মুজাহিদীন নিউজ ।। ০২ রমযান, ১৪৪৬ হিজরী ।। ০৩ মার্চ, ২০২৫ ঈসায়ী

[Al-Firdaws]

ইমারতে ইসলামিয়া প্রশাসন হিন্দুদের দখলকৃত জমি ফিরিয়ে দিচ্ছে, হিন্দু সম্প্রদায়ে প্রশংসা

পূর্ববর্তী আফগান সরকারের আমলে দেশটির বিভিন্ন প্রদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের জমি দখল করে নিয়েছিল তৎকালীন সরকারের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। তবে বর্তমানে ইমারতে ইসলামিয়া প্রশাসনের ক্ষমতায় আসার পর, প্রশাসনের উদ্যোগে ঐসব জমি পুনরুদ্ধার করে প্রকৃত মালিকদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে হিন্দু ও শিখ সম্প্রদায়ের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে এবং তারা এই পদক্ষেপকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছে।

গত ২ মার্চ হুররিয়াত রেডিও এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সম্প্রতি হিন্দু ও শিখ সম্প্রদায়ের পরিষদের কয়েকজন সদস্য ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের প্রধান ডা. মাওলানা আব্দুল বাসির হাফিযাহুল্লাহ এর সঙ্গে এক বৈঠকে বসেন। বৈঠকে তারা ইমারতে ইসলামিয়া প্রশাসনের জমি পুনরুদ্ধারের উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং তাদের অন্যান্য সমস্যার সমাধানে কিছু পরামর্শ তুলে ধরেন।

বৈঠকে ডা. মাওলানা আব্দুল বাসির হাফিযাহুল্লাহ বলেন, ‘আফগানিস্তান সবার জন্য সমানভাবে বসবাসযোগ্য স্থান। ইমারতে ইসলামিয়া প্রশাসন সবার সমস্যা সমাধানকে একটি দায়িত্ব হিসেবে দেখে।’ এ সময় তিনি আশ্বস্ত করেন, হিন্দু ও শিখ সম্প্রদায়ের অন্যান্য সমস্যাগুলোও দ্রুত সমাধান করা হবে।

---

তথ্যসূত্র:
1. اهل هنود هېوادوال: له غاصبینو د اهل هنودو د ځمکو بیرته راګرځولو کې د ا.ا اقدامات د ستاینې دي
– https://tinyurl.com/2s3faerx

[Al-Firdaws]

মধ্য শাবেলীর প্রশাসনিক অঞ্চলে আশ-শাবাবের অগ্রগতি অব্যাহত: ২০০ কিলোমিটার বিস্তৃত এলাকা বিজয়

সোমালিয়ার মধ্য শাবেলি রাজ্যের বিভিন্ন শহর ও এলাকায় হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিনের অগ্রগতি অব্যাহত রয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় সোমবার, দলটির মুজাহিদিনরা মধ্য শাবেল অঞ্চলের আদেন-ইয়াবাল জেলার উপকণ্ঠে বুস-হারেরি এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন।

আঞ্চলিক সূত্র থেকে জানা গেছে, সোমবার ৩ মার্চ সকালে, হারাকাতুশ শাবাব প্রশাসনের সাথে যুক্ত মুজাহিদিনরা মধ্য শাবেলী অঞ্চলের আদেন-ইয়াবাল জেলার উপকণ্ঠে তীব্র এক যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছেন। পশ্চিমা সমর্থিত মোগাদিশু বাহিনীর সামরিক অবস্থান লক্ষ্য করে মুজাহিদিনরা ভারী অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে এই যুদ্ধে অবতীর্ণ হন। এসময় উভয় বাহিনীর মাঝে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শুরু হয়। কিন্তু মুজাহিদদের আক্রমণের তীব্রতার সামনে ময়দানে দাড়িয়ে থাকতে পারে নি মোগাদিশু বাহিনী।

মোগাদিশু বাহিনী এই যুদ্ধে ভারী হতাহতের পর বুস-হারেরি এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। ততক্ষণে মুজাহিদদের অভিযানে মোগাদিশু বাহিনীর অন্তত ১৯ সৈন্য নিহত এবং আরও ৯ সৈন্য আহত হয়েছে। সেই সাথে মুজাহিদিনরা বিপুল সংখ্যক অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম গনিমত হিসাবে অর্জন করেন।

সোমবার দুপুরে এই রিপোর্ট তৈরি পর্যন্ত, হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদিনরা মধ্য শাবেলীর সিল-আলি-অ্যাক্সমেড শহরের উপকণ্ঠে যুদ্ধ শুরু করেছেন। মুজাহিদিনরা বিভিন্ন এলাকা হয়ে কিছু কিছু স্থানে শহরের ভিতরে মোগাদিশু বাহিনী বিরুদ্ধে প্রচণ্ড লড়াই শুরু করেছেন।

