Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুজাহিদীন নিউজ || ২৩ রমযান, ১৪৪৬ হিজরী || ২৪ মার্চ, ২০২৫ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুজাহিদীন নিউজ || ২৩ রমযান, ১৪৪৬ হিজরী || ২৪ মার্চ, ২০২৫ ঈসায়ী

    কেনিয়ার ভূখণ্ডে শত্রু সামরিক ঘাঁটি ও কনভয়ে মুজাহিদদের হামলা অব্যাহত


    পূর্ব আফ্রিকার দেশ সোমালিয়ায় হারাকাতুশ শাবাবের তীব্র লড়াই এখন মোগাদিশু বাহিনীর অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে পরিণত হয়েছে। আর এই মোগাদিশু বাহিনীকে রক্ষায় সৈন্য মোতায়েনের ক্ষেত্রে আফ্রিকান দেশগুলির মধ্যে কেনিয়া অন্যতম। ফলে এই অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরেই মুজাহিদদের বৈধ হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হচ্ছে কেনিয়ান বাহিনীও।

    সেই ধারাবাহিকতায় গত ২৩ মার্চ রবিবার সকালে, ভারী অস্ত্রসজ্জিত আশ-শাবাব মুজাহিদিনরা কেনিয়ার ঔপনিবেশিক শাসনাধীন গারিসা রাজ্যে একটি সফল অভিযান পরিচালনা করছেন। অভিযানটি গারিসা রাজ্যের ফাফি জেলার বিয়ো মাদুব এলাকায় ক্রুসেডার বাহিনীর একটি সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে। এতে কেনিয়ান বাহিনীর ৬ ক্রুসেডার সৈন্য নিহত এবং আরও ৪ সৈন্য আহত হয়েছে।

    মুজাহিদদের অতর্কিত এই আক্রমণের সামনে দাড়াতে না পেরে ঘাঁটিতে অবস্থানরত অন্য ক্রুসেডার সৈন্যরা জীবন বাঁচাতে পালিয়ে যায়। এতে মুজাহিদিনরা সামরিক ঘাঁটিটির সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হন এবং প্রচুর সংখ্যক অস্ত্র ও গোলাবারুদ গনিমত লাভ করেন।

    এদিন কেনিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় মান্দিরা রাজ্যেও একটি সফল অভিযান পরিচালনা করছেন মুজাহিদিনরা। অভিযানটি উক্ত রাজ্যের শেখ বারো এলাকার কেনিয়ান ক্রুসেডারদের একটি কনভয় লক্ষ্য করে বিস্ফোরক ডিভাইস বিস্ফোরণের মাধ্যমে চালানো হয়েছে। এতে ক্রুসেডার বাহিনীর একটি সামরিক গাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়, ফলে গাড়িতে থাকা সমস্ত কেনিয়ান সৈন্য নিহত হয়। এই অভিযান শেষে মুজাহিদিনরা ঘটনাস্থল থেকে ৪টি AK47 রাইফেল এবং ১টি RPG রকেট লঞ্চার গনিমত অর্জন করেন।

    তথ্যসূত্র:
    https://tinyurl.com/2hbb9dhy
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    মোগাদিশুর উপকন্ঠে কেনিয়ার সামরিক কার্গো বিমান বিধ্বস্ত


    সোমালিয়ায় মোগাদিশু প্রশাসনকে রক্ষায় আফ্রিকান দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম সামরিক সহায়তাকারী দেশ কেনিয়া। রবিবার মোগাদিশু থেকে প্রায় ২৪ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অস্ত্র সরবরাহকারী কেনিয়ার একটি সামরিক কার্গো বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।

    প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুসারে, সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিশুর উপকন্ঠে কেনিয়ার একটি সামরিক কার্গো বিমান বিধ্বস্ত হয়ে পাঁচজন নিহত হয়েছে। কার্গো বিমানটি শনিবার, ২২ মার্চ, ২০২৫ তারিখে স্থানীয় সময় ৫:৪৩ মিনিটে মোগাদিশু থেকে প্রায় ২৪ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে বিধ্বস্ত হয়েছে।

