শহীদ ও প্রতিবন্ধী পরিবারের ১২০ জন শিক্ষার্থীর স্নাতক অর্জন উপলক্ষে সংবর্ধনা দিল ইমারতে ইসলামিয়া
ধর্মীয়, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ইত্যাদি নানাবিধ কারণে আফগানিস্তান বারবার বহিঃশক্তির আগ্রাসনের স্বীকার হয়ে এসেছে। দেশকে শত্রুমুক্ত করতে প্রতিবারই জিহাদ ফী সাবিলিল্লাহর পথ বাছাই করে নিয়েছিল আফগান মুজাহিদগণ। পরিশেষে দেশ শত্রুমুক্ত হয়েছে, কিন্তু অসংখ্য মুজাহিদ ও বেসামরিক নাগরিক শাহাদাত ও পঙ্গুত্বের ভাগ্য বরণ করতে হয়েছিল।
বর্তমানে এইসব পরিবারের উত্তরসূরিগণের অনেকেই এখন অভিভাবক শূন্য। এজন্য ইমারতে ইসলামিয়া প্রশাসন শুরু থেকেই শহীদ ও প্রতিবন্ধী পরিবারগুলোকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। দেশটিতে শহীদ ও প্রতিবন্ধীদের জন্য পৃথক একটি মন্ত্রণালয় গঠন করার মাধ্যমে বিভিন্ন সেবামূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে ইমারতে ইসলামিয়া।
সম্প্রতি শহীদ ও প্রতিবন্ধী পরিবারের ১২০ জন শিক্ষার্থী স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এ উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। উক্ত অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইমারতে ইসলামিয়ার প্রশাসনিক উপপ্রধানমন্ত্রী মৌলভী আবদুস সালাম হানাফী হাফিযাহুল্লাহ। প্রতিবন্ধী ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের অধিকার নিশ্চিত করার অংশ হিসেবে অনুষ্ঠানটি আয়োজনের জন্য উপপ্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে উপপ্রধানমন্ত্রী আফগানিস্তানের নিকট অতীতের ইতিহাস স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে বলেন, ১৯৭৮ সালের এপ্রিল মাসে আফগানিস্তানে সমাজতান্ত্রিক সরকারের অভ্যুত্থান হলে তার হাত ধরেই সোভিয়েত ইউনিয়ন আফগান ভূমিতে আগ্রাসন চালায়। তখন শিশুসহ অসংখ্য আফগান নাগরিক এতে আহত ও শহীদ হয়। সংগ্রামের দীর্ঘ ইতিহাসের পর এক সময় মুজাহিদগণ বিজয় লাভ করলেও দেশব্যাপী গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। ফলে যুদ্ধে শহীদ ও প্রতিবন্ধীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়তেই থাকে। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস যে, গৃহযুদ্ধের পর পরই আফগান জাতিকে আমেরিকাসহ পশ্চিমাদের অবৈধ আগ্রাসন মোকাবেলা করতে হয়, যা অব্যাহত ছিল দীর্ঘ ২০ বছর। ফলে হাজার হাজার মুজাহিদ, যুবক, নারী ও ছাত্রসমাজকে শাহাদাত ও পঙ্গুত্বের পরিণতি বরণ করে নিতে হয়।
এ সময় উপপ্রধানমন্ত্রী শহীদ পরিবারগুলোর এতিম সন্তান ও বিধবাদের প্রতি ইমারতে ইসলামিয়া সরকারের দায়িত্বশীল ভূমিকার বিষয়ে আলোকপাত করেন। তিনি উল্লেখ্য করেন, শহীদ ও প্রতিবন্ধী বিষয়ক মন্ত্রণালয় শহীদ পরিবারের সদস্যদের দুটি ক্যাটাগরিতে নিবন্ধিত করেছেন। প্রথম ক্যাটাগরিতে রয়েছে জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহর শহীদ পরিবারবর্গ আর দ্বিতীয় ক্যাটাগরিতে রয়েছে হানাদার বাহিনীর বোমাঘাতে শহীদ হওয়া বেসামরিক নাগরিকদের উত্তরসূরিগণ। মন্ত্রণালয় থেকে এসব পরিবারের সদস্যদের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সেবা সরবরাহ করা হচ্ছে এবং তাদের সন্তানদের অনেকেই মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন অধ্যয়নরত রয়েছে।
আফগান জিহাদে অংশ নেয়া শহীদ ও প্রতিবন্ধী পরিবারের ১২০ জন সন্তানকে বিভিন্ন বিষয়ে স্নাতক সম্মান দিতে পেরে মৌলভী হানাফী আনন্দ অনুভূতি প্রকাশ করেন এবং এর মাধ্যমে তারা স্বাবলম্বী হয়ে উঠতে পারবে বলে তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
শহীদ ও প্রতিবন্ধী পরিবারের উত্তরসূরিগণকে স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলতে হলে সুশিক্ষার ব্যবস্থা করার পাশাপাশি তাদের অধিকারের ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হতে হবে। এ প্রসঙ্গে উপপ্রধানমন্ত্রী দেশটির ব্যবসায়ী সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, তারা যেন ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ায় এবং সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করে।
তথ্যসূত্র:
1. Administrative Deputy PM addresses graduation ceremony of 120 heirs of martyrs and disabled
