Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুজাহিদিন নিউজ# ১৭ রজব, ১৪৪৫ হিজরী।। ৩০ জানুয়ারী, ২০২৪ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুজাহিদিন নিউজ# ১৭ রজব, ১৪৪৫ হিজরী।। ৩০ জানুয়ারী, ২০২৪ ঈসায়ী

    বুরকিনায় প্রতিরোধ যোদ্ধাদের ৩ অভিযানে অন্তত ৩০ সৈন্য নিহত



    জেএনআইএম মুজাহিদিন, ফাইল ছবি।

    বুরকিনা ফাসোতে দেশটির ইসলাম বিরোধী জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে সামরিক অপারেশন চালাচ্ছেন ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা। সম্প্রতি দেশটির সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে ‘জেএনআইএম’ কর্তৃক পরিচালিত ৫টি অভিযানের ৩টিতেই অন্তত ৩০ বুরকিনান সৈন্য নিহত হয়েছে।

    আয-যাল্লাকা মিডিয়া সূত্রে জানা যায়, আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনীটি গত ২১ জানুয়ারি রবিবার, তাদের প্রথম অভিযানটি পরিচালনা করেন বঙ্গোর শহরে। অভিযানটি উক্ত শহরে জান্তা বাহিনীর সাথে যুক্ত একটি মিলিশিয়া দলকে টার্গেট করে চালানো হয়। মুজাহিদদের অতর্কিত এই অভিযানে অন্তত ২০ মিলিশিয়া সদস্য নিহত হয় এবং অন্যরা পালিয়ে যায়।

    অভিযান শেষে ‘জেএনআইএম’ যোদ্ধারা ঘটনাস্থল থেকে ১০টি ক্লাশিনকোভ, ১৫টি মোটরসাইকেল এবং ১৪টি বুলেট বাক্স সহ অন্যান্য অনেক সামরিক সরঞ্জাম ভর্তি বাক্স উদ্ধার করেন।

    এদিন জেএনআইএম মুজাহিদগণ তাদের দ্বিতীয় অভিযানটি পরিচালনা করেন উইগিয়া রাজ্যের বায়োসোগো অঞ্চলে। মুজাহিদগণ অভিযানটি উক্ত অঞ্চলে বুরকিনার একটি সেনা টহল দলকে টার্গেট করে পরিচালনা করেন। এতে ৬ বুরকিনান সেনা নিহত হয় এবং অন্যরা পালিয়ে যায়। আর মুজাহিদগণ ঘটনাস্থল থেকে সেনাসদস্যদের ২টি মোটরসাইকেল ও ৪টি ক্লাশিনকোভ জব্দ করেন।

    অপরদিকে গত ২২ জানুয়ারি সোমবার, জেএনআইএম’ মুজাহিদগণ তাদের তৃতীয় সফল অভিযানটি পরিচালনা করেন বুরকিনার কুমফেঙ্গি অঞ্চলে। এতে বুরকিনান সেনাবাহিনীর অন্তত ৪ সৈন্য নিহত হয় এবং কতক সৈন্য আহত হয়। আর মুজাহিদগণ ঘটনাস্থল থেকে সামরিক বাহিনীর ৪টি ক্লাশিনকোভ ও ৫টি বুলেট বাক্স জব্দ করেন।

    এর আগে অর্থাৎ গত ১১ ও ১৩ জানুয়ারি দেশটির ট্রেলিবারী অঞ্চলে ২টি পৃথক আইইডি বিস্ফোরণ ঘটান ‘জেএনআইএম’ মুজাহিদগণ। এতে সেনাবাহিনীর ২টি সাঁজোয়া যান ধ্বংস হয়ে যায়। আর যান দু’টিতে থাকা সমস্ত আরোহী সৈন্য হতাহত হয়।

    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    আফগানিস্তানে ১০ মাসে ১২২ বিলিয়নের রেকর্ড রপ্তানি আয়



    আফগানিস্তানে চলতি অর্থবছরের দশ মাসে ১২২ বিলিয়ন আফগানি অর্থমূল্যের রপ্তানি আয়ের রেকর্ড করা হয়েছে। গত ২৮ জানুয়ারি ইমারতে ইসলামিয়ার অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে উল্লেখ্য করা হয়, সহজ বাণিজ্যিক শুল্ক ব্যবস্থা, সরকারি কর্মকর্তাদের নিবেদিত প্রচেষ্টা ও দুর্নীতিমুক্ত অবস্থানের ফলে মাত্র দশ মাসে এমন সফলতা অর্জিত হয়েছে।

