Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুজাহিদিন নিউজ # ২১ রবিউস সানী , ১৪৪২ হিজরী # ০৬ নভেম্বর , ২০২০ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুজাহিদিন নিউজ # ২১ রবিউস সানী , ১৪৪২ হিজরী # ০৬ নভেম্বর , ২০২০ঈসায়ী।

    মালি | মুজাহিদদের হামলায় অন্তত ৩২ আইএস সন্ত্রাসী নিহত, বন্দী আরো ১০



    মালিতে সন্ত্রাসী গ্রুপ আইএস সদস্যদের উপর আল-কায়েদা মুজাহিদদের হামলা, মুজাহিদদের হাতে ৩২ আইএস সন্ত্রাসী নিহত, বন্দী হয়েছে আরো ১০ আইএস সন্ত্রাসী।

    পশ্চিম আফ্রিকার একজন সিনিয়র সাংবাদিক ‘হুসাইন এজি’ গত ৪ ডিসেম্বর তার টুইটার একাউন্টে লিখেন, সম্প্রতি মালির ইন্দিলমান অঞ্চলে সন্ত্রাসী গ্রুপ আইএস ও আল-কায়েদা মুজাহিদিনের মাঝে একটি তীব্র সংঘর্ষ হয়েছে। মূলত আল-কায়েদা তাদের নিয়ন্ত্রিত আশপাশের এলাকাগুলোতে শন্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বিভিন্ন সময় সন্দেহজনক অবস্থানগুলোতে সার্চ অপারেশন চালিয়ে থাকে। আর অনেক সময়ই এসব সার্চ অপারেশনে বেরিয়ে আসে সন্ত্রাসী আইএসদের গোপন আস্তানার সন্ধান। আর তখনই মুজাহিদগণ সন্ত্রাসী দলটির গোপন আস্তানাগুলোতে হামলা চালান।

    এরই ধারাবাহিতায় সম্প্রতি ইন্দিলমান অঞ্চলেও সার্চ অপারেশনের সময় সন্ধান মিলে আইএস সন্ত্রাসীদের একটি গোপন আস্তানার। এসময় আল-কায়েদা মুজাহিদিন ও আইএস সন্ত্রাসীদের মাঝে তীব্র সংঘর্ষ হয়, যার ফলে মুজাহিদদের হামলায় অন্ততপক্ষে ৩২ আইএস সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। অপরদিকে মুজাহিদদের হাতে জীবিত বন্দী হয়েছে আরো ১০ আইএস সন্ত্রাসী।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    মালি | কুরআনের আয়াত নিয়ে উপহাস, আল-কায়েদার কঠিন হুঁশিয়ারি

    কিছুদিন পূর্বে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালির একটি অঞ্চলের উপজাতীয় এক নেতা কুরআনুল কারীমের শরয়ি বিধানসংবলিত একটি আয়াত (নুসুস) নিয়ে উপহাস করেছিল। যার প্রেক্ষিতে আল-কায়েদা পশ্চিম আফ্রিকা শাখা জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন কঠিন হুঁশিয়ারিমূলক একটি বার্তা প্রকাশ করেছেন।

    বার্তাটিতে আল-কায়েদার তাম্বুকটু ইসলামিক রাজ্যের ওয়ালি (গভর্নর) শাইখ তলহা হাফিজাহুল্লাহ্ মালির ‘আইয়াশ ও আল-কুরী’ নামক দুটি গোত্রকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমাদের নিকট এই সংবাদ এসেছে যে, আপনাদের উপজাতীয় এক নেতা আকদবিয়া শরিয়াহ্’র বিধানসংবলিত একটি আয়াত নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করেছে। তাই আমরা জামা’আত নুসরাতুল ইসলামের তাম্বুকটু রাজ্য থেকে তার রক্ত হালাল হবার পর শেষবারের মতো সতর্ক এবং হুঁশিয়ার করে দিচ্ছি, যাতে সে এর থেকে বিরত থাকে। যদি দ্বিতীয়বার সে কুরআন বা দ্বীনের কোনো বিষয়ে উপহাস করে, তাহলে আমরা তার উপর শরয়ি বিধান কার্যকর করতে বাধ্য হবো। আমরা আপনাদের উভয় গোত্রের শুভাকাঙ্ক্ষী। তাই আপনাদেরকে নসিহত করছি যে, আপনারা আকদবিয়া নামক উক্ত ব্যাক্তিকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনুন।

