শত্রু-হৃদয়ে কাঁপন ধরিয়ে শাবাবের যুগান্তকারী হামলা: ২৫০ সেনা নিহত, ৪৫টি যান গনিমত
পূর্ব আফ্রিকার দেশ সোমালিয়ায় একের পর এক দুঃসাহসি সব সামরিক অপারেশন পরিচালনা করছেন আল-কায়দা সংশ্লিষ্ট ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন। শাবাবের দুঃসাহসী এসব অভিযান সোমালি সরকারকে সমর্থনকারী পশ্চিমাদের হৃদয়ে রীতিমতো কাঁপন ধরিয়ে দিচ্ছে।
আঞ্চলিক সূত্রমতে, আজ ২০ জানুয়ারি শুক্রবার ফজরের কিছুক্ষণ পর, প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন এমনই একটি যুগান্তকারী সফল অপারেশন পরিচালনা করছেন জালাজদুদ রাজ্যের জালকাদ শহরে অবস্থিত একটি সামরিক ঘাঁটিতে। অপারেশনের সময় সেখানে ক্রুসেডার অ্যামেরিকা এবং তুর্কিয়ে প্রশিক্ষিত দানব ও গরগর নামক সোমালি স্পেশাল ফোর্সের ৩টি সামরিক ইউনিট অবস্থান করছিল।
অপারেশনটি শাবাবের ইস্তেশহাদী কমান্ডো ফোর্সের দু’জন বীর মুজাহিদ কর্তৃক ২টি বিস্ফোরকবাহী গাড়ি হামলা দ্বারা শুরু করা হয়েছিল। এই বীরেরা সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে পরপর দুটি শহীদি হামলা চালান এবং বাহিরে প্রস্তুত থাকা শাবাবের ইনগিমাসী যোদ্ধাদের জন্য ঘাঁটিতে ঢুকার সমস্ত পথ উন্মুক্ত করে দেন। এরপর ইনগিমাসী মুজাহিদরা ঘাঁটিতে ঢুকেই প্রথমে স্পেশাল ফোর্সের উচ্চপদস্থ সব কর্মকর্তাদের হত্যা করতে শুরু করেন এবং পরে কুফ্ফার বাহিনী দ্বারা প্রশিক্ষিত সোমালি স্পেশাল ফোর্সের কমান্ডোদের হত্যা করতে থাকেন। আর তা ততক্ষণ পর্যন্ত চলতে থাকে, যতক্ষণ না সামরিক ঘাঁটি দখলদার ও তাদের গোলামদের রক্তে রঞ্জিত হয়।
প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাব প্রশাসনের সামরিক মুখপাত্র মুহতারাম আব্দুল আজিজ আবু মুস’আব (হাফি.) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, শুক্রবার সকালে মুজাহিদদের দুঃসাহসি হামলায় শত্রুবাহিনীর শত শত সেনা নিহত হয়েছে। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী যতদূর আমরা জানি, এই হামলায় শত্রুর উচ্চপদস্থ অফিসার সহ ১৫৯ এর বেশি সৈন্য নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে আরও অসংখ্য সৈন্য এবং বাকিরা পালিয়ে গেছে।
এই হামলায় নিহত হওয়া উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাদের শীর্ষস্থানে আছে স্পেশাল ফোর্সের অফিসার ও ডেপুটি কমান্ডার-ইন-চিফ হাসান তুরে। সে মার্কিন নেতৃত্বাধীন দানব ফোর্সের প্রধান, একই সাথে সম্প্রতি হিরান রাজ্যে মার্কিন ড্রোন ও বিমান হামলার পিছনের মাস্টার মাইন্ড সে। তার মৃত্যুতে শোকাের মাতাম শুরু করেছে মোগাদিশু সরকারের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো।
আরও মজার বিষয় হচ্ছে, মাত্র ১১দিন আগে অর্থাৎ ৯ জানুয়ারি, ক্রুসেডার আমেরিকা তাদের প্রশিক্ষিত “দানব” ফোর্সকে ৯ মিলিয়ন সমমূল্যের অস্ত্র সরবরাহ করেছে। আর আজ সেই দানব ফোর্সের ঘাঁটিতেই হামলা চালিয়ে মুজাহিদগণ ৪৫টি সাঁজোয়া যান অক্ষত অবস্থায় গনিমত পেয়েছেন, আলহামদুলিল্লাহ্। অপরদিকে সেনারা পালানোর সময় একটি গাড়িও ঘাঁটি থেকে বের করে নিতে পারেনি, গনিমত হিসাবে উদ্ধার করা সাঁজোয়া যানগুলি ছাড়া বাকি সবগুলো যান অভিযানের সময় মুজাহিদদের হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে।
