Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুজাহিদিন নিউজ# ৩০ জুমাদাল আখিরাহ, ১৪৪৫ হিজরী।। ১৩ জানুয়ারী, ২০২৪ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুজাহিদিন নিউজ# ৩০ জুমাদাল আখিরাহ, ১৪৪৫ হিজরী।। ১৩ জানুয়ারী, ২০২৪ ঈসায়ী

    টিটিপির অতর্কিত আক্রমণে অন্তত ২১ পাকিস্তানি সেনা নিহত



    পাকিস্তানের বান্নু এবং কোহাট প্রদেশে দেশটির পশ্চিমা মদদপুষ্ট সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে ৩টি অতর্কিত আক্রমণ চালিয়েছেন ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা। এতে নিহত হয়েছে শত্রু বাহিনীর অন্তত ২৭ সদস্য এবং আহত হয়েছে আরও অসংখ্য।

    উমর মিডিয়ার তথ্যমতে, গত ১০ জানুয়ারি বুধবার বিকালে বান্নু প্রদেশের লাক্কি জেলায় একটি সেনা কনভয়ে অতর্কিত আক্রমণ চালিয়েছেন তেহরিক-ই-তালিবান টিটিপির মুজাহিদগণ। এতে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর কমপক্ষে ১২ সেনা নিহত হয় এবং আরও অসংখ্য সৈন্য আহত হয়।

    বিপুল সংখ্যক হতাহত এই সৈন্যদের সরিয়ে নিতে ঘটনাস্থলে ২টি হেলিকপ্টার এবং ৫টি এম্বুলেন্স উপস্থিত হয়। তাই ধারণা করা হচ্ছে, নিহত এবং আহত সেনাদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

    টিটিপির মুখপাত্র মুহাম্মদ খোরাসানী জানান, এই অভিযানের সময় আফতাব এবং এহসানুল্লাহ নামক ২ জন মুজাহিদ শহীদ হয়েছেন, (ইনশাআল্লাহ)।

    অপরদিকে গত ৯ জানুয়ারি রাতে, একই রাজ্যের মান্দান এলাকায় পুলিশ বাহিনীর একটি দলকে টার্গেট করে আক্রমণ চালান টিটিপির মুজাহিদগণ। এতে ২ পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়। এই ঘটনার পর সেনাবাহিনী এবং পুলিশের সদস্যরা উক্ত এলাকায় মুজাহিদদের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান শুরু করে। ফলে উক্ত এলাকায় উভয় বাহিনীর মাঝে তীব্র লড়াই ছড়িয়ে পড়ে। এসময় টিটিপির প্রতিরোধ যোদ্ধাদের আঘাতে এক আইএসআই পুলিশ অফিসার এবং ৪ সেনা সদস্য নিহত হয়। সেই সাথে আরও ৩ সেনা সদস্য আহত হয়।

    টিটিপির মুখপাত্র জানান, এই লড়াইয়ে আব্দুল ওয়াহাব এবং হারুন নামে দুজন মুজাহিদও শাহাদাত বরণ করেছেন (ইনশাআল্লাহ)। বাকি মুজাহিদরা নিরাপদে ঘটনাস্থল থেকে সরে পড়তে সক্ষম হন।

    এদিন টিটিপির মুজাহিদগণ কোহাট প্রদেশের কোহাট-ইন্ডাস হাইওয়েতে আরও একটি সফল অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানটি একটি পুলিশ চেকপোস্ট লক্ষ্য করে চালানো হয়। এতে ৫ পুলিশ সদস্য নিহত হয় এবং তাদের অস্ত্রগুলো মুজাহিদগণ জব্দ করেন। এসময় মুজাহিদদের আক্রমণের শিকার পুলিশ সদস্যদের সাহায্যার্থে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশের একটি গাড়ি। তখন মুজাহিদগণ পুলিশের এই গাড়িটি লক্ষ্য করেও আক্রমণ চালান। এতে আরও কিছু পুলিশ সদস্য হতাহত হয়, এবং অন্যরা হতাহতদের নিয়ে পিছু হটতে বাধ্য হয়।

    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2


    আফগানিস্তানে ইমারতে ইসলামিয়ার নেতৃবৃন্দের সাথে মাওলানা ফজলুর রহমানের সাক্ষাৎ


    পাকিস্তান জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম পার্টির চেয়ারম্যান মাওলানা ফজলুর রহমান ইমারতে ইসলামিয়ার নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করতে আফগানিস্তান সফরে গেছেন। গত রবিবার সেপেদার প্রাসাদে মাওলানা ফজলুর রহমানের সাথে সভা করেছেন ইমারতে ইসলামিয়ার রাজনৈতিক উপ প্রধানমন্ত্রী মাওলানা আব্দুল কাবির।

