উত্তর সিরিয়ায় মুজাহিদদের হামলায় তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ছে আসাদ প্রশাসন
গত ২৭ নভেম্বর সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় আলেপ্পোর পশ্চিমে অপারেশন “রদ্দুল উদওয়ান” শুরু করেছিলেন ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা। এই অপারেশন এখন সিরিয়ায় একটি ঐতিহাসিক প্রান্তে এসে উপনীত হয়েছে।
কেননা আলেপ্পোর পশ্চিমাঞ্চলে শুরু হওয়া এই অভিযান এখন আলেপ্পো ছাড়িয়ে ইদলিব, হামা এবং কুর্দি দখলকৃত মানবিজ, রাক্কা এং তেল আল-রাফার মতো অঞ্চলগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে মুজাহিদদের হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হচ্ছে রাশিয়া- এবং ইরান-সমর্থিত আসাদ সরকারি বাহিনীর পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দ্বারা সমর্থিত কুর্দি বিদ্রোহীরাও।
স্থানীয় সূত্রমতে, মুজাহিদিনরা যখন আলেপ্পোর কেন্দ্রের দিকে অগ্রসর হচ্ছিলেন, তখন কুর্দি (PKK/YPG) বিদ্রোহীরা আসাদ বাহিনীর পক্ষ নেয়। এসময় আসাদ বাহিনী মুজাহিদদের হাত থেকে বাঁচতে আলেপ্পোর সামরিক বিমান ঘাঁটি সহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলো কুর্দি বিদ্রোহীদের কাছে হস্তান্তর করে। তখন কুর্দিরা আসাদ বাহিনীকে রক্ষায় তেল রিফাত থেকে নিয়ে মানবিজ পর্যন্ত একটি করিডোর তৈরি চেষ্টা করে। এমন পরিস্থিতিতে কুর্দি বাহিনী মুজাহিদদের অগ্রসরের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ফলে মুজাহিদিনরা বাধ্য হয়ে কুর্দি বিদ্রোহিদের উপরও হামলা চালানো শুরু করেন এবং করিডোর ভেঙে কুর্দিদের দখলে থাকা এলাকাগুলোরও নিয়ন্ত্রণ নিতে শুরু করেন। বলা হয়, আসাদ বাহিনীর সাথে কুর্দিদের এই সমোঝোতা ছিলো নিজেদের পায়ে কুঠার মারার মতো।
কুর্দি নিয়ন্ত্রিত তেল রাফাত অবরোধ করে বিভিন্ন দিক থেকে অগ্রসর হচ্ছেন প্রতিরোধ যোদ্ধারা
সূত্রমতে, আসাদ বাহিনী কুর্দিদের নিরাপত্তায় যেসব এলাকা ছেড়ে গিয়েছিল তার সিংহভাগ এলাকাই ১লা ডিসেম্বর দুপুরের আগেই মুজাহিদিনরা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন। সেই সাথে আলেপ্পো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছাড়াও ৩টি সামরিক বিমান ঘাঁটি এবং ঐতিহাসিক স্থানগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর, মুজাহিদিনরা বর্তমানে আলেপ্পোর পশ্চিমাঞ্চল এবং দক্ষিণাঞ্চল হয়ে শহরের পূর্বপ্রান্তের দিকে অগ্রসর হচ্ছেন, যেখানে কিছু এলাকা এখনো আসাদ বাহিনী ও কুর্দি বিদ্রোহীদের দখলে রয়েছে।
এদিকে মুজাহিদদের অন্য একটি ইউনিট কুর্দি নিয়ন্ত্রিত সিরায়ার উত্তরাঞ্চলে বিশেষ করে তেল রিফাত এবং মানবিজ শহরের দিকে হামলা জোরদার করেছেন। আর তুর্কি সমর্থিত সিরিয়ান ন্যাশনাল আর্মির সদস্যরা কুর্দি নিয়ন্ত্রিত মানবাজ ও রাক্কার মধ্যবর্তী স্থানগুলোতে হামলা চালিয়ে দুটি শহরকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে, সেই সাথে কুর্দি নিয়ন্ত্রিত অনেক এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
পূর্ব আলেপ্পোয় আসাদ নিয়ন্ত্রিত লাল অংশ এবং কুর্দি নিয়ন্ত্রিত হলুদ অংশ অবরোধ করে সামনে অগ্রসর হচ্ছেন মুজাহিদিনরা।
