Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুজাহিদীন নিউজ।। ২০ শাবান, ১৪৪৬ হিজরী।। ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুজাহিদীন নিউজ।। ২০ শাবান, ১৪৪৬ হিজরী।। ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ঈসায়ী

    হেরাত শহরের সৌন্দর্য বাড়াতে ইমারতে ইসলামিয়ার সবুজায়ন প্রকল্প



    ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের হেরাত পৌরসভা সম্প্রতি শহরের নবনির্মিত বুলেভার্ডগুলোতে বিভিন্ন ধরনের শোভাময় চারা ও গোলাপ গাছ লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছে। এসব চারার মধ্যে নাজু কালহাকান্দি, গুল তাওউস, কাহরে-জোহরা এবং মুরসাল প্রজাতির গাছ রয়েছে, যা নতুনভাবে গড়ে ওঠা বুলেভার্ডগুলোর সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবে।

    এই উদ্যোগের আওতায় এলাকাটির ইমাম বুখারি হাইওয়ে, হাওজ কারবাস থেকে হাওয়াদেহ, ফার্কে থেকে কারিজাক, পায়ান-আব থেকে মহল কান্দাহারি এবং শহরের আরও বেশ কয়েকটি সড়কে এই চারা রোপণ করা হচ্ছে।

    ইমারতে ইসলামিয়া প্রশাসন হেরাত শহরের বাসিন্দাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, তারা যেন শহরের সৌন্দর্য ও সবুজায়নে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়। এছাড়াও, এই ঋতুতে চারাগাছ রোপণের মাধ্যমে নগরবাসীরা তাদের নিজ নিজ বাড়ির বাগানে, সড়কের পাশে এবং অন্যান্য উপযুক্ত স্থানে গাছ লাগিয়ে শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে অবদান রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে।


    তথ্যসূত্র:
    1. 8,000 Seedlings Planted in Herat’s New Boulevards
    https://tinyurl.com/bdtmx8mc
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    আফগান শরণার্থীদের দ্রুত গণ উচ্ছেদের পরিকল্পনা করেছে পাকিস্তান




    ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের কূটনীতিকরা জানিয়েছেন, পাকিস্তান অন্তত ৩০ লাখ আফগান শরণার্থীকে দ্রুত বিতাড়িত এবং গণবহিষ্কারের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে।

    গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ইসলামাবাদে ইমারতে ইসলামিয়ার দূতাবাস এক বিবৃতিতে এই তথ্য প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদ ও পাশের শহর রাওয়ালপিন্ডিতে পুলিশি অভিযান চলছে, যেখানে আইনিভাবে বসবাসরত শরণার্থীরাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

    ইমারতে ইসলামিয়ার কূটনৈতিক মিশন জানায়, পাকিস্তান তার সর্বশেষ শরণার্থী নির্বাসন পরিকল্পনা সম্পর্কে আনুষ্ঠানিকভাবে ইমারতে ইসলামিয়া সরকারকে অবহিত করেনি। এতে আরও বলা হয়, পাকিস্তানের দুই শহর থেকে আফগান নাগরিকদের আটক ও বহিষ্কারের পেছনের কারণ সম্পর্কে দেশটির সরকারের কাছে একাধিকবার কূটনৈতিকভাবে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।

    ইমারতে ইসলামিয়া দূতাবাসের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন যে, কেবল ইসলামাবাদ ও রাওয়ালপিন্ডি নয়, বরং পুরো দেশ থেকেই সমস্ত আফগান শরণার্থীকে বহিষ্কারের চূড়ান্ত পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

    ভয়েস অব আমেরিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফগান শরণার্থী জনগোষ্ঠী নিয়ে একটি বহুস্তরীয় পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ। এর প্রায় তিন সপ্তাহ পর ইমারতে ইসলামিয়ার কর্মকর্তারা তাদের প্রতিক্রিয়া জানান।

    জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর-এর অনুমোদিত রেজিস্ট্রেশন কার্ড (পিওআরএস) সহ ১৪ লাখের বেশি শরণার্থী রয়েছে, যাদের পাকিস্তান আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত থাকার অনুমতি দিয়েছে। এছাড়া, অন্তত ৯ লাখ নিবন্ধিত অর্থনৈতিক অভিবাসী রয়েছে, যাদের কাছে আফগান সিটিজেনশিপ কার্ড রয়েছে। আরও অনেকেই পাকিস্তানে অবৈধভাবে বসবাস করছে বা যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।

    ইমারতে ইসলামিয়ার দূতাবাস বুধবার জানিয়েছে, বৈধ আইনি ভিসাধারী আফগান নাগরিকদেরই ইসলামাবাদ ও রাওয়ালপিন্ডিতে থাকার অনুমতি দেওয়া হবে বলে তাদের জানিয়েছে পাকিস্তানি কর্মকর্তারা। ইউএনএইচসিআরও নিশ্চিত করেছে যে, পাকিস্তান সরকার ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বৈধ ভিসাধারী ব্যতীত সমস্ত আফগান শরণার্থীকে ইসলামাবাদ ও রাওয়ালপিন্ডি থেকে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে।

    ইমারতে ইসলামিয়া দূতাবাস জানিয়েছে, তারা ইসলামাবাদ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছে এত অল্প সময়সীমার মধ্যে আফগান শরণার্থীদের গণবহিষ্কার এবং পাকিস্তানের একতরফা সিদ্ধান্তের বিষয়ে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।