    উক্ত সভায় মাওলানা ফজলুর রহমানকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান ইমারতে ইসলামিয়ার মন্ত্রীসভার সদস্যবৃন্দ ও রাজনৈতিক উপ-প্রধানমন্ত্রী মাওলানা আব্দুল কাবির। মাওলানা ফজলুর রহমানের এই সফর পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যকার সম্পর্ককে মজবুত করবে এবং নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি কমাতে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    নিজের বক্তৃতায় ইমারতে ইসলামিয়ার রাজনৈতিক উপ-প্রধানমন্ত্রী মাওলানা আব্দুল কাবির আফগান শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ায় এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে যুদ্ধে আফগানিস্তানকে সাহায্য করায় পাকিস্তানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে বিশেষত পাকিস্তানের সাথে ইমারতে ইসলামিয়ার ইতিবাচক সম্পর্ক স্থাপনের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। একে অপরের প্রতি সম্মান বজায় রেখে দৃঢ় সম্পর্ক রক্ষার গুরুত্বের বিষয়টিও তুলে ধরেন তিনি।

    আফগান ভূমি কারো জন্য হুমকি ও ক্ষতি বয়ে আনবে না বলে নিশ্চয়তা প্রদান করেন মাওলানা আব্দুল কাবির। মিডিয়ার দাবি ও প্রোপাগান্ডায় প্রভাবিত না হয়ে, সত্য বিষয়ের উপর ভিত্তি করে আলোচনার আহ্বান জানান তিনি। একই সাথে, পাকিস্তান থেকে আফগান শরণার্থীদের জোরপূর্বক ফেরত পাঠানো ও তাদের সাথে খারাপ আচরণ বন্ধ করার আহ্বানও জানান মাওলানা আব্দুল কাবির। এসময় আফগান শরণার্থীদের সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা প্রদানের প্রতি তিনি গুরুত্বারোপ করেন।

    ‘ইমারতে ইসলামিয়া এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা চায়। আফগানিস্তানের মাটিকে ইমারতে ইসলামিয়া কোনো দেশের বিরুদ্ধে ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হতে দেবে না।’ ইমারতে ইসলামিয়ার পক্ষ থেকে এই পরিষ্কার বার্তাটি মাওলানা ফজলুর রহমান ও তার প্রতিনিধি দল ইসলামাবাদে নিয়ে যাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন মাওলানা আব্দুল কাবির।

    সফররত প্রতিনিধিদলের প্রধান মাওলানা ফজলুর রহমান কাবুল সফরের ব্যাপারে তার সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং উভয় দেশের মধ্যকার অভিন্ন স্বার্থগুলোতে গুরুত্বারোপ করেন। কার্যকরী যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে নিজেদের মধ্যকার সমস্যাগুলো দূর করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

    উক্ত সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ইসলামি ইমারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাওলানা আমির খান মুত্তাকি। তিনি আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা পরিস্থিতির উপর একটি পূর্ণাঙ্গ ব্রিফিং প্রদান করেন।

    পাকিস্তান জমিয়ত উলামায়ে ইসলাম পার্টির প্রধান ও অন্য সদস্যরাও কাবুল সফরের ব্যাপারে নিজেদের সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। এছাড়া, তারা দুই দেশের মধ্যে পুনরায় সুসম্পর্ক গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেছেন। দুই দেশের মধ্যকার মতভিন্নতাপূর্ণ ইস্যুগুলো সমাধান করতে কাজ করার আশাবাদও ব্যক্ত করেছেন মাওলানা ফজলুর রহমান ও তার প্রতিনিধিদল।


    তথ্যসূত্র:

    1. Political Deputy PM Meets Maulana Fazlur Rehman, Chairman Jamiat Ulema Islam Party of Pakistan
    http://tinyurl.com/3nxxpr66
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      মুসলিম দেশগুলোর উচিত গাজাকে অস্ত্র সরবরাহ করা: ইসমাইল হানিয়াহ



      হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরো প্রধান ইসমাইল হানিয়া গত ৯ জানুয়ারি তার বিবৃতিতে বলেছেন যে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বর্বরতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে। এসময় তিনি “ফিলিস্তিনিদের অস্ত্র সরবরাহ করার জন্য মুসলিম রাষ্ট্রগুলিকে” আহ্বান জানান।

