Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুজাহিদিন নিউজ#| ২৩ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরী।। ০৯ অক্টোবর, ২০২৩ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুজাহিদিন নিউজ#| ২৩ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরী।। ০৯ অক্টোবর, ২০২৩ ঈসায়ী

    ইনফোগ্রাফি || সেপ্টেম্বরে টিটিপির ১০৬ অভিযান, হতাহত ২৯২ পাকসেনা



    পাকিস্তানের বিদেশি মদদপুষ্ট বাহিনীগুলোর বিরুদ্ধে গত সেপ্টেম্বর মাসজুড়ে তীব্র আক্রমণ চালিয়েছেন তেহরিকে তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) মুজাহিদগণ। এ বিষয়ে টিটিপি একটি বিস্তারিত ইনফোগ্রাফিক সংবাদ প্রকাশ করেছে। ইনফোগ্রাফি অনুযায়ী গত সেপ্টেম্বর মাসে মোট ১০৬টি অভিযান পরিচালনা করেছে টিটিপি, যাতে মোট ২৯২ সেনা হতাহত হয়েছে।

    বিস্তারিত রিপোর্ট অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরে তেহরিকে তালেবান পাকিস্তানের মুজাহিদগণ পাকিস্তানের খায়বার পাখতুনখুয়া প্রদেশ এবং বেলুচিস্তান প্রদেশের মোট ১৭টি জেলায় পাকিস্তানী ইসলামবিরোধি বাহিনীর উপর আক্রমণ পরিচালনা করেছেন। সবচেয়ে বেশি ২৬টি অভিযান চালানো হয়েছে উত্তর ওয়াজিরিস্তানে।

    মুজাহিদগণ ২০টি অভিযান চালিয়েছেন স্নাইপার বা লেজার সাইট গান দিয়ে। অ্যাসল্ট আক্রমণ চালানো হয়েছে ১৯টি, গেরিলা আক্রমণ ১৬টি ও টার্গেটেড আক্রমণ ১৬টি, পাল্টা আক্রমণ ১৪টি, গ্রেনেড ও আইইডি বোমা বিস্ফোরণ ৯টি, অ্যাম্বুশ ৮টি এবং ৪টি মিসাইল আক্রমণ চালানো হয়েছে।

    এসকল হামলায় ১২৩ শত্রুসেনা নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে আরও ১৬৯ জন। টিটিপির প্রতিরোধ যোদ্ধাদের মাসব্যাপী অভিযানে সর্বমোট ২৯২ সেনা হতাহত হয়েছে; পাশাপাশি ৮ শত্রুসেনাকে গ্রেফতারও করেছেন তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের মুজাহিদগণ।

    টিটিপির বেশিরভাগ অভিযানের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী; ১৮৫টি হামলা চালানো হয়েছে বিদেশি মদদপুষ্ট পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর উপর। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৬টি অভিযান চালানো হয়েছে ফ্রন্টিয়ার কর্পস (এফসি) বাহিনীর উপর, ৪৩টি পুলিশ বা সিটিডির উপর এবং বাকি ১৮টি অভিযান চালানো হয়েছে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সদস্যদের উপর।

    টিটিপির নানামুখি আক্রমণে শত্রুবাহিনীর ১৩টি সামরিক যান ধ্বংস হয়েছে। এছাড়াও ১১টি গোয়েন্দা ক্যামেরা, ৭টি সামরিক পোস্ট, ২টি ড্রোন ক্যামেরা এবং বিশাল সংখ্যক সামরিক যন্ত্রপাতি ও অস্ত্রশস্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে।
    এসময় মুজাহিদগণ গণিমত হিসেবে পেয়েছেন ২টি একে-৪৭ রাইফেল, ২টি নাইট ভিশন বাইনোকুলার, ১টি রকেট লাঞ্চার, ১টি মেশিনগান,১ টি বন্দুক এবং বিভিন্ন ধরনের সামরিক যন্ত্রপাতি ও অস্ত্রশস্ত্র।

    পাকিস্তানের শারিয়াবিরোধী সেনা ও সরকারের বিরুদ্ধে বহু বছর যাবৎ লড়াই চালিয়ে আসছেন তেহরিকে তালেবানের মুজাহিদগণ। তেহরিকে তালেবান পাকিস্তানের তীব্র হামলার মুখে বার বার নতি স্বীকারমূলক আলোচনায় বসতে বাধ্য হয়েছে পাকিস্তান সরকার। ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের প্রচেষ্টায় একাধিকবার চুক্তি ও যুদ্ধবিরতি হলেও, পাকিস্তানী সেনা ও শাসকগোষ্ঠী চুক্তি ভঙ্গ করে বরাবরই ধোঁকা ও প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে। আলোচনায় আগত একাধিক টিটিপি উমারাকে ফেরার পথে হত্যা পর্যন্ত করেছে তারা। বিপরীতে শত্রুদের উপর আক্রমণের তীব্রতা বাড়িয়ে শরীয়া কায়েমের সংগ্রামকে বেগবান করেছেন তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের মুজাহিদগ