    আর আমরা যদি গণমাধ্যম বা অন্যকোনো মাধ্যমে ইসলাম বিষয়ে তার বিদ্রূপের পুনরাবৃত্তি শুনতে পাই, তাহলে দ্বিতীয়বার সে আর কথা বলার উপযুক্ত থাকবে না।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ও আল্লাহ্ আইএস সন্ত্রাসী
      আর কত দিন থাববে!
      আল্লাহ্ দুনিয়া থেকে তাদের
      নাম নিশানা মুছে দিন আমীন।

      Comment


      • #4
        এইএস ও আলকায়দার ভাইদের মধ্যে এই মারামারি বন্ধ করার জন্য একটা সমাধান দরকার। সবাই মুজাহিদ, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এক সাথে জিহাদ করা দরকার।

        আল্লাহ তুমি এমন এক দর্শনের সূচনা করে দাও, যার দ্বারা আইএস ও আলকায়দা ভাইদের সাড়ি একত্রিত হয়ে যাবে ইন শা আল্লাহ। আমীন। আমীন। আমীন।

        Comment


        • #5
          Originally posted by alyaumul jadeed View Post
          এইএস ও আলকায়দার ভাইদের মধ্যে এই মারামারি বন্ধ করার জন্য একটা সমাধান দরকার। সবাই মুজাহিদ, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এক সাথে জিহাদ করা দরকার।

          আল্লাহ তুমি এমন এক দর্শনের সূচনা করে দাও, যার দ্বারা আইএস ও আলকায়দা ভাইদের সাড়ি একত্রিত হয়ে যাবে ইন শা আল্লাহ। আমীন। আমীন। আমীন।
          মুহতারাম ভাই!
          এই মারামারির জন্য আল কায়দা দায়ী নয়।আই এস কর্তৃক খলিফাকে খলিফা হিসাবে মেনে না নেওয়ার কারনে তারা আল কায়দা সহ সকল মুজাহিদদেরকে তাকফির করে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে শামে, ইয়ামানে, আফগান সহ বিভিন্ন জায়গায়। ফলস্বরুপ আল কায়দার ভায়েরা আত্মরক্ষার খাতিরে লড়াই করছেন মাত্র।
          আর কিভাবে বাগদাদী আই এস এর খলিফা হতে যখন আমিরুল মুমিনিন বিদ্যমান ছিলেন।
          দাওয়াহ,ইদাদ ও জিহাদের মাধ্যমে ইসলামি খিলাফাহ কায়েম হবে ইনশাআল্লাহ।

          Comment


          • #6
            মুহতারাম ভাই।

            বিষয়গুলা আশলে এত সোজাসাপ্টা না। আমি নিজেও এই এক বছরের কম সময় আগেও আইএস ও হিজবুত তাহরীরের মত নন-আলকায়দা গ্রুপগুলার ব্যাপারে এমন anti mentality নিয়ে থাকতাম। কিন্তু আল্লাহর ইচ্ছায় এখন বিষয়গুলা আমার কাছে অন্যরকম।

            বিষয়টা হচ্ছে ভাই, কেবল এক পক্ষকে সাধারণত কখনও সব দোষ দেয়া যায় না, বিশেষত এই ফিতনার যুগে। কথায় বলে, এক হাতে তালি বাজে না। হ্যাঁ, কারও ভুল কম, কারও ভুল বেশি হতে পারে।

