Announcement

Collapse
No announcement yet.

নতুন রণকৌশলে আশ-শাবাব: আরও নতুন এলাকা বিজয়, আরও কোণঠাসা শত্রুরা

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • নতুন রণকৌশলে আশ-শাবাব: আরও নতুন এলাকা বিজয়, আরও কোণঠাসা শত্রুরা

    নতুন রণকৌশলে আশ-শাবাব: আরও নতুন এলাকা বিজয়, আরও কোণঠাসা শত্রুরা



    সম্প্রতি সোমালিয়ার নতুন এলাকা বিজয়ের দিকে মনযোগী হয়ে উঠেছে ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাব। আর তাতেই পশ্চিমা সমর্থিত বাহিনীর অবস্থা আরও টালমাটাল হতে শুরু করেছে।বিজয়ের এই ধারাবাহিকতায় শাবাব মুজাহিদিন গতকাল ১০ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার থেকে মুদুগ রাজ্যের ওয়াসিল শহরের উপকন্ঠে নতুন করে যুদ্ধ শুরু করেছেন।

    এই যুদ্ধে হারাকাতুশ শাবাবের বিজয় ঠেকাতে আকাশ পথে মার্কিন যুদ্ধবিমানগুলোো অংশ নেয় ইসলাম-বিরধি গাদ্দার সোমালি বাহিনীর পক্ষে, আর স্থলপথে অংশ নেয় তুর্কি ও মার্কিনীদের প্রশিক্ষিত সোমালি ‘স্পেশাল’ ফোর্সের মতো সোমালি সামরিক বাহিনীর ইউনিট।



    পশ্চিমা ও তুর্কি সমর্থিত এই গাদ্দার বাহিনী হারাকাতুশ শাবাব যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে অঞ্চলটিতে পরপর ৬ বার প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করে। কিন্তু প্রতিবারই তারা ব্যর্থ হয়ে যায়। সর্বশেষ, এই যুদ্ধে হারাকাতুশ শাবাবের হাতে শোচনীয় পরাজয় বরণ করে সোমালি ও মার্কিন যৌথ বাহিনী ওয়াসিল শহরের কেন্দ্রের দিকে পালিয়ে যায়।

    সেই সাথে মুজাহিদগণ শহরটির ‘ডোনলাইন’ এলাকার নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেন আলহামদুলিল্লাহ্‌।যুদ্ধের ফলাফল স্বরূপ শাবাব মুজাহিদিন নতুন এলাকা বিজয়ের পাশাপাশি, সোমালি স্পেশাল ফোর্সের ২ অফিসার সহ কম্পক্ষে ১০ সৈন্যকে হত্যা করেছেন; এছাড়া আরও কম্পক্ষে ১৮ গাদ্দার সৈন্য মুজাহিদদের হামলায় আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে মেজর ও কর্নেল পদমর্যাদার কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তাও রয়েছে বলে জানা গেছে।



    এদিকে গত ৮ ফেব্রুয়ারি, হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন দক্ষিণাঞ্চলীয় শাবেলি রাজ্যে আরও একটি সফল অভিযান চালিয়েছেন। ঐ অভিযানে সোমালি সামরিক বাহিনীর কম্পক্ষে ৩ সৈন্য নিহত এবং আরও অন্তত ৭ সৈন্য আহত হয়েছে। স্থানীয় সূত্রমতে, হামলাটি জাওহার শহরে সোমালি স্পেশাল ফোর্সের একটি সমাবেশস্থলে চালানো হয়, যার শুরুটা হয়েছিল পরপর দুটি বোমা বিস্ফোরণ ঘতানর মাধ্যমে।

    হারাকাতুশ শাবাব যোদ্ধারা চলতি বছরে এখন পর্যন্ত সবচাইতে তাৎপর্যপূর্ণ ও সফল অভিযানটি পরিচালনা করেছেন গত ৫ ফেব্রুয়ারি; সোমালিয়ার উত্তরাঞ্চলিয় পুন্টল্যান্ডের সানাগ অঞ্চলের কয়েকটি এলাকা ঘিরে সেদিন তীব্র হামলা চালান মুজাহিদগণ। জানা যায়, উত্তরাঞ্চলীয় এই এলাকাটি সবসময়ই আশ-শাবাবের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি এলাকা; ইয়েমেনের ইডেন উপসাগরের সাথে যুক্ত এই এলাকাটি কৌশলগতভাবে খুবই গুরুত্ব বহন করে। এই সমুদ্র-পথেই আশ-শাবাব সবচাইতে বেশি অস্ত্র আদান-প্রদান করে থাকে। তাছাড়া আল-কায়েদার কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সাথে সরাসরি যোগাযোগের জন্য এই এলাকাটি শাবাবের জন্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ একটি এলাকা।




