• হামাস ও ইসরায়েলের মাঝে কাতারের মধ্যস্থতায় সম্পাদিত একটি চুক্তির অধীনে চলমান সংঘর্ষের মাঝে ৪ দিনের সাময়িক বিরতিতে সম্মত হয়েছে উভয় পক্ষ।
• সর্বমোট ১৩ ইসরায়েলি জিম্মি, ১০ জন থাই নাগরিক এবং একজন ফিলিপিনো নাগরিককে গাজা থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বিপরীতে ৩৯ জন ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুকে ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
• কাতারের মদ্ধস্থতায় সম্পাদিত চুক্তির অধীনে এই চার দিনে হামাস ৫০ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিবে, বিপরীতে ইসরায়েল ১৫০ জন ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দিতে সম্মত হয়েছে। এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি আরও দীর্ঘ হওয়ার সম্ভাবনা জোরালো।
• তবে, আটক ফিলিস্তিনিদের মুক্তির সময় ওফের কারাগারের বাইরে জড়ো হওয়া বন্দীদের পরিবারের সদস্যদের উপর কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ ও আক্রমণ চালিয়েছে সন্ত্রাসী ইসরায়েলি বাহিনী। এতে সেখানে ৩১ ফিলিস্তিনি আহত হয়।
• মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছে। সে আবার যুদ্ধে নিহত হাজার হাজার ফিলিস্তিনির প্রতি সমবেদনামূলক কিছু কথাও বলেছে।
• ইউএন এইডের চিফ মার্টিন গ্রিফিথ জানিয়েছেন যে, তিনি আশা করছেন ৪ দিনের এই প্রাথমিক যুদ্ধবিরতি পরবর্তীতে দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধবিরতিতে রূপ লাভ করবে।
• বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে যে, প্রায় ১০০ জন ফিলিস্তিনি এখনো গাজার আল-শিফা হাসপাতালে রয়ে গেছেন। তবে হাসপাতালের পরিচালক জনাব মুহাম্মাদ আবু সালমিয়া বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার একটি কনভয়ের সাথে উত্তর গাজা ছেড়ে যাওয়ার পথে তাকে আটক করে সন্ত্রাসী ইসরায়েলি বাহিনী। তার বর্তমান অবস্থান অজ্ঞাত।
• সন্ত্রাসী ইসরায়েলি অফিসিয়ালরা বলছে যে, এই ৪ দিনের সাময়িক যুদ্ধবিরতির পর আবারো যুদ্ধ শুরু করা হবে।
• দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীও বলেছে যে, ইসরায়েলের সকল জিম্মি মুক্তি ও হামাসকে নির্মূল সহ ইসরায়েলের সকল লক্ষ্য অর্জিত হওয়ার আগে পর্যন্ত যুদ্ধ বন্ধ হবে না।
• জাতিসংঘ এই সাময়িক যুদ্ধবিরতিকে দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে পরিণত করতে তাগিদ দিয়েছে। সংস্থাটির কর্মকর্তারা এই সতর্কতাও জারি করেছেন যে, গাজায় অবস্থানরত ফিলিস্তিনিরা তীব্র মানবিক সংকটের মুখোমুখি হয়েছেন।
• সংঘর্ষে এই সাময়িক বিরতির ফলে গাজায় আরও মানবিক সাহায্য প্রবেশের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ইউএনআরডাব্লিউএ জানিয়েছে যে, তারা ১৩৭ ট্রাক মানবিক সহায়তা সরঞ্জাম গাজায় পৌঁছে দিয়েছে, যা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে সর্বোচ্চ।
• সন্ত্রাসী ইসরায়েলের হামলায় গাজায় ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ১৪,৮৫৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ৬,১৫০ জন শিশু এবং কমপক্ষে ৩,৫০০ জন নারী। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন কমপক্ষে ৬,৮০০ জন ফিলিস্তিনি। আর আহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা অন্তত ৩৬ হাজার।
• দখলকৃত পশ্চিম তীরে নিহতের সংখ্যা কমপক্ষে ২২৯ জন, যার মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। সেখানে আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২,৭৫০ জন; গ্রেফতার আড়াই হাজারেরও বেশি।
Comment