            এই দেখেন কয় বছর আগে আহরার FSA এদের নিয়ে আইএস কত ঝামেলা করল। জাবহাত আহরার FSA এর পক্ষ নিল। রাশিয়া এসে আলেপ্প গুড়িয়ে দিল। এখন ওই আহরার FSA জাবহাতের এক অংশ মিলেই HTS বানালো। এখন সেই HTS আলকায়দার মুজাহিদদের ধরছে ও ধরিয়া দিচ্ছে। এখন এই HTS এর সদস্যদের খাইন গাদ্দার বলা হচ্ছে। এখন কয় বছর আগে ফিরে যান, ময়দানে নিজেকে আইএসের একজন মুজাহিদ হিসাবে কল্পনা করুন, আপনি দেখতে পাচ্ছেন এই বদমাইশ আহরার হচ্ছে একটা national moderate সরকারের জন্য তুর্কির সাহায্যে যুদ্ধ করছে, এই FSA একটা গণতান্ত্রিক সমাধান চায়। এরা মিলে আধা-গণতান্ত্রিক আধা ইসলামী একটা সরকার গঠন করবে। তাহলে লাভ কি, আমার state আছে। আমি state expand করে এদের জমিন দখল করে ফেলি। কিন্তু এরা প্রতিরোধ করল, লড়াই হলো, তখন জাবহাত গেল এদের পক্ষে। তখন কেমন লাগবে? এত সোজা না ভাই, বিষয়গুলা কখনই এত সোজা না।

            আর আইএস কখনও “আলকায়দা সহ সকল মুজাহিদদের তাকফীর করে” নাই ভাই। লড়াই করছে, কিন্তু লড়াই করা মানেই তাকফীর করা না। আর এক ফিল্ডের লড়াই অন্য ফিল্ডের মেম্বারদের লড়াই বুঝায় না, আবার সেই লড়াই তাত্ত্বিক তাকফীর বুঝায় না। তবে হ্যাঁ, লড়াই করছে, যেটা না করলেই ভাল হতো। এবং আলকায়দাও প্রতিরোধ করছে। আইএসের মধ্যে খারিজী আছে, এটা তারা নিজেও স্বীকার করছে, কিন্তু এর মানে এই না যে পুরা দলটাই খারিজী।

            মূল বিষয় হচ্ছে বর্তমনে উম্মতের সমস্যারগুলার জন্য একটা সার্বিক সমাধানের অভাব, যার ফলে বিভিন্ন দল বিভক্ত হয়ে আছে। সবাই এক হতে পারছে না। অথচ প্রত্যেকেই আল্লাহকে খুশি করার জন্য জান-মাল কুরবান করতে চেষ্টা করছে আলহামদুলিল্লাহ।

            আলকায়দার ভাই ও শায়খরা যেমন ত্যাগ-কুরবানি করে গেছেন ও যাচ্ছেন, তেমনই আইএসের ভাই ও শায়খরাও তেমনই ত্যাগ-কুরবানি করে গেছেন, একইভাবে হিজবুত তাহরীর ও আরও অনেক দলের ক্ষেত্রে। উম্মত এক ফিতনায় আছে ভাই।

            আলী রা ও মু'আউইয়া রা এর মধ্যে সাধারণ একটা বিষয় নিয়ে এত বড় একটা ফিতনা হলো, এর মধ্যেও খারিজীরা মু'আউইয়া রা আর আলী রাকে তাকফীর করে দিলো। কিন্তু আশলে কি ভাই?

            হ্যাঁ, ঠিক কে ছিল? আলী রা। তাহলে কি ম'আউইয়া রা কে আমরা তিরস্কার করি? হ্যাঁ, উচিত ছিল আলী রা এর সাথে ঝামেলা না করা, কিন্তু তাই বলি কি এখন দোষারোপ করব? না।

            তো এখন দেখেন, উম্মতের এতগুলা সিংহ শাবক, ইরাক-সিরিয়ায় যুদ্ধ করল, বাংলাদেশে কাজ করতেছে, ধরা খাইতেছে। কুরবানি দিতেছে, অথচ আমরা তাদেরকে আপন মনে করতে পারি না।

            এর চেয়ে বড় ফিতনা উম্মতে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ আর কি হতে পারে?
            লাখ লাখ আইএস সাপোর্টার ও মুজাহিদ, এদেরকে মোটাদাগে এক শব্দে ট্যাগ দিয়ে দেয়া হচ্ছে, খারিজী। এভাবে এই উম্মত চলতে পারে না, এই জিহাদ এক ইঞ্চি আগাতে পারে না। ফিতনা কেবল বেড়েই চলবে।