মধ্য শাবেলী অঞ্চলের সম্মুখ সমরে যুদ্ধের নেতৃত্ব দেওয়া হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিনের একজন কমান্ডার শাইখ ইউসুফ (হাফিজাহুল্লাহ্)। সোমবার সকালে তিনি আল-আন্দালুস রেডিওকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে, মুজাহিদিনরা মধ্য শাবেলির কয়েকটি ফ্রন্টে শত্রু বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধরত আছেন। মুজাহিদিনরা কাবাকুতুকাদ এলাকাতেও মোগাদিশু বাহিনীর বিরুদ্ধে তীব্র লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছেন। মুজাহিদিনরা মধ্য শাবেলী অঞ্চলের ২০০ কিলোমিটারেরও বেশি বিস্তৃত এলাকা শত্রু মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন। রাজ্যটির প্রশাসনিক শহর জোহরের দিকেও মুজাহিদদের অগ্রগতি অব্যাহত রয়েছে। একইসাথে রাজ্যটির গুরুত্বপূর্ণ আরেক শহর আদেন-ইয়াবালে শাবাবের আর্টিলারি ব্যাটালিয়নের যোদ্ধারা মিসাইল ও মর্টার হামলা চালিয়ে যাচ্ছেন।

---

তথ্যসূত্র:
1. Shabaabul Mujaahidiin Oo Dagaal Kula Wareegay Deegaan Hoostaga Aadan-yabaal.
– https://tinyurl.com/4kfb9wk9

[Al-Firdaws]

আফগানিস্তানে মাদকাসক্তি হতে ফিরে আসা ৫০০ জন ব্যক্তির জন্য বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন

মাদকাসক্তি হতে ফিরে আসা ব্যক্তিদের দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করছে ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান। এ লক্ষ্যে দেশটির হেরাত প্রদেশে সম্প্রতি নতুন ১টি বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। এতে মাদকাসক্তি ছেড়ে আসা ৫০০ জন ব্যক্তিকে একাধিক বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। হেরাত শ্রম ও সমাজ বিষয়ক বিভাগের উদ্যোগে নগরীর ৪ হাজার শয্যাবিশিষ্ট মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে এ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

উক্ত প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত বিষয়াদির মধ্যে রয়েছে সেলাই, ইলেকট্রিক্যাল ওয়্যারিং, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি মেরামত, জুতা ও ব্যাগ তৈরি ইত্যাদি। কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হেরাত প্রদেশের উপ-গভর্নর, সংশ্লিষ্ট সরকারী বিভাগের প্রধান, বেসরকারি খাত, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিবর্গ।

এই প্রশিক্ষণ কোর্সের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও উপকরণ সরবরাহ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন হেরাত শ্রম ও সমাজ বিষয়ক বিভাগের প্রধান হাফিজ মির্জা মুহাম্মদ আবু মনসুর হাফিযাহুল্লাহ। তিনি আরও জানান, প্রশিক্ষণ কোর্সের উন্নত মান নিশ্চিত করতে অভিজ্ঞ প্রশিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

কর্মদক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে নিজেদের নতুনভাবে গঠন ও সামাজিক জীবনকে পুনরায় সুসংহত করে তোলার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন মাদকাসক্তি থেকে সদ্য সুস্থ হওয়া ব্যক্তিগণ। এ ধরনের কর্মসূচির তাৎপর্য তুলে ধরেছেন হেরাত মাদকবিরোধী বিভাগের পরিচালক। তিনি বলেন, পুনরায় মাদকাসক্ত রোধে এই উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, একই সাথে এটি তাদের জীবনকে পুনর্গঠনে সক্ষম করে তুলবে।

---

তথ্যসূত্র:
1. Vocational Training Program Launched for Recovered Addicts in Herat
– https://tinyurl.com/4u84heer

[Al-Firdaws]

দ্রুত অভিযোগ নিষ্পত্তিতে সাফল্য দেখাচ্ছে ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান

শরীয়াহ আইন কার্যকর থাকায় দ্রুত অভিযোগ নিষ্পত্তিতে সাফল্য দেখাচ্ছে তালিবান নেতৃত্বাধীন ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান।

গত ২ মার্চ সৎ ও মন্দ কাজের আদেশ-নিষেধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এক সংবাদ সম্মেলনে গত ফেব্রুয়ারি মাসে তাদের কাছে দাখিলকৃত অভিযোগের একটি মাসিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাওলানা সাইফুল ইসলাম খাইবারী হাফিযাহুল্লাহ জানান, ‘আমাদের কাছে ফেব্রুয়ারি মাসে ১,১৮৫টি অভিযোগ এসেছে। আল্লাহর ইচ্ছায় এগুলোর মধ্যে ৮৫০টিই সমাধান করা হয়েছে। বাকি অভিযোগগুলো সমাধানের জন্য অধিকতর পর্যালোচনা ও তদন্ত চলমান রয়েছে।’

