Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুজাহিদিন নিউজ#| ১০ জামাদিউল আউয়াল, ১৪৪৪ হিজরী।। ০৬ ডিসেম্বর, ২০২২ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুজাহিদিন নিউজ#| ১০ জামাদিউল আউয়াল, ১৪৪৪ হিজরী।। ০৬ ডিসেম্বর, ২০২২ ঈসায়ী।

    মালিতে আল-কায়েদার দুর্দান্ত হামলায় ১২ গাদ্দার হতাহত, অসংখ্য গনিমত লাভ


    ফাইল ছবি: মালিতে সামরিক অবস্থানে জেএনআইএম মুজাহিদদের হামলার দৃশ্য।


    সত্য ও মিথ্যার লড়াইয়ে একদল জান্নাতের বাজার প্রতিষ্ঠা করে, অন্য দল জাহান্নামের বাজার। এই লড়াইয়ে আল্লাহ তা’আলা তাঁর বাহিনীকে শয়তানের বাহিনীর উপর বিজয় দান করেন। তাঁরা মরে এবং মারে। আল্লাহ তা’আলা তাঁদের জন্য জান্নাতের দরজাকে প্রশস্ত করেন।



    সত্য ও মিথ্যার এই লড়াই আজও বিদ্যমান। এই লড়াইয়ের অংশ হিসাবে আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন (জেএনআইএম) গত ২৮ থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে মালিতে ৩টি সফল হামলা চালিয়েছেন।



    প্রথম হামলাটি চালানো হয় মালির কৌটিয়ালা অঞ্চলে। সেখানে গাদ্দার মালিয়ান সামরিক বাহিনীর একটি গাড়ি লক্ষ্য করে মুজাহিদগণ শক্তিশালী মাইন বিস্ফোরণ ঘটান। এতে গাড়িটি ধ্বংস হয়ে যায় এবং তাতে থাকা সমস্ত সৈন্য নিহত হয়। গাড়িটি এমন ধ্বংসস্তুপে অরিণত হয় যে, সেনাদের লাশের নির্দিষ্ট কোনো সংখ্যা বুঝা যায়নি।

    মুজাহিদগণ তাদের দ্বিতীয় সফল হামলাটি চালিয়েছেন কৌরি অঞ্চলে। সেখানে দেশটির গাদ্দার সেনাবাহিনীর একটি সামরিক অবস্থানে আক্রমণ করেন মুজাহিদগণ। এতে গাদ্দার বাহিনীর অন্তত ৪ সৈন্য নিহত এবং আরও বহু সংখ্যক সৈন্য আহত হয়। বাকিরা সামরিক ছাউনি ছেড়ে পালিয়ে যায়। ফলে মুজাহিদগণ ঘটনাস্থল থেকে ১টি গাড়ি, ৪টি ক্লাশিনকোভ, ৩টি আরপিজি, ৯টি গোলাবারুদ ভর্তি বাক্স ও ১ডজন পিস্তল গনিমত লাভ করেন।



    তৃতীয় হামলাটি চালান হয় মালির পশ্চিমাঞ্চলীয় কাই রাজ্যের ইলিমানি শহরে। সেখানে মালিয়ান সেনাদের একটি সামরিক কাফেলায় অতর্কিত হামলা চালান মুজাহিদগণ। এতে ৩ সৈন্য নিহত এবং বাকিদের অনেকেই আহত অবস্থায় পালিয়ে যায়। এসময় মুজাহিদগণ গাদ্দার সেনাদের ৩টি গাড়ি পুড়িয়ে দেন। সেই সাথে একটি গাড়িসহ বিভিন্ন অস্ত্র ও গোলাবারুদ ভর্তি ২৬টি বাক্স গনিমত হিসাবে পেয়েছেন, আলহামদুলিল্লাহ।

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    এক মাসে পাক-তালিবানের সর্বোচ্চ হামলা: ১৫ গাদ্দার বন্দী, হতাহত ১০০



    পাকিস্তানের জনপ্রিয় ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)। দেশটির মুরতাদ বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার পর, গত নভেম্বর মাসে টিটিপি পরিচালিত সকল হামলার বিবরণ প্রকাশ করেছে মুজাহিদ দলটি।

    প্রকাশিত বিবরণ অনুসারে, গত নভেম্বর মাসে টিটিপির মুজাহিদগণ পাকিস্তানের মুরতাদ সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে সর্বমোট ৫৯ টি হামলা চালিয়েছেন, যা গত দুই বছরের অন্য যেকোন মাসের তুলনায় বেশি।

    মুজাহিদগণ এসব অভিযানের ২৪টি পরিচালনা করেছেন বান্নু প্রদেশে, ১৫টি ডিআইখানে, ৯টি পেশওয়ারে, ৩টি করে মোট ৬টি মরদান ও মালাকন্দে, ৩টি বেলুচিস্তানে এবং ২টি কোহাটা প্রদেশে।

    তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের জানবায মুজাহিদদের এসব বীরত্বপূর্ণ হামলায় গাদ্দার পাকিস্তান সেনাবাহিনী, পুলিশ, এফসি, এসএসজি এবং আইএসআই এর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা সহ কমপক্ষে ১০০ সদস্য হতাহত হয়েছে। এছাড়াও এসব অভিযানে মুজাহিদগণ গাদ্দার বাহিনীর ৫টি সামরিক স্থাপনা এবং অন্তত ১০টি গাড়ি ধ্বংস করেছেন।

    পাশাপাশি, মুজাহিদগণ ২৫টি অত্যাধুনিক অস্ত্র এবং ১টি গাড়ি গনিমত লাভ করেছেন। অপরদিকে, দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তান থেকে ১৫ পুলিশ সদস্যকে বন্দী করেছেন মুজাহিদগণ। এই বন্দীদেরকে পরে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়।

    উল্লেখ্য যে, গত মাসে পাকিস্তানের ডেরা ইসমাইল খান ও লাকি মারওয়াতে মার্কিন বাহিনী ও পাকি-বাহিনী লাগাতার ৩দিন ধরে টিটিপির বিরুদ্ধে যৌথ সামরিক অভিযান চালায়। এসময় মার্কিন বাহিনী টিটিপির অবস্থান লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালালে ৩জন মুজাহিদ শাহাদাত বরণ করেন। ফলশ্রুতিতে টিটিপির বীর মুজাহিদগণ পাল্টা হামলা চালালে নাপাক বাহিনীর অন্তত ৭সেনা নিহত এবং আরও বহু সংখ্যক সৈন্য আহত হয়।

    এছাড়াও দীর্ঘ যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যেও পাকিস্তানের গাদ্দার সামরিক বাহিনী তা লঙ্ঘন করে বারবার টিটিপির অবস্থানে হামলা চালায়। ফলশ্রুতিতে যুদ্ধবিরতির ৩য় মাসে এসে মুজাহিদগণ প্রতিরক্ষামূলক অভিযান শুরু করেন এবং পাকিস্তান প্রশাসনকে যুদ্ধবিরতি মেনে চলতে বলে।

    কিন্তু যুদ্ধবিরতির মধ্যেই টিটিপির শীর্ষস্থানীয় আমীর উমর খালেদ খোরাসানী রহিমাহুল্লাহকে বন্দী করে গাদ্দার বাহিনী। এর একদিন পরই কথিত আইইডি বিস্ফোরণের নাটক সাজিয়ে তাঁকে শহীদ করে দেয়। শাইখ উমর খালেদ খোরাসানী রহিমাহুল্লাহ ছিলেন, আফগানিস্তানে চলতে থাকা শান্তি-আলোচনা কমিটির একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।

    শাইখকে শহিদ করা সহ টিটিপির আরও একাধিক কমান্ডারকে এভাবে প্রতারণামূলক ভাবে শহিদ করে পাকিস্তান। গাদ্দার পাকিস্তান প্রশাসনের এমন জঘন্য কাজের ফলশ্রুতিতে গত নভেম্বর মাসের শেষ দিকে দীর্ঘ ৭মাসের যুদ্ধবিরতির অবসান ঘটিয়ে গাদ্দার পাকি-সামরিক বাহিনীর উপর সর্বাত্মক হামলা চালানোর ঘোষণা দেয় টিটিপির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

    নতুন এই আদেশের পর, প্রথম আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যে টিটিপির মুজাহিদগণ পাকিস্তান জুড়ে ৭টি হামলা চালান। এর মধ্যে কোয়েটায় একটি শহীদী হামলা ছিল লক্ষণীয়। এই হামলায় পশ্চিমাদের ক্রীড়নক গাদ্দার পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর অন্তত ৫০ সৈন্য হতাহত হয়েছে, ধ্বংস হয়েছে ৪টি সাঁজোয়া যান।


    একদিকে ইমরান খান ও শাহবাজ খানের দ্বন্দ্বে পাকিস্তানে রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করছে। অন্যদিকে টিটিপির এমন অভূতপূর্ব সামরিক অভিজান নিঃসন্দেহে পাকিস্তানের মুরতাদ সরকার ও গাদ্দার বাহিনীকে ব্যাপক কোণঠাসা করে ফেলেছে। সবরের সাথে উপযুক্ত যুদ্ধ কৌশল বজায় রেখে মুজাহিদদের এই অভিযান অব্যাহত রাখলে পাকিস্তানের প্রেক্ষাপটে দ্রুত পরিবর্তন আসতে পারে ইনশাআল্লাহ।

    লিখেছেন: আলী হাসনাত


    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      এই নিউজ গুলি দেখে খুব ভাল লাগে, সাথে আফসোস লাগে এখনও এরকম ভাবে আমাদের এখানে শুরু করতে পারছি না তার জন্য, হে আল্লাহ আমাদেরকেও সশস্র যুদ্ধের জন্নে কবুল করে নিন। শাহাদতের কাফেলায শামিল করুন
      فَقَاتِلُوْۤا اَوْلِيَآءَ الشَّيْطٰنِ

      Comment

      Working...
      X