Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুজাহিদিন নিউজ# ১১শাবান, ১৪৪৫ হিজরী।। ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুজাহিদিন নিউজ# ১১শাবান, ১৪৪৫ হিজরী।। ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ঈসায়ী

    বুরকিনায় জেএনআইএম-এর দুই অভিযানে অন্তত ২৭ সৈন্য নিহত



    বুরকিনা ফাসোর টেঙ্কোডুগউ ও ফাডিঙ্গুরমা রাজ্যে ২টি ভারি অভিযানের ঘোষণা দিয়েছে প্রতিরোধ বাহিনী ‘জেএনআইএম’। এতে দেশটির অন্তত ২৭ সৈন্য নিহত হয়েছে বলে দাবি দলটির।

    আয-যাল্লাকা মিডিয়া সূত্রে জানা যায়, প্রতিরোধ যোদ্ধারা তাদের প্রথম অভিযানটি চালিয়েছেন টেঙ্কোডুগউ রাজ্যে। গত ১২ ফেব্রুয়ারি সোমবার রাজ্যটির সুগল এলাকায় অবস্থিত সেনাবাহিনীর সদর দফতর লক্ষ্য করে অভিযানটি চালানো হয়। ফলশ্রুতিতে বুরকিনান সেনাবাহিনীর অন্তত ১২ সৈন্য নিহত হয়। সেই সাথে মুজাহিদগণ ১০টি ক্লাশিনকোভ সহ বিভিন্ন জিনিসপত্র গনিমত হিসাবে অর্জন করেন।

    অপরদিকে মুজাহিদগণ তাদের দ্বিতীয় অভিযানটি পরিচালনা করেন গত ১৩ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার। অভিযানটি ফাডিঙ্গুরমা রাজ্যের নাশাবোনী শহরে সেনাবাহিনীর অস্থায়ী একটি ঘাঁটি লক্ষ্য করে চালানো হয়। এতে বুরকিনান সেনাবাহিনীর ১৫ সৈন্য নিহত হয়।

    অভিযান শেষে প্রতিরোধ যোদ্ধারা সেনা সদস্যদের তাঁবুগুলো পুড়িয়ে দেন। সেই সাথে প্রতিরোধ যোদ্ধারা ঘটনাস্থল থেকে ১১টি ক্লাশিনকোভ, ২টি বেকাস অস্ত্র, ১টি আরপিজি, ৯টি আরপিজি শেল, ১১টি মোটরসাইকেল এবং ১৪টি পিকা সহ অন্যান্য অনেক সামরিক সরঞ্জাম ও গোলাবারুদ বাক্স জব্দ করেন।


    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    বুরকিনান সেনা কনভয় ও সদর দফতরে জেএনআইএম-এর অভিযান


    পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোতে দেশটির সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে ৩টি সফল অভিযানের ঘোষণা দিয়েছে প্রতিরোধ বাহিনী ‘জেএনআইএম’। এতে এক সেনা বন্দী সহ বেশ কিছু সৈন্য নিহত হয়।

    প্রতিরোধ বাহিনীর সাথে সংশ্লিষ্ট আয-যাল্লাকা মিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, ‘জেএনআইএম’ যোদ্ধারা গত ৫ ফেব্রুয়ারি সোমবার, দেশটির ‘বেলা’ শহরে একটি অভিযান চালিয়েছেন। এলাকাটিতে বুরকিনান সেনাবাহিনীর সাথে একটি সংক্ষিপ্ত লড়াই সংঘটিত হয় প্রতিরোধ যোদ্ধাদের। এতে একজন বুরকিনান সেনা নিহত হয় এবং অন্য কয়েকজন সেনা আহত অবস্থায় ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়। অভিযান শেষে মুজাহিদগণ ঘটনাস্থল থেকে একটি ক্লাশিনকোভ সহ অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম জব্দ করেন।

