Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুজাহিদিন নিউজ#| ২৩ রবিউল আখির, ১৪৪৫ হিজরী।। ০৮ নভেম্বর, ২০২৩ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুজাহিদিন নিউজ#| ২৩ রবিউল আখির, ১৪৪৫ হিজরী।। ০৮ নভেম্বর, ২০২৩ ঈসায়ী

    পাকিস্তানের ডেরা ইসমাইল খানে টিটিপির অভিযান জোরদার


    পাকিস্তানের কাবায়েলি অঞ্চলে জিহাদরত ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) যেসকল এলাকায় তাদের অভিযান সবচেয়ে বেশি বিস্তৃত করেছে, ডেরা ইসমাইল খান বা ডিআই খান অঞ্চল তার মধ্যে অন্যতম। এখানে ইসলামি শরিয়া কায়েমের লক্ষ্যে আন্দোলনরত মুজাহিদদের বিরুদ্ধে তাই বিদেশি মদদপুষ্ট পাকিস্তান সামরিক বাহিনীও বেশ তৎপর।

    গত ৩ নভেম্বর ডিআইখানের কালাচি জেলাস্থ টিটিপি মুজাহিদদের একটি অবস্থানে হামলা চালায় বিদেশি মদদপুষ্ট পাকিস্তানি বাহিনী। পাকিস্তান সামরিক বাহিনী সেখানে ড্রোন হামলা চালায়। ফলে সেখানে টিটিপির একজন কমান্ডার শাহাদাত বরণ করেছেন বলে জানিয়েছে টিটিপি সূত্র।

    সেখানে মুজাহিদগণ হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীর সাথে সংক্ষিপ্ত প্রতিরোধ যুদ্ধে লিপ্ত হন। ফলে অবশিষ্ট মুজাহিদ পাকিস্তানি বাহিনীর রেইড ভেঙে বের হন এবং নিরাপদ স্থানে সরে যেতে সক্ষম হন, আলহামদুলিল্লাহ্।

    এর পরদিন অর্থাৎ ৪ ডিসেম্বরেই আবার ডিআইখানের ট্যাঙ্ক জেলাস্থ গুল ইমাম পুলিশ স্টেশনে একটি অভিযান পরিচালনা করেন ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী টিটিপির মুজাহিদগণ। প্রতিরোধ যোদ্ধারা উক্ত পুলিশ স্টেশনে রকেট হামলা চালান এবং লেজার গান দ্বারা আক্রমণ করেন। ফলে ঘটনাস্থলেই এক পুলিশ সদস্য নিহত হয় এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়।

    এর পরদিন ৫ নভেম্বর তারিখে টিটিপি মুজাহিদরা আবার কালাচি জেলায় একটি পুলিশ চেকপোস্টে অভিযান পরিচালনা করেন। কালাচি জেলার রুরি এলাকাস্থ ঐ পুলিশ চেকপোস্টটিতে লেজার গান দিয়ে আক্রমণ চালান মুজাহিদগণ। এতে একজন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়। মুজাহিদগণ সেখানে নজরদারির কাজে ব্যবহৃত একটি সিকিউরিটি ক্যামেরাও ধ্বংস করে দেন।

    ৬ নভেম্বর বিকেলে আবার ডিআই খান প্রদেশেরই পারওয়া জেলায় একটি সামরিক যান লক্ষ্য করে মাইন বিস্ফোরণ ঘটান ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা। মার্বান জেলার কেরি শামুজি এলাকায় সংঘটিত ঐ মাইন বিস্ফোরণে সামরিক যানটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এবং তাতে আরোহী সেনাসদস্যরা প্রায় সকলেই হতাহতের শিকার হয়। তবে হতাহতের সুনির্দিষ্ট পরিসংখ্যান জানা যায় নি।

    পৃথক সংক্ষিপ্ত বিবৃতির মাধ্যমে ডেরা ইসমাইল খান প্রদেশে সংঘটিত উপরোক্ত প্রতিটি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের মুখপাত্র মুহাম্মাদ খুরাসানি (হাফি.)।

