Announcement

Collapse
No announcement yet.

ফিলিস্তিনের জিহাদ || আপডেট – ১৫ জানুয়ারি, ২০২৪

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ফিলিস্তিনের জিহাদ || আপডেট – ১৫ জানুয়ারি, ২০২৪




    সোমবার রাতে রাফাহ এর মিরাজ এলাকায় জায়োনিস্ট বাহিনীর হামলায় অন্তত ২৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে দুই পরিবারেরই রয়েছেন ১১ জন। গাজায় দখলদার ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ২৪,১০০ জন ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন ৬০ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি।

    উত্তর ইরাকের কুর্দিশ এলাকার ইরবিলে একটি মোসাদ হেডকোয়ার্টার ধ্বংস করার দাবি করেছে ইরানের রেভুল্যুশনারি গার্ড।

    ইয়েমেনের অদূরে এডেন উপসাগরে মার্কিন মালিকাধীন একটি জাহাজে মিসাইল হামলা করেছে হুথিরা। এতে জাহাজটি ‘হালকা ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র এই হামলার পর দক্ষিণ লোহিত সাগরে ট্রানজিট করার ব্যাপারে জাহাজগুলোকে সতর্ক করেছে।

    মিশর সীমান্তে মিশর থেকে আসা এক বন্দুকধারীর গুলিতে এক জায়োনিস্ট সৈন্য আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল।

    জায়োনিস্ট ইসরায়েল তাদের ৩৬তম ডিভিশন সৈন্য গাজা থেকে প্রত্যাহার করেছে। ৪ ডিভিশন জায়োনিস্ট সৈন্য গাজায় আগ্রাসন চালাচ্ছিল। এখন ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হাতে তীব্র মার খেয়ে এক ডিভিশন সৈন্য প্রত্যাহার করেছে ইহুদি বাহিনী। তাদেরকে পশ্চিম তীরে বা লেবানন সীমান্তে পাঠানো হতে পারে। উল্লেখ্য, এর আগে ইসরায়েলের সবচেয়ে শক্তিশালী বাহিনী গোলানি ব্রিগেডও প্রতিরোধ যোদ্ধাদের মার খেয়ে গাজা থেকে চলে গিয়েছিল। ইসরায়েলের অনেক সৈন্য যুদ্ধের ভয়ে মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়েছে বলেও ইসরায়েলি মিডিয়াগুলো জানিয়েছে। তারা যুদ্ধের ময়দানে যেতে চাচ্ছে না। কিন্তু বর্তমানে যুদ্ধ গাজা থেকে ছড়িয়ে পশ্চিম তীর ও লেবানন সীমান্তে বিস্তৃত হতে শুরু করায় জায়োনিস্ট সৈন্যদের আর রক্ষা হচ্ছে না।

    আল-কাসসাম ব্রিগেড একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন। যেখানে তিন ইসরায়েলি বন্দীদের সাক্ষাতকারের দৃশ্য দেখানো হয়। ইসরায়েলি বন্দীদের একজন জানায়, তিন ইসরায়েলি বন্দীর দুইজন জায়োনিস্ট ইসরায়েলের হামলায় নিহত হয়েছে। এর আগেও ইসরায়েলি বন্দীদেরকেই হত্যা করেছিল জায়োনিস্ট বাহিনী। গাজায় আগ্রাসন চালানোর পেছনে ইসরায়েলের প্রধান একটি লক্ষ্য ছিল, গাজায় প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হাতে বন্দী ইসরায়েলি বন্দীদের মুক্ত করা। কিন্তু এখন অবধি বন্দী বিনিময় চুক্তি ব্যতীত অন্য কোনোভাবে বন্দী মুক্ত করতে পারেনি তারা। বরং, বন্দীদের মুক্ত করতে গিয়ে কিছু সময় নিজেরাও নিহত হয়েছে, আবার বন্দীদেরও হত্যা করেছে। বন্দীদের মুক্তির দাবিতে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে তেল আবিবে নিয়মিত বিক্ষোভ করছে দখলদার ইসরায়েলিরা। হামাস বলেছে, বন্দীদের মুক্ত করার একমাত্র উপায় হলো গাজায় আগ্রাসন চালানো বন্ধ করা এবং সকল ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেওয়া। গাজায় পুরোপুরি আগ্রাসন বন্ধ না করলে বন্দী মুক্তির বিষয়ে কোনো আলোচনায় যেতে রাজি না হামাস।

    তেল আবিবের কাছাকাছি রাআনানা এলাকায় লোন উলফ ধরনের একটি হামলা চালানো হয়েছে। প্রথমে এক দখলদারকে ছুরিকাঘাত করে তার গাড়ি নিয়ে দখলদার জায়োনিস্টদেরকে গাড়ি চাপা দিতে থাকেন। এভাবে দুইবার গাড়ি বদল করেছেন হামলাকারীরা। এই হামলায় দখলদার জায়োনিস্টদের অন্তত ২০ সদস্য আহত হয়েছে, আর ১ জায়োনিস্ট নিহত হয়েছে। গাজায় দখলদার জায়োনিস্ট বাহিনীর নির্মম ও বর্বর গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদস্বরূপই এই হামলা চালানো হয়েছে। হামলাকারী ছিলেন দুই জন ফিলিস্তিনি। তাদেরকে গ্রেফতার করেছে সন্ত্রাসী ইসরায়েল। ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধারা এই হামলার সাধুবাদ জানিয়েছেন। দখলদার জায়োনিস্টদের উপর সবদিক থেকে হামলার প্রতি উদ্বুদ্ধ করেছেন।

