Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুজাহিদিন নিউজ# ১৪ শাবান, ১৪৪৫ হিজরী।। ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুজাহিদিন নিউজ# ১৪ শাবান, ১৪৪৫ হিজরী।। ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ঈসায়ী

    সোমালিয়ায় তুরস্কের আধিপত্যবাদী উচ্চাকাঙ্ক্ষা ও শোষণ



    পূর্ব আফ্রিকার দেশ সোমালিয়াকে পশ্চিমা দখলদারত্ব থেকে মুক্ত করতে ২০০৭ সাল থেকে প্রতিরোধ যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন দেশটির ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা। সম্প্রতি জনগণের ন্যায্য এই প্রতিরোধ যুদ্ধকে দমন করতে দেশটির পশ্চিমা মদদপুষ্ট মোগাদিশু প্রশাসনের সাথে নতুন করে একটি দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে তুরস্ক।

    গত ৮ ফেব্রুয়ারি তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়াসার গুলার ও সোমালি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আব্দুল কাদির মুহাম্মদ নুর সহ দুই দেশের কর্মকর্তারা।



    চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তুর্কিয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলে, “সোমালিয়া আফ্রিকায় তুরস্কের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। আমরা দ্বিপাক্ষিক সামরিক সহযোগিতা আরও জোরদার করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করছি। নতুন এই চুক্তি আমাদের দ্বিপাক্ষিক সামরিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী ও উন্নতির দিকে নিয়ে যাবে।”

    মন্ত্রী দাবি করে, তুরস্ক দ্বারা প্রশিক্ষিত গর্গর ব্যাটালিয়নগুলো মোগাদিশু বাহিনীর সাথে মিলে শাবাবের বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। আর এই সাফল্যে তুরস্ক হিসেবে আমরা খুবই গর্বিত।



    মোগাদিশু প্রশাসনের তথ্যমন্ত্রী দাউদ আওয়েসের বক্তব্য থেকে জানা যায়, তুরস্ক এবং মোগাদিশু প্রশাসনের মধ্যে স্বাক্ষরিত ১০ বছরের এই চুক্তিতে বেশ কয়েকটি বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সেগুলো হলো:
    সোমালি জনগণের ন্যায্য প্রতিরোধ যুদ্ধকে যেকোনো মূল্যে দমন করা।
    প্রতিরোধ বাহিনী শাবাবের নিয়ন্ত্রণ থেকে সমুদ্র বন্দর ও গুরত্বপূর্ণ এলাকাগুলো দখল করা।
    মোগাদিশু প্রশাসনের জন্য নৌবাহিনী প্রতিষ্ঠা করা।
    মোগাদিশু বাহিনীকে প্রশিক্ষণ ও সামরিক সরঞ্জাম দিয়ে সহায়তা প্রদান করা।
    সোমালি সাগরের সম্পূর্ণ কর্তৃত্ব থাকবে তুরস্কের।
    সোমালি জলসীমায় তুর্কি বাহিনী নিজেদের মত করে যেকোনো অভিযান পরিচালনা করবে।
    তুরস্ক সোমালিয়ার একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চল থেকে আসা রাজস্বের ৩০ শতাংশ ভোগ করবে।


    পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যভুক্ত তুরস্কের সাথে মোগাদিশু সরকারের এমন চুক্তিকে অগ্রহণযোগ্য এবং জনগণের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা বলে ঘোষণা করেছে প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাব। দলটি জানায়, এই চুক্তির মাধ্যমে সোমালি মুসলিম এবং তাদের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে সর্বশেষ পদক্ষেপটি নেওয়া হয়েছে। মোগাদিশুর হাসান শেখ মাহমুদের সরকার এই অবৈধ চুক্তির মাধ্যমে সোমালি ভূখণ্ডের অখণ্ডতা এবং জনসাধারণের প্রাকৃতিক সম্পদ নিলামে বিক্রি করে দিয়েছে।



    দক্ষিণ ও কেন্দ্রীয় সোমালিয়ার সিংহভাগ ভূমির উপর প্রতিষ্ঠিত ইসলামি রাজ্যগুলোর শাবাব প্রশাসনের মুখপাত্র এই চুক্তি বিষয়ে প্রায় ৩ মিনিটের একটি অডিও বক্তব্যও জারি করেছেন। এতে তিনি বলেন, মোগাদিশু সরকার একদিকে ইথিওপিয়া ও সোমালিল্যান্ডের মাঝে সংঘটিত অবৈধ চুক্তির বিরোধিতা করে, অপরদিকে সে নিজেই সোমালি অঞ্চলের অখণ্ডতা, দেশের সম্পূর্ণ সমুদ্রসীমা এবং সামুদ্রিক রাজস্ব তুরস্কের কাছে নিলামে বিক্রি করেছে।

    এই চুক্তির মাধ্যমে ধর্মত্যাগী এই সরকার আবারও স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, তাদের লক্ষ্য অর্থনৈতিক উন্নয়ন বা সোমালিয়ার জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করা নয়। সেই সাথে এটি এই অঞ্চলে দখলদার তুরস্কের আধিপত্য ও বাস্তববাদী উচ্চাকাঙ্ক্ষার আরেকটি উদাহরণ। তুরস্ক এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সোমালিয়াকে শোষণ করছে, সোমালিয়ার অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে। আর এই দেশের জনগণকে স্বাধীন ইসলামি রাষ্ট্র ও নিরাপত্তা থেকে বঞ্চিত করেছে।