    রপ্তানি আয়ের প্রধান উৎসসমূহের মধ্যে রয়েছে দেশটিতে উৎপাদিত ফল, তুলা, সবজি ও অন্যান্য আরও বেশ কিছু পণ্যদ্রব্য। এই মোট রপ্তানি আয়ের মধ্যে প্রায় ৪৩ বিলিয়ন আফগানি এসেছে ফল থেকে, ১৬ বিলিয়ন আফগানি তুলা থেকে এবং ১৭ বিলিয়ন আফগানি এসেছে সবজি রপ্তানি থেকে।

    রপ্তানি পণ্যগুলোর বেশিরভাগেরই গন্তব্য ছিল পাকিস্তান, ভারত এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত।

    উল্লেখ্য, ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাস্টমস কার্যক্রমে দেশি-বিদেশি ব্যবসায়ীদের সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টির জন্য অল্প সময়ের মধ্যে বাণিজ্যিক পণ্যের ছাড়পত্র প্রদান করছে। এছাড়াও ব্যবসায়ীদের প্রয়োজনীয় সব রকম সেবা সহজেই দিয়ে আসছে দেশটি। সার্বিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত এই বিষয়গুলো রপ্তানি প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়ক প্রমাণিত হয়েছে।


    তথ্যসূত্র:
    ——
    1. Customs Exports Surge in the Initial Ten Months of Fiscal Year 1402
    http://tinyurl.com/2p92ucj6

    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3


      আফগানিস্তানের ব্যাপারে পশ্চিমা বিশ্বের ডাবল স্ট্যান্ডার্ড নীতি: মৌলভী আব্দুল কবির হাফিযাহুল্লাহ



      সম্প্রতি ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের রাজনৈতিক উপ-প্রধানমন্ত্রী জনাব মৌলভী আব্দুল কবির হাফিযাহুল্লাহ দেশটির শিক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ সম্পর্কিত একটি জাতীয় সম্মেলনে যোগদান করেছিলেন। উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি আফগানিস্তানকে নিয়ে পশ্চিমা বিশ্ব ও কথিত আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দ্বিমুখী আচরণ ও ভণ্ডামি স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন।

      উক্ত বক্তব্যটি ইমারতে ইসলামিয়ার অফিসিয়াল ওয়েব সাইটে এক প্রতিবেদনে তুলে ধরেছেন ঐ ওয়েব সাইটের লেখক- মোহাম্মদ দাউদ ইশাকজাহী (ইউসুফি)। প্রতিবেদনটি আমরা আল-ফিরদাউসের সম্মানিত পাঠকদের জন্য তুলে ধরেছি-

      বক্তব্যের শুরুতে ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের রাজনৈতিক উপ-প্রধানমন্ত্রী জনাব মৌলভী আব্দুল কবির হাফিযাহুল্লাহ উল্লেখ্য করেছেন, অর্থনীতিমুখী পররাষ্ট্রনীতির ভিত্তিতে আফগানিস্তান সরকার বিশ্বের সব দেশের সঙ্গে ইতিবাচক মিথস্ক্রিয়া ও ভারসাম্যপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এবং বর্তমানে প্রায় ২০টি দেশের সাথে আফগানিস্তানের কার্যক্রম সক্রিয় রয়েছে।

      বর্তমানে আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, দেশে জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে অর্থনৈতিক প্রকল্প গড়ে তোলা। দেশ-বিদেশে আফগান নাগরিকদের অধিকার নিশ্চিত করা। দেশে মাদক ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই এবং সামাজিক নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা নিশ্চিত করা।

      এটি স্পষ্ট যে, ইমারতে ইসলামিয়ার কর্মকর্তারা জনগণকে শান্তিপূর্ণ ও সুরক্ষিত পরিবেশ প্রদানের লক্ষ্যে চব্বিশ ঘণ্টা অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। কিন্তু কিছু আন্তর্জাতিক সংস্থা যারা নিজেদের সুনির্দিষ্ট এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করে থাকে, তারা বিভিন্ন অজুহাতে আফগানের শান্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে। তারা যদি একদিন সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষার দাবি করে তো পরের দিন নারী, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অধিকার এবং সরকার বিরোধীদের সুরক্ষার পক্ষে কথা বলে। এই ধরনের হস্তক্ষেপ আমাদের জাতির স্বাচ্ছন্দ্য ও শান্তি নষ্ট করছে।