যাইহোক, মুজাহিদগণ এসব সাঁজোয়া যান ছাড়াও ঘাঁটি থেকে বিপুল পরিমাণে অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং সামরিক সরঞ্জাম অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন।এদিকে পশ্চিমারা তাদের বাহিনীর লজ্জাজনক এই হারে এতটাই দিকভ্রান্ত হয়ে পড়ে যে, অ্যামেরিকান যুদ্ধবিমানগুলি জালকাদ শহরে নির্বিচারে বোমা হামলা শুরু করে।
এসময় তারা বোমাগুলি কাদের উপর ফেলছে একবারের জন্যও তা ভাবেনি। আর এতেই হিতে বিপরীত ঘটনা ঘটে। কেননা যুদ্ধবিমানগুলি যাদেরকে আশ-শাবাব ভেবে হামলা চালিয়েছে, তারা জালকাদ সামরিক ঘাঁটি থেকে পলাতক “দানব” ফোর্সের সদস্য ছিলো। এরফলে অ্যামেরিকার ভুলবাল বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে স্পেশাল ফোর্সের পলাতক বাকি অধিকাংশ সৈন্য নিহত হয়। স্থানীয় সূত্রমতে, মার্কিন বাহিনীর ভুল টার্গেটের ফলে আজকের জালকাদ যুদ্ধে দানব ফোর্সের নিহতের সংখ্যা আড়াই শতাধিক ছাড়িয়ে গেছে।
উল্লেখ্য যে, জালকাদ শহরটি কিছুদিন আগে মাত্র শাবাবের নিয়ন্ত্রণ থেকে দখলে নিয়েছিল সোমালি বাহিনী। তবে এই দখল তারা যুদ্ধের মাধ্যমে নেয়নি, বরং শাবাব যোদ্ধারা কৌশলগত কারণে কোন প্রতিরোধ ছাড়াই শহরটি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। জানা যায় যে, শহরটি ছেড়ে যাওয়ার সময় শাবাব মুজাহিদিন বন্দুকের একটি খোসাও ফেলে যাননি। আর আজকের হামলায় মুজাহিদগণ শহরটি হাতছাড়া হওয়ার সময়ের চাইতে আরও বেশি কিছু পেয়েছেন আলহামদুলিল্লাহ্। আর এটি শাবাবের পুরানো যুদ্ধকৌশলের মধ্যে অন্যতম একটি।
পূর্ব আফ্রিকার দেশ সোমালিয়ায় একের পর এক দুঃসাহসি সব সামরিক অপারেশন পরিচালনা করছেন আল-কায়দা সংশ্লিষ্ট ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন। শাবাবের দুঃসাহসী এসব অভিযান সোমালি সরকারকে সমর্থনকারী পশ্চিমাদের হৃদয়ে রীতিমতো কাঁপন ধরিয়ে দিচ্ছে।
আঞ্চলিক সূত্রমতে, আজ ২০ জানুয়ারি শুক্রবার ফজরের কিছুক্ষণ পর, প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন এমনই একটি যুগান্তকারী সফল অপারেশন পরিচালনা করছেন জালাজদুদ রাজ্যের জালকাদ শহরে অবস্থিত একটি সামরিক ঘাঁটিতে। অপারেশনের সময় সেখানে ক্রুসেডার অ্যামেরিকা এবং তুর্কিয়ে প্রশিক্ষিত দানব ও গরগর নামক সোমালি স্পেশাল ফোর্সের ৩টি সামরিক ইউনিট অবস্থান করছিল।
অপারেশনটি শাবাবের ইস্তেশহাদী কমান্ডো ফোর্সের দু’জন বীর মুজাহিদ কর্তৃক ২টি বিস্ফোরকবাহী গাড়ি হামলা দ্বারা শুরু করা হয়েছিল। এই বীরেরা সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে পরপর দুটি শহীদি হামলা চালান এবং বাহিরে প্রস্তুত থাকা শাবাবের ইনগিমাসী যোদ্ধাদের জন্য ঘাঁটিতে ঢুকার সমস্ত পথ উন্মুক্ত করে দেন। এরপর ইনগিমাসী মুজাহিদরা ঘাঁটিতে ঢুকেই প্রথমে স্পেশাল ফোর্সের উচ্চপদস্থ সব কর্মকর্তাদের হত্যা করতে শুরু করেন এবং পরে কুফ্ফার বাহিনী দ্বারা প্রশিক্ষিত সোমালি স্পেশাল ফোর্সের কমান্ডোদের হত্যা করতে থাকেন। আর তা ততক্ষণ পর্যন্ত চলতে থাকে, যতক্ষণ না সামরিক ঘাঁটি দখলদার ও তাদের গোলামদের রক্তে রঞ্জিত হয়।
