Announcement

Collapse
No announcement yet.

ফিলিস্তিনের জিহাদ || আপডেট ‌‌- ৩১ জানুয়ারি, ২০২৪

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ফিলিস্তিনের জিহাদ || আপডেট ‌‌- ৩১ জানুয়ারি, ২০২৪




    খান ইউনিস ও রাফাহকে সংযুক্তকারী মহাসড়কে একটি বেসামরিক গাড়িতে হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল।

    খান ইউনিসে হাসপাতালগুলোকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে দখলদার ইসরায়েল। জাতিসংঘের সাহায্য সংস্থাকেও সেখানে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এই অবস্থায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনি খান ইউনিস ছেড়ে যাচ্ছেন।

    হামাস-ইসরায়েলের মধ্যে সম্ভাব্য চুক্তির নীতিমালা ঠিক করতে আলোচনা-বিতর্ক চলছে। হামাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, গাজায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধ না করা পর্যন্ত এবং সকল ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি না দিলে কোনো চুক্তি হবে না। কিন্তু নেতানিয়াহু বার বার বলছে, সে যুদ্ধ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়া বা ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দেওয়ার শর্তে চুক্তি করবে না। ওদিকে গাজায় বন্দী ইসরায়েলিদের পরিবার নেতানিয়াহুকে চাপ দিচ্ছে বন্দীদের ফিরিয়ে আনতে।

    গাজায় জায়োনিস্ট বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত প্রায় ২৭,০০০। আহত অন্তত ৬৫,৯৪৯ জন ফিলিস্তিনি।

    ৩১শে জানুয়ারিতে জায়োনিস্ট-মার্কিন জোটের উপর প্রতিরোধ যোদ্ধাদের চালানো হামলার বিবরণ:

    আল-কাসসাম ব্রিগেড:

    খান ইউনিসে জায়োনিস্ট বাহিনীর ৩টি মারকাভা ট্যাংকে ইয়াসিন ১০৫ দিয়ে হামলা করেছেন।
    গাজা শহরের দক্ষিণপশ্চিমে জায়োনিস্ট মারকাভা-৪ ট্যাংক ধ্বংস করেছেন। ট্যাংকে আগুন ধরে গেছে।
    তাল আল-হাওয়াতে দখলদার বাহিনীর একটি সামরিক ডি৯ বুলডোজারে হামলা করেছেন।
    তাল-আল হাওয়াতে এক ইসরায়েলি অফিসারকে সফলভাবে স্নাইপার হামলার শিকার বানিয়েছেন।


    আল-কুদুস ব্রিগেড:

    খান ইউনিসের পূর্ব, দক্ষিণ ও পশ্চিম এলাকায় জায়োনিস্ট বাহিনীর উপর মর্টার, বদর-১ ইরাম রকেট এবং ১০৭মিমি রকেট হামলা চালিয়েছেন।
    খান ইউনিসের আরায়শিয়া এবং বাতিন আল-সামীন এলাকায় এবং দক্ষিণ-পশ্চিম গাজার সাবরা এবং তাল আল-হাওয়া এলাকায় জায়োনিস্ট বাহিনীর বিরুদ্ধে মেশিনগান ও ট্যাংক বিধ্বংসী রকেট দিয়ে তীব্র যুদ্ধ করেছেন।
    মধ্য গাজার একটি ভবনে অবস্থানকারী জায়োনিস্ট সৈন্যদের লক্ষ্য করে একটি গাইডেড ১০৭মিমি মিসাইল হামলা চালিয়েছেন।
    জায়োনিস্ট মারকাভা ট্যাংকে ছাকেব বিস্ফোরক ডিভাইস ব্যবহার করে ট্যাংকটি ধ্বংস করেছেন। আর আশপাশের জায়োনিস্ট সৈন্যদের বিরুদ্ধে তীব্র যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছেন।
    খান ইউনিসের পশ্চিমে এবং বুরেইজ ক্যাম্পের পূর্বাঞ্চলে জায়োনিস্ট বাহিনীর সৈন্য ও সামরিক যানে হামলা চালিয়েছেন।


    মুজাহিদিন ব্রিগেড:

    গাজা শহরে জায়োনিস্ট বাহিনীর অবস্থানে মর্টার হামলা চালিয়েছেন। এতে শত্রুরা হতাহত হয়েছে।
    দখলীকৃত বীরসেভাতে রকেট হামলা চালিয়েছেন।
    ইসরায়েলি সামরিক কমান্ড হেডকোয়ার্টার এবং রেইমের বিমানবন্দরে রকেট হামলা চালিয়েছেন।
    গাজা শহরের পশ্চিমাঞ্চলে এবং সাবরা ও তাল আল-হাওয়াতে জায়োনিস্ট বাহিনীর সাথে উপযুক্ত অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছেন।


    আল-আকসা শহীদি ব্রিগেড:

    খান ইউনিসের পশ্চিমাঞ্চলে এক জায়োনিস্ট সৈন্যকে স্নাইপার হামলার শিকার বানিয়েছেন।
    খান ইউনিসে জায়োনিস্ট সৈন্যদের অবস্থানে মর্টার ও শর্টরেঞ্জের আল-আকসা রকেট হামলা চালিয়েছেন।
    কিসসুফিম সামরিক অবস্থানে রকেট হামলা চালিয়েছেন।


    আবু আলী মুস্তফা ব্রিগেড:

    খান ইউনিসে জায়োনিস্ট বাহিনীর অবস্থানে মর্টার হামলা চালিয়েছেন।
    খান ইউনিসে জায়োনিস্ট বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে জড়িয়েছেন।


    উমার আল-কাসিম বাহিনী:

    গাজা শহরের পশ্চিমে তাল আল-হাওয়াতে জায়োনিস্ট বাহিনীর সামরিক যানে ভারী মর্টার হামলা চালিয়েছেন।

    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    জাতিসংঘ ইজরায়েলের বিরুদ্ধে অবস্থান করেনি। বরং জাতিসংঘ ইজরায়েলের সাথে নমনীয়তার নীতি অবলম্বন করেছে। অর্থাৎ তারা ইজরায়েলকে সৎ উপদেশ দেয়। ইজরায়েল জাতিসংঘকে ফিলিস্তিনিদেরকে সহযোগিতা করার যতটুকু সুযোগ দেয় তারা ততটুকু সাহায্য করে । এর বাহিরে সাহায্য করার কোন পদক্ষেপ নেয় না। তারা মূলত দায়িত্ব হীনতার পরিচয় দিচ্ছে। এবং তারা ফিলিস্তিনের পক্ষে কথা বলে তারা বিশ্বকে ধোঁকা দিচ্ছে। এবং তারা তাদের দায়িত্ব ফিলিস্তিনিদের পক্ষে সঠিক ভাবে আদায় করছে না। এবং তারা যথাযথ ভাবে ইজরায়েলের বিপক্ষে অবস্থান করছে না।
    পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

    Comment


    • #3
      আল্লাহ্‌ পাক ফিলিস্তিনের মুজাহিদদের সাহায্য করুন

      Comment

      Working...
      X