    জানা গেছে, কার্গো বিমানটি, সোমালিয়ায় ক্রুসেডার আফ্রিকান ইউনিয়ন বাহিনীকে অস্ত্র সরবরাহ করার পর নিম্ন যুবা রাজ্য থেকে মোগাদিশুতে ফিরছিল। আর ঠিক তখনই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে কি কারণে বিধ্বস্ত হয়েছে তা এখনো স্পষ্ট জানা যায় নি।

    উল্লেখ্য যে, সোমালিয়া সম্প্রতি সংঘাতের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। আশ-শাবাব মুজাহিদিনরা সেখানে তার প্রভাব বৃদ্ধি করেছেন এবং রাজধানী মোগাদিশুতে আক্রমণ সম্প্রসারিত করেছেন। সেই ধারাবাহিকতায় মুজাহিদিনরা বর্তমানে রাজধানী মোগাদিশুর ছয় কিলোমিটার এরিয়ার মধ্যে পৌঁছেছেন এবং স্থলপথে রাজধানীকে ঘিরে ফেলার কৌশল নিয়ে অগ্রসর হচ্ছেন।

    তথ্যসূত্র:
    1. Five killed after Kenyan cargo plane crashes in Mogadishu.
    https://tinyurl.com/3jyfe8ja
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      যুক্তরাষ্ট্র ও হুথিদের দ্বন্দ্ব; দুটি পক্ষের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্যের লড়াই ছাড়া আর কিছুই নয়: আল-কায়েদা


      আল-কায়েদা ইন দ্য অ্যারাবিয়ান পেনিনসুলা (AQAP) সম্প্রতি এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে যে, ইয়েমেনে আমেরিকা ও হুথিদের মধ্যকার চলমান দ্বন্দ্ব দুটি পক্ষের মধ্যে স্বার্থ ও ক্ষমতার ভারসাম্যের লড়াই ছাড়া আর কিছুই নয়। আর দুটি পক্ষের এই স্বার্থের লড়াইয়ে প্রান হারাচ্ছেন ইয়েমেনের নিরীহ জনগণ।

      আল-কায়েদা ইন দ্য অ্যারাবিয়ান পেনিনসুলার (আনসারুশ শরিয়াহ্) অন্যতম মিডিয়া শাখা আল-মালাহিম থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে ইয়েমেনে নিরীহ মুসলমানদের উপর দাম্ভিক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরিচালিত নৃশংস আগ্রাসন ও বর্বরোচিত বোমাবর্ষণের তীব্র সমালোচনা করে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক হামলায় নিহতদের প্রতি গভীর দুঃখ ও শোক প্রকাশ করে দলটি।

      বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, আমেরিকা হুথিদের লক্ষ্যবস্তু করার আড়ালে ১৮ জন নিরীহ নারী ও শিশুকে হত্যা করেছে। আমরা ইসলামের শত্রুদের এই সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা দোয়া করি আল্লাহ তাআ’লা যেন বর্বরোচিত এই হামলায় নিহতদের শহীদ হিসেবে কবুল করেন এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা দান করেন।

      “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানানোর পাশাপাশি, আমরা এটিও স্পষ্ট করে বলতে চাই যে, ইরানের রাফিজি শাসনব্যবস্থা এবং এর সাথে যুক্ত মিলিশিয়া দলগুলোর সাথে আমেরিকানদের যুদ্ধ আমাদের কোনোভাবেই প্রভাবিত করে না; এই দ্বন্দ্বকে, যত চকচকে উপাধি এবং ইসলামী বা আরবি নাম দিয়েই উপস্থাপন করা হোক না কেন, আমরা বিশ্বাস করি যে এটি একটি স্বার্থের যুদ্ধ এবং দুটি পক্ষের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্যের লড়াই ছাড়া আর কিছুই নয়। এমনকি ফিলিস্তিনিদের স্বার্থ রক্ষার ছদ্মবেশ ধারণ করলেও এই বাস্তবতা পরিবর্তন হবে না। কেননা আমেরিকানরা, ইহুদি এবং রাফেজি হুথিরা এই মুসলিম দেশগুলোতে সুন্নিদের বিরুদ্ধে যৌথভাবে যুদ্ধ চালাচ্ছে। আর তাদের সকলের হাতই ইয়েমেনি মুসলমানদের রক্তে রঞ্জিত।”

