শাবাব ঝড়ে দেড় শতাধিক শত্রুসেনা কুপকাত: কয়েকটি ঘাঁটি ও এলাকা বিজয়
পূর্ব আফ্রিকায় পশ্চিমা সমর্থিত সোমালি বাহিনী এবং আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনীর মধ্যে সম্প্রতি তীব্র লড়াই ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাব এই লড়াইয়ের মাধ্যমে দেশের গুরুত্বপূর্ণ উপকূলীয় ও সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলি বিজয়ের প্রতি বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।
গত বছরের মে মাসে পশ্চিমা সমর্থিত হাসান শেখ মাহমুদ প্রেসেডেন্ট নির্বাচিত হয়। দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই হাসান শেখ প্রতিরোধ যোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রিত ও ইসলামি শরিয়াহ্ দ্বারা পরিচালিত ভূমির বিরুদ্ধে নতুন যুদ্ধের ঘোষণা করে। তার এই ঘোষণার পর থেকেই দেশ জুড়ে লড়াই আরও তীব্র আকার ধারণ করে, যা এখনও অব্যাহত রয়েছে।
পশ্চিমা সমর্থিত সোমালি সরকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক এবং আফ্রিকান জোটভুক্ত দেশগুলোর ব্যাপক সামরিক ও আর্থিক সহায়তা নিয়ে এই যুদ্ধ শুরু করেছিল। তীব্র এই যুদ্ধের মাধ্যমে সোমালি সরকার চেষ্টা করেছে হারাকাতুশ শাবাবকে দুর্বল ও নিঃশেষ করতে। আর এই প্রেক্ষাপটে সোমালি সরকার শাবাবের নিয়ন্ত্রণে থাকা শহর কেন্দ্রীক এলাকাগুলো দখলের চেষ্টা করে এবং কেন্দ্রীয় অঞ্চলের বিশেষ করে হিরান রাজ্যের কোথাও কোথাও এই লক্ষ্যে সাময়িক ভাবে কিছুটা সফলতাও পায় সোমালি সরকার। কিন্তু সোমালি বাহিনী দূর্ভাগ্যবশত শাবাব থেকে দখলে নেওয়া উল্লেখযোগ্য এলাকাই বেশিদিন ধরে রাখতে সক্ষম হয়নি। কিছুদিনের মধ্যেই বড়ধরণের আঘাত সহ্য করে ঐসকল এলাকা থেকে পিছু হটতে বাধ্য হয় তারা। মূলত কৌশলগত কারণেই এবং শত্রুবাহিনীকে ধোঁকা দিতেই ঐ এলাকাগুলো প্রথমে ছেড়ে গিয়েছিল আশ-শাবাব।
এদিকে সরকারি বাহিনী যখন কেন্দ্রীয় অঞ্চলে শাবাবের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ব্যস্ত, তখন আশ-শাবাব উপকূলীয় অঞ্চল ও সীমান্ত অঞ্চলগুলি বিজয়ের দিকে মনোনিবেশ করেছে। শাবাব যোদ্ধারা সরকারি বাহিনীকে শহর কেন্দ্রীক যুদ্ধে ব্যস্ত করে উত্তর সোমালিয়া ও উপকূলে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করেছেন।
সেই ধারাবাহিকতায় হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন গত সপ্তাহে উত্তর সোমালিয়ার শাবেলি রাজ্যের ২টি গুরত্বপূর্ণ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেন। ঐ এলাকাগুলো বিজয় শাবাবের রণকৌশলের জন্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ ছিল।
আর চলতি সপ্তাহের শুরুতেই শাবাব মুজাহিদিন আরও চমক দেখাতে শুরু করেছেন।
প্রথমত, তাঁরা ১১ ফেব্রুয়ারি শনিবার সোমালিয়া জুড়ে গুরত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি সফল আক্রমণ চালিয়েছেন। মুজাহিদগণ হামলাগুলোর প্রথমটি চালিয়েছেন রাজধানী মোগাদিশুর জাবিদ শহরে সোমালি বাহিনীর ২টি সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে।