    সেই সাথে তুর্কি ড্রোনগুলি নিরীহ মুসলিম বেসামরিক নাগরিকদের মৃত্যুর কারণ হয়েছে। এই অঞ্চলে তুরস্ক তার অর্থনৈতিক প্রকল্পগুলির মাধ্যমে সোমালি বাজারকে অস্থিতিশীল করেছে। ফলে এদেশের হাজার হাজার শ্রমিক এবং ব্যবসায়ী তাদের চাকরি হারাচ্ছে।”

    উল্লেখ্য যে, পশ্চিমা সমর্থিত মোগাদিশু সরকারকে টিকিয়ে রাখতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পর যে কয়েকটি দেশ সর্বাধিক সামরিক সহায়তা করে আসছে, তারমধ্যে অন্যতম হচ্ছে তুরস্ক ও আরব আমিরাত।



    প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাব দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর সমর্থন নিয়ে, সোমালিয়ায় ইসলামি শরিয়াহ্ ভিত্তিক একটি সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। অপরদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, আরব আমিরাত, কাতার এবং ইথিওপিয়া সহ আফ্রিকার ৭টি দেশ ও পশ্চিমা দেশগুলো এই রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পদক্ষেপ চিরতরে মুছে দিতে কাজ করছে। এই লক্ষ্যে উক্ত দেশগুলো মোগাদিশু প্রশাসের সামরিক কাঠামোকে টিকিয়ে রাখতে সর্বোচ্চ সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। তারা মোগাদিশু বাহিনীকে প্রশিক্ষিত ও সজ্জিত করার পাশাপাশি শাবাবের বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযানে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে।



    শত্রুদের এতো প্রচেষ্টার পরও প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ আশ-শাবাব জনগণের সমর্থন নিয়ে প্রতিনিয়ত ইসলামি রাজ্যগুলোর সীমানা বৃদ্ধি করছেন। শত্রুদেরকে সামরিক, অর্থনৈতিক ও মিডিয়া অঙ্গনে সূচনীয়ভাবে পরাভূত করে যাচ্ছেন। ফলে পশ্চিমা সমর্থিত মোগাদিশু সরকারের চাইতেও কয়েকগুণ বড় ও বৃহত্তর অঞ্চলের উপর নিয়ন্ত্রণ করছেন প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাব।

    Last edited by Munshi Abdur Rahman; 02-26-2024, 11:39 AM.
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    বেনিনে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হাতে ৪ সেনা নিহত



    পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বেনিনে সামরিক অবস্থানে হামলা চালিয়েছেন অঞ্চলটির ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা। এতে ৪ সেনা সদস্য নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

    আঞ্চলিক সংবাদ মাধ্যম আয-যাল্লাকার সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি শনিবার, আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী ‘জেএনআইএম’ যোদ্ধারা উক্ত অভিযানটি চালিয়েছেন। প্রতিরোধ যোদ্ধারা বুরকিনান সীমান্তবর্তী বেনিনের সেনা চৌকি লক্ষ্য করে অতর্কিত আক্রমণটি চালান।

    ফলশ্রুতিতে বেনিন সামরিক বাহিনীর অন্তত ৪ সৈন্য নিহত হয় এবং অন্যরা পালিয়ে যায়। আর প্রতিরোধ যোদ্ধারা ঘটনাস্থল থেকে ৪টি ক্লাশিনকোভ এবং ৩টি মোটরসাইকেল সহ অন্যান্য অনেক সামরিক সরঞ্জাম জব্দ করেন।
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ভিডিও || গাজার আল-জায়তুন এলাকায় প্রতিরোধের মুখে জায়োনিস্ট বাহিনী


      ফিলিস্তিন ভিত্তিক ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী আল-কাসসাম ব্রিগেড ২:১০ মিনিটের আরও একটি নতুন ভিডিও প্রকাশ করেছে। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত ভিডিওটিতে দেখা যায়, প্রতিরোধ যোদ্ধারা গাজা শহরের পূর্বে আল-জায়তুন এলাকায় জায়োনিস্ট বাহিনীর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন।

      গাজায় জায়োনিস্ট আগ্রাসনের ১৪০ তম দিনে ধারণ করা ভিডিওটিতে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের দেখা যায়, জায়োনিস্ট বাহিনী এবং তাদের মারকাভা ট্যাংকগুলো লক্ষ্য করে “আল-ইয়াসিন 105” ট্যান্ডেম রকেট সহ RPG-7 লঞ্চার ব্যবহার করেছেন। সেই সাথে জায়োনিস্ট বাহিনীর অবস্থান লক্ষ্য করে 120mm HM-16 মর্টার সঙ্গে M48 শেল এবং 60mm HM-14 মর্টার সঙ্গে M61 শেল নিক্ষেপ করছেন।

      প্রতিরোধ যোদ্ধাদের পরিচালিত এসকল অভিযানে অনেক জায়োনিস্ট সৈন্য হতাহত হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে জায়োনিস্ট সৈন্যদের সরিয়ে নিতে ইসরায়েলের একাধিক সামরিক অ্যাম্বুলেন্স ও হেলিকপ্টারগুলোকে হস্তক্ষেপ করতে দেখা যায়।

      ডাউনলোড লিংক: https://archive.org/details/1_20240224_20240224_1316

      ভিডিওটি সরাসরি দেখুন:
      https://archive.org/serve/1_20240224...%5B1%5D.ia.mp4

      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        তুরস্ক এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সোমালিয়াকে শোষণ করছে, সোমালিয়ার অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে। আর এই দেশের জনগণকে স্বাধীন ইসলামি রাষ্ট্র ও নিরাপত্তা থেকে বঞ্চিত করেছে।
        হায় তুরস্ক ও মোডারেট সুলতান! কেন সহ্য হয় না আপনাদের আরেকটি ইসলামী ইমারতের উত্থান!!
        ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

        Comment

        Working...
        X