Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুজাহিদিন নিউজ#| ২৭ জুমাদাল উলা, ১৪৪৫ হিজরী।। ১২ ডিসেম্বর, ২০২৩ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুজাহিদিন নিউজ#| ২৭ জুমাদাল উলা, ১৪৪৫ হিজরী।। ১২ ডিসেম্বর, ২০২৩ ঈসায়ী

    শাবাবের একাধিক অপারেশনে সরকারি মিলিশিয়া প্রধান সহ নিহত ২১ সেনা



    পশ্চিমা সমর্থিত সোমালি সরকার নিয়ন্ত্রিত কেন্দ্রীয় অঞ্চলগুলোতে অভিযান জোরদার করেছে আশ-শাবাব। অঞ্চলগুলোতে সোমালি সরকার নিয়ন্ত্রিত গুরত্বপূর্ণ একাধিক এলাকায় শাবাবের তীব্র আক্রমণে একদিনেই নিহত হয়েছে এক মিলিশিয়া প্রধান সহ প্রায় দুই ডজন সৈন্য।

    শাহাদাহ্‌ নিউজ সহ অন্যান্য স্থানীয় সূত্র মারফত জানা যায়, গত ১০ ডিসেম্বর শাবাবের প্রথম অভিযানটি পরিচালনা করা হয় কেন্দ্রীয় মাদুগ অঞ্চলে, সোমালি সরকারের মিলিশিয়া বাহিনীর প্রধানকে লক্ষ্য করে।
    অভিযানের শুরুতেই অত্র অঞ্চলের মিলিশিয়া বাহিনীর প্রধান নিহত হয়। সেই সাথে তার সঙ্গী আরও ৫ মিলিশিয়া নিহত হয়, আর ২ মিলিশিয়া শাবাবের হাতে বন্দী হয়।

    এদিন বাকুল রজ্যের উপকূলীয় হাদর শহরেও একটি সফল অভিযান চালিয়েছেন আশ-শাবাবের প্রতিরোধ যোদ্ধারা। বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মাঝারি ধরনের অস্ত্র দ্বারা চালানো হয় অভিযানটি। এতে সোমালি বাহিনীর ১ অফিসার সহ অন্তত ১১ সৈন্য হতাহত হয়।



    হারাকাতুশ শাবাবের প্রতিরোধ যোদ্ধারা আরো একটি বীরত্বপূর্ণ অপারেশন পরিচালনা করেন মধ্য শাবেলি রাজ্যের হোদলি এলাকায়, পশ্চিমা সমর্থিত সোমালি বাহিনীর একটি সামরিক চৌকি লক্ষ্য করে। অভিযানে পশ্চিমা সমর্থিত সোমালি বাহিনীর ৫ সদস্য ঘটনাস্থলেই নিহত হয়, এবং অন্যরা পালিয়ে যায়। অভিযান শেষে প্রতিরোধ যোদ্ধারা সামরিক চৌকি থেকে বেশ কিছু অস্ত্র উদ্ধার করেন, সেই সাথে অভিযানের তথ্যচিত্রও নথিভুক্ত করেন।

    বন্যা পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের পরপরই পশ্চিমা সমর্থিত সোমালি সরকার ও সেনাবাহিনীর উপর শাবাবের এই অভিযানগুলো জানান দিচ্ছে যে, আশ-শাবাব সামরিক ও আর্থিক দিক থেকে কতটা সক্ষম।

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ব্রেকিং || পাকিস্তানের সামরিক কেন্দ্রে টিজেপির যুগান্তকারী অভিযান, হতাহত ৮৫ সেনা




    মুসলিম হত্যাকারী পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ঘাঁটির অভ্যন্তরে টিজেপি মুজাহিদিনের আক্রমণের কিছু মুহূর্ত। - (নাইট ভীষণ ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।)

    উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানে একটি সামরিক ঘাঁটিতে একটি ব্যাপক অভিযান চালিয়েছে ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী তেহরিক-ই-জিহাদ পাকিস্তান টিজেপি। এতে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর অন্তত ৫১ সৈন্য নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

    স্থানীয় সূত্র মতে, ১২ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ভোররাত ৩:২০-এর দিকে খাইবার পাখতুনখোয়া অঞ্চলের ডেরা ইসমাইল খান শহরের দারাবান এলাকায় এই আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে।


    দেশটির মিডিয়া জানায়, প্রতিরোধ যোদ্ধারা প্রথমে একটি গাড়ি বোমা দিয়ে সামরিক কেন্দ্রে ইস্তেশহাদী আক্রমণ চালান, তারপর বেশ কয়েকজন প্রতিরোধ যোদ্ধা সামরিক কেন্দ্রে ঢুকে পাকিস্তানী সেনাদের সাথে লড়াই শুরু করেন। অন্তত ৬ জন মুজাহিদ ঘাঁটিতে প্রবেশ করেছিলেন বলে ধারণা করা হয়।

    পাকিস্তান সেনাবাহিনী এদিন অন্যান্যবারের মতোই বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করে দাবি করে যে, এই আক্রমণে তাদের ৩ সেনা নিহত এবং ১৫ সেনা আহত হয়েছে। মুজাহিদদের আক্রমণটি সফলভাবে প্রতিহত করার দাবিও করে তারা। কিন্তু পাকিস্তান প্রশাসনের “জরুরি উদ্ধার পরিষেবা সংস্থা”র কর্মকর্তা আয়াজ মাহমুদ এদিন দুপুরে জানান, “অভিযানে ২৪ জন নিরাপত্তা কর্মী নিহত হয়েছে।