১টি শহীদি হামলার মাধ্যমে শাবাবের অভিযান শুরু হয়। পরে ইনগিমাসী মুজাহিদগণ ঘাঁটিতে প্রবেশ করে তীব্র লড়াই শুরু করেন। লড়াই শেষে মুজাহিদগণ সামরিক ঘাঁটিগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেন এবং সোমালি স্পেশাল ফোর্সের ৩৮ সৈন্যকে হত্যা করেন; এছাড়াও আরও দ্বিগুণ সংখ্যক সৈন্যকে মুজাহিদগণ রক্তাক্ত করে পালাতে বাধ্য করেন। সেই সাথে মুজাহিদগণ প্রচুর সংখ্যক সামরিক যান, অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং অসংখ্য সামরিক সরঞ্জাম গনিমত লাভ করেছেন। আলহামদুলিল্লাহ।
এদিন মুজাহিদগণ তাদের দ্বিতীয় সবচাইতে সফল অভিযানটি পরিচালনা করছেন জুবা রাজ্যের আফমাদো শহরে। অভিযানটি সোমালি মিলিশিয়াদের বৃহত্তম ও শক্তিশালি একটি সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে পরপর দুটি সফল ইস্তেশহাদী হামলার মাধ্যমে পরিচালনা করা হয়েছিল। এতে স্পেশাল ফোর্সের অসংখ্য সৈন্য নিহত এবং আহত হয়। যদিও কিছু সূত্র প্রাথমিক ভাবে জানিয়েছে যে, এই অপারেশনে স্পেশাল ফোর্সের ৪৩ সৈন্য নিহত হয়েছে।
আল্লাহু আকবর! মাত্র ২জন মুজাহিদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে শত্রুদের বিশাল এই সামরিক ঘাঁটি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়, আর তাতে থাকা সমস্ত সাঁজোয়া যান, অস্ত্র ও গোলাবারুদও ধ্বংস হয়ে যায়। জানা যায়, শাবাব মুজাহিদদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য এই ঘাঁটিতে স্পেশাল ফোর্সের শত শত সৈন্য জড়ো হয়েছিল, আর ঠিক সেই মূহুর্তেই শাবাবের দুঃসাহসী এই হামলা সোমালি বাহিনীর সমস্ত পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়েছে আলহামদুলিল্লাহ্।
এদিন দুপুরে হারাকাতুশ শাবাবের ইনগিমাসী মুজাহিদগণ তাদের তৃতীয় সফল হামলাটি চালান মধ্য শাবেলে রাজ্যের “আইল_বাড” শহরে। মুজাহিদগণ ভারী অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে এদিন শহরের প্রধান সামরিক ঘাঁটিতে ব্যাপক আক্রমণ শুরু করেন। এসময় মুজাহিদদের হাতে সোমালি বাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদমর্যাদার ৪ অফিসার সহ অন্তত ৪৫ সৈন্য নিহত হয় এবং আরও কয়েক ডজন সৈন্য আহত হয়, বাকিরা পালিয়ে যায়। তীব্র এই লড়াই শেষে মুজাহিদগণ সামরিক ঘাঁটির পাশাপাশি পুরো শহরের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হন। সেই সাথে মুজাহিদগণ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র-শস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম গনিমত লাভ করেন, আলহামদুলিল্লাহ।
অপরদিকে মাদুগ রাজ্যের ওয়াসিল শহরে মার্কিন প্রশিক্ষিত দানব ফোর্সের সাথে আরও একটি দুর্দান্ত লড়াইয়ে অবতীর্ণ হন মুজাহিদগণ। সেখানে মুজাহিদডর প্রবল হামলায় গাদ্দার সোমালি স্পেশাল ফোর্সের কমপক্ষে ১০ সৈন্য নিহত এবং আরও অন্তত ১৮ শত্রুসেনা আহত হয়। সেই সাথে শত্রু বাহিনীর অনেক সাঁজোয়া যান ও অস্ত্র ধ্বংস হয়।