    গাজায়, বিশেষভাবে খান ইউনিসে দখলদার বাহিনীর উপর তীব্র হামলা অব্যাহত রেখেছেন ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধারা। ১৫ই জানুয়ারি আল-কাসসাম ব্রিগেডের মুজাহিদগণ দখলদার বাহিনীর উপর হামলা চালিয়ে জায়োনিস্ট বাহিনীর ২টি সামরিক যান ও সৈন্য সমাবেশ ধ্বংস করেছেন। এছাড়া, ইয়াসিন ১০৫ দিয়ে জায়োনিস্ট বুলডোজারে হামলা চালিয়েছেন। টানেল থেকে বের হয়ে খুব কাছ থেকে জায়োনিস্ট বাহিনীর ৫ পদাতিক সৈন্যের উপর মেশিনগান ব্যবহার করে হামলা করেছেন। আরও দুই জায়গায় দখলদার পদাতিক বাহিনীর উপর অ্যান্টি-পার্সনেল ডিভাইস ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছেন।

    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    আল-কাসসাম ব্রিগেড একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন।
    Al-Firdaws এর ভাইদের নিকট আবেদন, সেই ভিডিওটি আমাদেরকে দিলে ভাল হয়। জাযাকুমুল্লাহু খাইরান
    ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

    Comment


    • #3
      আমরা যদি ইতিহাসের পাতায় ইহুদিদের অবস্থার প্রতি দৃষ্টিপাত করি, তাহলে দেখবো, তাদের গোটা ইতিহাস চক্রান্ত, কূটচাল, ধোঁকা, প্রতারণা ও জালিয়াতি দিয়ে ভরপুর।
      • তারাই তো মাসীহে সাদিক ঈসা আলাইহিস সাল্লাম-কে হত্যা করতে চেয়েছিল। অতঃপর আল্লাহর হুকুমে এ ব্যাপারে তারা বিভ্রান্তিতে নিপতিত হয় এবং আল্লাহ তা’আলা ঈসা আলাই সাল্লাম-কে নিজের কাছে উঠিয়ে নেন।
      • তারাই তো আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে একাধিকবার হত্যা করতে চেয়েছিল কিন্তু আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রিয় নবীকে প্রতিবার হেফাজত করেছেন।
      • তারাই তো সাহাবায়ে কেরামের মাঝে বিভিন্ন ফেৎনা তৈরি করতে চেয়েছিল কিন্তু আল্লাহ তায়ালা নিজ অনুগ্রহে সাহাবায়ে কেরামকে তাদের ফেতনা থেকে হেফাজত করেছেন।
      মানবেতিহাসের পাতায় পাতায় তাদের ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের চিত্র। তারা কত যে ফেৎনা উদগীরণ করেছে! কত দেশ ও জাতি ধ্বংস করেছে!! কোন জাতি বা সভ্যতা তাদের ধ্বংসলীলা থেকে পরিত্রাণ পেয়েছে?

      তাদের কূটচাল তো এতই প্যাঁচালো ও মারাত্মক ছিল যে, পশ্চিমাদের ভেতর কেউ কেউ যেমন রোবসপিয়ের (ম্যাক্সিমিলিয়েন দ্য রোবসপিয়ের) পর্যন্ত বলতে বাধ্য হয়েছে,
      বিশ্বব্যাপী যত অনাচার বিশৃঙ্খলা ও অস্থিতিশীলতা রয়েছে তার মূল হোতা হচ্ছে বিশ্বব্যাপী গোপন ইহুদি রাজ; তারাই এসব ঘটিয়েছে এবং ঘটিয়ে চলেছে।
      জায়ন-ক্রুসেডীয় আমেরিকার অনেক নেতা ও উচ্চপদস্থ ব্যক্তিও তাদের দেশের জনগণের প্রতি ইহুদিদের ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের ব্যাপারে সজাগ ও সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। এদের মাঝে প্রথম হলেন আমেরিকার প্রথম প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটন। অপর একজন নেতা হলেন বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন। ১৭৮৯ সালে মার্কিন সংবিধান রচনাকালে একটি বক্তব্যে তিনি আমেরিকান জনগণকে ইহুদিদের ব্যাপারে সতর্ক করে বলেন-
      ইহুদীরা যে ভূমিতে পা রেখেছে সেখানেই তারা নৈতিক অবক্ষয় ডেকে এনেছে, সমঝোতামূলক বাণিজ্যিক নীতিমালা ভঙ্গ করেছে, বরাবরই তারা বিচ্ছিন্নতা আঁকড়ে থেকেছে; কখনোই কোন বিষয়ে অন্য কারো সঙ্গে অংশগ্রহণ করেনি।

      …. সরাসরি সাংবিধানিক হস্তক্ষেপের মাধ্যমে আজ যদি তাদেরকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দূরে না রাখা হয়, তবে এক শতাব্দীকালের ভেতর তারা এমন প্রভাব-প্রতিপত্তি খাটাতে শুরু করবে যে, তারা সরাসরি আমাদের জনগণের উপর খবরদারি করবে এবং তাদেরকে শাসন করতে আরম্ভ করবে।

      … শেষ পর্যন্ত আমাদের অধঃস্তন প্রজন্মের অবস্থা এই হবে যে, দেখা যাবে ইহুদি জনসাধারণের খাবার সরবরাহের জন্য তারা বাগানে কাজ করছে!

      উম্মাতুন ওয়াহিদাহ – আমরা এক উম্মাহ | ইস্যু – ০৫ | জামাআত কায়িদাতুল জিহাদের অফিসিয়াল ম্যাগাজিন থেকে সংগৃহীত

      Comment

      Working...
      X