      “আমরা জানি যে এই আমেরিকান বোমা হামলার উদ্দেশ্য হুথি গোষ্ঠীকে নির্মূল করা বা তাদের সম্প্রসারণ সীমিত করা নয়, বরং মুসলিম দেশগুলিতে রাফেজিদের শক্তিশালী ও পুনরুজ্জীবিত করা। বিশ্বের কাছে তাদেরকে এমন একটি চরিত্র হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করা যে, তারাই আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধকারী আর তারাই ইয়েমেন শাসন করার সবচাইতে যোগ্য পক্ষ। অথচ এটি ক্রুসেডারদের পরিকল্পনার একটি অংশ, ঠিক যেমন ইরাকে আহলে সুন্নাহকে নির্মূল করা হয়েছিল এবং তাদেরকে নিজ ভূমি থেকে বিতাড়িত করা হয়েছিল। অতঃপর সেখানে শিয়াদেরকে সুন্নিদের স্থলাভিষিক্ত করার মাধ্যমে রাফেজিদের হাতে ক্ষমতা স্থানান্তর করা হয়েছিল।”

      এর যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে, যার মধ্যে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যও রয়েছে। যেখানে সে বলেছে “তারা ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধে আগ্রহী নয়, বরং তাদের লক্ষ্য লোহিত সাগরে হুতিদের আক্রমণ বন্ধ করা। হুতিরা যদি সমুদ্রে তাদের অভিযান বন্ধ করে দেয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে বোমা হামলাও বন্ধ হয়ে যাবে।

      অতীতে হুথিদের শক্তিশালীকরণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবদানকে স্মরণ করিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, এটি সকলেরই জানা যে, রাফিজি মিলিশিয়াদের সমর্থনকারী পক্ষ হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। গাজার ঘটনাবলিতে হুথিরা হস্তক্ষেপ করার আগে, তারা ইয়েমেনে হুথি গোষ্ঠীকে একটি রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে সুন্নিদের উপর চাপিয়ে দেওয়ার পথে ছিল। প্রকৃতপক্ষে, অতীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হুথিদের সর্বাত্মকভাবে রক্ষা করেছে।”

      বিশেষ করে হুদায়দাহ এবং নিহম ফ্রন্টে হুথিদের সহায়তা প্রদান করে আমেরিকা ত্রাণকর্তার ভূমিকা গ্রহণ করেছিল। আর আজ, যখন আমেরিকান যুদ্ধবিমান ইয়েমেনের আকাশসীমায় অনুপ্রবেশ করছে এবং বাড়িঘরে বোমা হামলা চালাচ্ছে, তখন রাফিজি হুথিরা মারিব এবং তাইজে সুন্নি জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন এবং ভারী কামান হামলা চালাচ্ছে।”

      বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইয়েমেনে হুথিদের দ্বারা সংঘটিত অপরাধের কথা ইয়েমেনের মুসলিম জনগণ ভুলে যাননি, তাদের কাছে এখনো এসব অপরাধের দৃশ্যমান প্রমাণ রয়েছে। জনগণ দেখেছে হুথিরা কিভাবে কুরআন শিক্ষার কেন্দ্র, মাদ্রাসা, স্কুল এবং মসজিদগুলিতে বোমা হামলা চালিয়ে তা ধ্বংস করেছে। কিভাবে হুথিরা তাইজ, রাদা, বায়দা, মারিব এবং অন্যান্য অঞ্চলে নিরীহ মানুষের বাড়িতে বোমা হামলা করেছে, যাতে নারী, শিশু এবং বৃদ্ধরা নিহত হয়েছেন। এই সবই ঘটেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পূর্ণ ছত্রছায়ায়, আর তারাই নাকি বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার দাবি করে।