    এমনিভাবে গত ৬ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার, জেএনআইএম-এর মাইন স্কোয়াড্রন ব্রিগেড যোদ্ধারা বুরকিনা সেনাবাহিনীর একটি কনভয়ে অতর্কিত আক্রমণ চালান। আক্রমণটি কোবরি এবং ওয়াহিগুয়া এলাকার মধ্যবর্তি একটি সড়কে চালানো হয়। মুজাহিদগণ কনভয়টি লক্ষ্য করে পরিচালিত এই অভিযানের শুরুতেই ৩টি বিস্ফোরক ডিভাইসের বিস্ফোরণ ঘটান। এতে কনভয়টির অগ্রসর কিছু সময়ের জন্য বাধাগ্রস্থ হয়, আর তখনই মুজাহিদগণ কনভয়টিতে থাকা সৈন্যদের টার্গেট করে গুলি চালাতে শুরু করেন।

    ফলশ্রুতিতে বুরকিনান সেনা কনভয়টির কয়েকটি সাঁজোয়া যান ও গাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। সেই সাথে অনেক সৈন্য হতাহত হয়।

    অপরদিকে গত ১০ ফেব্রুয়ারি শনিবার দেশটির বানফোরা রাজ্যে একটি সামরিক অপারেশন চালান মুজাহিদগণ। অভিযানটি এই রাজ্যের লাফিয়া এলাকায় অবস্থিত বুরকিনান সেনাবাহিনীর সদর দফতর লক্ষ্য করে চালানো হয়। এতে বুরকিনান সেনাবাহিনীর অন্তত ২ সৈন্য নিহত হয় এবং অনেক সৈন্য আহত হয়। এসময় একজন সেনা সদস্য পালানোর চেষ্টাকালে মুজাহিদদের হাতে বন্দী হন। অভিযান শেষে মুজাহিদগণ ঘটনাস্থল থেকে ২টি ক্লাশিনকোভ গনিমত হিসাবে অর্জন করেন।

    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ভিডিও || জায়োনিস্ট বাহিনী ও মারকাভা ট্যাংকের মুখোমুখি আল-কাসসাম

      গাজায় জায়োনিস্ট আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রথমদিনের মতো এখনো তীব্র প্রতিরোধ যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন প্রতিরোধ বাহিনীগুলোর বীর যোদ্ধারা। গত ২১ ফেব্রুয়ারি বুধবার রাতে, গাজা শহরের পূর্বে আল-জায়তুন এলাকায় চলমান প্রতিরোধ যুদ্ধের আরও একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে আল-কাসসাম ব্রিগেড।

      নতুন প্রকাশিত ২ মিনিটের ভিডিওটিতে দেখা যায়, আল-কাসসামের স্নাইপার, জায়োনিস্ট বাহিনীর স্নাইপারদের নিশানা করে সফল স্নাইপ করেছেন। একই সাথে প্রতিরোধ যোদ্ধারা “আল-ইয়াসিন 105” ট্যান্ডেম রকেটের সাথে RPG-7 ব্যবহার করে ইসরায়েলের অহংকার মারকাভা ট্যাংক ধ্বংস করছেন। অপরদিকে জায়োনিস্ট বাহিনীর অবস্থান লক্ষ্য করে 60mm HM-14 মর্টারের সঙ্গে M61 শেল নিক্ষেপ করতে দেখা যায় প্রতিরোধ যোদ্ধাদের।

      অঞ্চলটিতে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের অভিযানে হাতাহত সেনাদের স্থানান্তর করতে দেখা যায় জায়োনিস্ট বাহিনীর হেলিকপ্টারগুলোকে।

      ভিডিওটি দেখুন:
      https://archive.org/details/1_20240221_20240221_1646
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        নয় মাসে রেকর্ড পরিমাণ আমদানি-রপ্তানি করেছে ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান


        আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এখনো মেলেনি, তা সত্ত্বেও অভিজ্ঞ উমারাগণের সফল কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় বেশ কিছু প্রতিবেশী দেশের সাথে ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের উষ্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। ফলে এসকল দেশের সাথে এখন নিয়মিত বাণিজ্যিক কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান যেমন এ দেশগুলো থেকে প্রয়োজনীয় পণ্য রপ্তানি করছে, তেমনি এ দেশগুলো থেকে আমদানিও করছে বিভিন্ন পণ্যদ্রব্য।

        ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান প্রশাসন জানিয়েছে, চলতি ১৪০২ সৌর হিজরি অর্থ বছরের (আফগানিস্তানে ব্যবহৃত সরকারি বর্ষপঞ্জিকা) প্রথম ৯ মাসে আমদানি-রপ্তানি লেনদেনের রেকর্ড হয়েছে ৭.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে মোট রপ্তানি আয় ১.৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং মোট আমদানি ব্যয় হয়েছে ৬.২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

        গত ১৯শে ফেব্রুয়ারি দেশটির জাতীয় পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনএসআইএ) এ তথ্য প্রদান করেছে। এর আগে গত ১৪০১ সৌর হিজরি বছরে ১.৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে রপ্তানি আয় এবং ৫.১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে আমদানি ব্যয় রেকর্ড হয়েছিলো। সেবছর সর্বমোট আমদানি-রফতানি লেনদেন হয়েছিলো ৬.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

        এনএসআইএ এর দেয়া তথ্যানুযায়ী, চলতি অর্থবছরে দেশটি সবচেয়ে বেশি রপ্তানি করেছে পাকিস্তানে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রপ্তানি করেছে ভারতে, আর তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। উক্ত দেশসমূহ থেকে আফগানিস্তান রপ্তানি আয় হিসেবে যথাক্রমে ৬৮৯.৯ মিলিয়ন, ৪৬৩ মিলিয়ন ও ৩২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার উপার্জন করেছে।

        চলতি অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হওয়া পণ্যদ্রব্যের মধ্যে ছিলো শুকনো ফল। এছাড়াও রপ্তানি পণ্যের মধ্যে ছিল ঔষধি গাছপালা, খনিজ সম্পদ এবং তাজা ফলমূল।

        অন্যদিকে, চলতি বছর দেশটিতে সবচেয়ে বেশি আমদানি করা হয়েছে প্রতিবেশী দেশ ইরান থেকে। এর পরবর্তী অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে পাকিস্তান ও চীন। আমদানিকৃত পণ্যের মধ্যে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে গ্যাস, পেট্রোলিয়াম ও অন্যান্য জ্বালানি। পরবর্তী অবস্থানে রয়েছে টেক্সটাইল শিল্প, ধাতু ও ধাতব উপকরণ, যানবাহন ও খুচরা যন্ত্রাংশ।


        তথ্যসূত্র:
        1. Import, export volumes total $7.5 billion in 1st nine months of this solar year
        http://tinyurl.com/43bpwert

        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          অপরাজেয় আফগানিস্তানে সাম্রাজ্যবাদের পরাজয়: সোভিয়েতের বিদায়



          আফগানিস্তান বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর ও প্রাকৃতিক সম্পদের ভরপুর দেশগুলির একটি। দেশটির সাথে মিশে আছে বহু ইসলামি ইতিহাস ও ঐতিহ্য। কিন্তু যুগে যুগে সব পরাশক্তি কোন না কোন অজুহাতে এই অঞ্চলটি দখল করার চেষ্টা করেছে। পরাশক্তিগুলো তাদের লক্ষ্য অর্জনে দেশটির জনসাধারণের ওপর চালিয়েছে ইতিহাসের বর্বরোচিত সব নিপীড়ন।