            আমাদের দোয়া ও প্রচেষ্টা করা উচিত, কিভাবে এই দলগুলার বিরোধ মিমাংসা করে সবাইকে এক প্ল্যাটফর্মে আনা, এবং সেজন্য সার্বিক একটা সমাধানের ব্যাবস্থা করা যায়, যার উপর সব সত্যবাদী দলই খুশি হয় ইন শা আল্লাহ।

            আল্লাহ মুজাহিদীনের সাড়িগুলাকে একত্রিত করুক, এবং এর দ্বারা আলমালহামতুল কুবরার সূচনা করুক। আমীন।

            Comment


            • #7
              মুহতারাম ভাই।

              //আর আইএস কখনও “আলকায়দা সহ সকল মুজাহিদদের তাকফীর করে” নাই ভাই। লড়াই করছে, কিন্তু লড়াই করা মানেই তাকফীর করা না। আর এক ফিল্ডের লড়াই অন্য ফিল্ডের মেম্বারদের লড়াই বুঝায় না, আবার সেই লড়াই তাত্ত্বিক তাকফীর বুঝায় না। তবে হ্যাঁ, লড়াই করছে, যেটা না করলেই ভাল হতো। এবং আলকায়দাও প্রতিরোধ করছে। আইএসের মধ্যে খারিজী আছে, এটা তারা নিজেও স্বীকার করছে, কিন্তু এর মানে এই না যে পুরা দলটাই খারিজী।//

              এই তথ্যটি ভুল, তারা আল কায়েদা, আল কায়েদা আমীর, আল কায়েদার অন্যান্য শাখা, তালিবান, জাইশুল ফাতহ ইত্যাদি জিহাদি দলকে তাকফির করেছে। তারা হামাস, ইখওয়ান, জামাআতে ইসলামি ও সকল ইসলামি গণতান্ত্রিকদের তাকফির করেছে। পড়ুন- দাউলার আসল রূপ, পৃষ্ঠা- ৪৩- ৬৩ পৃষ্ঠা




              //আলী রা ও মু'আউইয়া রা এর মধ্যে সাধারণ একটা বিষয় নিয়ে এত বড় একটা ফিতনা হলো, এর মধ্যেও খারিজীরা মু'আউইয়া রা আর আলী রাকে তাকফীর করে দিলো। কিন্তু আশলে কি ভাই?

              হ্যাঁ, ঠিক কে ছিল? আলী রা। তাহলে কি ম'আউইয়া রা কে আমরা তিরস্কার করি? হ্যাঁ, উচিত ছিল আলী রা এর সাথে ঝামেলা না করা, কিন্তু তাই বলি কি এখন দোষারোপ করব? না।

              তো এখন দেখেন, উম্মতের এতগুলা সিংহ শাবক, ইরাক-সিরিয়ায় যুদ্ধ করল, বাংলাদেশে কাজ করতেছে, ধরা খাইতেছে। কুরবানি দিতেছে, অথচ আমরা তাদেরকে আপন মনে করতে পারি না। //

              এই উদাহরণ ভুল ভাই- কারণ এরা দলগুতভাবেই অন্যায় তাকফির করেছে। এবং তাদের এই তাকফিরের বিরোধিতা তাদের কোন আমীর বা শরঈ করেছে বলে আমাদের জানা নেই, আপনার জানা থাকলে জানাবেন অনুগ্রহ করে। সুতরাং দলগতভাবেই অন্য দলকে তাকফির করে, তাকফিরের ওজর মানে না, তাদের উদাহরণ সাহাবাদের সাথে কিভাবে হতে পারে?
              শুধু বিরোধিতা করা এক জিনিস, আর তাকফির করে বিরোধিতা ও হত্যা করা আরেক জিনিস।


