Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুজাহিদিন নিউজ#| ২৩ রমজান, ১৪৪৪ হিজরী।। ১৫ এপ্রিল, ২০২৩ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুজাহিদিন নিউজ#| ২৩ রমজান, ১৪৪৪ হিজরী।। ১৫ এপ্রিল, ২০২৩ ঈসায়ী।

    টিটিপির অভিযানে ৩ মাসে হতাহত ৩৬৪ পাক সেনা



    পাকিস্তানের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বৃহত্তম সশস্ত্র ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী হচ্ছে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)। সম্প্রতি তাদের অফিসিয়াল চ্যানেল এবং এর অধিভুক্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে চলতি বছরের জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে দেশ জুড়ে তাদের পরিচালিত অভিযানের বিবরণ প্রকাশ করেছে।

    প্রাপ্ত তথ্য মতে, চলতি বছরের প্রথম ৩ মাসেই টিটিপির হাতে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর অন্তত ৩৬৪ সদস্য হতাহত হয়েছে।

    অভিযানগুলোর বিস্তারিত পরিসংখ্যান ইনফোগ্রাফ আকারে প্রকাশিত হয়েছে। এতে মুজাহিদদের অপারেশনগুলোর প্রকৃতি, অবস্থান এবং শত্রু বাহিনীর ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ দেখানো হয়েছে।

    বর্ণনা অনুযায়ী, গত মার্চ মাসে পাকিস্তানের ১২টি জেলায় সশস্ত্র বাহিনীগুলোর উপর মোট ৪২টি হামলা চালিয়েছেন টিটিপির বীর মুজাহিদগণ। এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসে দেশটির ১৪টি জেলায় ২৯টি অভিযান চালিয়েছেন তারা। আর জানুয়ারি মাসে চালানো হয়েছে ৪৬টি অভিযান।

    এসব অভিযানের মধ্যে ৫টি ইস্তেশহাদী অপারেশন, ১৬টি টার্গেট কিলিং, ১৯টি গেরিলা যুদ্ধ, ১৫টি সম্মুখ লড়াই, ১৬টি স্নাইপার অপ্স, ১টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ, ১২টি বোমা বিস্ফোরণ, ১৭টি জবাবি অভিযান, এবং ১৬টি অতর্কিত অপারেশন পরিচালনা করেছেন।

    বর্ণনা অনুযায়ী, মার্চ মাসে টিটিপি পরিচালিত অভিযানগুলোতে শত্রু বাহিনীর ৫৮ সদস্য নিহত এবং আরও ৭২ সদস্য আহত হয়েছে। আর ফেব্রুয়ারি মাসে নিহত হয়েছে ৫৭ জন এবং আহত হয়েছে সামরিক বাহিনীর আরও ৭০ সদস্য। তবে শত্রু বাহিনী সবচেয়ে হতাহতের শিকার হয়েছে জানুয়ারি মাসে- কমপক্ষে ২০৭ জন।

    মুজাহিদদের এসব সফল অভিযানে পাকিস্তানের জালিম সামরিক বাহিনীগুলো ব্যাপক আর্থিক ও যান্ত্রিক ক্ষয়ক্ষতিরও শিকার হয়েছে।

    মুজাহিদদের দেওয়া তথ্য মতে, শত্রু বাহিনীর ৫টি সামরিক চৌকি, ৫টি মোটর সাইকেল, ২০টিরও বেশি গাড়ি এবং ১১টি সামরিক স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে। পাশাপাশি মুজাহিদগণ আরও অনেক সামরিক সরঞ্জাম পুড়িয়ে দিয়েছেন। আর মুজাহিদগণ গনিমত হিসাবে জব্দ করেছেন বিভিন্ন ক্যালিবারের ১৭টি অস্ত্র ও ৩টি মোটর সাইকেল।

    উল্লেখ্য যে, টিটিপি পূর্বের যেকোনো সময়ের তুলনায় বর্তমানে অনেক বেশি সুসংগঠিত। তাদের অধীনে বর্তমানে পাকিস্তানের ছোট-বড় ৪৩টি জিহাদি গ্রুপ ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করছে। এর ফলশ্রুতিতে গত ২০২০ সালের গ্রীষ্মকাল থেকে তারা নতুনভাবে শত্রুদের বিরুদ্ধে সামরিক তৎপরতা বাড়িয়েছেন।

    তথ্যসূত্র: https://l.top4top.io/p_2655nqhwd0.jpg

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    জেএনআইএম এর পশ্চিম আফ্রিকা অভিযানে ১১৯ শত্রুসেনা নিহত


    আল-কায়েদার পশ্চিম আফ্রিকা শাখা জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন (জেএনআইএম) গত শাবান মাসে উপকূলীয় দেশগুলোতে বেশ কয়েকটি সফল সামরিক অপারেশন পরিচালনা করছেন। এসব অপারেশনে অন্তত ১০৪ শত্রুসেনা নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে আরও অন্তত ১৫ জন।