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    মধ্য সোমালিয়ায় শাবাবের অভিযান, হতাহত কমপক্ষে ১৬৮




    সোমালি সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ছেন একজন শাবাব যোদ্ধা


    সোমালিয়ার মুদুগ রাজ্যের ওয়াসিল শহরের উপকণ্ঠে সরকারী মিলিশিয়াদের একটি আক্রমণ প্রতিহত করেছেন হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন। শাবাব যোদ্ধাদের প্রতিরোধমূলক অভিযানে সরকারি মিলিশিয়া বাহিনীর কমপক্ষে ১৬৮ জন সদস্য হতাহত হয়েছে বলে একটি বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছেন আশ-শাবাবের সামরিক নেতৃত্ব। গত ১৮ রবিউল আউয়াল মোতাবেক ৪ অক্টোবর বুধবার শাবাব প্রতিরোধ যোদ্ধা এবং পশ্চিমা সমর্থিত সরকারি মিলিশিয়াদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনাটি সংঘটিত হয়।

    ঘটনার পরদিন ৫ সেপ্টেম্বর তারিখে ঘটনা সম্পর্কে শাবাব নেতৃত্বের দেওয়া বিবৃতিটি আরবি ভাষায় প্রকাশ করেছে আশ-শাবাব সংশ্লিষ্ট শাহাদাহ নিউজ এজেন্সির অফিসিয়াল সাইট।

    হামলার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আজ বুধবার মুজাহিদরা ইসলামি শরিয়া কায়েমে তাদের যুদ্ধে মধ্য সোমালিয়ার মাদাক রাজ্যের গাদায়ে এলাকায় ক্রুসেডারদের এজেন্ট ধর্মত্যাগী মিলিশিয়াদের দ্বারা শুরু করা আক্রমণ প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছেন। রাজ্যের ওয়াসিল শহরের উপকণ্ঠে বাদুইন এবং ওয়াসেল শহরের মধ্যবর্তী গাদায়ে এলাকায় তীব্র সংঘর্ষ সংঘটিত হয়। মুজাহিদরা তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকার নিরাপত্তা বাধাগ্রস্ত করার মিলিশিয়াদের প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করতে সক্ষম হয়েছেন।”

    বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “মুজাহিদগণ পূর্ব থেকেই ধর্মত্যাগীদের গতিবিধি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছিলেন। কয়েক ঘন্টা ধরে চলা সংঘর্ষের ধর্মত্যাগীরা জান-মালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি শিকার করে এবং পরাজয় বরণ করে। প্রতিরোধ যোদ্ধাদের জবাবী আক্রমণে ৯৭ জন ধর্মত্যাগী নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে, আর অন্যান্যদের মধ্যে জন আহত হয়েছে তাদের আরও ৭১ জন।”

    “ওয়াসেল শহরের উপকণ্ঠে আজকে মিলিশিয়ারা যে অভিযান শুরু করেছিল, তাতে তাদের নেতা কর্নেল আলী নাসের আবদি ফারাহ পর্যন্ত নিহত হয়েছে। যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে মিলিশিয়ারা যুদ্ধের ময়দান থেকে পালিয়ে যায়, আর ফেলে রেখে যায় কয়েক ডজন ধর্মত্যাগী সেনার লাশ।”

    “আজকের সংঘর্ষে নিহত ও আহত অফিসারদের মধ্যে নিহতদের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- অভিযানের কমান্ডার-ইন-চিফ কর্নেল আলী নাসের আবদি ফারাহ এবং গালকায়ো সিটি প্রশাসনের সচিব মো। আর আহতের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নামগুলো হলো সোমালি সেনাবাহিনীর ২১ তম কর্পসের কমান্ডার জেনারেল আবদি সালাদ, ২১ তম সেনা কোরের ১৩ তম ব্রিগেডের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল অনু বোরি এবং মুদুগ অঞ্চলের কাবুর মিলিশিয়াদের কমান্ডার আব্দুল মানান।”

    শাবাবের ইদানিংকালের অভিযানগুলোতে দেখা যাচ্ছে যে, প্রতিনিয়তই শত্রুদের অনেক উচ্চপর্যায়ের সামরিক অফিসার নিহত হচ্ছে। সামরিক দিক বিবেচনায় বলা যায়, এই বিষয়টি সক্ষমতা ও মনোবলের দিক থেকে একটি বাহিনীর দ্রুত পতন ডেকে আনে।

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment

    Working...
    X