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    “আফগানদের প্রতিক্রিয়া জানাতে বাধ্য করবেন না” : পাকিস্তানকে সতর্ক করলেন স্টানিকজাই



    ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপমন্ত্রী শের মুহাম্মাদ আব্বাস স্টানিকজাই


    আফগান অভিবাসীদের সাথে ভালো আচরণ করতে এবং তাদেরকে দেশত্যাগে বাধ্য না করতে পাকিস্তানকে সতর্ক করেছেন ইমারতে ইসলামিয়ার পররাষ্ট্র বিষয়ক উপমন্ত্রী শের মুহাম্মাদ আব্বাস স্টানিকজাই। অন্যথায় পাকিস্তানের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া দেখাতে বাধ্য হবেন আফগানরা। ‘আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এই মন্তব্য করেন তিনি।

    স্টানিকজাই বলেন, আফগানদের প্রতিক্রিয়া জানানোর ইতিহাস লিপিবদ্ধ রয়েছে। আর এখন তো আফগানিস্তানের একটি শক্তিশালী প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র আছে।

    পাকিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আফগান অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর যে প্রক্রিয়া শুরু করেছে, তার সমালোচনাও করেছেন স্টানিকজাই। পাকিস্তানের এমন সিদ্ধান্তকে এরতরফা সিদ্ধান্ত হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন তিনি।
    তিনি জানিয়েছেন, আফগান অভিবাসীরা পাকিস্তান ছেড়ে আসার সময় তাদের সম্পদ ও মালামাল লুটপাট করছে পাকিস্তানী সেনারা। তাই তিনি পাকিস্তানকে এই বিষয়ে সতর্ক করেছেন। এভাবে চলতে থাকলে আফগানিস্তান প্রতিক্রিয়া দেখাতে বাধ্য হবে বলে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

    ইমারতে ইসলামিয়ার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পাকিস্তান বছরের পর বছর ধরে তাদের দেশে আফগান শরণার্থীদের উপস্থিতির ভিত্তিতে অর্থ এবং উচ্চমাত্রার সুযোগ-সুবিধা পেয়েছে। এখন পাকিস্তান জাতিসংঘ ও বিশ্ববাসীর আবেদনকেও উপেক্ষা করে আফগান শরণার্থীদেরকে জোরপূর্বক ফেরত পাঠাচ্ছে।

    উল্লেখ্য, পাকিস্তান সরকার ১ নভেম্বরের আগে আফগান শরণার্থীদেরকে পাকিস্তান ছাড়তে অমানবিক ও অনৈসলামিক উপায়ে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল। ইমারতে ইসলামিয়ার কান্দাহার প্রদেশের শরণার্থী ও পুনর্বাসন বিষয়ক অধিদপ্তরের তথ্য মতে, গত ৫ দিনে পাকিস্তান থেকে ৪,৫৩৩টি পরিবারের ৩১,৫৪৭ জন মানুষ আফগানিস্তানে পৌঁছেছেন। প্রত্যাবর্তনকারী আফগান অভিবাসীদের পুনর্বাসনের জন্য নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন ইমারতে ইসলামিয়া কর্তৃপক্ষ। প্রত্যাবর্তনকারীদের সহায়তা করতে একটি বিশেষ কমিশনও গঠন করেছেন ইমারতে ইসলামিয়ার সর্বোচ্চ নেতৃত্ব।



    তথ্যসূত্র:
    ——–
    1. Stanikzai Warns Pakistan Not to ‘Force Afghans to React’
    https://tinyurl.com/2t38ucd2


    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      মাদক নিয়ন্ত্রণে তালিবানের সফলতা স্বীকার করেছে জাতিসংঘ


      আফগানিস্তানে আফিম চাষ ৯৫% পর্যন্ত কমে গেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ বিষয়ক দপ্তর। ২০২২ সালের এপ্রিলে ইমারতে ইসলামিয়া সরকার সকল প্রকার মাদক দ্রব্যের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর ‘নাটকীয়ভাবে’ আফিম চাষ কমে এসেছে বলে স্বীকার করেছে সংস্থাটি।