পূর্ব আফ্রিকায় পশ্চিমা সমর্থিত সোমালি বাহিনী এবং আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনীর মধ্যে সম্প্রতি তীব্র লড়াই ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাব এই লড়াইয়ের মাধ্যমে দেশের গুরুত্বপূর্ণ উপকূলীয় ও সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলি বিজয়ের প্রতি বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।
গত বছরের মে মাসে পশ্চিমা সমর্থিত হাসান শেখ মাহমুদ প্রেসেডেন্ট নির্বাচিত হয়। দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই হাসান শেখ প্রতিরোধ যোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রিত ও ইসলামি শরিয়াহ্ দ্বারা পরিচালিত ভূমির বিরুদ্ধে নতুন যুদ্ধের ঘোষণা করে। তার এই ঘোষণার পর থেকেই দেশ জুড়ে লড়াই আরও তীব্র আকার ধারণ করে, যা এখনও অব্যাহত রয়েছে।
পশ্চিমা সমর্থিত সোমালি সরকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক এবং আফ্রিকান জোটভুক্ত দেশগুলোর ব্যাপক সামরিক ও আর্থিক সহায়তা নিয়ে এই যুদ্ধ শুরু করেছিল। তীব্র এই যুদ্ধের মাধ্যমে সোমালি সরকার চেষ্টা করেছে হারাকাতুশ শাবাবকে দুর্বল ও নিঃশেষ করতে। আর এই প্রেক্ষাপটে সোমালি সরকার শাবাবের নিয়ন্ত্রণে থাকা শহর কেন্দ্রীক এলাকাগুলো দখলের চেষ্টা করে এবং কেন্দ্রীয় অঞ্চলের বিশেষ করে হিরান রাজ্যের কোথাও কোথাও এই লক্ষ্যে সাময়িক ভাবে কিছুটা সফলতাও পায় সোমালি সরকার। কিন্তু সোমালি বাহিনী দূর্ভাগ্যবশত শাবাব থেকে দখলে নেওয়া উল্লেখযোগ্য এলাকাই বেশিদিন ধরে রাখতে সক্ষম হয়নি। কিছুদিনের মধ্যেই বড়ধরণের আঘাত সহ্য করে ঐসকল এলাকা থেকে পিছু হটতে বাধ্য হয় তারা। মূলত কৌশলগত কারণেই এবং শত্রুবাহিনীকে ধোঁকা দিতেই ঐ এলাকাগুলো প্রথমে ছেড়ে গিয়েছিল আশ-শাবাব।
এদিকে সরকারি বাহিনী যখন কেন্দ্রীয় অঞ্চলে শাবাবের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ব্যস্ত, তখন আশ-শাবাব উপকূলীয় অঞ্চল ও সীমান্ত অঞ্চলগুলি বিজয়ের দিকে মনোনিবেশ করেছে। শাবাব যোদ্ধারা সরকারি বাহিনীকে শহর কেন্দ্রীক যুদ্ধে ব্যস্ত করে উত্তর সোমালিয়া ও উপকূলে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করেছেন।
সেই ধারাবাহিকতায় হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন গত সপ্তাহে উত্তর সোমালিয়ার শাবেলি রাজ্যের ২টি গুরত্বপূর্ণ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেন। ঐ এলাকাগুলো বিজয় শাবাবের রণকৌশলের জন্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ ছিল।
আর চলতি সপ্তাহের শুরুতেই শাবাব মুজাহিদিন আরও চমক দেখাতে শুরু করেছেন।
প্রথমত, তাঁরা ১১ ফেব্রুয়ারি শনিবার সোমালিয়া জুড়ে গুরত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি সফল আক্রমণ চালিয়েছেন। মুজাহিদগণ হামলাগুলোর প্রথমটি চালিয়েছেন রাজধানী মোগাদিশুর জাবিদ শহরে সোমালি বাহিনীর ২টি সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে।