          এসব পরাশক্তিগুলোর একটি ছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন যা অনেক ভাগে ভাগ হয়ে এখন বৃহত্তর অংশ রাশিয়া নামে পরিচিত। দেশটি আফগানিস্তানে আক্রমণ করেছিল ১৯৭৯ সালে। সোভিয়েত সেনাদের আফগানিস্তানে আগ্রাসন বিশ্ব ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায় রচনা করে। এই দখলদার গোষ্ঠী আফগান জাতির সম্পদ লুণ্ঠনের পাশাপাশি মুসলিমদের ওপর চালায় গণহত্যা, এভাবে চলতে থাকে দীর্ঘ ১০ বছর। ঐ সময় সোভিয়েত সেনারা দেশটিতে অন্তত ১০ লাখ মুসলিমকে হত্যা করে।

          সোভিয়েত ইউনিয়ন এর চেয়েও বেশি জুলুম করার পরিকল্পনা করেছিল, কিন্তু সর্বশক্তিমান আল্লাহ তায়ালা নিপীড়িত আফগানদের আর্তনাদে সাড়া দিয়েছেন। এই খুনি বাহিনীকে থামানোর জন্য আফগানিস্তানে জাগিয়ে তুলেছিলেন বিশ্ব ইতিহাসের বীর মুজাহিদদের। ঐ সময় মুজাহিদরা সোভিয়েত বাহিনীকে উপযুক্ত জবাব দিয়ে নাস্তানাবুদ করে দিচ্ছিলেন।






          অবশেষে দীর্ঘ ১০ বছরের অত্যাচার ও অপরাধের পরে মুজাহিদদের প্রতিরোধের মুখে ১৯৮৯ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি পরাজয় ও অপমানের বোঝা মাথায় নিয়ে আফগানিস্তানে ছেড়ে যেতে বাধ্য হয় সোভিয়েত বাহিনী।

          সোভিয়েতের আগে ব্রিটেনও এখানে তার সামাজ্যবাদের ঘাঁটি গড়তে চেয়েছিলো। কিন্তু তারাও বিতারিত হয়েছে।

          ইতিহাস এই সত্যের সাক্ষ্য দেয় যে, যে জাতি মহান আল্লাহর পথে জিহাদ এর মাধ্যমে নিজেদের স্বাধীনতা অর্জন ও দখলদারদের বিতাড়নের চেষ্টা করেছে তারা সফল হয়েছেন। আফগান মুসলিমরা দ্বীনের এই মহা বিধান আঁকড়ে ধরার মাধ্যমে যুগে যুগে প্রতিটি পরাশক্তিকে পরাজিত করেছেন। আর এ জন্য বিশ্বদরবারে দেশটি সাম্রাজ্যবাদের কবরস্থান হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।

          আফগানিস্তানে ব্রিটেন ও সোভিয়েত ইউনিয়নের পরাজয় সত্ত্বেও, পরবর্তীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো জোট ফের দেশটিতে আগ্রাসন শুরু করে। কিন্তু দীর্ঘ ২০ বছরের যুদ্ধে মুজাহিদদের কাছে তাদেরও লজ্জাজনক পরাজয় ঘটে।

          এভাবে ব্রিটেন, সোভিয়েত ইউনিয়ন ও আমেরিকাকে পরাজিত করে আফগানরা বরাবরই প্রমাণ করেছেন যে, আফগানিস্তান কখনোই কোন দখলদার বা কোন সাম্রাজ্যবাদী শক্তি দখল করতে পারবে না। যদি কখনও এমনটি ঘটেও যায়, তবে আফগান জাতি পূর্বে যেমন ত্যাগ স্বীকার করেছেন আবারও তাঁরা শত্রুদের বিরুদ্ধে উঠে দাঁড়াবে; এভাবে দেশ, জাতি ও ইসলামকে রক্ষায় নিজেদের সর্বস্ব ত্যাগ করতে তাঁরা সদা প্রস্তুত থাকবেন ইনশাআল্লাহ।

