Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুজাহিদিন নিউজ#| ২৭ শাবান, ১৪৪৪ হিজরী।। ২০ মার্চ, ২০২৩ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুজাহিদিন নিউজ#| ২৭ শাবান, ১৪৪৪ হিজরী।। ২০ মার্চ, ২০২৩ ঈসায়ী।

    আইএসকেপি-কে অর্থায়ন করছে পাকিস্তান: প্রাক্তন আইএস নেতা




    প্রাক্তন আইএস নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্ব


    সম্প্রতি ইমারারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের আল-মারসাদ নামক একটি মিডিয়া দেশটির সালাফি আলেম ও আইএসের প্রাক্তন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্ব শায়েখ আব্দুর রাহিম মুসলিম-দোস্ত এর সাথে একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছে।

    উক্ত সাক্ষাৎকারে, শায়েখ আব্দুর রাহিম খারেজি গোষ্ঠি ইসলামিক স্টেট এর খোরাসান শাখা ‘ইসলামিক স্টেট – খোরাসান প্রভিন্স’ বা আইএসকেপি সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন।

    শায়েখ আব্দুর রাহিম মুসলিম-দোস্ত জানান, ২০১৪ সালে আইএস এর কাছে আনুগত্যের বাইয়াত দেয়া তিনিই একমাত্র ব্যক্তি নন। বরং আইএসকে প্রথম বাইয়াত দেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে হেলমান্দ প্রদেশের মাওলানা ইদরিসও রয়েছেন, যিনি মদীনা থেকে ইসলামিক স্টাডিজ বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেছিলেন।

    আইএস এর খোরাসান শাখাকে কারা অর্থায়ন করছে – এই প্রশ্নের জবাবে শায়েখ বলেন, প্রথমত পাকিস্তান সামরিক বাহিনী এবং তারপর ইরাক ও সিরিয়ায় অবস্থিত আইএস এর কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আইএসকেপি কে অর্থায়ন করছে। এছাড়াও, ২০১৫ সালে লস্কর-ই-তাইয়েবা আইএসকেপি কে ৫০ লক্ষ পাকিস্তানি রুপি সাহায্য প্রদান করেছিল।

    পাকিস্তানের সাথে আঁতাত থাকা স্বত্ত্বেও কাবুলে পাকিস্তানী দূতাবাসে আইএসকেপি কেন আক্রমণ করলো – এর জবাবে শায়েখ মুসলিম-দোস্ত বলেন, পাক দূতাবাসে আক্রমণ একটি সাজানো নাটক ছিল। হামলায় রাষ্ট্রদূতের কিছুই হয়নি, শুধু তার এক বডিগার্ড আহত হয়েছিল। পাকিস্তান চায় আইএসকেপির সাথে তাদের সম্পৃক্ততার অভিযোগ ভুল প্রমাণ করতে।

    উল্লেখ্য, ইরাক-সিরিয়ায় আইএস এর উত্থানের পর শায়েখ আব্দুর রাহিম মুসলিম-দোস্ত ২০১৪ সালে আইএস এর কথিত খলিফা আবু বকর আল-বাগদাদীর নিকট আনুগত্যের বাইয়াত দেন। পরবর্তীতে আইএস এর নিষ্ঠুরতা ও ইসলাম বিরোধী কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করে তিনি আইএস ছেড়ে দিয়ে ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের তালিবান মুজাহিদদের কাছে আত্মসমর্পণ করেন।

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    বুরকিনা ফাসোতে আল-কায়েদার ধারাবাহিক অভিযানে ১৫ সেনা নিহত


    অভিযানে বের হওয়া 'জেএনআইএম' মুজাহিদদের একটি কাফেলা


    পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোতে ধারাবাহিকভাবে অপারেশন পরিচালনা করছেন আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট মুজাহিদগণ। এতে প্রতিনিয়তই ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের শিকার হচ্ছে শত্রু-বাহিনী। সম্প্রতি মুজাহিদদের পরিচালিত এমন কিছু অপারেশনে বুরকিনান বাহিনীর অন্তত ১৫ সেনা নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

    স্থানীয় সূত্রমতে, আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন (জেএনআইএম) এই অপারেশনগুলো পরিচালনা করেছেন। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সফল অভিযানটি পরিচালিত হয় ২৭ ফেব্রুয়ারি দুপুরে। বুরকিনান সেনাবাহিনী যখন “ঘাসন” অঞ্চল সংলগ্ন কয়েকটি গ্রামে আগ্রাসন চালানোর চেষ্টা করে, তখন মুজাহিদগণ প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। এতে উভয় বাহিনীর মাঝে তীব্র লড়াই শুরু হয়।

    মুজাহিদদের প্রবল প্রতিরোধের সামনে টিকতে না পেরে ২ সেনার মৃতদেহ ফেলে রেখেই বাকিরা পালিয়ে যায়। এরপর মুজাহিদগণ ঘটনাস্থল থেকে ২৫টি মোটরসাইকেল, ১টি পিকে মেশিনগান, ২টি মাঝারি অস্ত্র ও ১১টি পিস্তল জব্দ করেন।

