অপ্রতিরোধ্য আশ-শাবাব || একদিনের অভিযানে ১০০ এর বেশি সেনা হতাহত
অভিযানে গমনরত আশ-শাবাব মুজাহিদিনের সশস্ত্র কাফেলা
আল-কায়েদার পূর্ব আফ্রিকা ভিত্তিক সবচাইতে সক্রিয় ও জনপ্রিয় ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাব। ২০০৭ সাল থেকেই সোমালিয়ায় পশ্চিমা দখলদারত্বের অবসান ঘটাতে এবং দেশটিতে ইসলামি শরিয়াহ্ ভিত্তিক শাসন ব্যাবস্থা ফিরিয়ে আনতে ইসলাম বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছেন শাবাব মুজাহিদিন।
দীর্ঘ এই যুদ্ধকালীন সময়টাতে দলটি আজকের মতো এতোটা সুসংগঠিত ও শক্তিশালী ইতিপূর্বে ছিলোনা। দলটি বর্তমানে কেন্দ্রীয় সোমালিয়ার ৯০ শতাংশেরও বেশি এলাকার উপর নিয়ন্ত্রণ করছে। যেখানে তাঁরা একটি অঘোষিত রাষ্ট্রীয় কাঠামো দাঁড় করিয়েছে। এসব এলাকায় প্রশাসিক কার্যক্রম ছাড়াও রয়েছে, চিকিৎসা, শিক্ষা ও বিচার বিভাগের মতো ১২টির বেশি সেক্টর। যার অধীনে কাজ করছে হাজার হাজার লোক।
আঞ্চলিক বিশ্লেষকদের মতে, দেশটির পশ্চিমা সমর্থিত গাদ্দার সরকারের অর্থনৈতিক ও সামরিক দিক থেকেও কয়েকগুণ এগিয়ে আছে আশ-শাবাব প্রশাসন। ফলে সোমালি সরকার সর্বক্ষেত্রে বিদেশি বাহিনীর সামরিক ও অর্থনৈতিক সহায়তার উপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।
আর গাদ্দার সোমালি সরকার এসব দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে একের পর এক শহর, উপশহর ও সামরিক ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে আশ-শাবাব প্রশানের সামরিক বাহিনী। যাদের হামলায় প্রতিনিয়ত ডজনকে ডজন গাদ্দার সোমালি সৈন্য নিহত এবং আহত হচ্ছে।
এর ব্যতিক্রম হয়নি গতকাল ১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবারেও। কেননা এদিন হারাকাতুশ শাবাবের সামরিক বাহিনীর বীর মুজাহিদগণ রাজধানী মোগাদিশু, হিরান, বে ও শাবেলি রাজ্যে অন্তত ১৩টি সফল হামলা চালিয়েছেন। এরমধ্যে মুজাহিদগণ রাজধানী মোগাদিশুতেই ৪টি এবং প্রতিবেশি হিরান রাজ্যে ৫টি অভিযান পরিচালনা করছেন। সেখানে মুজাহিদগণ একযোগে হিরান রাজ্যে সোমালি গাদ্দার বাহিনীর ৩টি ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছেন। যাতে ২ কমান্ডার সহ অন্তত ১৬ গাদ্দার সৈন্য নিহত এবং আরও কয়েকগুণ সৈন্য আহত হয়েছে। এই হামলাগুলোর ফলে সেনারা নিজেদেরকে ঘাঁটির মধ্যেই অবরুদ্ধ করে নিয়েছে।
এদিন হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন তাদের সবচাইতে সফল ২টি অভিযান পরিচালনা করেছেন দক্ষিণ সোমালিয়ার শাবেলি এবং বে রাজ্যে।
এরমধ্যে মুজাহিদগণ তাদের প্রথম অভিযানটি শুরু করেন মধ্য শাবেলি রাজ্যের “নূর_ডোগলি” এলাকায়। যেখানে পশ্চিমা সমর্থিত সামরিক বাহিনীর একটি ঘাঁটি ঘিরে অর্ধশতাধিক মুজাহিদিনের একটি কাফেলা ভারী অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে ব্যাপক আক্রমণ চালান। এতে গাদ্দার সোমালি সামরিক বাহিনীর অন্তত ২০ সদস্য নিহত হয়েছে, যার মধ্যে বাহিনীর প্রথম সারির এক কমান্ডার সহ অন্যান্য আরও কয়েকজন অফিসার রয়েছে।
