Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুজাহিদীন নিউজ।। ১৫ শাবান, ১৪৪৬ হিজরী।। ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুজাহিদীন নিউজ।। ১৫ শাবান, ১৪৪৬ হিজরী।। ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ঈসায়ী

    চালু হওয়ার দ্বারপ্রান্তে আফগানিস্তানের প্রথম ২০০ শয্যাবিশিষ্ট ক্যান্সার হাসপাতাল



    ইমারতে ইসলামিয়ার জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব ও সম্মানিত আমীরুল মুমিনিনের নির্দেশনা অনুযায়ী, আফগানিস্তানের প্রথম ২০০ শয্যাবিশিষ্ট ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণের অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। বর্তমানে হাসপাতালটির সেবা কার্যক্রম দ্রুত শুরু হতে যাচ্ছে।

    সম্প্রতি ইমারতে ইসলামিয়ার জনস্বাস্থ্য মন্ত্রী জনাব মৌলভী নূর জালাল জালালি হাফিযাহুল্লাহ উক্ত হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন। তিনি হাসপাতালটির বিভিন্ন বিভাগ পরিদর্শন করেছেন এবং খুঁটিনাটি বিষয়াদি পর্যবেক্ষণ করেছেন। এই সময় তিনি উপস্থিত কর্মকর্তাদের সাথে মত বিনিময় করেছেন। এতে হাসপাতালটি সমৃদ্ধ করে তুলতে প্রয়োজনীয় বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করেছেন।

    ক্যান্সার রোগীদের সবচেয়ে অসহায় ও অভাবী হিসেবে তিনি উল্লেখ করেছেন। জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই রোগীদের চিকিৎসা প্রদানকে অগ্রাধিকার দেবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেছেন। নাগরিকদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ এবং দ্রুত হাসপাতালটির সেবা কার্যক্রম চালু করতে তিনি কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।

    উল্লেখ্য যে, এই হাসপাতালটি তিনটি পর্যায়ে তার পরিষেবা শুরু করবে, এর প্রথম পর্যায় ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। পরবর্তী পর্যায়ে ক্যান্সার রোগীদের জন্য বিভিন্ন আধুনিক সরঞ্জাম সংগ্রহ ও সক্রিয় করা হবে। এছাড়া স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য বিশেষ সক্ষমতা বৃদ্ধি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।


    তথ্যসূত্র:
    1. First ever cancer hospital to commence operations in the country
    https://tinyurl.com/2scka5u3
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    হামাসের হুঁশিয়ারির পর ৮ শতাধিক ত্রাণের ট্রাক ছাড়তে বাধ্য হলো দখলদার ইসরায়েল




    হামাসের এক হুঁশিয়ারির কারণে ইহুদিবাদী ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় ত্রাণবাহী অন্তত ৮০০ ট্রাক প্রবেশ করার অনুমতি দিতে বাধ্য হয়েছে। গাজা উপত্যকার স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা সামা জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী এতদিন এসব ট্রাককে গাজায় প্রবেশ করতে দিচ্ছিল না; যদিও গত ১৯ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে এসব ট্রাককে গাজায় ঢোকার অনুমতি দেয়ার কথা ছিল।

    গত ৮ ফেব্রুয়ারি, শনিবার তিন ইহুদিবাদী পণবন্দিকে মুক্তি দেয়ার পর হামাস জানিয়েছিল, তারা চুক্তি অনুযায়ী পরবর্তী শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রতিশ্রুত তিনজন বন্দিকে মুক্তি দেবে না। এর কারণ হিসেবে হামাস বলেছিল, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে গাজায় হত্যাকাণ্ড বন্ধ করছে না এবং উপত্যকায় ত্রাণবাহী ট্রাকও ঠিকমতো প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। হামাস আরো বলেছিল, তেল আবিব যদি তার প্রতিশ্রুতি পালন করে তাহলে তারা বন্দি মুক্তির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে দেখবে।

    যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী প্রতিদিন গাজায় ৬০০ ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করার অনুমতি দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু হামাসের হুমকির পর বৃহস্পতিবার একদিনেই প্রবেশ করেছে ৮০১টি ট্রাক।