    আমরা এখনো কেন্দ্রের ভিতরে গুলির শব্দ শুনতে পাচ্ছি”।একই তথ্য দুজন সামরিক কর্মকর্তার বরাতে নিশ্চিত করে বার্তা সংস্থা রয়টার্সও।

    অন্যদিকে, তেহরিক জিহাদ পাকিস্তান (টিজেপি) একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি এবং ২ মিনিটের একটি ভিডিও ক্লিপ প্রকাশ করে। ভিডিওতে দেখা যায়, প্রধান ফটকে বিকট শব্দে গাড়ি বোমা বিস্ফোরণের পর প্রায় অচেতন হয়ে কেন্দ্রের ভিতরে পরে আছে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর সদস্যরা। আর সে অবস্থাতেই বেশ কিছু সেনা সদস্যকে টার্গেট করে করে হত্যা করেন টিজেপি যোদ্ধারা।

    টিজেপির এমন ভিডিওর পর পাকিস্তান সামরিক বাহিনী স্বীকার করতে বাধ্য হয় যে, অভিযানে তাদের ২৩ সৈন্য নিহত এবং আরও ২৮ সৈন্য আহত হয়েছে। অপরদিকে স্বাধীন সংবাদ সূত্রগুলো জানায়, এই অভিযানে অন্তত ৫১ সেনা সদস্য নিহত এবং আরো ৩৪ এরও বেশি সৈন্য আহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ২ জন ক্যাপ্টেন ও ১ জন লেফটেন্যান্ট কর্নেলও রয়েছে।শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, যুদ্ধ প্রায় ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত চলেছে। আর এই যুদ্ধে অংশ নেওয়া মুজাহিদদের মধ্যে ১ জন ছিলেন ইস্তেশহাদী এবং অন্য আরও ৩ জন ছিলেন ইনগিমাসী যোদ্ধা।
    শত্রুসেনা হতাহতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনার কথাও জানা গেছে টিজেপি সূত্রে।

    উল্লেখ্য, টিজেপি ৪ নভেম্বর ভোরে পাঞ্জাবের মিরানওয়ালি বিমান ঘাঁটিতে তাদের প্রথম যুগান্তকারী অভিযানটি চালিয়েছিল। সেই অভিযানে দেশটির সামরিক বাহিনীর ১টি ট্যাংক সহ ছোট বড় অন্তত ৪০ টি বিমান ধ্বংস হয়েছিল। নিহত হয়েছিল বিমান বাহিনীর অন্তত ৩০ অফিসার ও সৈনিক। সেসময়ও প্রতিরক্ষা বাহিনী তাদের মাত্র ৪ টি বিমান ধ্বংসের দাবি করেছিল, যে দাবি পরবর্তীতে টিজেপির বিবৃতিতে মিথ্যা প্রমাণিত হয়।

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ইয়েমেনে আল-কায়েদা ও UAE এর ভাড়াটে বাহিনীর মধ্যে বন্দী বিনিময়



      ইয়েমেনের একটি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন ২ জন ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধা। বৈশ্বিক প্রতিরোধ বাহিনী আল-কায়েদার সাথে যুক্ত এই মুজাহিদদের একটি বন্দী বিনিময় চুক্তির মাধ্যমে মুক্ত করা হয়েছে।

      স্থানীয় সূত্র মতে, গত ৬ ডিসেম্বর ইয়েমেনের শাবওয়াহ রাজ্যের একটি কারাগারে বন্দীদশা থেকে মুক্তি পেয়েছেন তাঁরা। প্রতিরোধ বাহিনী জামা’আত আনসারুশ শরিয়াহ্ তাদের অফিসিয়াল মিডিয়া থেকে একটি বিবৃতি ও ২টি ছবি প্রকাশের মাধ্যমে বন্দী বিনিময়ের তথ্যটি নিশ্চিত করেছে। বিবৃতি থেকে জানা যায়, বন্দী বিনিময়টি সংযুক্ত আরব-আমিরাতের ভাড়াটে STC বাহিনীর সাথে হয়েছে।

      বিবৃতিতে আরও জানানো হয় যে, দলটি অত্যাচারীদের কারাগারে বন্দী থাকা মুজাহিদ ও নিরপরাধ সকল ভাইদের মুক্ত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। আর এই লক্ষ্যে দলটি তাদের প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে।

      উল্লেখ্য যে, UAE এর ভাড়াটে STC বাহিনীর সাথে বন্দী বিনিময়ে আল-কায়েদা আরব উপদ্বীপ শাখার এটিই প্রথম অফিসিয়াল বিবৃতি। এর আগে ইরানের মদদপুষ্ট শিয়া হুথি বিদ্রোহীদের সাথে বেশ কিছু বন্দী বিনিময় করেছে আল-কায়েদা।

      আল-কায়েদা আরব উপদ্বীপ শাখা আনসারুশ শারিয়া হুথিদের সাথে অফিসিয়ালি তাদের সর্বশেষ বন্দী বিনিময়টি করেছিল চলতে বছরের সেপ্টেম্বরে। সেখানে ৯ হুথি বিদ্রোহীর বিনিময়ে ২৯ জন প্রতিরোধ যোদ্ধাকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু শর্ত অনুযায়ী হুথি বিদ্রোহীরা ২৯ জনকে মুক্তি না দিয়ে ১৩ জনকে মুক্তি দেয়। ফলে আনসারুশ শরিয়াহ্ও তাদের হাতে বন্দী থাকা ৩ হুথিকে মুক্তি দেয়। অন্য বন্দীদের মুক্তির বিষয়ে উভয় দলের মাঝে আলোচনা চলমান ছিল বলে জানা যায়।

      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment

      Working...
      X