১টি শহীদি হামলার মাধ্যমে শাবাবের অভিযান শুরু হয়। পরে ইনগিমাসী মুজাহিদগণ ঘাঁটিতে প্রবেশ করে তীব্র লড়াই শুরু করেন। লড়াই শেষে মুজাহিদগণ সামরিক ঘাঁটিগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেন এবং সোমালি স্পেশাল ফোর্সের ৩৮ সৈন্যকে হত্যা করেন; এছাড়াও আরও দ্বিগুণ সংখ্যক সৈন্যকে মুজাহিদগণ রক্তাক্ত করে পালাতে বাধ্য করেন। সেই সাথে মুজাহিদগণ প্রচুর সংখ্যক সামরিক যান, অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং অসংখ্য সামরিক সরঞ্জাম গনিমত লাভ করেছেন। আলহামদুলিল্লাহ।
এদিন মুজাহিদগণ তাদের দ্বিতীয় সবচাইতে সফল অভিযানটি পরিচালনা করছেন জুবা রাজ্যের আফমাদো শহরে। অভিযানটি সোমালি মিলিশিয়াদের বৃহত্তম ও শক্তিশালি একটি সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে পরপর দুটি সফল ইস্তেশহাদী হামলার মাধ্যমে পরিচালনা করা হয়েছিল। এতে স্পেশাল ফোর্সের অসংখ্য সৈন্য নিহত এবং আহত হয়। যদিও কিছু সূত্র প্রাথমিক ভাবে জানিয়েছে যে, এই অপারেশনে স্পেশাল ফোর্সের ৪৩ সৈন্য নিহত হয়েছে।
আল্লাহু আকবর! মাত্র ২জন মুজাহিদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে শত্রুদের বিশাল এই সামরিক ঘাঁটি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়, আর তাতে থাকা সমস্ত সাঁজোয়া যান, অস্ত্র ও গোলাবারুদও ধ্বংস হয়ে যায়। জানা যায়, শাবাব মুজাহিদদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য এই ঘাঁটিতে স্পেশাল ফোর্সের শত শত সৈন্য জড়ো হয়েছিল, আর ঠিক সেই মূহুর্তেই শাবাবের দুঃসাহসী এই হামলা সোমালি বাহিনীর সমস্ত পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়েছে আলহামদুলিল্লাহ্।
এদিন দুপুরে হারাকাতুশ শাবাবের ইনগিমাসী মুজাহিদগণ তাদের তৃতীয় সফল হামলাটি চালান মধ্য শাবেলে রাজ্যের “আইল_বাড” শহরে। মুজাহিদগণ ভারী অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে এদিন শহরের প্রধান সামরিক ঘাঁটিতে ব্যাপক আক্রমণ শুরু করেন। এসময় মুজাহিদদের হাতে সোমালি বাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদমর্যাদার ৪ অফিসার সহ অন্তত ৪৫ সৈন্য নিহত হয় এবং আরও কয়েক ডজন সৈন্য আহত হয়, বাকিরা পালিয়ে যায়। তীব্র এই লড়াই শেষে মুজাহিদগণ সামরিক ঘাঁটির পাশাপাশি পুরো শহরের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হন। সেই সাথে মুজাহিদগণ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র-শস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম গনিমত লাভ করেন, আলহামদুলিল্লাহ।
অপরদিকে মাদুগ রাজ্যের ওয়াসিল শহরে মার্কিন প্রশিক্ষিত দানব ফোর্সের সাথে আরও একটি দুর্দান্ত লড়াইয়ে অবতীর্ণ হন মুজাহিদগণ। সেখানে মুজাহিদডর প্রবল হামলায় গাদ্দার সোমালি স্পেশাল ফোর্সের কমপক্ষে ১০ সৈন্য নিহত এবং আরও অন্তত ১৮ শত্রুসেনা আহত হয়। সেই সাথে শত্রু বাহিনীর অনেক সাঁজোয়া যান ও অস্ত্র ধ্বংস হয়।
প্রতিবেদক : ত্বহা আলী আদনান
Comment