      আমরা যদি বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে আফগানিস্তানের তুলনা করি, তবে আমরা দেখতে পাব একই ধরণের ঘটনা ঐসব দেশে প্রতিদিনই ঘটছে। কিন্তু ঐসব বিষয় সেসব দেশের সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। তবে অন্যসব দেশে এসব ঘটনা তেমন প্রচারণা না পেলেও, আফগানিস্তানে ব্যাপারে সবাই সতর্ক ও ভুল ধরার চেষ্টা করছে।

      উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, মানবাধিকারের পক্ষে কথা বলা অনেক পশ্চিমা দেশ মুসলিমদের ওপর হিজাব পরিধান নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে! কিন্তু তাদেরকে যখন হিজাব নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়, তখন তারা নিজেদের ইচ্ছামতো দাবি করে যে, এতে নাকি তাদের দেশের নিরাপত্তা এবং শান্তি নিশ্চিত হয়। এ ক্ষেত্রে তারা বর্ণবাদ নির্মূল এবং তাদের নিজস্ব নাগরিকদের সমান অধিকার নিশ্চিত করার দায়িত্ব এড়িয়ে যায়!

      কিন্তু আফগানিস্তানের সরকার যখন দেশের শান্তি ও জনগণের কল্যাণে শরিয়াহ আইন অনুযায়ী হিজাব বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে, তখন একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের প্রতি সম্মান না দেখিয়ে সবার চোখ শুধুমাত্র আফগানিস্তানের দিকে নিবদ্ধ থাকে। তারা তাদের দেশের সমস্যা বাদ দিয়ে দিনের পর দিন আফগানিস্তান নিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ করে। এবং তারা আফগান সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করে।

      বক্তব্যের এক পর্যায়ে মৌলভী আব্দুল কবির হাফিযাহুল্লাহ প্রশ্ন রেখে বলেন, ইউরোপের দেশগুলোতে মিথ্যা অজুহাতে মসজিদ ও ইসলামি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া কি মানবাধিকারের লঙ্ঘন নয়? তারা কেন ঐসব লজ্জাজনক সংকট মোকাবেলা করছে না! তারা কেন ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষায় পদক্ষেপ নিচ্ছে না!

      এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, আফগানিস্তান একটি মুসলিম দেশ। এখানে সকল প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাকে বাধ্যতামূলক শরিয়া ও ইসলামি আইন মেনে চলতে হবে। ইসলামি আইনের প্রতি সবার আনুগত্য করা মানেই আফগান জনগণের ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা।

      উপ-প্রধানমন্ত্রী মৌলভী আব্দুল কবির হাফিযাহুল্লাহ আরও প্রশ্ন রেখে বলেন, কোন দেশ বা আন্তর্জাতিক সংস্থা কী অন্যকে তার প্রতিষ্ঠানে বা দেশে বসে তাদের বিরুদ্ধে কাজ করার অনুমতি দেয়?

      ফিলিস্তিনি মুক্তি আন্দোলনের নেতা ইয়াসির আরাফাতকে ১৯৮৮ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে আমন্ত্রণ করা হয়। কিন্তু মার্কিন সরকার তাকে ভিসা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। ১৯৭৩ সালে নিউ ইয়র্ক শহরে জাতিসংঘের নিয়ম-নীতির ওপর সংস্থাটি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র “সদর দফতর চুক্তি” তে স্বাক্ষর করে। এই চুক্তি অনুসারে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোনও ব্যতিক্রম ছাড়াই সব দেশের প্রতিনিধিদের জাতিসংঘের সদর দফতরে প্রবেশের সুবিধার্থে বিনামূল্যে যত দ্রুত সম্ভব ভিসা প্রদান করবে।

      এই চুক্তির ১২ নং অনুচ্ছেদে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই সব দেশের প্রতিনিধিদের প্রবেশের অনুমতি দিতে হবে। অন্যভাবে বললে, যদি কোন দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয় তবুও নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দফতরে সেই দেশের প্রতিনিধিদের বাধা দেয়া যাবে না।

      কিন্তু, ২০১০ সালে আমেরিকান কংগ্রেস (সংসদ) “বৈদেশিক সম্পর্ক লাইসেন্স” নামে একটি আইন অনুমোদন করে। এবং দেশটির রাষ্ট্রপতিকে “সদর দফতর চুক্তির” সাথে সাংঘর্ষিক ক্ষমতা প্রদান করে। এই আইন অনুযায়ী, যেসব ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তিতে জড়িত বা দেশটির জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে তাদেরকে রাষ্ট্রপতি জাতিসংঘের সদর দপ্তরে প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে পারবে।