          উল্লেখ্য যে, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সোভিয়েত ইউনিয়নের পরাজয়ের ৩৫ তম বার্ষিকী ছিল। এ উপলক্ষে ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের তালিবান প্রশাসন দেশজুড়ে বিভিন্ন সভা সেমিনারের আয়োজন করে। এসব সভা-সেমিনারে তালিবান উমারারা দখলদার পরাশক্তিগুলোর পরাজয়ে আফগানদের ভূমিকা তুলে ধরেন। পাশাপাশি দেশটির সেনাবাহিনীও তাদের বর্তমান সক্ষমতা জানান দিতে বিভিন্ন সামরিক দক্ষতা প্রদর্শন করেন।






          অন্যদিকে সোভিয়েত ইউনিয়নের পরাজয় উপলক্ষে তালিবান প্রশাসন একটি বিবৃতি প্রদান করেছেন। উক্ত বিবৃতিতে তালেবান প্রশাসন আফগানিস্তানে ভবিষ্যতে কোন দেশ বা গোষ্ঠী যদি আবারও আগ্রাসনের চিন্তা করে তাহলে তাদের সাথে কি আচরণ করা হবে এ সম্পর্কে এক রকম কূটনৈতিক হুমকি প্রদান করেছেন।

          উক্ত বিবৃতিটি পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো:

          বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

          আজকের এই দিনে ( ১৫ ফেব্রুয়ারি) আফগানিস্তান থেকে রাশিয়া তথা সোভিয়েত ইউনিয়নের লাল আর্মির পরাজয় এবং প্রত্যাহারের ৩৫ তম বার্ষিকী।

          ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান এই দিনটিকে আমাদের জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে গর্বের একটি দিন বলে মনে করা হয়। পাশাপাশি এটিকে আমরা মহান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা আদায়ের দিন বলেও মনে করি। এমন গুরুত্বপূর্ণ দিবসে আমরা দেশের বীর মুজাহিদ জাতিকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।

          জাতির পরিচয়, বীরত্ব ও স্বাধীনতা সব কিছু সংগ্রামের সাথে জড়িত। আলহামদুলিল্লাহ, আফগান জনগণ মহান আল্লাহর সাহায্যে বিগত শতাব্দীতে তিনটি পরাশক্তিকে পরাজিত করে বিজয় অর্জন করেছেন এবং তাদের দেশের জন্য স্বাধীনতা অর্জন করেছে।

          তৃতীয়বারের মতো স্বাধীনতা, ধর্ম ও মাতৃভূমি রক্ষার জন্য আফগান জাতির ত্যাগ, তাদের শক্তি এবং সংকল্পকে বারবার বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরছে।

          বিগত শতাব্দীতে আফগানিস্তানে আগ্রাসন পরিচালনাকারী দেশগুলোকে আফগান জনগণের সাহসিকতার মূল্যায়ন করা উচিত, এবং এ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত। পাশাপাশি ভবিষ্যতে আফগানিস্তানে আগ্রাসন চালানোর আগে তাদের আরও একশোবার ভাবা উচিত।

          আফগানরা শান্তিপ্রিয় মানুষ, কিন্তু বিদেশী আগ্রাসন এবং সংঘাতের কারণে তাদের শান্তি বারবারই ব্যাহত হয়েছে। বছরের পর বছর আফগানরা ভোগান্তির শিকার হয়েছে।

          আফগানিস্তানের বীর মুসলিম জনতাকে দেশের বিরুদ্ধে সকল প্রকার ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে। সবসময় জাতীয় ঐক্য বজায় রেখে ইসলামী আকিদাহ অনুসরণ করতে হবে। এবং আমাদের প্রিয় দেশের স্বাধীনতা রক্ষায় পূর্বপুরুষদের পথ অনুসরণ করে যেতে হবে।


          তথ্যসূত্র:
          1. Statement of Islamic Emirate on expulsion of the Red Army of the former Soviet Union from Afghanistan on 26th of Dalwa
          http://tinyurl.com/m74bt3mh

          নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            আল্লাহু আকবার ওয়ালিল্লাহিল হামদ

            Comment

            Working...
            X