Announcement

Collapse
No announcement yet.

ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানে প্রকাশ্যে কিসাসের বিধান কার্যকর

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানে প্রকাশ্যে কিসাসের বিধান কার্যকর

    ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানে প্রকাশ্যে কিসাসের বিধান কার্যকর


    ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলীয় ফারাহ প্রদেশে শরিয়াহ্ আদালতের সিদ্ধান্তে এক ব্যক্তির উপর কিসাসের (অনুরূপ শাস্তি) বিধান কার্যকর করা হয়েছে। যা গত ২০২১ সালের আগস্টে ক্ষমতায় আসা তালিবান প্রশাসনে জন্য প্রকাশ্যে কোনো কিসাস বাস্তবায়নের প্রথম ঘটনা।

    ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান প্রশাসনের কেন্দ্রীয় মুখপাত্র মুহতারাম জাবিহুল্লাহ মুজাহিদের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, ফারাহ প্রদেশে নিবন্ধিত একজন ব্যক্তি হেরাত প্রদেশে নিবন্ধিত অন্য একজনকে হত্যা করেছে এবং তার মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করেছে। এরপর দীর্ঘদিন তদন্তের পরে এই ঘটনার আসল খুনি ধরা পড়েছে। এসময় নিহত ব্যক্তির পরিবার খুনিকে শনাক্ত করেছে। আর খুনি তার দোষ স্বীকার করলে তাকে আদালতে রেফার করা হয়।

    অবশেষে হত্যাকারীর বিরুদ্ধে কিসাসের সাজা প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় ইমারাতে ইসলামিয়ার শরিয়াহ্ আদালত। দেশটির উচ্চ আদালত ও সুপ্রিম কোর্টের পর স্থানীয় আদালতের সিদ্ধান্ত গৃহীত হলে তা ইমারাতে ইসলামিয়ার আমির মুহতারাম হিবাতুল্লাহ্ আখুন্দজাদাহ্ (হাফি.) এর সামনে উপস্থাপন করা হয়। আমিরুল মুমিনিনের অনুমোদনের পর সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির ওপর কিসাসের সাজা কার্যকর করা হয়।

    স্থানীয় সূত্রমতে, প্রদেশের একটি খেলার মাঠে কিসাসের (হত্যার বদলে হত্যা) বিধান কার্যকর করা হয়েছে। যেখানে ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, বিচারমন্ত্রী, ভাইস পুলিশ ও মুখপাত্র সহ নেতৃস্থানীয় কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সেই সাথে শহরের হাজার হাজার মানুষও এসময় মাঠে জড়ো হন।

    সাজা কার্যকরের পূর্বে অপরাধী লোকটিকে প্রথমে কয়েক রাকাআত নামজ পড়তে এবং কিছুক্ষণ দো’আ করতে দেওয়া হয়। এরপর মাঠ পরিপূর্ণ লোকদের সামনে তার উপর কিসাসের বিধান কার্যকর করা হয়।



    সূত্রমতে, এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে ২০১৭ সালের ১২ অক্টোবর। যেখানে হেরাতের ইঞ্জিন জেলার বাসিন্দা তাজমির ফারহ প্রদেশের বাসিন্দা মোস্তফাকে নির্মমভাবে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। সেই সাথে তার মোটরসাইকেল ও মোবাইল কেড়ে নেয়।

    সূত্রমতে, আমিরুল মুমিনিন কর্তৃক আরও ৩টি কিসাসের বিধান কার্যকরের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যাদের মাঝে ২ জন পুরুষ ও একজন মহিলা রয়েছেন।

    উল্লেখ্য যে, তালিবান মুজাহিদিন ২০২১ সালের আগস্টে আফগানিস্তানে প্রশাসনের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তখন থেকেই তাঁরা ঘোষণা করছেন যে, তাঁরা ইসলামী নীতির উপর ভিত্তি করেই দেশ পরিচালনা করবেন।

    সেই লক্ষ্যে সম্প্রতি তালিবানের সর্বোচ্চ নেতা আমিরুল মুমিনিন হিবাতুল্লাহ্ আখুন্দজাদা (হাফি.) কর্তৃক দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, ইমারাতে ইসলামিয়ায় হুদুদ এবং কিসাসের বিধান সংবেদনশীলভাবে প্রয়োগ করা হবে। তাঁর এই ঘোষণার পর আফগানিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশের শরিয়াহ্ আদালতগুলি হুদুদের শাস্তি প্রকাশ্যে প্রয়োগ করা শুরু করে। সর্বশেষ ফারাহ্ প্রদেশে কিসাসের বিধানও প্রকাশ্যে কার্যকর করা হয়েছে। আর এক্ষেত্রে তাঁরা বিকৃত-মস্তিস্ক পশ্চিমাদের নিন্দা বা অপপ্রচারের কোন পরোয়া করছেন না।



    প্রতিবেদক : আলী হাসনাত
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    আলহামদুলিল্লাহ।

    Comment


    • #3
      মাশাআল্লাহ আল্লাহ সবাইকে কবুল করুন , পুরা দুনিয়ায় আল্লাহর হুকুমত কায়েম করেদিন
      فَقَاتِلُوْۤا اَوْلِيَآءَ الشَّيْطٰنِ

      Comment


      • #4
        আলহামদুলিল্লাহ

        তাঁরা ইসলামী নীতির উপর ভিত্তি করেই দেশ পরিচালনা করবেন, ইং শা আল্লাহ
        ''এই উম্মাহর অবস্থা পরিবর্তন হবে না , যদি না মুসলিমরা সাহাবায়ে কেরাম যা করেছিলেন তার দিকে ফিরে যায়'' - শাইখ আনোয়ার আল আওলাকি রহি.

        Comment


        • #5
          ইনশাআল্লাহ একদিন সারা পৃথিবীতে ইসলামি হুকুম চালু হবে সেইদিন পৃথিবীটা কতই না সুন্দর হবে ।

          Comment


          • #6
            আলহামদুলিল্লাহ ।
            ইয়া রব সারা দুনিয়াতে তোমার হুকুম বাস্তবায়ন করার তাওফিক দান করুন ।
            তাগুতদের পরাজিত করুন ।

            Comment

            Working...
            X