আফগানিস্তানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রাদেশিক প্রধানদের মধ্যে সমন্বয়মূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের প্রশাসনিক উপপ্রধানমন্ত্রী মৌলভি আব্দুস সালাম হানাফী শিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত “শিক্ষা বিষয়ক প্রাদেশিক প্রধানবৃন্দের আরো উত্তম সমন্বয়করণ” শীর্ষক কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেছেন।
এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্ব ও কর্মকর্তাগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মৌলভী আব্দুস সালাম হানাফী। নিজেদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে কর্মকর্তাবৃন্দের মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময় ও পারস্পরিক পরিচিতি বাড়াতে এমন কর্মশালা আয়োজনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন তিনি।
মৌলভি আব্দুস সালাম হানাফী জোর দিয়ে বলেন, ইসলামি ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা আফগান জনগণের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। আজ তা অগণিত ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে। কষ্টার্জিত এই ইসলামি শাসন ব্যবস্থা ও আফগান জাতির প্রতি ইমারতে ইসলামিয়ার কর্মকর্তাদের গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক দায়বদ্ধতা রয়েছে। তিনি এই বিষয়টি কর্মকর্তাদের সামনে বিশেষভাবে তুলে ধরেন। প্রতিষ্ঠিত সুন্নাহ অনুযায়ী সবার একটি দায়িত্ব হলো আমিরের প্রতি অধীনস্তদের আনুগত্য।
তিনি উল্লেখ করেন, কর্মকর্তাদের কর্তব্য হলো তাদের অধীনস্ত কর্মচারীদের সাথে সহানুভূতি ও করুণাময় আচরণ করা। সেই সাথে নিজ দেশ ও বিদেশি নাগরিকদের বিভিন্ন কাজে পরিচালনার ক্ষেত্রেও ইসলামি মূল্যবোধ ও উত্তম নৈতিক পদ্ধতি অনুসরণ করে দয়া ও মমত্ববোধ প্রদর্শন করার প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক উভয় অঞ্চলের শিক্ষা কর্মকর্তাগণের প্রচেষ্টার প্রশংসা করে মৌলভী আব্দুস সালাম বলেন, সারা দেশে স্বচ্ছতার সাথে সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করাকে ইমারতে ইসলামিয়া নিজ দায়িত্ব হিসেবে গণ্য করে। এমন দায়িত্বের উদ্দেশ্য হলো দেশের প্রতিটি অঞ্চলের শিশুদের মাদ্রাসা ও স্কুল শিক্ষায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। পাশাপাশি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ ব্যবস্থায় ইতঃপূর্বে বিদ্যমান ভুল-ত্রুটিগুলো সংশোধন করা।
মৌলভী আব্দুস সালাম হানাফী প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাকে জীবনের মূলভিত্তি হিসেবে উল্লেখ করেন। অতীতে বিষয়গুলো পরিমাণ ও গুণমান বিবেচনায় যথেষ্ট গুরুত্ব পায়নি বলে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন। বাস্তবজ্ঞান বর্জিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি এই ত্রুটিপূর্ণ শিক্ষাব্যবস্থার ফলাফল বলে তিনি স্বীকার করেন। শিক্ষা কারিকুলামে সংস্কার করার পাশাপাশি সংখ্যা ও গুণমান উভয় দিক থেকে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে উন্নতি সাধন করতে ইমরতে ইসলামিয়া বদ্ধপরিকর রয়েছে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন। প্রশাসনিক উপপ্রধানমন্ত্রী মহোদয় শিক্ষা কর্মকর্তাদের গৃহীত প্রতিশ্রুতি এবং তা বাস্তবায়নে তাদের আন্তরিক প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
শিশুদের জন্য শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা ইসলামি ইমারতের কর্মকর্তাদের একটি আবশ্যকীয় দায়িত্ব। ইসলামি মনন নিয়ে শিশুদের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণে আন্তরিক চেষ্টা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান তিনি।
সমাজে আধুনিক বিজ্ঞানের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য, তাই ইসলামি বিধিবিধান শিক্ষার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় বিজ্ঞান শিক্ষায় জোর প্রদান করতে হবে। ইসলামের নির্যাস ব্যতীত আধুনিক বিজ্ঞান শিক্ষা অসম্পূর্ণ। এমন করতে চাইলে অতীতের মতো এখনও শিক্ষার্থীদেরকে কার্যকরভাবে প্রশিক্ষিত করার ক্ষেত্রে পুনরায় ব্যর্থ হবে বলে তিনি সতর্ক করেন।
বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে মৌলভী হানাফী বলেন, শিক্ষিত ও প্রতিভাবান ব্যক্তিদের অনেকেই বিদেশে শিক্ষা গ্রহণ শেষে দেশে ফিরে এসেছেন। তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাগণকে তাদের সেই দক্ষতা এবং প্রতিভা কাজে লাগাতে উৎসাহিত করেন। তাছাড়া, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিশুদের গড়ে তুলতে তিনি আহ্বান জানান।
তথ্যসূত্র:
1. Administrative Deputy PM Addresses Coordination Workshop for Provincial Heads of Ministry of Education