এর আগে, জনগণের অভিযোগ ও অনুরোধ দ্রুত গ্রহণের লক্ষ্যে ফ্রি কল সেবা চালু করেছিল মন্ত্রণালয়। গত আগস্টে ২০২৪ বার্ষিক প্রতিবেদনে মন্ত্রণালয়ের ‘অনুরোধ ও অভিযোগ শ্রবণ’ বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘১৯১’ ফ্রি কল সেবা এই ইমার্জেন্সি নম্বরে গত ১ বছরে ৯ হাজার ৮০৮টি অভিযোগ এসেছে। যার প্রায় ৫৭ শতাংশই নিষ্পত্তি করেছে সৎ ও মন্দ কাজের আদেশ-নিষেধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। নিষ্পত্তিকৃত অভিযোগের সংখ্যা ৫ হাজার ৪৯৬টি।

একই সময়ে ১ হাজার ৩১৩টি পারিবারিক শত্রুতাও নিষ্পত্তি করা হয়। এ বিষয়ে বলা হয়, আল্লাহর কৃপায় পরিবারগুলোর শত্রুতা বন্ধুত্বে রূপান্তর করতে সক্ষম হয়েছে সৎ ও মন্দ কাজের আদেশ-নিষেধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

এছাড়া, পূর্ণাঙ্গ বার্ষিক প্রতিবেদনে দেখা যায় যে অভিযোগের প্রায় ৭৮ শতাংশই সমাধান করেছে সৎ ও মন্দ কাজের আদেশ-নিষেধ বা আমর-নাহী মন্ত্রণালয়। বাকি ১২ শতাংশ অভিযোগ বাদী-বিবাদীদের জমির নথিগত জটিলতা সহ অন্যান্য কারণে দ্রুততম সময়ে সমাধান সম্ভব হয়নি। এর মধ্যে কিছু অভিযোগ এখনও পুনর্বিবেচনাধীন।

সাধারণ আফগান নাগরিকরা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বর্তমান সরকার দ্রুততম সময়ে তাদের সমস্যার সমাধান করছে। এমনকি সরকারের নিকট অভিযোগ, অনুরোধ ও আহ্বান পৌঁছে দিতে টোল-মুক্ত কল সার্ভিসও চালু করেছে। সমস্যার সমাধানে কোথাও অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে না। তবে পূর্বের সরকারের আমলে এমনটি চিন্তাও করা যেত না। অতিরিক্ত অর্থ পরিশোধ করেও সমস্যার সঠিক সমাধান পেতে ভোগান্তিতে পড়তে হতো।

---

তথ্যসূত্র:
1. د امر بالمعروف، نهی عنالمنکر او شکایتونو اورېدلو وزارت ویاند مولوي سیفالاسلام
– https://tinyurl.com/ysuffs72

[Al-Firdaws]

ফটো রিপোর্ট || আফ্রিকায় মুজাহিদদের “খালিদ বিন ওয়ালিদ” সামরিক প্রশিক্ষণ ক্যাম্প

আল-কায়েদা ইসলামি মাগরিব সংশ্লিষ্ট সামরিক শাখা জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন (জেএনআইএম)। মালি, বুরকিনা ফাসো এবং নাইজার সহ পশ্চিম আফ্রিকার অর্ধডজন দেশে সক্রিয় জেএনআইএম। সম্প্রতি দলটি তাদের মিডিয়া সংস্থা আয-যাল্লাকার মাধ্যমে “খালিদ বিন ওয়ালিদ” নামক একটি প্রশিক্ষণ শিবির থেকে মুজাহিদদের সামরিক প্রশিক্ষণেন ২২টি ছবি প্রকাশ করেছে।

বুরকিনা ফাসো এবং আইভরিকোস্ট সীমান্তে অবস্থিত মালির সিকাসো রাজ্য থেকে এই দৃশ্যগুলো ধারণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। রাজ্যটিতে জেএনআইএম-এর এই সামরিক কর্মযজ্ঞে অংশ নিয়েছেন পশ্চিম আফ্রিকার বাম্বারা, বোবো, মালিঙ্কেস এবং সিমনসর জাতিগোষ্ঠীর যুবকরা। এই যুবকরা ক্যাম্প থাকে শরিয়াহ্ ও সামরিক প্রশিক্ষণ শেষে যোগ দিবেন জেএনআইএম-এর বিভিন্ন আঞ্চলিক সামরিক ইউনিটগুলোতে।

জেএনআইএম-এর “খালিদ বিন ওয়ালিদ” (রাদিআল্লাহু তাআ’লা আনহু) সামরিক প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের কিছু দৃশ্য দেখুন…