Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুজাহিদিন নিউজ#| ৩ জিলহজ, ১৪৪৪ হিজরী।। ২২ জুন, ২০২৩ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুজাহিদিন নিউজ#| ৩ জিলহজ, ১৪৪৪ হিজরী।। ২২ জুন, ২০২৩ ঈসায়ী।

    বুরকিনান সেনা ব্যারাকে আল-কায়েদার অভিযানে অন্তত ১২৩ সেনা নিহত



    মালি সংলগ্ন পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোতে কয়েক বছর ধরেই আল-কায়েদা ও সরকারি বাহিনীগুলোর মাঝে যুদ্ধ চলমান। আর স্থানীয় সূত্র মারফত জানা যায় যে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বুরকিনান সেনা ব্যারাকগুলোতেই আল-কায়েদা যোদ্ধাদের অভিযান পরিচালিত হচ্ছে বেশি। গত কিছুদিনেও দেশটিতে আল-কায়েদা যোদ্ধাদের এধরণের অভিযানে অন্তত ১২৩ বুরকিনান সেনা নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে আরও অগণিত।

    প্রতিরোধ বাহিনী আল-কায়েদার পশ্চিম আফ্রিকান শাখা সংশ্লিষ্ট জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন (জেএনআইএম) গত ২৭ মে থেকে ১৭ জুন পর্যন্ত সময়ের মাঝে বুরকিনান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অন্তত ২৪ টি সামরিক অভিযান পরিচালনা করছে, যাতে অসংখ্য বুরকিনান সেনা হতাহত হয়েছে। তবে দলটির অফিসিয়াল মিডিয়া আয-যাল্লাকা ফাউন্ডেশন এসময়ের মধ্যে মোট ৯টি পৃথক বার্তা প্রকাশ করে কেবলমাত্র ১৪টি অভিযানের তথ্য নিশ্চিত করেছে।

    তাদের অফিসিয়াল তথ্য অনুযায়ী, উক্ত ১৪ টি অভিযানেই বুরকিনান সেনাবাহিনীর কমপক্ষে ১২৩ সৈন্য নিহত হয়েছে। পাশাপাশি অভিযানগুলোতে আরও অনেক সৈন্য আহত হয়েছে, যাদের সঠিক সংখ্যা জানা সম্ভব হয় নি।

    এই অভিযানগুলির সময় জেএনআইএমের ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা সেনাবাহিনীর ৭টি গাড়ি ও ২টি অস্থায়ী সামরিক ঘাঁটিও পুড়িয়ে দিয়েছেন।

    মুজাহিদগণ এরমধ্যে তাদের সবচাইতে সফল অভিযানটি পরিচালনা করছেন গত ২৭ মে শনিবার। দেদুগৌ রাজ্যের নোনার এলাকায় বুর্কিনান সেনাদের একটি কনভয় লক্ষ্য করে চালানো ঐ অভিযানে ঘটনাস্থলেই বুরকিনান সেনাবাহিনীর অন্তত ৩২ সৈন্য নিহত হয়, বাকিরা আহত অবস্থায় জীবন নিয়ে পালিয়ে যায়।

    ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা এধরণের আরও একটি সফল অভিযান পরিচালনা করছেন গত ৯ জুন বৃহস্পতিবার, দেশটির ক্রিয়া রাজ্যের ব্রুম শহরে সেনাবাহিনীর একটি সদর দফতর লক্ষ্য করে। এই অভিযানের ফলে সেনাবাহিনীর অনেক সৈন্য নিহত এবং আহত হয়, যাদের মধ্যে ২০ জনের মৃতদেহ সদর দফতরে ফেলে রেখেই বাকি সৈন্যরা পালিয়ে যায়।

    বিদেশি মদদপুষ্ট সামরিক বাহিনীর বিপুল ক্ষয়ক্ষতি ঘটানোর পাশাপাশি, ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা সামরিক ব্যারাক, সদর দফতর ও কনভয় থেকে উদ্ধার করেছেন ৮টি সাঁজোয়া যান ও গাড়ি, ১৩টি ট্রাক, খাদ্য ও সামরিক সরঞ্জাম ভর্তি ১টি ট্রাক, ১টি ড্রোন, ৪টি পিকা, ৯১টি ক্লাশিনকোভ, ১২৭টি মোটরসাইকেল, ৩৮টি মোবাইল, ৫টি পিস্তল, ১১৮টি গোলাবারুদ ভর্তি বাক্স সহ আরও অন্যান্য প্রচুর জিনিসপত্র ও সামরিক সরঞ্জাম।



    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    মালি থেকে জাতিসংঘের সামরিক মিশন প্রত্যাহার চায় দেশটির জান্তা সরকার



    পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালি থেকে শরিয়াহ্ শাসনের বিলুপ্তি ঘটাতে ২০১৩ সালে দেশটিতে সামরিক আগ্রাসন শুরু করেছিল পশ্চিমা ও ইউরোপীয় সামরিক জোটগুলো। সেই ধারাবাহিকতায় জাতিসংঘও তখন এই দেশটিতে তার সামরিক মিশন শুরু করে। ফলে দীর্ঘ এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের সম্মুখীন হয় মালির মুসলিমরা।

    যুদ্ধের প্রাথমিক পর্যায়ে পশ্চিমা সম্মিলিত জোটবাহিনী সাময়িক সময়ের জন্য ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের দূর্বল করে দিতে পারলেও, দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধে তাদের সকল কলাকৌশল ব্যর্থ হতে থাকে। আর আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারাও (জেএনআইএম) দিনে দিনে আরও বেশি শক্তিশালী ও সুসংগঠিত হয়ে বিস্তীর্ণ অঞ্চলের উপর নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করতে থাকেন।