– http://tinyurl.com/3x3y46st
ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের প্রশাসনিক উপপ্রধানমন্ত্রী মৌলভি আব্দুস সালাম হানাফী শিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত “শিক্ষা বিষয়ক প্রাদেশিক প্রধানবৃন্দের আরো উত্তম সমন্বয়করণ” শীর্ষক কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেছেন।
এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্ব ও কর্মকর্তাগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মৌলভী আব্দুস সালাম হানাফী। নিজেদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে কর্মকর্তাবৃন্দের মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময় ও পারস্পরিক পরিচিতি বাড়াতে এমন কর্মশালা আয়োজনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন তিনি।
মৌলভি আব্দুস সালাম হানাফী জোর দিয়ে বলেন, ইসলামি ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা আফগান জনগণের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। আজ তা অগণিত ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে। কষ্টার্জিত এই ইসলামি শাসন ব্যবস্থা ও আফগান জাতির প্রতি ইমারতে ইসলামিয়ার কর্মকর্তাদের গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক দায়বদ্ধতা রয়েছে। তিনি এই বিষয়টি কর্মকর্তাদের সামনে বিশেষভাবে তুলে ধরেন। প্রতিষ্ঠিত সুন্নাহ অনুযায়ী সবার একটি দায়িত্ব হলো আমিরের প্রতি অধীনস্তদের আনুগত্য।
তিনি উল্লেখ করেন, কর্মকর্তাদের কর্তব্য হলো তাদের অধীনস্ত কর্মচারীদের সাথে সহানুভূতি ও করুণাময় আচরণ করা। সেই সাথে নিজ দেশ ও বিদেশি নাগরিকদের বিভিন্ন কাজে পরিচালনার ক্ষেত্রেও ইসলামি মূল্যবোধ ও উত্তম নৈতিক পদ্ধতি অনুসরণ করে দয়া ও মমত্ববোধ প্রদর্শন করার প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক উভয় অঞ্চলের শিক্ষা কর্মকর্তাগণের প্রচেষ্টার প্রশংসা করে মৌলভী আব্দুস সালাম বলেন, সারা দেশে স্বচ্ছতার সাথে সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করাকে ইমারতে ইসলামিয়া নিজ দায়িত্ব হিসেবে গণ্য করে। এমন দায়িত্বের উদ্দেশ্য হলো দেশের প্রতিটি অঞ্চলের শিশুদের মাদ্রাসা ও স্কুল শিক্ষায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। পাশাপাশি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ ব্যবস্থায় ইতঃপূর্বে বিদ্যমান ভুল-ত্রুটিগুলো সংশোধন করা।
মৌলভী আব্দুস সালাম হানাফী প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাকে জীবনের মূলভিত্তি হিসেবে উল্লেখ করেন। অতীতে বিষয়গুলো পরিমাণ ও গুণমান বিবেচনায় যথেষ্ট গুরুত্ব পায়নি বলে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন। বাস্তবজ্ঞান বর্জিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি এই ত্রুটিপূর্ণ শিক্ষাব্যবস্থার ফলাফল বলে তিনি স্বীকার করেন। শিক্ষা কারিকুলামে সংস্কার করার পাশাপাশি সংখ্যা ও গুণমান উভয় দিক থেকে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে উন্নতি সাধন করতে ইমরতে ইসলামিয়া বদ্ধপরিকর রয়েছে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন। প্রশাসনিক উপপ্রধানমন্ত্রী মহোদয় শিক্ষা কর্মকর্তাদের গৃহীত প্রতিশ্রুতি এবং তা বাস্তবায়নে তাদের আন্তরিক প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
শিশুদের জন্য শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা ইসলামি ইমারতের কর্মকর্তাদের একটি আবশ্যকীয় দায়িত্ব। ইসলামি মনন নিয়ে শিশুদের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণে আন্তরিক চেষ্টা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান তিনি।
সমাজে আধুনিক বিজ্ঞানের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য, তাই ইসলামি বিধিবিধান শিক্ষার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় বিজ্ঞান শিক্ষায় জোর প্রদান করতে হবে। ইসলামের নির্যাস ব্যতীত আধুনিক বিজ্ঞান শিক্ষা অসম্পূর্ণ। এমন করতে চাইলে অতীতের মতো এখনও শিক্ষার্থীদেরকে কার্যকরভাবে প্রশিক্ষিত করার ক্ষেত্রে পুনরায় ব্যর্থ হবে বলে তিনি সতর্ক করেন।
বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে মৌলভী হানাফী বলেন, শিক্ষিত ও প্রতিভাবান ব্যক্তিদের অনেকেই বিদেশে শিক্ষা গ্রহণ শেষে দেশে ফিরে এসেছেন। তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাগণকে তাদের সেই দক্ষতা এবং প্রতিভা কাজে লাগাতে উৎসাহিত করেন। তাছাড়া, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিশুদের গড়ে তুলতে তিনি আহ্বান জানান।
তথ্যসূত্র:
1. Administrative Deputy PM Addresses Coordination Workshop for Provincial Heads of Ministry of Education
– http://tinyurl.com/3x3y46st
Comment