শাবাবের নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ জেলা: নিহত অন্তত ৫৯ শত্রুসেনা
অভিযানরত আশ-শাবাব প্রতিরোধ যোদ্ধারা
সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিশুর দক্ষিণে ৩টি সামরিক ঘাঁটিতে একযোগে অতর্কিত আক্রমণ চালিয়েছেন প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাব। এতে সোমালি স্পেশাল ফোর্সের অন্তত ৫৯ সৈন্য নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, আজ ১০ সেপ্টেম্বর রবিবার সকালে কেন্দ্রীয় সোমালিয়ার শাবেলি রাজ্যের আওডিগেলী জেলায় অবস্থিত শত্রুর প্রধান সামরিক ঘাঁটিতে অতর্কিত অভিযান চালিয়েছেন প্রতিরোধ যোদ্ধারা। তুর্কি প্রশিক্ষিত গরগর নামক সোমালি স্পেশাল ফোর্সের সামরিক ঘাঁটি ছিল এটি। অভিযানের সময় ভারী অস্ত্রের ব্যবহার করেছেন হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদিন।
মোগাদিশু প্রশাসন দাবি করেছে যে, তাদের সৈন্যরা আশ-শাবাবের আক্রমণ প্রতিহত করেছে। কিন্তু এর স্বপক্ষে প্রতিবারের মতো এবারও কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারে নি সরকার।
অপরদিকে, এই অভিযানের কয়েক ঘন্টার ব্যবধানেই আশ-শাবাব অভিযানের ফুটেজ ও হতাহত সেনাদের ছবিও প্রকাশ করেছে।
আশ-শাবাবের তথ্য অফিস থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে, আর্টিলারি আক্রমণ দ্বারা শুরু করা এই অভিযানে মোগাদিশু সরকারী বাহিনীর অন্তত ৫৯ সৈন্য নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও বড় সংখ্যায়। এছাড়াও মুজাহিদগণ কতক সৈন্যকে জীবিত অবস্থায় বন্দীও করেছেন। আর বাকি সৈন্যরা পালিয়ে যাওয়ার পর ঘাঁটি থেকে প্রচুর পরিমাণে অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং সামরিক সরঞ্জাম জব্দ করেন মুজাহিদগণ।
আশ-শাবাব প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হাতে বন্দী সোমালি সেনাদের একজন
সংবাদ মাধ্যম সোমালি-মেমো প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, মুজাহিদগণ আওডিগেলী জেলার প্রধান সামরিক ঘাঁটিতে আশ-শাবাব ও সোমালি বাহিনীর মাঝে কয়েক ঘন্টা ধরে তীব্র লড়াই চলেছে। এসময় জেলাটির নিকটতম আরও ২টি সামরিক ঘাঁটির দিকে অগ্রসর হয় প্রতিরোধ বাহিনীর অন্য ২টি ইউনিট। কিন্তু ঘাঁটিগুলোতে মুজাহিদগণ পৌঁছার আগেই সেনারা খবর পায় যে, প্রধান সামরিক ঘাঁটি শাবাবের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে এবং তাঁরা এদিকেও অগ্রসর হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে সেনারা তাদের জীবন বাঁচাতে আগেভাগেই ঘাঁটি ২টি ছেড়ে পালিয়ে যায়। ফলে মুজাহিদগণ বিনা যুদ্ধে এদিন আরও ২টি সামরিক ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নেন।
আওডিগেলী জেলা শহরের ম্যাপ
বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, জেলার ৩টি সামরিক ঘাঁটিই হারাকাতুশ শাবাবের নিয়ন্ত্রণে চলে আসায় পুরো জেলাটিই মোগাদিশু প্রশাসনের হাতছাড়া হয়ে গেছে। গুরত্বপূর্ণ এই জেলাটি রাজধানী মোগাদিশু থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত।
উল্লেখ্য যে, আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামি প্রতিরেধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন সম্প্রতি জাতিসংঘ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, কাতার সহ অনেক ইউরোপীয় দেশ দ্বারা সমর্থিত মোগাদিশু প্রশাসনকে উৎখাত করার জন্য তাদের অভিযান তীব্রতর করেছেন। ফলশ্রুতিতে প্রতি সপ্তাহেই অনেক এলাকা, শহর ও সামরিক ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ চলে যাচ্ছে আশ-শাবাবের হাতে। আর মোগাদিশু প্রশাসনের অসংখ্য সৈন্যও হতাহত হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