রবিবার ১লা ডিসেম্বর বিকালে, রদ্দুল উদওয়ান অপারেশন রুমের লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসান আবদুল গনি নিশ্চিত করেছেন যে, পূর্ব আলেপ্পোতে মুজাহিদদের অভিযান এবং অগ্রগতি অব্যাহত রয়েছে। এই অঞ্চলে মুজাহিদদের হামলায় অসংখ্য শত্রু সৈন্য হতাহত ছাড়াও আসাদ বাহিনীর ৩৫ এরও বেশি সদস্যকে মুজাহিদিনরা বন্দী করেছেন। এসময় আসাদ বাহিনীর আরও ৩০ সৈন্য মুজাহিদদের কাছে আত্মসমর্পণও করেছে। আর মুজাহিদিনরা গনিমত হিসাবে অর্জন করেছেন অনেক ট্যাংক, সাঁজোয়া যান এবং বিভিন্ন গোলাবারুদ ও অস্ত্র।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, আলেপ্পো থেকে আসাদ বাহিনীর প্রতিরক্ষা লাইন প্রায় ৭০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং ৬০ কিলোমিটার পূর্বে স্থানান্তরিত হয়েছে। মুজাহিদিনরা রবিবার বিকালে দক্ষিণাঞ্চরের ৪টি সামরিক ঘাঁটি বিজয়ের মধ্য দিয়ে পশ্চিমাঞ্চলের পর দক্ষিণাঞ্চলও পুরোপুরিভাবে নিজেরদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন। তাই বর্তমানে মুজাহিদদের হামলার প্রধান লক্ষ্যবস্তু হয়ে উঠেছে আলেপ্পোর পূর্বাঞ্চল। জানা যায়, মুজাহিদিনরা বিভিন্ন দিক থেকে শহরের পূর্বাঞ্চলকে ঘিরে ফেলার চেষ্টা করছেন।
অপরদিকে ইদলিবের সীমানা পেড়িয়ে মুজাহিদদের অন্য একটি ইউনিট হামা সিটির বিভিন্ন শহর ও এলাকাগুলোর দিকে অগ্রসর হচ্ছেন। গত ৩০ নভেম্বর বিকালেই মুজাহিদিনরা উত্তর হামা সিটিতে আসাদ সরকারের প্রথম প্রতিরক্ষা লাইন ভেঙে দক্ষিণ মোরেক, তাইবেত আল-ইমাম এবং মার্দেস শহর সহ কয়েক ডজন এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেন। আর ১লা ডিসেম্বর বিকাল পর্যন্ত মুজাহিদিনরা কালাত আল-মাদিক শহর অতিক্রম করে হামা সিটির কেন্দ্রীয় শহরের উপকণ্ঠের ১৮টি এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন। বর্তমানে ১৫০টি ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান নিয়ে ৫ হাজার মুজাহিদদের একটি দল হামার কেন্দ্রীয় শহরের দিকে অগ্রসর হচ্ছেন।
আলেপ্পো, ইদলিব এবং হামা সিটির সর্বশেষ আনুমানিক পরিস্থিতি নিয়ে ১লা ডিসেম্বর সন্ধ্যার মানচিত্র দেখুন:
গত ২৭ নভেম্বর সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় আলেপ্পোর পশ্চিমে অপারেশন “রদ্দুল উদওয়ান” শুরু করেছিলেন ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা। এই অপারেশন এখন সিরিয়ায় একটি ঐতিহাসিক প্রান্তে এসে উপনীত হয়েছে।
কেননা আলেপ্পোর পশ্চিমাঞ্চলে শুরু হওয়া এই অভিযান এখন আলেপ্পো ছাড়িয়ে ইদলিব, হামা এবং কুর্দি দখলকৃত মানবিজ, রাক্কা এং তেল আল-রাফার মতো অঞ্চলগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে মুজাহিদদের হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হচ্ছে রাশিয়া- এবং ইরান-সমর্থিত আসাদ সরকারি বাহিনীর পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দ্বারা সমর্থিত কুর্দি বিদ্রোহীরাও।
স্থানীয় সূত্রমতে, মুজাহিদিনরা যখন আলেপ্পোর কেন্দ্রের দিকে অগ্রসর হচ্ছিলেন, তখন কুর্দি (PKK/YPG) বিদ্রোহীরা আসাদ বাহিনীর পক্ষ নেয়। এসময় আসাদ বাহিনী মুজাহিদদের হাত থেকে বাঁচতে আলেপ্পোর সামরিক বিমান ঘাঁটি সহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলো কুর্দি বিদ্রোহীদের কাছে হস্তান্তর করে। তখন কুর্দিরা আসাদ বাহিনীকে রক্ষায় তেল রিফাত থেকে নিয়ে মানবিজ পর্যন্ত একটি করিডোর তৈরি চেষ্টা করে। এমন পরিস্থিতিতে কুর্দি বাহিনী মুজাহিদদের অগ্রসরের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ফলে মুজাহিদিনরা বাধ্য হয়ে কুর্দি বিদ্রোহিদের উপরও হামলা চালানো শুরু করেন এবং করিডোর ভেঙে কুর্দিদের দখলে থাকা এলাকাগুলোরও নিয়ন্ত্রণ নিতে শুরু করেন। বলা হয়, আসাদ বাহিনীর সাথে কুর্দিদের এই সমোঝোতা ছিলো নিজেদের পায়ে কুঠার মারার মতো।
