Announcement

Collapse
No announcement yet.

শাবাবের চতুর্মুখি কৌশলি ফাঁদে সোমালি বাহিনী: ২৪ ঘন্টায় ৫টি শহর বিজয়

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • শাবাবের চতুর্মুখি কৌশলি ফাঁদে সোমালি বাহিনী: ২৪ ঘন্টায় ৫টি শহর বিজয়

    শাবাবের চতুর্মুখি কৌশলি ফাঁদে সোমালি বাহিনী: ২৪ ঘন্টায় ৫টি শহর বিজয়




    সোমালিয়া যুদ্ধে প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাবের তৈরি কৌশলি ফাঁদে পা দিয়েছে পশ্চিমা সমর্থিত সোমালি সামরিক বাহিনী ও মিলিশিয়ারা। গত ১৬ ফেব্রিয়ারি ২৪ ঘন্টার তীব্র লড়াইয়ে দেশটির মুরতাদ সামরিক বাহিনীর অন্তত দুই শতাধিক সৈন্য নিহত এবং আহত হয়েছে শাবাব মুজাহিদিনের হাতে; হাত ছাড়া হয়েছে তাদের অনেক এলাকা, শহর ও সামরিক ঘাঁটি।

    সেখানে এখন পতপত করে উড়ছে কালিমা খচিত তাওহীদের কালো পতাকা। পশ্চিমা ও তাবেদার আরব এবং আফ্রিকান দেশগুলোর সাহায্যের উপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল দুর্নীতিবাজ সোমালি সরকার। গত বছর প্রহসনের নির্বাচনে নির্বাচিত হয়েই মার্চ মাসে প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাবের বিরুদ্ধে নতুন করে সর্বাত্মক যুদ্ধ ঘোষণা করে পশ্চিমা সমর্থিত হাসান শেখের নতুন সোমালি সরকার। তার এই ঘোষণার পর দেশটিতে যুদ্ধ আগের যেকোনো সময়ের চাইতে তীব্র আকার ধারণ করে, যা এখনো অব্যাহত রয়েছে।

    আর তারই ধারাবাহিকতায় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি দেশটির “জুবা, হিরান, শাবেল এবং বনাদির রাজ্যে ৯টিরও বেশি অভিযান পরিচালনা করেন হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন। প্রতিরোধ বাহিনী আশ-শাবাবের সামরিক মুখপাত্রের বিবরণ অনুযায়ী, এদিন হারাকাতুশ শাবাব আল মুজাহিদিন তাদের সবচাইতে সফল অভিযানটি পরিচালনা করেন জুবা রাজ্যর বারসেনগুনি শহরে। শহরটিতে মুজাহিদগণ সোমালি সামরিক বাহিনীর ২টি ঘাঁটিতে একযোগে ব্যাপক আক্রমণ শুরু করেন।

    কয়েক ঘন্টার তীব্র লড়াই শেষে সোমালি বাহিনী মুজাহিদদের হাতে লজ্জাজনক পরাজয় বরণ করে। সেই সাথে মুজাহিদগণ উভয় ঘাঁটির উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ কায়েম করেন। এসময় মুজাহিদদের হামলায় কয়েক ডজন সৈন্য নিহত হয় এবং বেঁচে যাওয়া গাদ্দাররা আল্লাহ্‌র সৈনিকদের হাত থেকে বাঁচতে পালিয়ে যায়। শত্রুসেনাদের এই পলায়নের পর মুজাহিদগণ ঘাঁটিগুলি থেকে প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম জব্দ করেন।

    শাবাব মুখপাত্র শাইখ আবদুল আজিজ আবু মুস’আব (হাফি.) জানান, উভয় ঘাঁটিতে মুজাহিদদের পরিচালিত হামলায় সোমালি সামরিক বাহিনীর কমপক্ষে ৩৮ সৈন্য নিহত এবং আরও অন্তত ২৫ সৈন্য আহত হয়েছে। সেই সাথে সামরিক বাহিনীর ৫টি যান ধ্বংস হয়েছে।মুজাহিদিন কর্তৃক সামরিক ঘাঁটি বিজয়ের পর, ঘাঁটিগুলি উদ্ধার করতে সোমালি বাহিনীর ২টি সামরিক কনভয় উক্ত এলাকার দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু শহরে পৌঁছানোর আগেই পথিমধ্যে উভয় সামরিক কনভয় শাবাবের বীর যোদ্ধাদের অতর্কিত হামলার শিকার হয়। এতে শত্রুর কয়েকটি সাঁজোয়া যান ধ্বংস এবং অসংখ্য সৈন্য হতাহত হয়, বাকিরা জীবন বাঁচাতে কনভয় নিয়ে পালিয়ে যায়।