– http://tinyurl.com/24h7cvca
ধর্মীয়, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ইত্যাদি নানাবিধ কারণে আফগানিস্তান বারবার বহিঃশক্তির আগ্রাসনের স্বীকার হয়ে এসেছে। দেশকে শত্রুমুক্ত করতে প্রতিবারই জিহাদ ফী সাবিলিল্লাহর পথ বাছাই করে নিয়েছিল আফগান মুজাহিদগণ। পরিশেষে দেশ শত্রুমুক্ত হয়েছে, কিন্তু অসংখ্য মুজাহিদ ও বেসামরিক নাগরিক শাহাদাত ও পঙ্গুত্বের ভাগ্য বরণ করতে হয়েছিল।
বর্তমানে এইসব পরিবারের উত্তরসূরিগণের অনেকেই এখন অভিভাবক শূন্য। এজন্য ইমারতে ইসলামিয়া প্রশাসন শুরু থেকেই শহীদ ও প্রতিবন্ধী পরিবারগুলোকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। দেশটিতে শহীদ ও প্রতিবন্ধীদের জন্য পৃথক একটি মন্ত্রণালয় গঠন করার মাধ্যমে বিভিন্ন সেবামূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে ইমারতে ইসলামিয়া।
সম্প্রতি শহীদ ও প্রতিবন্ধী পরিবারের ১২০ জন শিক্ষার্থী স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এ উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। উক্ত অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইমারতে ইসলামিয়ার প্রশাসনিক উপপ্রধানমন্ত্রী মৌলভী আবদুস সালাম হানাফী হাফিযাহুল্লাহ। প্রতিবন্ধী ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের অধিকার নিশ্চিত করার অংশ হিসেবে অনুষ্ঠানটি আয়োজনের জন্য উপপ্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে উপপ্রধানমন্ত্রী আফগানিস্তানের নিকট অতীতের ইতিহাস স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে বলেন, ১৯৭৮ সালের এপ্রিল মাসে আফগানিস্তানে সমাজতান্ত্রিক সরকারের অভ্যুত্থান হলে তার হাত ধরেই সোভিয়েত ইউনিয়ন আফগান ভূমিতে আগ্রাসন চালায়। তখন শিশুসহ অসংখ্য আফগান নাগরিক এতে আহত ও শহীদ হয়। সংগ্রামের দীর্ঘ ইতিহাসের পর এক সময় মুজাহিদগণ বিজয় লাভ করলেও দেশব্যাপী গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। ফলে যুদ্ধে শহীদ ও প্রতিবন্ধীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়তেই থাকে। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস যে, গৃহযুদ্ধের পর পরই আফগান জাতিকে আমেরিকাসহ পশ্চিমাদের অবৈধ আগ্রাসন মোকাবেলা করতে হয়, যা অব্যাহত ছিল দীর্ঘ ২০ বছর। ফলে হাজার হাজার মুজাহিদ, যুবক, নারী ও ছাত্রসমাজকে শাহাদাত ও পঙ্গুত্বের পরিণতি বরণ করে নিতে হয়।
এ সময় উপপ্রধানমন্ত্রী শহীদ পরিবারগুলোর এতিম সন্তান ও বিধবাদের প্রতি ইমারতে ইসলামিয়া সরকারের দায়িত্বশীল ভূমিকার বিষয়ে আলোকপাত করেন। তিনি উল্লেখ্য করেন, শহীদ ও প্রতিবন্ধী বিষয়ক মন্ত্রণালয় শহীদ পরিবারের সদস্যদের দুটি ক্যাটাগরিতে নিবন্ধিত করেছেন। প্রথম ক্যাটাগরিতে রয়েছে জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহর শহীদ পরিবারবর্গ আর দ্বিতীয় ক্যাটাগরিতে রয়েছে হানাদার বাহিনীর বোমাঘাতে শহীদ হওয়া বেসামরিক নাগরিকদের উত্তরসূরিগণ। মন্ত্রণালয় থেকে এসব পরিবারের সদস্যদের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সেবা সরবরাহ করা হচ্ছে এবং তাদের সন্তানদের অনেকেই মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন অধ্যয়নরত রয়েছে।
আফগান জিহাদে অংশ নেয়া শহীদ ও প্রতিবন্ধী পরিবারের ১২০ জন সন্তানকে বিভিন্ন বিষয়ে স্নাতক সম্মান দিতে পেরে মৌলভী হানাফী আনন্দ অনুভূতি প্রকাশ করেন এবং এর মাধ্যমে তারা স্বাবলম্বী হয়ে উঠতে পারবে বলে তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
শহীদ ও প্রতিবন্ধী পরিবারের উত্তরসূরিগণকে স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলতে হলে সুশিক্ষার ব্যবস্থা করার পাশাপাশি তাদের অধিকারের ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হতে হবে। এ প্রসঙ্গে উপপ্রধানমন্ত্রী দেশটির ব্যবসায়ী সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, তারা যেন ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ায় এবং সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করে।
তথ্যসূত্র:
1. Administrative Deputy PM addresses graduation ceremony of 120 heirs of martyrs and disabled
– http://tinyurl.com/24h7cvca
Comment