              // এর চেয়ে বড় ফিতনা উম্মতে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ আর কি হতে পারে?
              লাখ লাখ আইএস সাপোর্টার ও মুজাহিদ, এদেরকে মোটাদাগে এক শব্দে ট্যাগ দিয়ে দেয়া হচ্ছে, খারিজী। এভাবে এই উম্মত চলতে পারে না, এই জিহাদ এক ইঞ্চি আগাতে পারে না। ফিতনা কেবল বেড়েই চলবে। //
              সংখ্যা বড় কথা না, ব্যাপক আকারে খারেজি হওয়ার প্রমাণ নিকটবর্তী সময়ে আলজেরিয়াতেও হয়েছে। যারা সামান্য ক্ষমতা পেয়েই আল্লাহর দ্বীনের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করেছে।

              //আমাদের দোয়া ও প্রচেষ্টা করা উচিত, কিভাবে এই দলগুলার বিরোধ মিমাংসা করে সবাইকে এক প্ল্যাটফর্মে আনা, এবং সেজন্য সার্বিক একটা সমাধানের ব্যাবস্থা করা যায়, যার উপর সব সত্যবাদী দলই খুশি হয় ইন শা আল্লাহ। //

              এর একটাই সুরত, আর তা হল আহলুস সুন্নাহর মানহাজে ফিরে আসা, আর এটা সম্ভব হবে ইলম অর্জন ও তাকওয়ার মাধ্যমে...আর বাস্তবতা হল আকিদা মানহাজের বিশাল পার্থক্য নিয়ে ঐক্য আদৌ সম্ভব না!
              Last edited by আবু আব্দুল্লাহ; 12-10-2020, 06:56 AM.

              Comment


              • #8
                // এই দেখেন কয় বছর আগে আহরার FSA এদের নিয়ে আইএস কত ঝামেলা করল। জাবহাত আহরার FSA এর পক্ষ নিল। রাশিয়া এসে আলেপ্প গুড়িয়ে দিল। এখন ওই আহরার FSA জাবহাতের এক অংশ মিলেই HTS বানালো। এখন সেই HTS আলকায়দার মুজাহিদদের ধরছে ও ধরিয়া দিচ্ছে। এখন এই HTS এর সদস্যদের খাইন গাদ্দার বলা হচ্ছে। এখন কয় বছর আগে ফিরে যান, ময়দানে নিজেকে আইএসের একজন মুজাহিদ হিসাবে কল্পনা করুন, আপনি দেখতে পাচ্ছেন এই বদমাইশ আহরার হচ্ছে একটা national moderate সরকারের জন্য তুর্কির সাহায্যে যুদ্ধ করছে, এই FSA একটা গণতান্ত্রিক সমাধান চায়। এরা মিলে আধা-গণতান্ত্রিক আধা ইসলামী একটা সরকার গঠন করবে। তাহলে লাভ কি, আমার state আছে। আমি state expand করে এদের জমিন দখল করে ফেলি। কিন্তু এরা প্রতিরোধ করল, লড়াই হলো, তখন জাবহাত গেল এদের পক্ষে। তখন কেমন লাগবে? এত সোজা না ভাই, বিষয়গুলা কখনই এত সোজা না।//

                আপনার এই তথ্য ভুল ভাই- মুল ঘটনা পড়ুন-

                কিন্তু আইএস তাদের একক আধিপত্য পাকাপোক্ত করার জন্য বিভিন্ন বিদ্রোহী দলের অনেক নেতাকে গোপনে হত্যা করে। প্রথমদিকে কেউ বুঝতো না। যখন দুয়েকটা প্রকাশ পেয়েছে,তখন তারা এটা ভুলক্রমে হয়েছে বলে দাবী করেছিলো। কিন্তু বার বার হওয়ার পর এবং অন্যান্য আসাদ বিরোধী দলগুলোর উপর আইএস হামলা করার কারণে একপর্যায়ে সিরিয়ার বিভিন্ন দল মিলে আইএসের উপর হামলা চালায়। কিন্তু জাবহাতুন নুসরাহ এক্ষেত্রে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে এবং আইএসের ভাইদের সহায়তা করে,যা আইএসের শামের শার’য়ী তার অফিসিয়াল বার্তায় স্বীকার করেছেন ।