      বিবৃতিটির শেষাংশে ইয়েমেনের মুসলিম জনগণকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে যে, “এই সংকট ও যুদ্ধ থেকে বেরিয়ে আসার একমাত্র সমাধান বা উপায় হচ্ছে, জমিনে আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠা করা এবং ইসলাম ও মুসলিমদের শত্রুদের বিরুদ্ধে তাওহীদের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হওয়া। আমাদেরকে এটি ভালোভাবে বুঝতে হবে যে, আমেরিকান, ইহুদি এবং শিয়া হুথিরা ইয়েমেনে সুন্নিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ। তাদের সকলের হাতে ইয়েমেনের মুসলিম জনগণের রক্ত ​​লেগে আছে।
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        অপহৃত শিশুকে উদ্ধার করলো ইমারতে ইসলামিয়ার সেনাবাহিনী


        ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী নানগারহার প্রদেশে অভিযান চালিয়ে অপহরণকারীদের হাত থেকে আট বছরের এক শিশুকে উদ্ধার করেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তিন দিন আগে অজ্ঞাতনামা অপহরণকারীরা শিশুটিকে তুলে নিয়ে যায়, পরে গোয়েন্দা অভিযানের মাধ্যমে শিশুটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

        গত ২৩ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মুফতি আব্দুল মাতিন কানি হাফিযাহুল্লাহ এক বিবৃতিতে জানান, নিরাপত্তা বাহিনীর সফল অভিযানের ফলে শিশুটিকে মুক্ত করা হয়েছে এবং তাকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, অপহরণের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্ত শেষে তাকে বিচার বিভাগীয় কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

        উল্লেখ্য যে, গত চার বছরে ইমারতে ইসলামিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এ সময়ের মধ্যে বেশ কয়েকটি অপহরণ চক্র ধ্বংস করা হয়েছে এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

        তথ্যসূত্র:
        1. امنیتي ځواکونو یو ماشوم له انسان تښتوونکو ژغورلی
        https://tinyurl.com/chhmfruj
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          আফগানিস্তানে ১৬৯টি প্রকল্প উদ্বোধন করলো ইমারতে ইসলামিয়া


          ইমারতে ইসলামিয়া প্রশাসন আফগানিস্তানের অবকাঠামো ও গ্রামীণ উন্নয়নে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার দেশটির পাকতিয়া প্রদেশের জুরমত জেলায় ১৬৯টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়েছে, যার মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২৩৬ মিলিয়ন আফগানি।

          গত ২৩ মার্চ গ্রামীণ পুনর্বাসন ও উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী মোল্লা মুহাম্মদ ইউনুস আখুন্দজাদা হাফিযাহুল্লাহ- এর নেতৃত্বে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এসব প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন পাকতিয়া প্রদেশের গভর্নর হাজী মেহেরুল্লাহ হামাদ হাফিযাহুল্লাহ, পল্লী পুনর্বাসন ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক মোল্লা মির্জা জান সাদিক হাফিযাহুল্লাহসহ সরকারি কর্মকর্তা, স্থানীয় আলেম-উলামা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

          অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী আখুন্দজাদা বলেন, এই ইসলামি সরকার অনেক ত্যাগের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমাদের উচিত এর প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা। তিনি আরও বলেন, সরকার দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও উন্নয়নের আলো পৌঁছে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং সরকার সীমিত সম্পদ ব্যবহার করেও টেকসই প্রকল্প বাস্তবায়ন অব্যাহত রেখেছে।