      ইউএনওডিসি (UNODC) এর প্রতিবেদনে বলা হয়, আফগানিস্তানজুড়ে সব জায়গায় নাটকীয়ভাবে আফিম চাষের পতন হয়েছে। যেসব প্রদেশে বহু বছর যাবৎ অবৈধভাবে আফিম চাষ হয়েছে, সেখানে এখন পুরোপুরি নির্মূল করা হয়েছে আফিমের উৎপাদন। আগে যেখানে ২ লাখ ৩৩ হাজার হেক্টর জমিতে আফিম চাষ হতো, ২০২৩ সালে সেটি কমে হয়েছে ১০ হাজার ৮০০ হেক্টর। ২০২২ সালে যেখানে ৬২০০ টন আফিম সরবরাহ করা হতো, ২০২৩ সালে সেটি ৯৫% কমে হয়েছে ৩৩৩ টন।

      ইমারতে ইসলামিয়ার মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ অবশ্য বলেছেন আফগানিস্তানে বর্তমানে আফিম উৎপাদন শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে। তিনি বলেন, “আমাদের তথ্য হলো, আফিম উৎপাদন ১০০% কমেছে। গত বছরের হিসাব বিবেচনায় নিলে, আফিম তখন কিছু পার্শ্ববর্তী এলাকায় বা পাহাড়ে চাষ করা হতো। কিন্তু এখন সেগুলোও নির্মূল করা হয়েছে।”

      আফিমের বিপরীতে এখন গম চাষ করছেন আফগানিস্তানের কৃষকরা। ফারাহ, হেলমান্দ, কান্দাহার এবং নানগারহার প্রদেশে নতুনভাবে আরও ১ লাখ ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে শস্য উৎপাদন করা হচ্ছে বলেও জাতিসংঘের প্রতিবেদনে ওঠে এসেছে।

      আফগানিস্তানের দরিদ্র কৃষকদের সহায়তা প্রয়োজন। আফগানিস্তানের অর্থনীতিতে অবদান রাখতে দেশী-বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য আফগানিস্তানে এখন বিনিয়োগের উত্তম সুযোগ রয়েছে। ইমারতে ইসলামিয়া সরকারও বিনিয়োগের ব্যাপারে উৎসাহিত করেছেন এবং সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।

      উল্লেখ্য, তালিবান সরকার ১৯৯৬ সালে যখন প্রথমবার ক্ষমতায় এসে ইসামতে ইসলামিয়া গঠন করেছিলেন, তখনও আফিম উৎপাদনকে শূন্যের কোটায় নামিয়ে এনেছিলেন তাঁরা। ২০২১ সালের আগস্টে দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আরোহণের পরও ইমারতে ইসলামিয়া সকল প্রকার মাদকের মূলোৎপাটনে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। আফিমের উৎপাদন ক্ষেত্র, কারখানা ইত্যাদি ধ্বংস করার পাশাপাশি মাদকাসক্তদের রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন ইমারতে ইসলামিয়া কর্তৃপক্ষ। ফলস্বরূপ আজ আবারও আফগানিস্তানে আফিম উৎপাদন শূন্যের কোটায় নেমেছে।
      এমনকি এতদিন যারা আফগানিস্তানে আফিম উৎপাদনের পেছনে তালিবানকে দায়ী করতো, তারাই স্বীকার করতে বাধ্য হচ্ছে যে আফগানিস্তানে ইমারতে ইসলামিয়ার হস্তক্ষেপে আফিম উৎপাদন ৯৫% কমেছে।


      তথ্যসূত্র:
      1. Afghanistan opium cultivation in 2023 declined 95 per cent following drug ban: new UNODC survey
      https://tinyurl.com/26kpzbs4
      2. Opium Poppy Cultivation Declined by 95% in Afghanistan: UNODC
      https://tinyurl.com/ym9wneu2

      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        আল্লাহ্‌ তাআলা ইমারতে ইসলামিয়াহ কে শক্তিশালী করুন, পাকিস্তানসহ সারাবিশ্বের মুজাহিদদের সাহায্য ও বিজয় দান করুন, আমীন।

        Comment

        Working...
        X