    ২০২৩ সালের অক্টোবর মাস থেকে গাজা উপত্যকায় ভয়াবহ গণহত্যা শুরু করে সন্ত্রাসী ইসরায়েল। এর ১৫ মাস পর গত ১৯ জানুয়ারি হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে বাধ্য হয় তেল‌ আবিব। সেদিনের পর থেকে পরবর্তী ৪২ দিন পর্যন্ত ওই চুক্তির মেয়াদ চলাকালে কোনো গোলাগুলি করবে না বলে স্বীকার করেছিল তেল আবিব। কিন্তু ১৯ জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় দখলদার সেনাদের গুলিতে ১১৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত ও ৮২২ জন আহত হন।


    তথ্যসূত্র:
    1. Hamas says it will free 3 more hostages. That could resolve its ceasefire dispute with Israel
    https://tinyurl.com/y4yx6k2s
    2.Israel is forced to allow over 800 aid trucks into Gaza
    https://tinyurl.com/2vr2ps6k
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      সোভিয়েত বিরোধী আফগান যুদ্ধ: একটি পরাশক্তির পরাজয়ের গল্প




      ৩৬ বছর আগে, শেষ সোভিয়েত সৈনিকটি এক দশকের পরাজয় এবং রক্তপাতের পর আতঙ্কে আফগানিস্তানের হায়রাত সেতু পার হয়েছিল। সোভিয়েতরা এই যুদ্ধকে কয়েকদিনের ও দ্রুততম সময়ে শেষ হওয়া একটি যুদ্ধ বলে মনে করেছিল, কিন্তু এই যুদ্ধ এমন এক জলাবদ্ধতায় পরিণত হয়েছিল যা তাদের সেনাবাহিনীকে ক্লান্ত করে দিয়েছিল এবং তাদের সাম্রাজ্যের পতন ডেকে এনেছিল।

      আফগানদের প্রতিরোধ কীভাবে সবচেয়ে শক্তিশালী পরাশক্তিদের একটি সাম্রাজ্যকে পরাজয় স্বীকার করতে বাধ্য করেছিল? আফগানদের এই বিজয় কীভাবে বিশ্ব ইতিহাসের এক সন্ধিক্ষণ ছিল? সেই গল্প নিয়েই আমাদের আজকের আয়োজন…

      আগ্রাসন এবং প্রতিরোধ

      সময়টা ১৯৭৯ সালের ২৪শে ডিসেম্বর। সোভিয়েত বাহিনী সোভিয়েতপন্থী কমিউনিস্ট সরকারকে সমর্থন করার জন্য আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত ১ লক্ষ ৫ হাজার সৈন্য নিয়ে আফগানিস্তান আক্রমণ চালায়। এসময় সোভিয়েত বাহিনী আফগানিস্তানে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পরিবর্তে, দেশটিতে সর্ব প্রকার জুলুম, নির্যাতন এবং ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে থাকে। আগ্রাসী সোভিয়েত বাহিনীর এধরণের কর্মকাণ্ড আফগানদের হৃদয়ে প্রতিরোধের আগুন জ্বালিয়ে দেয়। ফলে দেশটির সকল শ্রেণীর মানুষ দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ঐক্যবদ্ধ হন, শুরু হয় ইতিহাস পাল্টে দেওয়া সোভিয়েত বিরোধী আফগান যুদ্ধ।