                একপর্যায়ে আইএস জাবহাতুন নুসরার বেশ কিছু মুজাহিদকেও হত্যা করে। অতঃপর জাবহাতুন নুসরার আমীর অফিসিয়াল বার্তা দেন, সবাই যেনো নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধ করে মীমাংসার দিকে অগ্রসর হন। এক্ষেত্রে সব গ্রুপ রাজী হলেও আইএস রাজী হয়নি। উল্টো আইএস বিভিন্ন জায়গায় সিরিয়ার বিভিন্ন বিদ্রোহী গ্রুপের উপর গাড়ী বোমা হামলা চালাতে শুরু করে।

                জাবহাতুন নুসরার রাক্কার আমীরকে মুরতাদ বলে আইএস হত্যা করেছে। এছাড়া রাক্কাসহ সিরিয়ার বিভিন্ন জায়গায় জাবহাতুন নুসরার বহু মুজাহিদকে আইএস হত্যা করলো। আর অন্যান্য দলগুলোর সাথেতো আইএসের যুদ্ধ চলতেই লাগলো। ইতোমধ্যে শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরী হাফিঃ এর পক্ষ থেকে নিজেদের মধ্যে লড়াই বন্ধ করার জন্য কত অনুরোধ করে বার্তা দেয়া হলো ! সবাই রাজী হয় কিন্তু আইএস রাজী হয়নি ।

                আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে তার মধ্যে আমেরিকার মদদপুষ্ট কিছু দলও ছিলো,যাদেরকে জাবহাতুন নুসরা পরে ঠেঙ্গানী দিয়েছে এবং অনেককে নির্মূল করেছে। যেমনঃ জামাল মারুফের এসআরএফ(সিরিয়ান রেভ্যুলুশনারি আর্মি),হাযম মুভমেন্ট এবং জর্ডানে মার্কিন তদারকীতে প্রশিক্ষণ নেয়া কিছু মার্কিন তাবেদার ভাড়াটে।

                তারপর জাবহাতুন নুসরার আমীর আইএসকে লক্ষ্য করে মীমাংসায় আসার জন্য ৫ দিনের আল্টিমেটাম দেন কিন্তু আইএস এবারও রাজী হয়নি।

                আইএস এবারও কোনো মীমাংসায় সাড়া দেয়নি। এরপর আইএস জাবহাতুন নুসরাসহ অন্যান্য দলকে আস্তে আস্তে তাকফীর অর্থাৎ মুরতাদ আখ্যা দিয়ে যুদ্ধ করতে থাকে। কিন্তু আইএস যে অন্যান্য দলকে তাকফীর করে প্রথমদিকে স্বীকার করতো না। বলতো, না, “আমরা তাকফীর করিনা”। যেমন আহরার আশ-শামের ক্ষেত্রেই বলতো। এব্যাপারে তাদের অফিসিয়াল বার্তাও আছে। এছাড়া তালিবানদের ক্ষেত্রেও আইএস তাকফীর করে না এমন অফিসিয়াল বার্তা আছে ! অথচ পরবর্তীতে আইএস স্পষ্টভাবে তালিবানকে তাকফীর করেছে !

                আল-কায়েদার সেন্ট্রাল কমান্ড ২০১৪ সালের ০২ ফেব্রুয়ারি আইএসের সাথে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করে। কারণ তারা মুসলিমদের রক্ত প্রবাহিত করছে এজন্য। অতঃপর আইএস ইরাকে মসূলসহ বিভিন্ন শহর দখল করে নিয়ে খিলাফাহ ঘোষণা করে দেয় ২০১৪ সালের ২৯ জুন।

                এবার তারা আস্তে আস্তে প্রকাশ্যে সিরিয়ার বিভিন্ন দলকে মুরতাদ বলতে থাকে। একপর্যায়ে জাবহাতুন নুসরাহকে মুরতাদ আখ্যা দেয় আইএস, তাও অফিসিয়ালি,তাদের পত্রিকা দাবিক্বের মাধ্যমে।