প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাব প্রশাসনের সামরিক মুখপাত্র মুহতারাম আব্দুল আজিজ আবু মুস’আব (হাফি.) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, শুক্রবার সকালে মুজাহিদদের দুঃসাহসি হামলায় শত্রুবাহিনীর শত শত সেনা নিহত হয়েছে। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী যতদূর আমরা জানি, এই হামলায় শত্রুর উচ্চপদস্থ অফিসার সহ ১৫৯ এর বেশি সৈন্য নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে আরও অসংখ্য সৈন্য এবং বাকিরা পালিয়ে গেছে।
এই হামলায় নিহত হওয়া উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাদের শীর্ষস্থানে আছে স্পেশাল ফোর্সের অফিসার ও ডেপুটি কমান্ডার-ইন-চিফ হাসান তুরে। সে মার্কিন নেতৃত্বাধীন দানব ফোর্সের প্রধান, একই সাথে সম্প্রতি হিরান রাজ্যে মার্কিন ড্রোন ও বিমান হামলার পিছনের মাস্টার মাইন্ড সে। তার মৃত্যুতে শোকাের মাতাম শুরু করেছে মোগাদিশু সরকারের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো।
আরও মজার বিষয় হচ্ছে, মাত্র ১১দিন আগে অর্থাৎ ৯ জানুয়ারি, ক্রুসেডার আমেরিকা তাদের প্রশিক্ষিত “দানব” ফোর্সকে ৯ মিলিয়ন সমমূল্যের অস্ত্র সরবরাহ করেছে। আর আজ সেই দানব ফোর্সের ঘাঁটিতেই হামলা চালিয়ে মুজাহিদগণ ৪৫টি সাঁজোয়া যান অক্ষত অবস্থায় গনিমত পেয়েছেন, আলহামদুলিল্লাহ্। অপরদিকে সেনারা পালানোর সময় একটি গাড়িও ঘাঁটি থেকে বের করে নিতে পারেনি, গনিমত হিসাবে উদ্ধার করা সাঁজোয়া যানগুলি ছাড়া বাকি সবগুলো যান অভিযানের সময় মুজাহিদদের হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে।
যাইহোক, মুজাহিদগণ এসব সাঁজোয়া যান ছাড়াও ঘাঁটি থেকে বিপুল পরিমাণে অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং সামরিক সরঞ্জাম অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন।এদিকে পশ্চিমারা তাদের বাহিনীর লজ্জাজনক এই হারে এতটাই দিকভ্রান্ত হয়ে পড়ে যে, অ্যামেরিকান যুদ্ধবিমানগুলি জালকাদ শহরে নির্বিচারে বোমা হামলা শুরু করে।
এসময় তারা বোমাগুলি কাদের উপর ফেলছে একবারের জন্যও তা ভাবেনি। আর এতেই হিতে বিপরীত ঘটনা ঘটে। কেননা যুদ্ধবিমানগুলি যাদেরকে আশ-শাবাব ভেবে হামলা চালিয়েছে, তারা জালকাদ সামরিক ঘাঁটি থেকে পলাতক “দানব” ফোর্সের সদস্য ছিলো। এরফলে অ্যামেরিকার ভুলবাল বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে স্পেশাল ফোর্সের পলাতক বাকি অধিকাংশ সৈন্য নিহত হয়। স্থানীয় সূত্রমতে, মার্কিন বাহিনীর ভুল টার্গেটের ফলে আজকের জালকাদ যুদ্ধে দানব ফোর্সের নিহতের সংখ্যা আড়াই শতাধিক ছাড়িয়ে গেছে।
উল্লেখ্য যে, জালকাদ শহরটি কিছুদিন আগে মাত্র শাবাবের নিয়ন্ত্রণ থেকে দখলে নিয়েছিল সোমালি বাহিনী। তবে এই দখল তারা যুদ্ধের মাধ্যমে নেয়নি, বরং শাবাব যোদ্ধারা কৌশলগত কারণে কোন প্রতিরোধ ছাড়াই শহরটি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। জানা যায় যে, শহরটি ছেড়ে যাওয়ার সময় শাবাব মুজাহিদিন বন্দুকের একটি খোসাও ফেলে যাননি। আর আজকের হামলায় মুজাহিদগণ শহরটি হাতছাড়া হওয়ার সময়ের চাইতে আরও বেশি কিছু পেয়েছেন আলহামদুলিল্লাহ্। আর এটি শাবাবের পুরানো যুদ্ধকৌশলের মধ্যে অন্যতম একটি।
প্রতিবেদক : ত্বহা আলী আদনান
Comment