    জেএনআইএম এর অফিসিয়াল মিডিয়া সূত্র থেকে জানা গেছে, মুজাহিদগণ মালি, বুরকিনা ফাসো ও নাইজারের ত্রিভুজ সীমান্ত অঞ্চলে শত্রুদের লক্ষ্য করে কয়েক ডজন সফল অভিযান পরিচালনা করছেন।

    তবে এসব অভিযানের পরে ঘটনাস্থলে পড়ে থাকা হতাহত শত্রুদের পরিসংখ্যানই কেবল মুজাহিদগণ তালিকাভুক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে প্রকৃত হতাহতের সংখ্যা আরও অনেক বেশি।

    সূত্রটি আরও নিশ্চিত করেছে যে, এসব অভিযানে মুজাহিদগণ ২ শত্রু সৈন্যকে বন্দী করেছেন। পাশাপাশি ৭টি গাড়ি, ১৩৪টি মোটর সাইকেল, বিভিন্ন ক্যালিবারের ১১১টি মাঝারি ও ভারি অস্ত্র, ৪৬টি পিস্তল, ১টি আরপিজি ও ১টি ড্রোনসহ অসংখ্য গোলাবারুদ ও সামরিক সরঞ্জাম গনিমত পেয়েছেন।

    এই রিপোর্ট প্রকাশের পর, জেএনআইএম মালি ও বুরকিনা ফাসোতে শাবান মাসে তাদের পরিচালিত আরও ৩টি অপারেশনের তথ্য নিশ্চিত করেছে। এসব অপারেশনেও আরও অনেক সৈন্য হতাহত হয়েছে। এছাড়া ১৬টি অস্ত্রসহ অনেক গোলাবারুদ গনিমত লাভ করেছেন মুজাহিদগণ।

    উল্লেখ্য যে, ২০১৭ সালে কয়েকটি সশস্ত্র ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত হয় ‘জেএনআইএম’। এরপর থেকে প্রতিরোধ বাহিনীটি মালিসহ আশেপাশের উপকূলীয় দেশগুলোতে অভিযান জোরদার করেছে। মুজাহিদ নিয়ন্ত্রিত কিদাল রাজ্যের গভর্নরের মতে, মুজাহিদগণ ২০১৩ সাল থেকে বিশ্বের ৬৪টি দেশের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বীরত্বের সাথে লড়াই করে আসছেন। ইতিমধ্যে অনেক দেশ তাদের সেনাদের প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছে।

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ইয়েমেনে মুজাহিদদের পাশে দাঁড়িয়েছে উপজাতি সুন্নি মুসলিমরা



      আল-কায়েদা আরব উপদ্বীপ শাখা জামা’আত আনসারুশ শরিয়াহ্ দীর্ঘ বিরতির পর গত বছর থেকে ইয়েমেনে তাদের সামরিক অপারেশন জোরদার করেছে। আর তাদের এসব অপারেশনে ব্যাপক ভাবে সমর্থন দিচ্ছেন সেখানকার উপজাতি সুন্নি মুসলিমরা।

      বিজয়ের মাস এই রমাদানে মুজাহিদদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গত ১৩ রমাদান শত্রুদের একটি সামরিক কনভয়ে লক্ষ্য করে এম্বুশ পরিচালনা করেছেন আনসারুশ শরিয়াহ মুজাহিদগণ।

      সূত্রমতে, আরব আমিরাতের ভাড়াটে মিলিশিয়াদের কনভয়টি আবিয়ানের আল-বাকিরা এলাকার দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করছিল। তখন মুজাহিদদের অতর্কিত এম্বুশের শিকার হয় কনভয়টি। এই অভিযানে শত্রু কনভয়ে থাকা একটি অ্যাম্বুলেন্স ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মুজাহিদদের আক্রমণের সামনে টিকতে না পেরে মিলিশিয়ারা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।

      সূত্রমতে, এই যুদ্ধে বড় ভূমিকা রেখেছেন সেখানকার উপজাতি সুন্নি মুসলিমরা। তারা তথ্য ও সমর্থন যুগিয়ে এই যুদ্ধে মুজাহিদদের সহায়তা করেছেন।

      এর আগে ১০ রমাদানেও একই এলাকায় উপজাতিদের সহায়তায় শত্রুদের একটি সামরিক অবস্থান লক্ষ্য করে সফল রেইড পরিচালনা করেছেন মুজাহিদগণ। মুজাহিদদের অতর্কিত অভিযানে দিকভ্রান্ত হয়ে পালিয়ে যায় আমিরাতের ভাড়াটে মিলিশিয়ারা। এই অভিযানে ৩ শত্রুসেনা নিহত এবং আরও বেশ কিছু সৈন্য আহত হয়েছে।

      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment

      Working...
      X