      এখন আমাদের জাতির কাছে প্রশ্ন, কোন দেশ যখন নিজের স্বার্থ রক্ষার্থে অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক প্রতিক্রিয়া বিবেচনা না করেই কাজ করতে পারে, তখন মিডিয়ায় অপপ্রচার এবং মানসিক চাপ শুধুমাত্র আফগানিস্তানকেই কেন দেয়া হচ্ছে, ঐসব দেশকে কেন দেয়া হচ্ছে না?

      পশ্চিমাদের এই দ্বিমুখী আচরণ কেবল তাদের ডাবল স্ট্যান্ডার্ড নীতিকেই নির্দেশ করে। এবং বলা যায়, তারা নিজের দোষে অন্ধ এবং অন্যের প্রতি তীক্ষ্ণ দৃষ্টিসম্পন্ন।



      তথ্যসূত্র:
      ——-
      1. The Dual Standards of Foreign Governments Towards Afghanistan
      http://tinyurl.com/yv6v5exr

      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4

        আফগানে ৪৭ মিলিয়ন আফগানি ব্যয়ে নির্মিত আরো ৩ টি ব্রীজ যান চলাচলের জন্য উম্মুক্ত



        আফগানিস্তান পুনর্গঠন অগ্রযাত্রার অংশ হিসেবে ইমারতে ইসলামিয়া সরকার দেশের সড়ক-সেতু সংস্কার ও বিনির্মাণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ায় সম্প্রতি গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ৩ টি নতুন ব্রীজ উদ্বোধন করেছে এবং যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে । তন্মধ্যে ২ টি ব্রীজ কাবুল-কান্দাহার মহাসড়কে এবং ১টি ওয়ামা জেলার নূরীস্তান-কুনার মূল সড়ক সংলগ্ন।

        কাবুল-কান্দাহার মহাসড়কে অবস্থিত ব্রীজ ২ টি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত মন্ত্রী মোল্লা মোহাম্মদ ঈসা থানী উপস্থিত ছিলেন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলো সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন বিভাগের কেন্দ্রীয় প্রধানগণ, জাবুল প্রদেশের গণপূর্ত বিভাগের প্রধান এবং প্রযুক্তি সংক্রান্ত প্রকৌশলী টিম। তারা দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের বিভিন্ন প্রদেশে সফর করবেন। গত ২৭শে জানুয়ারি গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এতথ্যগুলো নিশ্চিত করেছে।

        উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী মহোদয় তথ্যসমৃদ্ধ বক্তব্য রাখেন। ব্রীজ দুটি ঘোষি রাবাত ও সানগার মান্ডা ব্রীজ নামে পরিচিত । এগুলোর দৈর্ঘ্য যথাক্রমে ৩৪ মিটার ও ৪২ মিটার এবং উভয়টির প্রস্থ ৮.৭ মিটার। ব্রীজগুলো নির্মাণে যথাক্রমে ১৬ মিলিয়ন ও ১৫ মিলিয়ন আফগানি মূল্যের অধিক অর্থ ব্যয় হয়েছে। দুটির ক্ষেত্রেই ৫ মাসের নির্মাণ কার্যকাল নির্ধারিত ছিলো। তথ্যগুলো মন্ত্রী মহোদয়ের বক্তব্যে উঠে আসে।

        তিনি আরো বলেন, নবনির্মিত ব্রীজ দুটি কাবুল-কান্দাহার মহাসড়কে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির প্রমাণ বহন করছে । এই দুটি ছাড়া অন্যান্য ব্রীজ নির্মাণ কাজের অধিকাংশই সম্পন্ন হয়েছে । অবশিষ্ট নির্মাণ কাজ অতি দ্রুত সম্পন্ন হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

        অপরদিকে গত ২৮ শে জানুয়ারি গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ওয়ামা জেলার নূরীস্তান-কুনার মূল সড়ক সংলগ্ন কুরদার ব্রীজের ১৬ মিলিয়ন আফগানি অর্থ ব্যয়ে সফলভাবে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে । ব্রীজটি উদ্বোধনকালে ইমারতে ইসলামিয়ার একাধিক আঞ্চলিক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলো ।