    স্থানীয় সূত্রমতে, সম্প্রতি এই অঞ্চলে হামলার পরিধি বাড়িয়েছে আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাব। প্রতিরোধ যোদ্ধারা অঞ্চলটির লাসকোরা ও আলায়ো জেলা এবং দুরদুরি এলাকায় তাদের নতুন এই যুদ্ধ শুরু করেছেন। শাবাব যোদ্ধারা সপ্তাহের প্রথম ২দিনের তীব্র লড়াইয়ের মাধ্যমেই দুরদরি এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ফেলেছেন আলহামদুলিল্লাহ্‌; এলাকাটি অনেকটাই পাহাড় ও ঘন বন-জঙ্গলে ঘেরা, আর একেবারেই সমুদ্র-লাগোয়া একটি গহীন এলাকা। সূত্রমতে, এলাকাটির ভূ-প্রকৃতি শাবাব মুজাহিদিনের লক্ষ্য অর্জন ও যুদ্ধ চালিয়ে নেওয়ার জন্য উপযুক্ত একটি এলাকা।বর্তমানে হারাকাতুশ শাবাব যোদ্ধারা উত্তরাঞ্চলের গুরত্বপূর্ণ বাকি দুটি জেলা বিজয়ের লক্ষ্যে ভারী হামলা চালাচ্ছেন বলে জানা গেছে। আর এই যুদ্ধে পুন্টল্যান্ড প্রশাসনকে সামরিক ও অর্থনৈতিকভাবে ভারী মূল্যের দেওয়ার পাশাপাশি হারাতে হচ্ছে অসংখ্য সৈন্যিকও।

    এমন পরিস্থিতিতে পুন্টল্যান্ড প্রশাসন জরুরি ভিত্তিতে বোসাসো এলাকা হয়ে যুদ্ধের ময়দানে ভারী অস্ত্র শস্ত্র পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এবং একটি সামরিক কনভয় উক্ত এলাকার দিকে পাঠানোও হয়। কিন্তু কনভয়টি পথিমধ্যেেই শাবাবের মাইন বিস্ফোরণের কবলে পড়ে, যাতে উচ্চপদস্থ এক অফিসার সহ অসংখ্য সৈন্য নিহত হয়, ধনশ ও ক্ষতিগ্রস্ত হয় শত্রুদের বিপুল সংখ্যক সামরিক সরঞ্জাম।

    বিশ্লেষকদের সর্বশেষ মতামত হচ্ছে, শাবাব মুজাহিদিন তাদের যুদ্ধ-কৌশলে বড় পরিবর্তন আনছেন। তাঁরা বর্তমানে শহর কেন্দ্রীক যুদ্ধকে কৌশলগতভাবে গুরত্বপূর্ণ গ্রাম ও উপকূলীয় অঞ্চলে ছড়িয়ে দিচ্ছেন। সেই সাথে এই যুদ্ধকে শুধু দক্ষিণ ও কেন্দ্রীয় সোমালিয়ায় আবদ্ধ না রেখে, দক্ষিণ থেকে নিয়ে উত্তর সোমালিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত করছেন।

    এর মাধ্যমে আশ-শাবাব সোমালি গাদ্দার বাহিনী ও পশ্চিমা বাহিনীকে বিক্ষিপ্ত করে ফেলার চেষ্টা করছে, সেই সাথে ইডেন উপসাগর হয়ে ইয়েমেনে আল-কায়েদার সাথে সংযোগ আরও শক্তিশালী করার জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।


    প্রতিবেদক : ত্বহা আলী আদনান






    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    আল্লাহু আকবার, হৃদয়ে প্রশান্তি আসে ইসলামের বিজয়ে,,।

    তবে আফসোস, বাংলাদেশ থেকেও সেনা পাঠিয়েছে ইসলাম কে রুখতে,,।।

    এই সমস্ত ন্যাটো সহ ন্যাটোর দালালদের ধ্বংস অনিবার্য,, ইন শা আল্লাহ।।
    সর্বোত্তম আমল হলো
    আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা এবং মহান মহীয়ান
    আল্লাহর পথে জিহাদ করা।নাসায়ী,শরীফ

    Comment


    • #3
      আল্লাহু আকবর আল্লাহ আমাদের ভাইদের বিজয় ত্বরান্নিত করুন । আমাদেরকেও কিতাল শুরু করার তাউফিক দান করুন

      Comment


      • #4
        বিশ্লেষকদের সর্বশেষ মতামত হচ্ছে, শাবাব মুজাহিদিন তাদের যুদ্ধ-কৌশলে বড় পরিবর্তন আনছেন। তাঁরা বর্তমানে শহর কেন্দ্রীক যুদ্ধকে কৌশলগতভাবে গুরত্বপূর্ণ গ্রাম ও উপকূলীয় অঞ্চলে ছড়িয়ে দিচ্ছেন। সেই সাথে এই যুদ্ধকে শুধু দক্ষিণ ও কেন্দ্রীয় সোমালিয়ায় আবদ্ধ না রেখে, দক্ষিণ থেকে নিয়ে উত্তর সোমালিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত করছেন। এর মাধ্যমে আশ-শাবাব সোমালি গাদ্দার বাহিনী ও পশ্চিমা বাহিনীকে বিক্ষিপ্ত করে ফেলার চেষ্টা করছে, সেই সাথে ইডেন উপসাগর হয়ে ইয়েমেনে আল-কায়েদার সাথে সংযোগ আরও শক্তিশালী করার জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
        আল্ল-হু আকবার ওয়ালিল্লাহিল হামদ
        হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

        Comment

        Working...
        X