          উদ্বোধনকৃত প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে গ্রামীণ রাস্তা, সেতু, কালভার্ট, রিটেইনিং ওয়াল ও খাল নির্মাণ ইত্যাদি। এইসব উন্নয়নমূলক কাজ একদিকে যেমন এলাকার বাসিন্দাদের জীবনযাত্রা সহজ করবে, অন্যদিকে শত শত শ্রমিকের জন্য কর্মসংস্থানের নতুন দুয়ার খুলে দেবে। উন্নয়নের এ ধারাবাহিকতা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

          তথ্যসূত্র:
          1. 169 Development Projects Inaugurated in Paktia
          https://tinyurl.com/39ec52hp
          নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            সিরাজউদ্দিন হাক্কানি সহ ইমারতে ইসলামিয়ার তিন নেতার মাথার দামের ঘোষিত পুরস্কার প্রত্যাহার করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র


            ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আব্দুল মতিন কানি হাফিযাহুল্লাহ নিশ্চিত করেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র তালিবানের বিশিষ্ট নেতা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মাওলানা খলিফা সিরাজউদ্দিন হাক্কানি হাফিযাহুল্লাহ এর গ্রেপ্তারে সহায়তাকারী তথ্যের জন্য ঘোষিত ১০ মিলিয়ন ডলারের পুরস্কারের ঘোষণা প্রত্যাহার করেছে। একইসঙ্গে, আরও দুই তালিবান নেতা আব্দুল আজিজ হাক্কানি হাফিযাহুল্লাহ এবং ইয়াহিয়া হাক্কানি হাফিযাহুল্লাহর বিরুদ্ধে ঘোষিত ১০ মিলিয়ন ডলারের পুরস্কারও প্রত্যাহার করা হয়েছে।

            গত ২২ মার্চ আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের প্রশাসন সম্প্রতি মানবিক পদক্ষেপ হিসেবে জর্জ গ্লিজম্যান নামে এক মার্কিন নাগরিক মুক্তি দেয়। মার্কিন এই নাগরিক ২০২২ সালের ডিসেম্বরে আফগানিস্তানে পর্যটক হিসেবে ভ্রমণের সময় আটক হয়। তার মুক্তির কয়েক দিনের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র তিন তালিবান নেতার বিরুদ্ধে ঘোষিত পুরস্কার প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়।

            জর্জ গ্লিজম্যানকে মুক্তির পর মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেছিল, এটি দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও বোঝাপড়ার প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করে। মার্কিন কর্মকর্তারা এটিকে ইমারতে ইসলামিয়ার সঙ্গে সংলাপের একটি ইতিবাচক ইঙ্গিত হিসেবে উল্লেখ করেছিল।

            আল-জাজিরার প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, যদিও যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার প্রত্যাহার করেছে, তবে এফবিআই এখনও তাদের ওয়েবসাইটে এই সংক্রান্ত তথ্য রেখে দিয়েছে, যা তাদের দ্বৈত নীতির প্রতিফলন।

            উল্লেখ্য, আফগানিস্তানে মার্কিন আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জিহাদ চলাকালীন মাওলানা সিরাজউদ্দিন হাক্কানির বিরুদ্ধে ১০ মিলিয়ন ডলারের পুরস্কার ঘোষণা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তারা হাক্কানি নেটওয়ার্ককে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে এবং আফগানিস্তানে মার্কিন বাহিনীর বিরুদ্ধে হামলা, অপহরণ ও আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ তোলে। তবে ২০২১ সালে ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান ক্ষমতা গ্রহণের পর সিরাজউদ্দিন হাক্কানি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী হন।

            যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত প্রমাণ করে যে, তারা আফগানিস্তানের নতুন বাস্তবতা মেনে নিতে বাধ্য হয়েছে।

            তথ্যসূত্র:
            1. US lifts $10m reward for major Taliban leader Haqqani
            https://tinyurl.com/58kuu4a9
            নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

            Comment

            Working...
            X