এছাড়াও মুজাহিদদের দুর্দান্ত এই অভিযানে গাদ্দার বাহিনীর আরও অনেক অফিসার ও কমান্ডার সহ ২৫ এর বেশি গাদ্দার সৈন্য আহত হয়েছে। এসময় মুজাহিদদের হামলায় গাদ্দার বাহিনীর অস্ত্র বোঝাই একটি সামরিক যান ধ্বংস
বিপরীতে আশ-শাবাব মুজাহিদিন এই অভিযান শেষে ঘটনাস্থল থেকে একটি পিকআপ, একডজন মেশিনগান এবং একটি আরপিজি লঞ্চার গনিমত পেয়েছেন- আলহামদুলিল্লাহ।
এদিন হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন তাদের দ্বিতীয় সফল অভিযানটি পরিচালনা করেন দক্ষিণ-পশ্চিম সোমালিয়ার বে রাজ্যে। যেখানে হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদিন দিনুনাই শহরে অবস্থিত সোমালি গাদ্দার বাহিনীর একটি সামরিক ঘাঁটিতে পূর্বপরিকল্পিত সফল হামলা চালান। এতে সোমালি সামরিক বাহিনীর ৩১ এর বেশি সৈন্য হতাহত হয়েছে।
শহরটিতে হামলা চলাকালে গাদ্দার বাহিনীকে সহায়তা করতে নতুন একটি সামরিক কনভয়ও তখন শহরে ঢোকার চেষ্টা করে। কিন্তু মুজাহিদদের তীব্র হামলার মুখে তাদের সেই চেষ্টা সফল হয়নি। কেননা মুজাহিদদের ২টি শক্তিশালী বোমা হামলার ধাওয়া খেয়ে সামরিক কনভয়টি শহর ছাড়তে বাধ্য হয়। এতে গাদ্দার বাহিনীর কয়েকটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ এবং বেশ কিছু সৈন্য হতাহত হয়।
এদিকে বীরত্বপূর্ণ এই অভিযান শেষে মুজাহিদগণ গাদ্দার বাহিনী থেকে কয়েক ডজন মেশিনগান সহ অসংখ্য অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করেন- আলহামদুলিল্লাহ।
অভিযানে গমনরত আশ-শাবাব মুজাহিদিনের সশস্ত্র কাফেলা
আল-কায়েদার পূর্ব আফ্রিকা ভিত্তিক সবচাইতে সক্রিয় ও জনপ্রিয় ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাব। ২০০৭ সাল থেকেই সোমালিয়ায় পশ্চিমা দখলদারত্বের অবসান ঘটাতে এবং দেশটিতে ইসলামি শরিয়াহ্ ভিত্তিক শাসন ব্যাবস্থা ফিরিয়ে আনতে ইসলাম বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছেন শাবাব মুজাহিদিন।
দীর্ঘ এই যুদ্ধকালীন সময়টাতে দলটি আজকের মতো এতোটা সুসংগঠিত ও শক্তিশালী ইতিপূর্বে ছিলোনা। দলটি বর্তমানে কেন্দ্রীয় সোমালিয়ার ৯০ শতাংশেরও বেশি এলাকার উপর নিয়ন্ত্রণ করছে। যেখানে তাঁরা একটি অঘোষিত রাষ্ট্রীয় কাঠামো দাঁড় করিয়েছে। এসব এলাকায় প্রশাসিক কার্যক্রম ছাড়াও রয়েছে, চিকিৎসা, শিক্ষা ও বিচার বিভাগের মতো ১২টির বেশি সেক্টর। যার অধীনে কাজ করছে হাজার হাজার লোক।
আঞ্চলিক বিশ্লেষকদের মতে, দেশটির পশ্চিমা সমর্থিত গাদ্দার সরকারের অর্থনৈতিক ও সামরিক দিক থেকেও কয়েকগুণ এগিয়ে আছে আশ-শাবাব প্রশাসন। ফলে সোমালি সরকার সর্বক্ষেত্রে বিদেশি বাহিনীর সামরিক ও অর্থনৈতিক সহায়তার উপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।
আর গাদ্দার সোমালি সরকার এসব দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে একের পর এক শহর, উপশহর ও সামরিক ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে আশ-শাবাব প্রশানের সামরিক বাহিনী। যাদের হামলায় প্রতিনিয়ত ডজনকে ডজন গাদ্দার সোমালি সৈন্য নিহত এবং আহত হচ্ছে।