        ব্রীজটির দৈর্ঘ্য ২৬ মিটার এবং প্রস্থ ৪.৯ মিটার । রিটেইনিং দেয়ালসহ উভয় পাশে ১৩৩০ কিউবিকি মিটার বিস্তৃত এবং এটির উচ্চতা ৫ মিটার।

        ব্রীজগুলো নির্মিত হওয়ার ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা পূর্বের তুলনায় অনেক উন্নত হয়েছে। এতে স্থানীয় জনসাধারণ ও ভ্রমণকারীদের পরিবহন সমস্যা অনেকাংশে দূর হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।





        তথ্যসূত্র:

        1. 2 Bridges worth 31million AFN Inaugurated on Kabul-Kandahar highway
        http://tinyurl.com/2p8efcr5
        2. Construction of Kurdar bridge Completed, opens for traffic
        http://tinyurl.com/yc2hw7vx
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          পাকিস্তানের সাথে আমাদের স্বীকৃত কোনো সীমানা এমনকি জিরো পয়েন্টও নেই: তালিবান




          ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান প্রশাসন, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানকে পৃথককারী বৃটিশদের তৈরি “ডুরান্ড” লাইনকে কাল্পনিক সীমান্ত বলে বর্ণনা করেছেন। ইমারাতে ইসলামিয়া প্রশাসন বলেছে যে, প্রতিবেশী পাকিস্তানের সাথে আফগানিস্তানের বাস্তবিক কোন সীমান্ত নেই।

          গত ২৭ জানুয়ারী পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যকার তোরখাম বর্ডার পরিদর্শন করেন আফগানিস্তানের সীমান্ত ও উপজাতি বিষয়ক মন্ত্রী নূরুল্লাহ নূরি হাফিজাহুল্লাহ। এসময় তিনি পাকিস্তান সরকার কর্তৃক জোরপূর্বক উদ্বাস্তু হয়ে দেশে ফিরে আসা শরনার্থীদের সাথে দেখা করেন এবং তাদের সমস্যাগুলো মনোযোগ দিয়ে শোনেন। সেই সাথে তিনি জনগণকে আশ্বস্ত করেন যে, “আপনাদের সুযোগ-সুবিধা তৈরি করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা যথাসাধ্য কাজ করে যাচ্ছেন।”

          এই সফরে তিনি পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যকার “ডুরান্ড লাইন” নিয়েও কথা বলেন। তিনি জানান, ইসলামাবাদ এবং কাবুলের মধ্যে সীমান্ত এখনও অস্পষ্ট। এখানে শুধু দুই দেশের মধ্যে একটি কাল্পনিক সীমান্ত রেখা আছে।



          আফগানিস্তান সরকার “যথাযথভাবে সীমান্ত রেখায় উত্তেজনা নিরসনের চেষ্টা করছে” উল্লেখ করে তিনি বলেন, “পাকিস্তানের সাথে আমাদের কোনো সরকারি সীমান্ত নেই, এমনকি কোনো জিরো পয়েন্টও নেই। আমাদের মধ্যে কেবল (ডুরান্ড লাইন) একটি কাল্পনিক রেখাই আছে।”

          মন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে যেই ডুরান্ড লাইন আছে, তা “ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক প্রশাসন এই অঞ্চলের জনগণকে বিভক্ত করার জন্য তৈরি করেছিল”। আর আফগানিস্তান এই রেখাটিকে সরকারি সীমানা হিসাবে স্বীকৃতি দেয় না।

          নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            ভিডিও || আল কাসসাম ব্রিগেড কর্তৃক জায়োনিস্ট বাহিনীর সাঁজোয়া যান ধ্বংস

            ফিলিস্তিন ভিত্তিক সশস্ত্র ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী আল-কাসসাম ব্রিগেড। অঞ্চলটিতে জায়োনিস্ট বাহিনীর বিরুদ্ধে চলমান প্রতিরোধ যুদ্ধের আরও একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে দলটি। গত ২৯ জানুয়ারি প্রকাশিত প্রায় দেড় মিনিটের ভিডিওতে দেখা যায়, গাজার দক্ষিণে খান ইউনুস শহরে মুজাহিদগণ জায়োনিস্ট ইসরায়েলি বাহিনীর অত্যাধুনিক ট্যাঙ্কগুলোকে আল-ইয়াসিন রকেট দ্বারা ধ্বংস করছেন।

            ভিডিওটি দেখুন:

            https://archive.org/download/2024013...8%E0%A7%AA.mp4
            নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

            Comment

            Working...
            X