    গত ৪ মার্চ, একই অঞ্চলে বুরকিনান সেনাবাহিনীর একটি কনভয় টার্গেট করে সফলভাবে এম্বুশ পরিচালনা করেছেন মুজাহিদগণ। এতে বুরকিনান সেনাবাহিনীর ১১ সদস্য নিহত হয়েছে এবং আরও অনেকে আহত হয়েছে। অপারেশন শেষে মুজাহিদগণ ঘটনাস্থল থেকে ২টি গাড়ি, ১টি মর্টার, ২টি পিকে মেশিনগান, ৪টি ক্লাশিনকোভ এবং ১৫টি মোটরসাইকেলসহ প্রচুর পরিমাণে গোলাবারুদ জব্দ করেন।

    একই দিন, কঙ্গোসি এলাকায় সেনবাহিনীর একটি দলকে বিস্ফোরক ডিভাইস দিয়ে এম্বুশ করেন মুজাহিদগণ। এতে সেনবাহিনীর একটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং বেশ কিছু সেনা হতাহত হয়। তবে হতাহতের নির্দিষ্ট সংখ্যা জানা সম্ভব হয়নি।

    এরপর গত ১০ ও ১১ মার্চ, দেশটির মুরলাবা ও বোলেন এলাকায় আরও ২টি সফল অভিযান পরিচালনা করেছেন মুজাহিদগণ। এরমধ্যে মুরলাবা গ্রামে সেনাবাহিনীর একটি ব্যারাকে রেইড পরিচালনা করেন মুজাহিদগণ। এতে বুরকিনান সেনাবাহিনীর ২ সদস্য নিহত হয় এবং বাকিরা পালিয়ে যায়। অভিযান শেষে মুজাহিদগণ ৪টি ক্লাশিনকোভ, ১টি পিকা, ১টি আরপিজি, ১টি ড্রোন, ১টি পিস্তল এবং ৮টি মোটরসাইকেলসহ প্রচুর পরিমাণে গোলাবারুদ গনিমত লাভ করেন। সেই সাথে সেনাবাহিনীর ১টি গাড়িও পুড়িয়ে দেন মুজাহিদগণ।

    অপর অভিযানটি পরিচালিত হয় বোলেন এলাকায়। প্রথমে বুরকিনান সামরিক বাহিনীর একটি টহল দল রাস্তায় পেতে রাখা একটি ল্যান্ডমাইনে আক্রান্ত হয়ে বিক্ষিপ্ত হয়ে যায়। এরপর মুজাহিদগণ বিক্ষিপ্ত সেনাদের টার্গেট করে গুলি বর্ষণ শুরু করেন। এতে অনেক শত্রু সেনা হতাহত হয় এবং দ্রুত ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়। এই অভিযানে হতাহতের সুনির্দিষ্ট সংখ্যা জানা সম্ভব হয়নি।

    এই অভিযানগুলি থেকে মুজাহিদদের প্রাপ্ত কিছু গনিমত…










    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ‘‘বুরকিনা ফাসোতে আল-কায়েদার ধারাবাহিক অভিযানে ১৫ সেনা নিহত ’’
      -

      ইয়া রব, মুসলিমদের হারানো খিলাফা আবার ফিরিয়ে দাও ।

      Comment


      • #4
        পাকিস্তানের সাথে আঁতাত থাকা স্বত্ত্বেও কাবুলে পাকিস্তানী দূতাবাসে আইএসকেপি কেন আক্রমণ করলো – এর জবাবে শায়েখ মুসলিম-দোস্ত বলেন, পাক দূতাবাসে আক্রমণ একটি সাজানো নাটক ছিল। হামলায় রাষ্ট্রদূতের কিছুই হয়নি, শুধু তার এক বডিগার্ড আহত হয়েছিল। পাকিস্তান চায় আইএসকেপির সাথে তাদের সম্পৃক্ততার অভিযোগ ভুল প্রমাণ করতে।

        হক্বতো প্রকাশ হবারই
        যুগে যুগে এই মুনাফিক্বরাই ইসলামের বাতিকে নেভানোর জোর প্রয়াস চালিয়েছে। আর আল্লাহ তা'আলা মুমিন বান্দাদেরকে এই কঠিন এক পরিক্ষা দিয়ে শানিত করে তুলেন বারবারই। কখনো ভাই, কখনো বাবা, কখনো চাচা তো কখনো মা এই দলে শামিল থেকে যায়, আর তাদের গরদানটাও উড়াতে হয়।

        আল্লাহ তা'আলা আমাদেরকে মুনাফিক্বদের ফিতনা, ও সকল দুশমনের ফিতনায় তাঁর আনুগত্যে অটল ও অবিচল থাকার তাওফিক দান করুন আমিন!
        হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

        Comment

        Working...
        X