশ কিছু গাদ্দার সৈন্য আহত হয়। ঘটনার পরপরই স্থানটি ঘিরে ফেলে সেনারা; ফলে শত্রুদের বেষ্টনীর কারণে আহতদের সংখ্যা সুনির্দিষ্ট করে জানা যায়নি।

    এরপর গত ১০ নভেম্বর মারকালা শহরের কাছে ইউগো এলাকায় অনুরূপ বোমা বিস্ফোরণ ঘটান মুজাহিদগণ। যা গাদ্দার মালিয়ান সেনাবাহিনীর একটি গাড়িকে লক্ষ্য করে নিখুঁতভাবে চালানো হয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে শত্রুদের গাড়িটি পুরোপুরি পুড়ে ভস্মিভূত হয়ে যায়, এবং তাতে থাকা সমস্ত শত্রুসেনা মারা যায়।


    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ১ দিনে ৭ অভিযানঃ ইসলামি এলাকা প্রতিরক্ষা ও শত্রুঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ আশ-শাবাবের



      সাম্প্রতিক দিনগুলোতে মধ্য সোমালিয়ার হিরান ও জালাজদুদ রাজ্যে হামলার গতি বাড়িয়েছেন আল-কায়েদা পূর্ব আফ্রিকা শাখার ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা। অনেক যুদ্ধে তাঁরা শত্রুঘাঁটি ও এলাকা বিজয় করছেন, আবার অনেক যুদ্ধে তাঁরা আগ্রাসী শত্রুদের আক্রমণকারী বাহিনীকে সম্পূর্ণ নির্মূল করে ইসলামি এলাকার প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করছেন।

      গত ১৩ নভেম্বর রবিবার তারিখেও উক্ত রাজ্যদু’টি সহ সোমালিয়ার বিভিন্ন শহরে এমন প্রায় ৭টি পৃথক অপারেশন পরিচালনা করছে ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাবের মুজাহিদগণ। এতে কয়েক ডজন গাদ্দার সৈন্য নিহত এবং আহত হয়েছে।

      এসব অভিযানের মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হচ্ছে, জালাজদুদ রাজ্যের “উদকির” শহরে মুজাহিদদের পরিচালিত একটি সফল আক্রমণ। যা শহরটিতে অবস্থিত গাদ্দার মোগাদিশু সামরিক বাহিনীর একটি ঘাঁটি লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে। মুজাহিদদের ঐ অভিযানে শহরটির পুলিশ প্রধান সহ অন্তত ১৫ গাদ্দার সৈন্য নিহত হয়। সেই সাথে এই অভিযানে গাদ্দার বাহিনীর একটি সাঁজোয়া যান ধ্বংস হওয়া সহ আরও ৬ এরও বেশি সৈন্য আহত হয়েছে। আর বেঁচে যাওয়া সৈন্যরা ঘাঁটি ছেড়ে শহরের কেন্দ্রস্থলে পালিয়ে গেছে।
      শত্রুদের এই পলায়নের পর মুজাহিদগণ সামরিক ঘাঁটিটির পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেন। আর সেখানে কাপুরুষ শত্রুদের ফেলে যাওয়া অসংখ্য অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম গণিমত লাভ করেন।

      এদিন আবার হিরান রাজ্যের আশ-শাবাব প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণাধীন হালজান শহরের কাছেও একটি ভারী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। যেখানে গাদ্দার বাহিনী শহরটি দখলের চেষ্টা করলে মুজাহিদগণ তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেন এবং জবাবী হামলা চালান।

      ফলে কয়েক মিনিটের লড়াইয়েই যুদ্ধের মনোবল হারিয়ে বিক্ষিপ্ত হয়ে পরে গাদ্দার বাহিনী। কেননা লড়াইয়ের শুরুতেই মুজাহিদগণ আগ্রাসী বাহিনীর প্রধান কমান্ডারকে সহ তার গুরত্বপূর্ণ ৩ সৈন্যকে হত্যা করেন। সেই সাথে গাদ্দার বাহিনীর পঞ্চম ব্যাটালিয়ন কমান্ডার কর্নেল “বাকের” ও তার দেহরক্ষীদের বন্দী করে ফেলেন মুজাহিদগণ। যার ফলশ্রুতিতে বাকি সৈন্যরা অস্ত্র শস্ত্র ফেলেই ময়দান ছেড়ে পলায়ন করে।

      এভাবেই শত্রুদের ইসলামি এলাকার দখল নেওয়ার সাধ সেদিনের মতো মিটিয়ে দেন উম্মাহর বীর সন্তান মুজাহিদগণ।

      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        Allahu Akhbar

        Comment

        Working...
        X