    এদিন হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদিন তাদের দ্বিতীয় সফল অভিযানটি চালান কেন্দ্রীয় হিরান রাজ্যে। মুজাহিদগণ সংক্ষিপ্ত এক লড়াইয়ের পর রাজ্যটির আফাদ শহরের নিয়ন্ত্রণ নেন, একই সময় ইজি অঞ্চলেরও নিয়ন্ত্রণ নেন তাঁরা। হারাকাতুশ শাবাব কর্তৃক শহর দুটি বিজয়ের পর এগুলো পুনরুদ্ধারে বিশাল সামরিক বাহিনী প্রেরন করে পশ্চিমা সমর্থিত সরকার। সেই বাহিনী মার্কিন বিমানবাহিনীর সহায়তায় শহর দুটি পুনরুদ্ধারে মরিয়া হয়ে হামলা শুরু করে। কিন্তু উম্মাহর বীরসেনানি শাবাব মুজাহিদিনের তীব্র প্রতিরোধের সামনে তাদের এই উদ্ধার অভিযান সম্পূর্ণ ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়।

    শুধু উদ্ধার অভিযান ব্যর্থ হয়েছে- এতোটুকুই নয়, বরং শাবাব মুজাহিদিন শত্রুসেনাদের পিছু ধাওয়া করতে করতে মাহদি এবং জলকাসী শহর পর্যন্ত পৌঁছান।এরপর এই শহর ২টি রক্ষায় সোমালি বাহিনী ও ক্রুসেডার মার্কিন বিমানবাহিনী প্রতিরোধ গড়ে তুলার চেষ্টা করে। কিন্তু আল্লাহ্‌র সৈনিকরাও থেমে যাওয়ার নন; তাই তাঁরাও আরও শক্তি নিয়ে সোমালি বাহিনীর উপর আরও জোরালো আরও প্রবল আঘাত হানতে শুরু করেন।

    দুই বাহিনীর মধ্যে তীব্র এই লড়াই প্রায় ২২ ঘন্টার মতো চলতে থাকে। অবশেষে প্রচণ্ড যুদ্ধ শেষে মহান আল্লাহ তাআ’লা মুজাহিদদেরকে কাফেরদের উপর বিজয় দান করেন। ফলশ্রুতিতে মুজাহিদগণ একই অভিযানে ৪টি শহর শত্রুমুক্ত করতে সক্ষম হন, আলহামদুলিল্লাহ। মুজাহিদদের হামলায় সেখানে অসংখ্য সোমালি সৈন্য নিহত এবং আহত হয়।

    প্রাথমিক এক রিপোর্ট অনুযায়ী, দীর্ঘ এই যুদ্ধে হারাকাতুশ শাবাবের মুজাহিদদের হামলায় সোমালি সামরিক বাহিনীর ৫৪ সৈন্য নিহত হয়, একই সাথে আহত হয় আরও অন্তত ৫০ মুরতাদ সৈন্য। তবে ধারণা করা হচ্ছে, এই যুদ্ধে মুজাহিদদের হামলায় হতাহত শত্রু সংখ্যা প্রকাশিত সংখ্যার দ্বিগুণ ছাড়িয়ে যাবে।এদিন সোমালিয়ার বানাদির এবং শাবেলি সুফলা রাজ্যেও ৪টি পৃথক হামলা চালান মুজাহিদগণ।

    এই হামলাগুলোতে মার্কিন প্রশিক্ষিত সোমালি স্পেশাল ফোর্সের অসংখ্য সৈন্য সহ সামরিক অফিসার মুখতার আরিফকে হত্যা করতে সক্ষম হন মুজাহিদগণ। এই গাদ্দার অফিসার দীর্ঘ ১৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে মুসলিমদের হত্যা ও তাদের অর্থ লুণ্ঠনের জন্য কুখ্যাত ছিলো। মুজাহিদরা তাই একে এর যথার্থ পাওনা বুঝিয়ে দিয়েছেন। নতুন শহর বিজয়ের এই অভিযানের ফটো-রিপোর্ট ইনশাআল্লাহ্‌ খুব শীঘ্রই প্রকাশ করা হবে আপনাদের প্রিয় আল-ফিরদাউস সাইটে। আগ্রহী দর্শক চোখ রাখুন ইনশাআল্লাহ্‌…


    প্রতিবেদক : ত্বহা আলী আদনান







    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    আলহামদু লিল্লাহ! আলহামদু লিল্লাহ! আলহামদু লিল্লাহ!
    আল্লাহু আকবার!

    Comment


    • #3
      আল্লাহু আকবার,,
      বিজয়ের খবর শুনলে অন্তরে প্রশান্তি আসে,, এই বিজয়ের ধারা সর্বদা অব্যাহত থাকুক। আমিন।
      সর্বোত্তম আমল হলো
      আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা এবং মহান মহীয়ান
      আল্লাহর পথে জিহাদ করা।নাসায়ী,শরীফ

      Comment

      Working...
      X