Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুজাহিদিন নিউজ# ০২ শাবান, ১৪৪৫ হিজরী।। ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুজাহিদিন নিউজ# ০২ শাবান, ১৪৪৫ হিজরী।। ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ঈসায়ী


    মোগাদিশুর সামরিক প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে হামলা: আমিরাতের ৯ প্রশিক্ষকসহ নিহত অন্তত ১৭



    সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিশুর বৃহত্তর বিদেশি সামরিক প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে অভিযান চালিয়েছে দেশটির ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী। এতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ৯ প্রশিক্ষক সহ অন্তত ১৭ জন সামরিক অফিসার নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

    শাহাদাহ এজেন্সির তথ্যমতে, গত ১০ ফেব্রুয়ারি শনিবার রাতে, রাজধানী মোগাদিশুতে সংযুক্ত আরব-আমিরাত (UAE) দ্বারা পরিচালিত একটি সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র লক্ষ্য করে বিধ্বংসী উক্ত অভিযানটি চালানো হয়েছে। অভিযানটি এমন এক সময় চালানো হয়েছে, যখন ক্যাম্পের ভিতরে সংযুক্ত আরব-আমিরাত, বাহরাইন এবং সোমালিয়া সহ কয়েকটি দেশের শীর্ষ সামরিক প্রশিক্ষকরা একটি মিটিংয়ে অংশ নিয়েছিল।
    ক্যাম্পে সামরিক প্রশিক্ষকদের ভবন
    অভিযানটি চালিয়েছেন সোমালি স্পেশাল ফোর্সের সাথে যুক্ত একজন সৈনিক, যিনি সম্প্রতি “UAE” এর উক্ত সামরিক ঘাঁটি থেকে প্রশিক্ষণ শেষ করেছিলেন। পরে তিনি এই ক্যাম্পটিতে বিশেষ ইউনিটের হয়ে কাজের দায়িত্ব পান। আর তিনি এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ভারী মেশিনগান নিয়ে অফিসারদের মিটিং রুমে পর্যন্ত পৌঁছান, এবং মিটিংয়ে অংশ নেওয়া অফিসারদের টার্গেট করে গুলি চালাতে শুরু করেন। অভিযানের সময় ঐ কক্ষে আমিরাত ও বাহরাইনের ২০ কর্মকর্তা সহ অন্তত ৩০ জন সেনা অফিসার অবস্থান করছিল। অভিযানে শীর্ষ এই সামরিক কর্মকর্তাদের মধ্যে ১৮ জনই নিহত হয় এবং বাকিরা জীবিত বেঁচে ফিরলেও কয়েকজন গুরুতর আহত হয়।
    আমিরাতের নিহত সামরিক প্রশিক্ষক
    এসময় অন্য সেনা সদস্যরা অফিসারদের রক্ষা করতে এগিয়ে আসলে তাদের সাথেও তীব্র লড়াইয়ে অবতীর্ণ হন ঐ সৈনিক। এতে সোমালি স্পেশাল ফোর্সের কয়েক ডজন সৈন্যও হতাহত হয়।

    স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, অভিযানে নিহত সেনা অফিসারদের মধ্যে ৯ জনই “UAE” সামরিক প্রশিক্ষক এবং ২ জন বাহরাইনের। এই অফিসাররা সোমালিয়ায় ইসলামি শরিয়াহ্ শাসিত অঞ্চলের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে পশ্চিমা সমর্থিত মোগাদিশু সরকারি বাহিনীকে সামরিক প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দিয়ে আসছিল। এছাড়াও নিহত অফিসারদের এই তালিকায় সোমালিয়ার অন্তত ৬ সামরিক কর্মকর্তাও রয়েছে।

