মুজাহিদিন নিউজ#| ০১ জামাদিউল আউয়াল, ১৪৪৪ হিজরী।। ২৫ নভেম্বর, ২০২২ ঈসায়ী।

[Al-Firdaws News]

আল-কায়েদার হামলায় ১৫ ঊর্ধ্ব রাশিয়ান ওয়াগনার ও মালিয়ান গাদ্দার নিহত

ফাইল ছবিঃ প্রতিরোধ বাহিনী জেএনআইএম-এর বীর মুজাহিদিন


আল-কায়েদা পশ্চিম আফ্রিকা সংশ্লিষ্ট ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী “জেএনআইএম” সম্প্রতি মালির মোপ্তি রাজ্যে একটি সফল হামলা চালিয়েছে। হামলাটি গাদ্দার মালিয়ান সেনাবাহিনী, রাশিয়ার ভাড়াটে ওয়াগনার ও স্থানীয় মিলিশিয়াদের একটি যৌথ কাফেলা টার্গেট করে চালানো হয়।

আঞ্চলিক বিশ্লেষক MENASTREAM-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২১ নভেম্বর মালির মোপ্তি রাজ্যের মাকানু এলাকায় কুফ্ফারদের যৌথ জোট বাহিনীর উপর উক্ত হামলাটি চালানো হয়েছে। যেখানে আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন (জেএনআইএম) যোদ্ধারা ভারী ‘ডুয়াল-আইইডি’ দিয়ে শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণ ঘটান।

ফলশ্রুতিতে ঘটনাস্থলেই ইসলামবিরোধী যৌথ জোট বাহিনীর অন্তত ১৫ সেনা নিহত হয়। সেই সাথে কুফ্ফার বাহিনীর ২টি গাড়িও পুরোপুরি ধ্বংস করতে সক্ষম হন মুজাহিদগণ।

সফল এই হামলার পর দিকভ্রান্ত হয়ে পড়ে কুফ্ফার জোটের সেনারা। এসময় কুফ্ফার বাহিনীর সেনারা উক্ত এলাকায় এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে শুরু করে। বর্বর এই বাহিনী নির্বিচারে গুলি চালিয়ে উক্ত এলাকার এক বৃদ্ধ সহ ৭ জন সাধারণ বেসামরিক মুসলিমকে হত্যা করে। পাশাপাশি অনেকগুলো ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়।

জেএনআইএম-এর মুজাহিদদের বিরুদ্ধে ভাড়াটে ওয়াগনার সেনারা কার্যকরী হাতিয়ার হিসেবে প্রমাণিত না হওয়ায়, পশ্চিমা সমর্থিত মালিয়ান সেনারা এখন উগ্র সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিকে অর্থ-অস্ত্র দিয়ে মুজাহিদদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু এতেও কার্যকরী কোন সফলতা পাচ্ছে না গাদ্দার সরকার।

বিপরীতে মুজাহিদদের ক্রমবর্ধমান এলাকা বিজয় ও প্রতিপত্তি বেড়েই চলছে, যারা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য জান-মালের নজরানা পেশ করে মালির কেন্দ্রের দিকে ছুটে চলেছেন- আলহামদুলিল্লাহ।

[Al-Firdaws News]

উত্তর ওয়াজিরিস্তানে পাক-তালিবানের হামলায় ১৮ পাকি-সেনা নিহত


ফাইল ছবিঃ প্রশিক্ষণরত টিটিপির ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধাগণ


পাকিস্তানের উত্তর ওয়াজিরিস্তানে সম্প্রতি ২টি সফল হামলা চালিয়েছেন ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)। এতে দেশটির সামরিক বাহিনীর অন্তত ১৮ সৈন্য নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সূত্র মতে, দু’টি হামলার প্রথমটি গত ২২ নভেম্বর বান্নু প্রদেশের মালখেল এলাকায় চালানো হয়েছে। যেখানে গাদ্দার বাহিনীর একটি সামরিক কনভয় মুজাহিদদের অবস্থানে হামলার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। আর মুজাহিদগণ এই তথ্য পাওয়া মাত্রই পজিশন ঠিক করে প্রস্তুত হয়ে যান।

গাদ্দার বাহিনীর সামরিক কনভয়টি যখনই মুজাহিদদের নির্ধারিত স্থানে পৌঁছে, তখনই মুজাহিদগণ চতুর্দিক থেকে সামরিক কনভয় টার্গেট করে ভারী অস্ত্রশস্ত্র দ্বারা তীব্র হামলা চালাতে শুরু করেন। এতে গাদ্দার বাহিনীর ৫টি যানবাহন ধ্বংস হয়ে যায়। সেই সাথে ১০ এর বেশি গাদ্দার সৈন্য নিহত হয়, আহত হয় আরও অনেক বেশি।

এরপর গত ২৫ নভেম্বর রাতে একই প্রদেশের মারানশা-সারুবি এলাকায় গাদ্দার বাহিনীর উপর পাল্টা আক্রমণ চালান মুজাহিদগণ। যাতে গাদ্দার বাহিনীর অন্তত ৭ সৈন্য নিহত হয়। বাকিরা আহত হয়ে পালিয়ে যায়। একইভাবে শুক্রবার মধ্যরাতে দোসলী-দিনুর এলাকায় গাদ্দার বাহিনীর সাথে সংঘর্ষ হয় টিটিপির মুজাহিদদের। এতে ১ সেনা নিহত এবং আরও বেশ কিছু সেনা সদস্য আহত হয়। বাকিরা পালিয়ে গেলে উক্ত এলাকার সিকিউরিটি ক্যামেরাগুলি ভেঙে ফেলেন মুজাহিদগণ- আলহামদুলিল্লাহ।

উল্লেখ্য, বর্তমানে সীমান্তের উভয় দিক থেকেই চাপে রয়েছে গাদ্দার পাকি সেনা-প্রশাসন। ইসলামি চিন্তাবিদগণ তাই আশা প্রকাশ করছেন যে, অচিরেই হয়তো ইংরেজদের একে দেওয়া কাল্পনিক সীমান্ত ডুরান্ড লাইন মুছে দুই সীমান্তই মুসলিমদের জন্য উন্মুক্ত হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ্।
আর বর্তমানে যে এলাকায় যুদ্ধ চলছে, তা মুক্ত হলে ধীরে ধীরে কাশ্মীরের সাথে আফগানিস্তানের ভূমির দূরত্ব কমে আসবে ইনশাআল্লাহ্।

[Qa'qaa']

আল্ল-হু আকবার ওয়া লিল্লা-হুল হামদ
আল্লাহ তা'আলা মুজাহিদীনে কিরামের পদ গুলো দৃঢ় ও মজবুত করুন, তাদের কাজ গুলো ইখলাসের মহামূল্যবান রত্নে সর্বদা মুড়িয়ে রাখুন, তিনাদেরকে বিজয়ের পর বিজয় দান করুক। আমাকে ও আমাদেরকে উনাদের মতই ক্ববুল করে নিক আমিন যেমন ক্ববুল করেছেন খালিদ বিন ওয়ালিদ, হামজাতুবনু আব্দুল মুত্তালিবকে।

জাযাকুমুল্লহু খইরন আহসানাল জাযা আল-ফিরদাউস মিডিয়া বৃন্দ।