অভিযানরত আশ-শাবাব প্রতিরোধ যোদ্ধারা
সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিশুর দক্ষিণে ৩টি সামরিক ঘাঁটিতে একযোগে অতর্কিত আক্রমণ চালিয়েছেন প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাব। এতে সোমালি স্পেশাল ফোর্সের অন্তত ৫৯ সৈন্য নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, আজ ১০ সেপ্টেম্বর রবিবার সকালে কেন্দ্রীয় সোমালিয়ার শাবেলি রাজ্যের আওডিগেলী জেলায় অবস্থিত শত্রুর প্রধান সামরিক ঘাঁটিতে অতর্কিত অভিযান চালিয়েছেন প্রতিরোধ যোদ্ধারা। তুর্কি প্রশিক্ষিত গরগর নামক সোমালি স্পেশাল ফোর্সের সামরিক ঘাঁটি ছিল এটি। অভিযানের সময় ভারী অস্ত্রের ব্যবহার করেছেন হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদিন।
মোগাদিশু প্রশাসন দাবি করেছে যে, তাদের সৈন্যরা আশ-শাবাবের আক্রমণ প্রতিহত করেছে। কিন্তু এর স্বপক্ষে প্রতিবারের মতো এবারও কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারে নি সরকার।
অপরদিকে, এই অভিযানের কয়েক ঘন্টার ব্যবধানেই আশ-শাবাব অভিযানের ফুটেজ ও হতাহত সেনাদের ছবিও প্রকাশ করেছে।
আশ-শাবাবের তথ্য অফিস থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে, আর্টিলারি আক্রমণ দ্বারা শুরু করা এই অভিযানে মোগাদিশু সরকারী বাহিনীর অন্তত ৫৯ সৈন্য নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও বড় সংখ্যায়। এছাড়াও মুজাহিদগণ কতক সৈন্যকে জীবিত অবস্থায় বন্দীও করেছেন। আর বাকি সৈন্যরা পালিয়ে যাওয়ার পর ঘাঁটি থেকে প্রচুর পরিমাণে অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং সামরিক সরঞ্জাম জব্দ করেন মুজাহিদগণ।
আশ-শাবাব প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হাতে বন্দী সোমালি সেনাদের একজন
সংবাদ মাধ্যম সোমালি-মেমো প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, মুজাহিদগণ আওডিগেলী জেলার প্রধান সামরিক ঘাঁটিতে আশ-শাবাব ও সোমালি বাহিনীর মাঝে কয়েক ঘন্টা ধরে তীব্র লড়াই চলেছে। এসময় জেলাটির নিকটতম আরও ২টি সামরিক ঘাঁটির দিকে অগ্রসর হয় প্রতিরোধ বাহিনীর অন্য ২টি ইউনিট। কিন্তু ঘাঁটিগুলোতে মুজাহিদগণ পৌঁছার আগেই সেনারা খবর পায় যে, প্রধান সামরিক ঘাঁটি শাবাবের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে এবং তাঁরা এদিকেও অগ্রসর হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে সেনারা তাদের জীবন বাঁচাতে আগেভাগেই ঘাঁটি ২টি ছেড়ে পালিয়ে যায়। ফলে মুজাহিদগণ বিনা যুদ্ধে এদিন আরও ২টি সামরিক ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নেন।
আওডিগেলী জেলা শহরের ম্যাপ
বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, জেলার ৩টি সামরিক ঘাঁটিই হারাকাতুশ শাবাবের নিয়ন্ত্রণে চলে আসায় পুরো জেলাটিই মোগাদিশু প্রশাসনের হাতছাড়া হয়ে গেছে। গুরত্বপূর্ণ এই জেলাটি রাজধানী মোগাদিশু থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত।
উল্লেখ্য যে, আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামি প্রতিরেধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন সম্প্রতি জাতিসংঘ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, কাতার সহ অনেক ইউরোপীয় দেশ দ্বারা সমর্থিত মোগাদিশু প্রশাসনকে উৎখাত করার জন্য তাদের অভিযান তীব্রতর করেছেন। ফলশ্রুতিতে প্রতি সপ্তাহেই অনেক এলাকা, শহর ও সামরিক ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ চলে যাচ্ছে আশ-শাবাবের হাতে। আর মোগাদিশু প্রশাসনের অসংখ্য সৈন্যও হতাহত হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
Comment