                তারপর আইএস একে একে বিভিন্ন দেশে যেখানে আল-কায়েদা আছে,সেখানে তাদের শাখা খোলার ঘোষণা দেয় এবং সেসব দেশ থেকে কিছু মুজাহিদ আইএসের সাথে যোগও দেয়। এবার আইএস আফগানিস্তান ও পাকিস্তানেও তাদের শাখা ঘোষণা দেয়। অতঃপর আইএস তালিবানদের সাথে ঝামেলা বাঁধায়।

                আরও পড়ুন- গ্লোবাল জিহাদ থেকে আইএসের বিচ্ছিন্নতা ও বিপথগামীতার টাইমলাইন
                লিংক- ১ https://justpaste.it/8e5hj
                লিংক- ২ https://archive.vn/KVc0T

                Comment


                • #9
                  // আইএসের মধ্যে খারিজী আছে, এটা তারা নিজেও স্বীকার করছে, কিন্তু এর মানে এই না যে পুরা দলটাই খারিজী। //
                  আমরা মনে করি আইএস দলগতভাবে খারেজি, তবে তাদের মধ্যে এমন অনেক লোক রয়েছে, যারা খারেজি আকিদা লালন করে না, তারা জিহাদ খিলাফত ইত্যাদি বিষয়ের কারণে তাদের সাপোর্ট করে। তবে আমরা তাদেরকেও অপরাধী মনে করি, কেন তারা শরীয়তের ইলম যথাযথ অর্জন না করে তাদের সাপোর্ট করলো? কেন তাদের কাজকর্ম শরীয়তের নিক্তিতে বিচার করলো না!

                  Comment


                  • #10
                    আরও পড়ুন-
                    দায়েশ ও খাওয়ারিজ আর্কাইভ
                    আইএস বা কথিত ইসলামিক স্টেট সম্পর্কিত বিশ্ববরেণ্য আলিম-উলামা, গবেষক ও মুজাহিদিনে কেরামের অডিও-ভিডিও, লিখনি ও রচনাবলীর বিশাল বাংলা সংকলন


                    দাউলার আসল রূপ – উস্তাদ আবু ইয়াহইয়া আহমাদ নাবিল হাফিজাহুল্লাহ

                    Comment


                    • #11
                      আইয়ামুল জিহাদ! [[ ভাইজান ]] একটি দল নির্বিচারে মুমিনদের হত্যা করে দিচ্ছে আর আমাদেরকে তাদের প্রতি সহনশীল হওয়ার কথা বলছেন!!!!!? আল্লাহকে ভয় করুন, আল্লাহকে ভয় করুন। মুমিনদের হত্যা করা এ কাজটি আইএসই শুরু করেছে। জিহাদের ময়দানে ফিতনার সৃষ্টি এ কাজটিও তো,আইএসের মাধ্যমে হয়েছে। তাকফির খুবই কঠিন বিষয়, কিন্তু আইএসেত সাধারণ গাইরে আলুমরাও ঢালাওভাবে তাকফির করা শুরু করে দিয়েছে। ওরা যদি হত্যা না করত তাহলে আল কায়েদা কখনোই ওদের হত্যা করত না। ওরা আল কায়েদার বহু আমিরকে হত্যা করেছে। আল কায়েদার ভাইদের হত্যা করে ভিডিওও ছেড়েছে!!! এ হচ্ছে ওদের জিহাদ। আমরা এ-ই ফোরামের আইএসের পক্ষে কথা বলি না, কেউ বলুক সেটাও চাই না।
                      আল্লাহ, আমাকে মুজাহিদ হিসেবে কবুল করুন আমীন।

                      Comment


                      • #12
                        জাযাকাল্লাহ আবু আব্দুল্লাহ ভাই।

                        দাউলার আশল রূপ ৪৩-৬৩ পৃষ্ঠা চোখ বুলালাম আলহামদুলিল্লাহ। হ্যাঁ, কিছু বাড়াবাড়ি আছে। কিছু আছে জানতাম, তবে আগে এগুলা পড়া হয় নাই। তবে আলকায়দারও কিছু ভুল আছে, সেটা আর আলোচনায় গেলাম না।

                        আইএসের বিষয়ে আমি আরও পড়াশুনা, চিন্তাভাবনা, observation ও কোনো ভাইয়ের সাথে আলোচনা করব ইন শা আল্লাহ।