কুর্দি নিয়ন্ত্রিত তেল রাফাত অবরোধ করে বিভিন্ন দিক থেকে অগ্রসর হচ্ছেন প্রতিরোধ যোদ্ধারা
সূত্রমতে, আসাদ বাহিনী কুর্দিদের নিরাপত্তায় যেসব এলাকা ছেড়ে গিয়েছিল তার সিংহভাগ এলাকাই ১লা ডিসেম্বর দুপুরের আগেই মুজাহিদিনরা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন। সেই সাথে আলেপ্পো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছাড়াও ৩টি সামরিক বিমান ঘাঁটি এবং ঐতিহাসিক স্থানগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর, মুজাহিদিনরা বর্তমানে আলেপ্পোর পশ্চিমাঞ্চল এবং দক্ষিণাঞ্চল হয়ে শহরের পূর্বপ্রান্তের দিকে অগ্রসর হচ্ছেন, যেখানে কিছু এলাকা এখনো আসাদ বাহিনী ও কুর্দি বিদ্রোহীদের দখলে রয়েছে।
এদিকে মুজাহিদদের অন্য একটি ইউনিট কুর্দি নিয়ন্ত্রিত সিরায়ার উত্তরাঞ্চলে বিশেষ করে তেল রিফাত এবং মানবিজ শহরের দিকে হামলা জোরদার করেছেন। আর তুর্কি সমর্থিত সিরিয়ান ন্যাশনাল আর্মির সদস্যরা কুর্দি নিয়ন্ত্রিত মানবাজ ও রাক্কার মধ্যবর্তী স্থানগুলোতে হামলা চালিয়ে দুটি শহরকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে, সেই সাথে কুর্দি নিয়ন্ত্রিত অনেক এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
পূর্ব আলেপ্পোয় আসাদ নিয়ন্ত্রিত লাল অংশ এবং কুর্দি নিয়ন্ত্রিত হলুদ অংশ অবরোধ করে সামনে অগ্রসর হচ্ছেন মুজাহিদিনরা।
রবিবার ১লা ডিসেম্বর বিকালে, রদ্দুল উদওয়ান অপারেশন রুমের লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসান আবদুল গনি নিশ্চিত করেছেন যে, পূর্ব আলেপ্পোতে মুজাহিদদের অভিযান এবং অগ্রগতি অব্যাহত রয়েছে। এই অঞ্চলে মুজাহিদদের হামলায় অসংখ্য শত্রু সৈন্য হতাহত ছাড়াও আসাদ বাহিনীর ৩৫ এরও বেশি সদস্যকে মুজাহিদিনরা বন্দী করেছেন। এসময় আসাদ বাহিনীর আরও ৩০ সৈন্য মুজাহিদদের কাছে আত্মসমর্পণও করেছে। আর মুজাহিদিনরা গনিমত হিসাবে অর্জন করেছেন অনেক ট্যাংক, সাঁজোয়া যান এবং বিভিন্ন গোলাবারুদ ও অস্ত্র।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, আলেপ্পো থেকে আসাদ বাহিনীর প্রতিরক্ষা লাইন প্রায় ৭০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং ৬০ কিলোমিটার পূর্বে স্থানান্তরিত হয়েছে। মুজাহিদিনরা রবিবার বিকালে দক্ষিণাঞ্চরের ৪টি সামরিক ঘাঁটি বিজয়ের মধ্য দিয়ে পশ্চিমাঞ্চলের পর দক্ষিণাঞ্চলও পুরোপুরিভাবে নিজেরদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন। তাই বর্তমানে মুজাহিদদের হামলার প্রধান লক্ষ্যবস্তু হয়ে উঠেছে আলেপ্পোর পূর্বাঞ্চল। জানা যায়, মুজাহিদিনরা বিভিন্ন দিক থেকে শহরের পূর্বাঞ্চলকে ঘিরে ফেলার চেষ্টা করছেন।
অপরদিকে ইদলিবের সীমানা পেড়িয়ে মুজাহিদদের অন্য একটি ইউনিট হামা সিটির বিভিন্ন শহর ও এলাকাগুলোর দিকে অগ্রসর হচ্ছেন। গত ৩০ নভেম্বর বিকালেই মুজাহিদিনরা উত্তর হামা সিটিতে আসাদ সরকারের প্রথম প্রতিরক্ষা লাইন ভেঙে দক্ষিণ মোরেক, তাইবেত আল-ইমাম এবং মার্দেস শহর সহ কয়েক ডজন এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেন। আর ১লা ডিসেম্বর বিকাল পর্যন্ত মুজাহিদিনরা কালাত আল-মাদিক শহর অতিক্রম করে হামা সিটির কেন্দ্রীয় শহরের উপকণ্ঠের ১৮টি এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন। বর্তমানে ১৫০টি ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান নিয়ে ৫ হাজার মুজাহিদদের একটি দল হামার কেন্দ্রীয় শহরের দিকে অগ্রসর হচ্ছেন।
আলেপ্পো, ইদলিব এবং হামা সিটির সর্বশেষ আনুমানিক পরিস্থিতি নিয়ে ১লা ডিসেম্বর সন্ধ্যার মানচিত্র দেখুন:
Comment