      ধ্বংস ও রক্তাক্ত প্রতিরোধ যুদ্ধের এক দশক

      আফগানিস্তানে সোভিয়েত দখলদারিত্ব কেবল একটি আক্রমণ ছিল না, বরং প্রায় ১০ বছর স্থায়ী একটি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধ ছিল। এই যুদ্ধে দেড় মিলিয়নেরও বেশি আফগান শহীদ হন, আহত হয়েছেন কয়েক লক্ষ মুসলিম। আর বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ৫০ লক্ষেরও বেশি লোক। কিন্তু সোভিয়েতদের সমস্ত দমন-পীড়ন সত্ত্বেও আফগানরা হাল ছেড়ে দেননি। এসময় ঈমান ও দেশ রক্ষায় আফগানদের দৃঢ়সংকল্পের সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের সাহায্যে এই ভূমিতে আগমন ঘটে শাইখ আব্দুল্লাহ আযযাম, শাইখ ওসামা, আইমান ও আবু মুস’আব আস-সূরীদের মতো মহান জিহাদি নেতা ও অসংখ্য আরব-আজমের জানবায মুজাহিদদের। এই মুজাহিদরা অসম সামরিক শক্তির অধিকারী সোভিয়েতদের সামনে প্রতিরোধের পথ থেকে পিছু হটেননি। তারা ঈমানী শক্তিতে বলিয়ান অটুট হৃদয় আর মুসলিম বিশ্বের ব্যাপক জনসমর্থন নিয়ে সোভিয়েতদের বিরুদ্ধে ভয়াবহ যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিলেন।

      এই যুদ্ধে আরব-আজমের মুজাহিদিনরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সোভিয়েত বাহিনীর উপর বেদনাদায়ক আঘাত হানতে থাকেন। অসম এই যুদ্ধে মুজাহিদদের অগ্রগতির সাথে সাথে সোভিয়েত সেনাবাহিনী পাহাড় এবং উপত্যকায় মুজাহিদিনদের কাছ থেকে তীব্র আঘাতের সম্মুখীন হতে থাকে। মুজাহিদিনরা দুর্গম ভূখণ্ড, উঁচুনিচু পাহাড় এবং গেরিলা যুদ্ধের কৌশলের সুযোগ নেন। দীর্ঘ ১০ বছরের অসম এই লড়াইয়ে সোভিয়েত বাহিনীর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ছিল ১৫ হাজারেরও বেশি নিহত এবং কয়েক হাজার আহত। ব্যাপক এই হতাহতের ফলে সোভিয়েত বাহিনীর যুদ্ধের মনোভাব ভেঙে পড়ে।

      পরাজয়ের রাস্তা: হায়রাত সেতু

      দৃঢ় চিত্তের অধিকারী আফগান ও আরব-অনারবের মুজাহিদদের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের মুখে সোভিয়েত ইউনিয়নের ক্ষতি বাড়তে থাকে। এতে অভ্যন্তরীণ চাপ বাড়তে থাকে, ফলে মস্কো এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার পথ খুঁজতে শুরু করে। সেই ধারাবাহিকতায় ১৯৮৮ সালে জেনেভা চুক্তির মাধ্যমে আফগানিস্তান থেকে সোভিয়েত বাহিনী প্রত্যাহারের পথ প্রশস্ত করে। কিন্তু সত্য হল যে, এই বিজয় জেনেভা চুক্তির ফলাফল ছিল না, বরং মহান রাব্বুল আলামিনের সাহায্য, আফগানদের দৃঢ়তা এবং মহান ত্যাগই এই ফলাফল এনে দিয়েছিল। আর চুক্তিটি ছিলো সোভিয়েত বাহিনীর নিজেদের ক্ষতি কিছুটা কমিয়ে আনার একটি শেষ প্রচেষ্টা।

      ইতিহাসের পাঠ: আফগানিস্তান সাম্রাজ্যবাদীদের কবরস্থান

      সোভিয়েত বিরোধী এই যুদ্ধের ফলাফল কেবল আফগানিস্তানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং সোভিয়েত ইউনিয়নের কেন্দ্রস্থলেও বিস্তৃত ছিল। কেননা আফগানদের বিজয় ও দখলদারদের পরাজয় ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ব্যবস্থার পতন এবং ইউনিয়নের ভাঙনে অবদান রাখে। এর‌ই মধ্য দিয়ে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী কমিউনিস্ট শাসনব্যবস্থার অবসান ঘটে।

      সোভিয়েত বিরোধী যুদ্ধে ঐতিহাসিক এই বিজয়ের মাধ্যমে আফগানরা প্রমাণ করেছিল যে, তাদের দেশ দখল করার ভূমি নয়, বরং হানাদারদের কবরস্থান।

      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment

      Working...
      X