      কাতারের রাজধানী দোহায় ইসমাইল হানিয়াহ তার বিবৃতিতে বলেন, “আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলো দখলদারিত্বের সমর্থনে অস্ত্র সরবরাহ করছে। তাই এখন সময় এসেছে মুসলিম রাষ্ট্রগুলোরও গাজায় প্রতিরোধ যোদ্ধাদের অস্ত্র দিয়ে সমর্থন করার। কারণ এটি শুধু ফিলিস্তিনি জনগণের যুদ্ধ নয়।… আর আমাদের উচিত ৭ অক্টোবরের বিজয়ের মুহূর্ত ধরে রাখা এবং এটিকে আরও মজবুতভাবে গড়ে তোলা। সময় আমাদের পক্ষে; সময় এসেছে অস্ত্রের জিহাদের।”

      ইসমাইল হানিয়াহ আরও বলেন,

      “৭ অক্টোবরের আক্রমণ “ইসরাইল কর্তৃক ফিলিস্তিনকে প্রান্তিক করার প্রচেষ্টার প্রতিক্রিয়া হিসাবে আবির্ভূত হয়েছিল।” এই যুদ্ধে ইসরায়েল ভারি খরচ বহন, নিজ বাহিনীর ক্ষতি শিকার এবং গণহত্যার সংঘটিত করা ছাড়া গাজায় তার ৩টি লক্ষ্যের কোনটিই অর্জন করতে পারে নি।

      ওহে! আমাদের মুসলিম জাতির সূর্য সন্তানরা… এরকম ঐতিহাসিক মুহূর্ত খুব কমই আসে। এই মুহূর্তটিকে পিছলে যেতে দিও না… [ফিলিস্তিনিদের] দৃঢ়তা না থাকলে বিশ্বের বিবেক চূর্ণ হয়ে যেত।

      আমাদের এই মুহূর্তটিকে পিছলে যেতে দেওয়া উচিত নয়। সময় এসেছে। ওহে, আমাদের ইসলামি জাতির সন্তানেরা! ওহে, বিশ্বের মুক্ত মানুষ! এমন ঐতিহাসিক মুহূর্ত খুব কমই আসে। এই মুহূর্তটিকে হারিয়ে যেতে দিও না। আমাদের জাতি এবং আমাদের ইসলামিক স্কলারদের কাছে এমন ঐতিহাসিক মুহূর্ত খুব কমই আসে। এই মুহূর্তটিকে পিছলে যেতে দেবেন না, কারণ যদি এমনটা হয়, তাহলে এমন মুহূর্ত ফিরে আসার আগে আমরা জানি না কত দশক অপেক্ষা করতে হবে।”
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        ফিলিস্তিনের প্রতিটি মুসলমানের হাতে অস্ত্র দেওয়া উচিৎ যাতে তারা সুযোগ পেলেই ইহুদিদের হত্যা করতে পারে। তাহলে ইহুদিরা হত্যার ভয়ে ফিলিস্তিন ছেড়ে পালাবে। কারন ইহুদিরা মৃত্যুকে অনেক ভয় পায়। এটা কুরআন শরীফের মধ্যে বর্নিত।
        পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

        Comment


        • #5
          ওহে! আমাদের মুসলিম জাতির সূর্য সন্তানরা… এরকম ঐতিহাসিক মুহূর্ত খুব কমই আসে। এই মুহূর্তটিকে পিছলে যেতে দিও না… [ফিলিস্তিনিদের] দৃঢ়তা না থাকলে বিশ্বের বিবেক চূর্ণ হয়ে যেত।

          আমাদের এই মুহূর্তটিকে পিছলে যেতে দেওয়া উচিত নয়। সময় এসেছে। ওহে, আমাদের ইসলামি জাতির সন্তানেরা! ওহে, বিশ্বের মুক্ত মানুষ! এমন ঐতিহাসিক মুহূর্ত খুব কমই আসে। এই মুহূর্তটিকে হারিয়ে যেতে দিও না। আমাদের জাতি এবং আমাদের ইসলামিক স্কলারদের কাছে এমন ঐতিহাসিক মুহূর্ত খুব কমই আসে। এই মুহূর্তটিকে পিছলে যেতে দেবেন না, কারণ যদি এমনটা হয়, তাহলে এমন মুহূর্ত ফিরে আসার আগে আমরা জানি না কত দশক অপেক্ষা করতে হবে।”

          Comment


          • #6
            ওহে! আমাদের মুসলিম জাতির সূর্য সন্তানরা… এরকম ঐতিহাসিক মুহূর্ত খুব কমই আসে। এই মুহূর্তটিকে পিছলে যেতে দিও না… [ফিলিস্তিনিদের] দৃঢ়তা না থাকলে বিশ্বের বিবেক চূর্ণ হয়ে যেত।
            আজ প্রায় সাড়ে তিন মাস হতে চলল।
            অবস্থা এভাবে চলতে থাকলে কি যে অপেক্ষা করছে, আল্লাহ্‌ ক্ষমা করুন।

            Comment

            Working...
            X