Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুজাহিদিন নিউজ# ২৬ রজব, ১৪৪৫ হিজরী।। ০৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুজাহিদিন নিউজ# ২৬ রজব, ১৪৪৫ হিজরী।। ০৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ঈসায়ী

    ভিডিও || গাজায় দখলদারত্বের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের যৌথ অভিযান



    ফিলিস্তিন ভিত্তিক সশস্ত্র প্রতিরোধ বাহিনী আল-কাসসাম ব্রিগেড এবং আল-কুদস ব্রিগেডের যোদ্ধারা, গাজায় জায়োনিস্ট দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান পরিচালনা করছেন। গত ৬ ফেব্রুয়ারি উপরোক্ত ২টি প্রতিরোধ বাহিনী তাদের যৌথ অভিযানের ১:৪৪ মিনিটের একটি সংক্ষিপ্ত ভিডিও প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায়, প্রতিরোধ যোদ্ধারা গাজার যুদ্ধ ফ্রন্টে জায়োনিস্ট দখলদারত্বের বিরুদ্ধে ব্যাপক রকেট ও মর্টার শেল নিক্ষেপ করছেন। এসকল রকেটের মধ্যে রয়েছে 107 মিমি Fadjr-1 রকেট, M91 শেল, 81mm HM-15 মর্টার, M61/M49A1 শেল ও 60mm HM-12/13 মর্টার।

    ভিডিওটি দেখুন:
    https://archive.org/details/20240207_1789
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    মাদকের ভয়াবহতা মোকাবেলায় তালিবান সরকারের উপযুক্ত কৌশল


    বিগত সরকারের শাসনামলে দীর্ঘ ২০ বছর যাবত আফিম উৎপাদনে আফগানিস্তান বিশ্বের শীর্ষ দেশ হিসেবে গণ্য হতো। সেসময় মাদক ও আফিম মোকাবেলায় একাধিক দাতব্য ও আন্তর্জাতিক সংস্থা বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতো । কিন্তু তা সত্ত্বেও তাদের প্রচেষ্টাগুলো চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে । এমনকি আফগানবাসীদের অনেকেই এই নিকৃষ্ট কাজে এতোটাই আসক্ত হয়ে পড়ে যে এর ফলস্বরূপ পপি চাষ, উৎপাদন ও এর চোরাচালানের পরিসংখ্যান ৯৫ শতাংশ ছাড়িয়ে গিয়েছিলো।

    সেসময় আফগানিস্তান শীর্ষস্থানীয় আফিম উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে সারা বিশ্বে স্বীকৃতি পেয়েছিলো পাশাপাশি স্বয়ং আফগানিস্তানেই সাড়ে ৩ মিলিয়ন মাদকাসক্ত বিদ্যমান ছিলো, যা একটি জাতির জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক।

    পক্ষান্তরে ইমারতে ইসলামিয়া ক্ষমতায় আসার পর থেকে মাদক সমস্যা মোকাবেলায় কৌশলগত উপায় অবলম্বনের প্রয়োজন অনুভব করে। তাই ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ আমীর শাইখুল হাদিস হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা হাফিযাহুল্লাহ মাদক প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ করতে বিস্তৃত পরিসরে ব্যবস্থা গ্রহণের অংশ হিসেবে দেশব্যাপী একটি ডিক্রি জারি করেন।

    জারিকৃত ডিক্রি মাদকদ্রব্যের ভয়াল থাবার বিরুদ্ধে লড়াইরত ইমারত সরকারের প্রতিশ্রুতির বাস্তব প্রতিফলনের একটি বহিঃপ্রকাশ। একই সাথে এতে আফগানিস্তানের সামাজিক শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রয়োজনীয়তার প্রতি প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। উক্ত ডিক্রি জারির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো আফগান সমাজের সবচেয়ে ভয়াবহ সমস্যাটি চিহ্নিত করে তা নির্মূলের জন্য গৃহীত বাস্তসম্মত পদক্ষেপ।

    ইমারতে ইসলামিয়া দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে ইসলামিক শরিয়াহভিত্তিক মূলনীতি গ্রহণ করেছে। ইসলামিক মূলনীতির একটি দিক হলো মাদকের অপব্যবহার ও ব্যক্তি-সমাজের উপর থেকে এর ক্ষতিকর প্রভাব দূর করা। জারিকৃত ডিক্রি এই মূলনীতির আদলেই আরোপ করা হয়েছে।

    নাগরিকদের সুস্বাস্থ্য ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে ইমারত সরকার মাদক প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণকে অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে। উক্ত ডিক্রি বাস্তবায়ন করতে ইমারতে ইসলামিয়া সরকার সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে যাচ্ছে। তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো মাদকাসক্ত রোগীদের সুস্থ করে তুলতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা। যেমন ৫০০০ ও ১০০০ শয্যাবিশিষ্ট মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্র স্থাপন এবং সব ধরনের সুবিধা সংবলিত সুসজ্জিত ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠা করা।

    উল্লেখ্য, কাবুল ও অন্যান্য প্রদেশে মাদকবিরোধী অভিযানে ১ লক্ষেরও অধিক মাদকাসক্ত গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাদেরকে বিভিন্ন পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে । তন্মধ্যে ৮০ হাজার মাদকাসক্ত ব্যক্তি সুস্থ হয়ে তাদের পরিবারে ফিরে গিয়েছে এবং অবশিষ্ট ২০ হাজার জন এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছে।

    মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের স্বাভাবিক জীবনে অভ্যস্ত করতে দক্ষ পেশাদার প্রশিক্ষক দ্বারা মাদকাসক্ত পুনর্বাসন ক্যাম্পাসে বৃত্তিপ্রদান মূলক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

    এসব কিছুর ফলাফল স্বরূপ দেশব্যাপী পপি চাষ এখন আর হচ্ছে না। মাদকদ্রব্য উৎপাদন ও পাচারে কঠোর বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। পাশাপাশি মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের পরিকল্পিত ব্যবস্থা অনুসরণ করে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে।

    পরিশেষে বলা যায়, মাদক প্রতিরোধে সরকারের সর্বোচ্চ আমীর থেকে জারিকৃত এই ডিক্রি মাদকদ্রব্যের হুমকি নির্মূল করতে ইমারতে ইসলামিয়ার সক্রিয় ও দৃঢ় প্রতিজ্ঞ প্রচেষ্টার প্রমাণ বহন করে। নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌছানো ও কৌশলগত উদ্যোগের সমন্বিত প্রয়াসে আফগান সরকার অচিরেই তার নাগরিকদের সুরক্ষা ও উজ্বল ভবিষ্যতের পথ সুগম করতে পারবে ইনশা আল্লাহ।


    তথ্যসূত্র:
    1. A Strategic Approach to Tackle Narcotics Menace
    http://tinyurl.com/5n8xc23n

    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      আল্লাহ্‌ পাক মুজাহিদদের সাহায্য করুন, ইমারতে ইসলামিয়াকে শক্তিশালী করুন

      Comment


      • #4
        ি
        Originally posted by Omor Faruk View Post
        আল্লাহ্‌ পাক মুজাহিদদের সাহায্য করুন, ইমারতে ইসলামিয়াকে শক্তিশালী করুন
        আমীন ইয়া রব্বাল আলামিন

        Comment

        Working...
        X