    এমন পরিস্থিতিতে পশ্চিমা সমর্থিত জোটগুলো থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলেছে মালির জান্তা প্রশাসন। পরাজিত ব্যর্থ পশ্চিমা ও ইউরোপীয় জোটগুলোও তখন ধীরে ধীরে দেশটি ছাড়তে বাধ্য হয়।

    সর্বশেষ জাতিসংঘের প্রতিও অনাস্থা তৈরি হয়েছে দেশটির সামরিক জান্তা সরকারের। যেকারণে মালির সামরিক জান্তা প্রশাসন গত শুক্রবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে অবিলম্বে দেশটি থেকে জাতিসংঘের সামরিক মিশন প্রত্যাহার দাবি জানিয়েছে। যদিও জান্তার এই পদক্ষেপ পশ্চিমাদের সাথে তাদের সম্পর্কের টানাপোড়েন আরও বাড়াবে বলে মনে হচ্ছে।

    জাতিসংঘ মালি মাল্টিডাইমেনশনাল ইন্টিগ্রেটেড স্টেবিলাইজেশন মিশন (MINUSMA) এবং জান্তার মধ্যে “বিশ্বাসের সংকট” এর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে জান্তা কর্মকর্তারা দাবি করেছে যে, সামরিক মিশন বিলম্ব না করে তাদেরকে দেশ ছেড়ে চলে যেতে হবে।



    জান্তার সরকারের পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রী আবদৌলায়ে ডিওপ সামরিক মিশন প্রত্যাহার বিষয়ে বলেন, “শান্তিরক্ষার জন্য এখানে জাতিসংঘের মিশন শুরু হলেও বিগত ১০ বছরেও তা প্রতিষ্ঠা করতে ব্যর্থ হয়েছে জাতিসংঘ। দুর্ভাগ্যবশত এখানে MINUSMA-এর অবস্থানের ফলে স্থানীয় সম্প্রদায়গুলির মধ্যে উত্তেজনা তৈরি করছে। সেই সাথে আগের যেকোনো সময়ের চাইতে সহিংসতাও বেড়েছে।”

    মালির জান্তা প্রশাসন জোর দিয়ে বলেছে যে, ফ্রান্স এবং পশ্চিমা দেশগুলির যুদ্ধ ও কৌশল জিহাদি গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যথেষ্ট ছিলো না। তারা এখানে তাদের কাজে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। বিপরীতে এই দেশগুলির উপস্থিতি এখানে উত্তেজনা বাড়িয়েছে। মালিয়ান জনগণের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি করেছে, ফলে দেশের বিভিন্ন স্থানে জাতিসংঘের অবস্থানের বিরুদ্ধেও সম্প্রতি বিক্ষোভ করছেন জনগণ।

    মালিয়ান কর্তৃপক্ষ এবং MINUSMA-এর মধ্যে আস্থার সংকট সৃষ্টি হয়েছে বলেও জোর দিয়ে ডিওপ বলেন, “এসব কারণে মালি সরকার চায় MINUSMA কে বিলম্ব না করে এখান থেকে প্রত্যাহার করা হোক।”

    তবে জেএনআইএমের চতুর্মুখি চাপে এবং মুজাহিদদের সাথে আলোচনা শুরু করার তাগিদে অনেকটা বাধ্য হয়েই জান্তা সরকার এই সিদ্ধান্তে উপনিত হয়েছে বলে বিভিন্ন নিরপেক্ষ মাধ্যমের বিশ্লেষণে অনুমান করা যাচ্ছে।

    এসময় জাতিসংঘে ফরাসী রাষ্ট্রদূত নিকোলাস ডি রিভিয়ের বলেছেন যে, মিনুসমা এবং মালিয়ান কর্তৃপক্ষের মধ্যে সংলাপ সত্ত্বেও, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীরা এখনও চলাচলের বিধিনিষেধের অধীন। ডি রিভিয়েরে জোর দিয়ে বলেন যে, ওয়াগনার মালিতে আসার পর থেকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা, মানবাধিকার এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন গুরুতরভাবে বেড়েছে।



    জান্তার বিবৃতি সম্পর্কে জাতিসংঘের আর্থিক দূত এবং মালি মিশনের প্রধান এল গাসিম ভেন বলেছেন যে, এটি পরিষ্কার যে শান্তিরক্ষা মিশনগুলি আয়োজক দেশের সম্মতির ভিত্তিতে পরিচালিত হয়। এটি অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং এবং অসম্ভব, যদি সে দেশের সম্মতি না থাকে।

    উল্লেখ্য যে, বর্তমানে মালিতে আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে জাতিসংঘের অধীনে বিভিন্ন দেশের ১৫ হাজারেরও বেশি সৈন্য রয়েছে। এদের মধ্যে প্রায় দেড় হাজার বাংলাদেশী সৈন্যও রয়েছে।

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      আল্লাহ্‌ তায়ালা মালি'র মুজাহীদিনদের সাহায্য করুন এবং শ্রীঘ্রই বিজয় দান করুন। আমীন

      Comment


      • #4
        ইয়া রব
        কাফেরদের তুমি পরাজিত করো
        আর আমার মুমিন ভাইদেরকে তুমি বিজয় দার করো। আমীন ।

        Comment

        Working...
        X