    আমিরাতের নিহত শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা

    সূত্রমতে, নিহত আমিরাতের সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছে সোমালিয়ায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের সামরিক অভিযানের নেতৃত্বদানকারী কমান্ডার কর্নেল মোহাম্মদ মুবারক। সে দীর্ঘদিন ধরে আমিরাতের সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের সাথে জড়িত ছিল এবং ইয়েমেনের যুদ্ধে দক্ষিণী ভাড়াটে বাহিনীর হয়ে নিরপরাধ বেসামরিক নাগরিকদের হত্যায় অংশ নিয়েছিল। আমিরাতের শীর্ষ সেনা অফিসারদের এই তালিকায় রয়েছে, সামরিক ঘাঁটির প্রধান কর্নেল মোহাম্মদ আল-মানসুরি, প্রশিক্ষক প্রধান মোহাম্মদ আল-শামসি, আন্ডার সেক্রেটারি খলিফা আল বালুশি, কর্পোরাল সুলেমান আল শেহি এবং বাহরাইনের প্রতিরক্ষা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা মেজর আবদুল্লাহ বিন রশিদ আল নুয়াইমি।

    ইউএই এর নিহত শীর্ষ আরেক সামরিক কর্মকর্তা

    এদিকে দেশটির জনপ্রিয় ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই অভিযানের ঘোষণা দেন। প্রতিরোধ বাহিনীর মুখপাত্র আলী ধেরের একটি অডিও বার্তা থেকে জানা যায়, শনিবারের ঐ অভিযানটি হারাকাতুশ শাবাবের সামরিক বিভাগের দিকনির্দেশনায় ২৭ বছর বয়সী সৈনিক মুস্তফা মুখতার নামক একজন প্রতিরোধ যোদ্ধা একাই পরিচালনা করছেন। তাতে ৫০ এরও বেশি সামরিক কর্মকর্তা হতাহত হয়েছে।


    শাবাব মুখপাত্রের অডিও বার্তার ইমেজ

    মুখপাত্র বলেন, ইসলাম ও মুসলিমদের সমর্থনে সংযুক্ত আরব-আমিরাতের সামরিক বাহিনীকে টার্গেট করা আমাদের জন্য একটি বৈধ অধিকার। কেননা আমিরাত হচ্ছে ইহুদিবাদী-ক্রুসেডার জোটের ডান হাত। মুসলিমরা যেই বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তার পিছনের বিষাক্ত ছোরা হচ্ছে এই দেশটি। এটি এমন এক রাষ্ট্র, যা সর্বত্র ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত কাফের সেনাবাহিনীর সমর্থনে কাজ করে যাচ্ছে।

    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    “আল-ইয়াসিন ১০৫” রকেটের আঘাতে চলন্ত কফিনে পরিণত ১১০৮টি ইসরায়েলি ট্যাংক



    ফিলিস্তিন ভিত্তিক সশস্ত্র ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী আল-কাসসাম ব্রিগেড। সম্প্রতি দলটির সামরিক শাখা থেকে তৈরি করা “আল-ইয়াসিন ১০৫” ট্যানডেম রকেটের ধ্বংসাত্মক সক্ষমতা নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। এই রকেটগুলো আল-কাসসাম যোদ্ধারা গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধে সবচাইতে বেশি ব্যবহার করে আসছেন।

    আল-কাসসাম ব্রিগেড জানিয়েছে যে, “আল-ইয়াসিন ১০৫” দখলদারদের সুরক্ষিত বর্ম এবং যানবাহনের মোকাবেলা করার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। বর্তমানে এই রকেটগুলো ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যুদ্ধে দখলদার বাহিনীর অত্যাধুনিক যানবাহনের মোকাবেলায় উল্লেখযোগ্য এবং বাস্তব সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। প্রতিরোধ যোদ্ধারা এই রকেটগুলো দ্বারা জায়োনিস্ট বাহিনীর যানবাহনগুলিকে চলন্ত কফিনে পরিণত করছেন, যা শত্রু সৈন্যদের অনিবার্য মৃত্যুর দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

