ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইস্তেশহাদী হামলা পুনরায় শুরুর আহ্বান হামাস নেতা খালিদ মিশালের
ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের অন্যতম সিনিয়র ব্যক্তিত্ত্ব খালিদ মিশাল। সম্প্রতি ইস্তাম্বুলে এক সভায় সাহসী এক বক্তব্যে তিনি বলেছেন যে, জায়োনিস্ট ইসরায়েলকে অবশ্যই উন্মুক্ত সংঘাতের মুখোমুখি হতে হবে। এসময় তিনি ফিলিস্তিনিদেরকে জায়নবাদী সত্ত্বার বিরুদ্ধে প্রকৃত প্রতিরোধ যুদ্ধে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
স্কাই নিউজ আরাবিয়ার সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ আগস্ট বুধবার, তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলে ইন্টারন্যাশনাল আল-কুদস ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন খালিদ মিশাল। অনুষ্ঠানে তিনি তার বক্তৃতাকালে জোর দিয়ে বলেন যে, আরব এবং ইসলামি বিশ্বকে গাজাকে একা ছেড়ে যাওয়া উচিত নয়, বরং গাজার সমর্থন ছাত্র বিক্ষোভ পুনরায় শুরু করা উচিত।
তিনি আরও বলেন, গাজায় ইসরায়েলী আগ্রাসন এবং পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি মুসলিমদের বিরুদ্ধে ঘন ঘন জায়োনিস্ট বাহিনীর অভিযান, কেবলমাত্র প্রকাশ্য সংঘাতের মাধ্যমেই সমাধান করা যেতে পারে। এসময় তিনি তেহরানে প্রতিরোধ আন্দোলনের প্রাক্তন নেতা ইসমাইল হানিয়াহকে শহিদ করার কথা উল্লেখ করে বলেন, শত্রু সব ফ্রন্টে সংঘাতের সূচনা করেছে, আমাদের সকলকে খুঁজছে, আমরা যুদ্ধ করি বা না করি।
মোটকথা ইসরায়েল একটি প্রকাশ্য যুদ্ধ চালাচ্ছে, যার জবাব ইসরায়েলকে শুধুমাত্র একটি উন্মুক্ত যুদ্ধের মাধ্যমেই দেওয়া যেতে পারে। তাই আমি জায়নবাদী সত্ত্বার বিরুদ্ধে প্রকৃত প্রতিরোধ যুদ্ধ একাধিক ফ্রন্টে শুরু করার এবং তাতে অংশগ্রহণের জন্য সবাইকে আহ্বান করছি।
মিশাল তার বক্তব্যে আরও জোর দিয়ে বলেন, এই পরিস্থিতিতে জায়োনিস্ট বাহিনীর বিরুদ্ধে ইস্তেশহাদী হামলা পুনরায় শুরু করতে হবে। ফিলিস্তিনি এবং এর সমর্থকদেরকে এখন জায়নবাদী সত্ত্বার বিরুদ্ধে প্রকৃত প্রতিরোধ যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে হবে। অন্যথায় জায়োনিস্ট ইসরায়েল পবিত্র ভূমি ফিলিস্তিনকে টুকরো টুকরো করে দখল করবে।
উল্লেখ্য যে, ২০০০-এর দশকের গোড়ার দিকে দ্বিতীয় ইন্তিফাদার পর থেকে ইসরায়েলে ইস্তেশহাদী হামলা বিরল। দ্বিতীয় ইন্তেফাদার সময় মুজাহিদদের একের পর এক মারাত্মক ইস্তেশহাদী হামলায় শত শত জায়োনিস্ট ইসরায়েলি নিহত হয়েছিল।
তথ্যসূত্র:
1. Top Hamas official Mashaal urges resumption of suicide bombings against Israel
– https://tinyurl.com/aceksnub
Comment