    তথ্যসূত্র:
    1. Taliban confirm Pakistan’s new plan for swift mass eviction of Afghan refugees
    https://tinyurl.com/bdmj2u48
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      সফল মেরামত শেষে একটি এমআই-১৭ হেলিকপ্টার সক্রিয় করল তালিবান এয়ার ব্রিগেড




      একটি এমআই-১৭ হেলিকপ্টার সফলভাবে মেরামত সম্পন্ন করেছেন তালিবান সরকারের কান্দাহার এয়ার ব্রিগেড। হেলিকপ্টারটি উক্ত ব্রিগেড কর্তৃক ইতোপূর্বে বাতিল করা হয়েছিল এবং সামরিক গুদামে স্থানান্তরের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।

      পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট ব্রিগেডের অভিজ্ঞ প্রকৌশলী ও প্রযুক্তিগত টিমের আন্তরিক প্রচেষ্টায় এটিকে পুনরায় সচল করা হয়েছে। হেলিকপ্টারটি সফলভাবে আকাশে উড্ডয়ন করা হয়েছে। উল্লেখ্য যে, এমআই-১৭ হল একটি রাশিয়ান সামরিক হেলিকপ্টার, এটির রকেট বা কামানের মত ভারী অস্ত্রশস্ত্র পরিবহনের সক্ষমতা রয়েছে।

      কান্দাহার এয়ার ব্রিগেড কমান্ডার মোল্লা মুহাম্মদ ঈসা ইয়াসিন হাফিযাহুল্লাহ টেকনিক্যাল বিভাগের প্রকৌশল কর্মীদের প্রশংসা করেছেন। ভবিষ্যতেও তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন। এর আগেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক হেলিকপ্টার মেরামত ও ব্যবহার উপযোগী করেছিলেন উক্ত এয়ার ব্রিগেডের প্রকৌশল কর্মীগণ।


      তথ্যসূত্র:
      1. Repair and flight of an MI-17 helicopter wing by Kandahar Air Brigade technical personnel
      https://tinyurl.com/bdex5c48
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        ফটো রিপোর্ট || মোগাদিশু বাহিনীর উপর আশ-শাবাবের হামলার ফুটেজ



        ​আল-কায়েদা পূর্ব আফ্রিকা সংশ্লিষ্ট ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন। সম্প্রতি দলটির মিডিয়া শাখা আল-কাতাইব থেকে প্রায় ৩ মিনিটের একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। ভিডিওটিতে গত বছরের ২৭ নভেম্বর, রাজধানী মোগাদিশুর উত্তরের হাওয়াদিল শহরের উপকণ্ঠে মুজাহিদদের পরিচালিত একটি অভিযানের দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে।

        অভিযানটি তুর্কিয়ে ও উগান্ডায় প্রশিক্ষিত সোমালি স্পেশাল ফোর্স ও স্থানীয় মিলিশিয়াদের বিরুদ্ধে চালানো হয়েছিল। অঞ্চলটিতে মুজাহিদিনরা শত্রু বাহিনীর বিরুদ্ধে মুখোমুখি যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। মুজাহিদদের এই অভিযানে মোগাদিশু সরকারী বাহিনী ও মিলিশিয়াদের মধ্যে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটেছিল।

        ফলে এই যুদ্ধে, মোগাদিশু সরকারের ৩য় ব্রিগেডের ২৩তম ব্যাটালিয়নের কমান্ডার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ নূর গোদার সহ ১৫ শত্রু সৈন্য নিহত হয়। সেই সাথে বিভিন্ন পদমর্যাদার ৪ কর্মকর্তা সহ আরও ৩৩ শত্রু সৈন্য আহত হয়। অভিযান শেষে মুজাহিদিনরা শত্রু বাহিনী থেকে বিভিন্ন অস্ত্র, সামরিক সরঞ্জাম এবং গোলাবারুদ জব্দ করেন, যা আল-কাতাইব কর্তৃক প্রকাশিত ফুটেজে নথিভুক্ত করা হয়েছে।

        আল-কাতাইবের নতুন এই প্রকাশনায় দেখা যায়, আশ-শাবাব মুজাহিদিনরা মোগাদিশু সরকারি মিলিশিয়াদের তাড়া করছেন, শত্রুদের নির্মূল করছে এবং বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জাম গনিমত হিসাবে সংগ্রহ করছেন।

        উল্লেখ্য যে, হারাকাতুশ শাবাব প্রশাসন সোমালিয়া থেকে মোগাদিশু সরকারকে উৎখাত করতে এবং দেশটি থেকে পশ্চিমা আধিপত্যের রশি ছিন্ন করতে ২০০৬ সাল থেকে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। মুজাহিদদের দীর্ঘ এই লড়াইয়ের লক্ষ্য হচ্ছে সোমালিয়ায় একটি ব্যাপক ও স্বাধীন ইসলামী শরিয়া ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার করা। কিন্তু মুজাহিদদের এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে বাধা হয়ে দাড়িয়েছে পশ্চিমা-সমর্থিত মোগাদিশু সরকার ও একে সহায়তাকারী আন্তর্জাতিক জোট বাহিনী। ফলে মোগাদিশু বাহিনীর পাশাপাশি মুজাহিদদের বৈধ হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হচ্ছে জাতিসংঘ সমর্থিত জোট বাহিনী ও স্থানীয় মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলো।

        মোগাদিশু বাহিনীর উপর মুজাহিদদের সফল অভিযান ও অভিযান শেষে মুজাহিদদের অর্জিত গনিমতের একাংশ দেখুন…


        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          আল্লাহ্‌ তাআলা আমাদের মুজাহিদীনদের দ্বীনের উপর ইস্তেক্বামাত রাখুন, আমীন

          Comment

          Working...
          X