এর ব্যতিক্রম হয়নি গতকাল ১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবারেও। কেননা এদিন হারাকাতুশ শাবাবের সামরিক বাহিনীর বীর মুজাহিদগণ রাজধানী মোগাদিশু, হিরান, বে ও শাবেলি রাজ্যে অন্তত ১৩টি সফল হামলা চালিয়েছেন। এরমধ্যে মুজাহিদগণ রাজধানী মোগাদিশুতেই ৪টি এবং প্রতিবেশি হিরান রাজ্যে ৫টি অভিযান পরিচালনা করছেন। সেখানে মুজাহিদগণ একযোগে হিরান রাজ্যে সোমালি গাদ্দার বাহিনীর ৩টি ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছেন। যাতে ২ কমান্ডার সহ অন্তত ১৬ গাদ্দার সৈন্য নিহত এবং আরও কয়েকগুণ সৈন্য আহত হয়েছে। এই হামলাগুলোর ফলে সেনারা নিজেদেরকে ঘাঁটির মধ্যেই অবরুদ্ধ করে নিয়েছে।
এদিন হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন তাদের সবচাইতে সফল ২টি অভিযান পরিচালনা করেছেন দক্ষিণ সোমালিয়ার শাবেলি এবং বে রাজ্যে।
এরমধ্যে মুজাহিদগণ তাদের প্রথম অভিযানটি শুরু করেন মধ্য শাবেলি রাজ্যের “নূর_ডোগলি” এলাকায়। যেখানে পশ্চিমা সমর্থিত সামরিক বাহিনীর একটি ঘাঁটি ঘিরে অর্ধশতাধিক মুজাহিদিনের একটি কাফেলা ভারী অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে ব্যাপক আক্রমণ চালান। এতে গাদ্দার সোমালি সামরিক বাহিনীর অন্তত ২০ সদস্য নিহত হয়েছে, যার মধ্যে বাহিনীর প্রথম সারির এক কমান্ডার সহ অন্যান্য আরও কয়েকজন অফিসার রয়েছে।
এছাড়াও মুজাহিদদের দুর্দান্ত এই অভিযানে গাদ্দার বাহিনীর আরও অনেক অফিসার ও কমান্ডার সহ ২৫ এর বেশি গাদ্দার সৈন্য আহত হয়েছে। এসময় মুজাহিদদের হামলায় গাদ্দার বাহিনীর অস্ত্র বোঝাই একটি সামরিক যান ধ্বংস
বিপরীতে আশ-শাবাব মুজাহিদিন এই অভিযান শেষে ঘটনাস্থল থেকে একটি পিকআপ, একডজন মেশিনগান এবং একটি আরপিজি লঞ্চার গনিমত পেয়েছেন- আলহামদুলিল্লাহ।
এদিন হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন তাদের দ্বিতীয় সফল অভিযানটি পরিচালনা করেন দক্ষিণ-পশ্চিম সোমালিয়ার বে রাজ্যে। যেখানে হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদিন দিনুনাই শহরে অবস্থিত সোমালি গাদ্দার বাহিনীর একটি সামরিক ঘাঁটিতে পূর্বপরিকল্পিত সফল হামলা চালান। এতে সোমালি সামরিক বাহিনীর ৩১ এর বেশি সৈন্য হতাহত হয়েছে।
শহরটিতে হামলা চলাকালে গাদ্দার বাহিনীকে সহায়তা করতে নতুন একটি সামরিক কনভয়ও তখন শহরে ঢোকার চেষ্টা করে। কিন্তু মুজাহিদদের তীব্র হামলার মুখে তাদের সেই চেষ্টা সফল হয়নি। কেননা মুজাহিদদের ২টি শক্তিশালী বোমা হামলার ধাওয়া খেয়ে সামরিক কনভয়টি শহর ছাড়তে বাধ্য হয়। এতে গাদ্দার বাহিনীর কয়েকটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ এবং বেশ কিছু সৈন্য হতাহত হয়।
এদিকে বীরত্বপূর্ণ এই অভিযান শেষে মুজাহিদগণ গাদ্দার বাহিনী থেকে কয়েক ডজন মেশিনগান সহ অসংখ্য অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করেন- আলহামদুলিল্লাহ।
প্রতিবেদক : ত্বহা আলী আদনান
Comment