    আল-কাসসাম ব্রিগেড জানিয়েছে যে, তুফানুল-আকসা অপারেশন থেকে নিয়ে আল-ইয়াসিন ১০৫ রকেট একটি বিশিষ্ট এবং গুরুত্বপূর্ণ আইকন হয়ে উঠেছে। কেননা এটি ৭ অক্টোবর স্থল যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে জায়োনিস্ট বাহিনীর অত্যাধুনিক বর্ম, ক্রু এবং ইসরায়েলি অভিজাত বাহিনীর ব্যবহৃত ট্যাঙ্ক, বিশেষ করে “Merkvah 4 BAZ” ট্যাঙ্কের বিরুদ্ধে সবচাইতে শক্তিশালী ও কার্যকরী অস্ত্র হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে। অথচ এই ট্যাংকের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলো জায়োনিস্টরা। এর একেকটি ট্যাংকের উৎপাদন খরচ প্রায় ৬ মিলিয়ন ডলার। বিপরীতে এসব ট্যাংক ধ্বংসের জন্য তৈরি করা আল-কাসসামের একটি “আল-ইয়াসিন ১০৫” রকেটের উৎপাদন খরচ ১০৫ থেকে ৫০০ ডলারের চেয়েও কম।



    গত ৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো প্রকাশিত একটি তালিকায়, আল-কাসসাম ব্রিগেড নিশ্চিত করেছে যে, তাঁরা এই যুদ্ধে “আল-ইয়াসিন ১০৫” রকেট দ্বারা এখন পর্যন্ত ৯৬২টি মারকাভা ট্যাংক, ৫৫টি ট্রুপ ক্যারিয়ার (APCs), ৭৪টি বুলডোজার, ৩টি এক্সকাভেটর সহ ১৪টি সামরিক জিপ ধ্বংস করেছেন। এছাড়াও অন্যান্য রকেট দ্বারা ধ্বংস করেছেন আরও ৫৫টি সাঁজোয়া যান। মুজাহিদদের অভিযানে ধ্বংস হওয়া এসব যানবাহনের ভিতরে থাকা বিপুল সংখ্যক দখলদার জায়োনিস্ট অফিসার এবং সৈন্য হতাহত হয়েছে।



    উল্লেখ্য যে, আল-কাসসামের প্রতিরোধ যোদ্ধারা জায়োনিস্ট দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ এই যুদ্ধটি এমন একটি এলাকা থেকে পরিচালনা করছেন, যা বিগত ১৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে জায়োনিস্টদের দ্বারা অবরুদ্ধ।

    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      কূটনীতি কোর্সে ১২৮ তালেবান কর্মকর্তার স্নাতক অর্জন



      আফগানিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কূটনৈতিক ইনস্টিটিউট থেকে ১২৮ জন তালেবান কর্মকর্তা কূটনীতি বিষয়ে স্নাতক অর্জন করেছেন। সম্প্রতি এ উপলক্ষে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। অনুষ্ঠান থেকে সদ্য স্নাতকদের সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।

      দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেশটির অন্তত ২২টি ভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ১২৮ সরকারি কর্মকর্তা কোর্সটিতে অংশ নেন। দ্বিতীয় পর্যায়ের বিশেষ এই কোর্সটি দীর্ঘ তিন মাসের ধরে চলছিল। তালেবান কর্মকর্তারা কোর্সটি কৃতিত্বের সাথে সম্পন্ন করেন।

      ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান প্রশাসন দেশ গঠনে এখন জোরালো তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। দখলদার আমেরিকা ও ন্যাটো জোটের দীর্ঘ আগ্রাসনে দেশটি আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো ছিল একদম ভঙ্গুর অবস্থানে। দেশজুড়ে ছিল অনিয়ম, মাদক ও দুর্নীতির ছড়াছড়ি। এমন অবস্থা থেকে এখন উত্তরোত্তর উন্নতি করে যাচ্ছে তালেবান প্রশাসন।

      পাশাপাশি বহিঃশত্রু থেকে দেশ রক্ষা ও আভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতার জন্য একটি শক্তিশালী সামরিক বাহিনী গড়ে তুলতে চেষ্টারত তালেবান প্রশাসন। একই সাথে একটি সুশিক্ষিত দক্ষ কূটনৈতিক বাহিনী গড়ে তুলতেও বিশেষ কার্যক্রম হাতে নিয়েছে দেশটি।


      তথ্যসূত্র:
      ——
      1. Over 120 graduated from Diplomatic Institute of Foreign Ministry
      http://tinyurl.com/3ksfr6ye

      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment

      Working...
      X