                        Comment


                        • #13
                          আইয়ামুল জিহাদ, ভাইজান। দলিল প্রমাণসহ উল্লেখ্য করলে ভালো হয়। মুমিনদের প্রতি সহনশীল হওয়া কুরআনের নির্দেশ। আল্লাহ আমাদের হক্বের উপর অটল রাখুন আমীন। [[ আল কায়েদা এটি তো,শব্দ বা নাম, ]] মুসলিমরা চাইলে এ-ই নামও বাদ দেয়া যাবে, জিহাদ তো মুসলিমরাই করে। শুধু কাজের নিজামের সুবিধার্তে একটি নাম রাখা হয়েছে, এবং কিছু নিয়ম কানুন যা কুরআন সুন্নাহ'র সাথে মিল রাখে]] মুজাহিদ ভাইদের দ্বারা ভুল হয়ে যাওয়া স্বাভাবিক, ভুল হলে ভুলগুলো শরয়ী আদালতে তুলা হবে, কিন্তু কিছু লো ক তো আছে শরয়ী আদালতেও আসতে চাই না।
                          والیتلطف ولا یشعرن بکم احدا٠انهم ان یظهروا علیکم یرجموکم او یعیدو کم فی ملتهم ولن تفلحو اذا ابدا

                          Comment


                          • #14
                            Originally posted by আবু আব্দুল্লাহ View Post
                            // আইএসের মধ্যে খারিজী আছে, এটা তারা নিজেও স্বীকার করছে, কিন্তু এর মানে এই না যে পুরা দলটাই খারিজী। //
                            আমরা মনে করি আইএস দলগতভাবে খারেজি, তবে তাদের মধ্যে এমন অনেক লোক রয়েছে, যারা খারেজি আকিদা লালন করে না, তারা জিহাদ খিলাফত ইত্যাদি বিষয়ের কারণে তাদের সাপোর্ট করে। তবে আমরা তাদেরকেও অপরাধী মনে করি, কেন তারা শরীয়তের ইলম যথাযথ অর্জন না করে তাদের সাপোর্ট করলো? কেন তাদের কাজকর্ম শরীয়তের নিক্তিতে বিচার করলো না!
                            মুহতারাম,,,, খেলাফত বনাম জাহালত নামে একটা বই আছে। যেখানে আইএসের খেলাফত নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনারা যদি বইটার দলীলভিত্তিক জবাব লিখতেন। তাহলে ভালো হতো।

                            Comment


                            • #15
                              জী খুররাম ভাই। তবে বিষয়গুলা অনেক বিস্তারিত। আইএসের বাড়াবাড়ির বিষয়ে কথা বলার তেমন কিছু নাই। কিন্তু দুই পক্ষেই কমবেশ আছে। আলকায়দার ভুল কোথায়, সেটা নিয়ে কথা বলতে গেলে অনেক বিস্তারিত আলোচনা। কথায় কথা বাড়তেই থাকবে, আপনার আমার কারোরই ফায়দা হবে না। তাই আল্লাহ কাছে দোয়া করি যেন বিষয়গুলা আল্লাহ আমাদের সবার কাছে স্পষ্ট করে দেন। আমীন।



                              আর আমার একাউন্টের নাম আলইয়াউমুল জাদীদ (নতুন দিন), আইয়ামুল জিহাদ না ভাই।

                              -----------------

                              [আপনি যা লিখেছেন আল কায়েদার ভুলের ব্যাপারে, এগুলোকে অপবাদ মনে করি, তাই ওগুলো মুছে দিয়েছি। আপনি প্রমাণ উপস্থাপন করে একক মাশওয়ারাতে লিখতে পারেন, আমাদের কোন জবাব থাকলে সেটা পাবেন। আর যারা এই সকল অপবাদ দেয়, তাদের ইলমি কমতি মনে করি। যারা নফসের পূজারী, তারা ছাড়া বাকিরা ইলম অন্বেষণ জারি রাখবেন ও হকের পথে অবিচল থাকবেন বলে মনে করি।
                              - মোডারেটর]

                              Comment

                              Working...
                              X