মুজাহিদীন নিউজ || ১৯ শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরী || ১৮ এপ্রিল, ২০২৫ ঈসায়ী​​

[Al-Firdaws]

বেনিনে একযোগে ৩টি শত্রু ঘাঁটিতে মুজাহিদদের হামলা: ২টি ঘাঁটি বিজয়

আল-কায়েদা পশ্চিম আফ্রিকা সংশ্লিষ্ট ‘জেএনআইএম’ মুজাহিদিনরা গত বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল), বেনিনে ৩টি সেনা ঘাঁটিতে অতর্কিত আক্রমণ চালিয়েছেন। এতে বহু সংখ্যক শত্রু সৈন্য হতাহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

সূত্রমতে, বুর্কিনা_ফাসো এবং নাইজারের ট্রিপল সীমান্ত লাগোয়া পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বেনিনের আলিবোরি রাজ্যে গত ১৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার একটি সমন্বিত আক্রমণ চালানো হয়েছে। এই আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু বানানো হয় আলিবোরি রাজ্যের কান্দির অঞ্চলে অবস্থিত বেনিনিজ সেনাবাহিনীর ৩টি সামরিক ব্যারাক। এতে অসংখ্য শত্রু সৈন্য নিহত ও আহত হয়। যদিও বেনিনিজ সেনাবাহিনী দাবি করেছে যে, এই সংঘর্ষের ঘটনায় ৮ বেনিনিজ সৈন্য নিহত হয়েছে এবং আরও কয়েকজন আহত হয়েছে।

এদিকে আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন (জেএনআইএম) এর মিডিয়া শাখা আয-যাল্লাকা থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে যে, এই অভিযানের মাধ্যমে মুজাহিদিনরা বেনিনিজ সৈন্যদের হটিয়ে ২টি সামরিক ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন। অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছেন ‘জেএনআইএম’ এর স্থানীয় সামরিক ইউনিট “কাতিবা হানিফা” ব্রিগেডের কয়েক ডজন মুজাহিদ। এটি ছিলো গত সপ্তাহে বেনিনে মুজাহিদদের দ্বিতীয় সফল অপারেশন।

---

তথ্যসূত্র:
– https://tinyurl.com/bde8hv28

[Al-Firdaws]

আফগান-রাশিয়া সম্পর্ক উন্নয়নের প্রচেষ্টায় নিষিদ্ধ সংগঠনের তালিকা থেকে তালিবানের নাম প্রত্যাহার

গত ১৭ই এপ্রিল নিষিদ্ধ সংগঠনের তালিকা থেকে ইমারতে ইসলামিয়ার নাম বাতিল করেছে রাশিয়ান ফেডারেশনের সুপ্রিম কোর্ট। প্রসিকিউটর জেনারেল কার্যালয়ের আনুষ্ঠানিক অনুরোধের প্রেক্ষিতে রাশিয়ার সুপ্রিম কোর্ট এই রায় দেয়।

এ উপলক্ষে ১৭ এপ্রিল ইমারতে ইসলামিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী মৌলভী আমির খান মুত্তাকি হাফিযাহুল্লাহ’র সাথে এক বৈঠকে সাক্ষাত করেছে আফগানিস্তানে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত দিমিত্রি ঝিরনভ। বৈঠকে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তটি ইমারতে ইসলামিয়ার সরকারের নিকট আনুষ্ঠানিকভাবে উপস্থাপন করেছেন রুশ রাষ্ট্রদূত।

এই পদক্ষেপের জন্য রাশিয়া সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ইমারতে ইসলামিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী মৌলভী মুত্তাকি হাফিযাহুল্লাহ। এটি আফগান-রাশিয়া দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক। এর মাধ্যমে উভয় দেশের কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক সম্প্রসারণে একটি বড় বাধা দূর হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য যে, এর আগে তালিবানকে সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকা থেকে বাদ দিয়েছিল কাজাখিস্তান ও কিরগিজস্তান। এছাড়া চীন, ভারত, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার ও ইরানসহ বেশ কয়েকটি দেশ কাবুলে তাদের দূতাবাস চালু রেখেছে।

---

তথ্যসূত্র:
1. Russian Supreme Court Delists IEA, Paving the Way for Enhanced Relations
– https://tinyurl.com/5xtva4ms

[Al-Firdaws]

ফটো রিপোর্ট || হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদিন কর্তৃক বিজিত আদান-ইয়াবাল থেকে কিছু স্থির চিত্র

আল-কায়েদা পূর্ব আফ্রিকা শাখা হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন গত ১৬ এপ্রিল বুধবার ভোর বেলায়, দক্ষিণ সোমালিয়ার মধ্য শাবেলিতে বৃহৎ পরিসরে একটি সমন্বিত অপারেশন পরিচালনা করেছেন। মুজাহিদিনরা এই অপারেশনের মাধ্যমে রাজ্যটির গুরুত্বপূর্ণ আদান-ইয়াবাল শহরেন নিয়ন্ত্রণ নেন। মোগাদিশু বাহিনী মধ্য শাবেলিতে আশ-শাবাবের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে শহরটিকে তাদের প্রধান সামরিক ঘাঁটি হিসাবে ব্যবহার করে আসছিল। ফলে শহরটিতে অবস্থিত হাজার হাজার মোগাদিশু সৈন্য ছিলো গোলাবারুদ ও অস্ত্রশস্ত্রে স্বয়ংসম্পূর্ণ। শহরটির নিরাপত্তার দায়িত্বে মোগাদিশু বাহিনীর বিভিন্ন সামরিক ইউনিটগুলোর পাশাপাশি তুরস্ক সহ কয়েকটি দেশের প্রশিক্ষিত ৮ হাজারেরও বেশি সৈন্য মোতায়েন ছিলো।

শহরটিতে এতো বিপুল সংখ্যক সৈন্য ও সামরিক সরঞ্জাম মজুদ থাকা স্বত্ত্বেও মোগাদিশু বাহিনী এদিন তাদের পরাজয় ঠেকাতে পারে নি। বরং প্রবল বাতাস আর মুশলধারে বৃষ্টির মধ্যেই শহরের প্রাণ কেন্দ্রে শাবাবের দেড়শো মুজাহিদের প্রবেশের সাথে সাথে মোগাদিশু বাহিনী শহর ছেড়ে পালাতে শুরু করে। এসময় অসংখ্য শত্রু সৈন্য মুজাহিদদের অভিযানে হতাহত ও বন্দী হয়।

বিপুল পরিমাণে বস্তুগত ও জান-মালের ক্ষয়ক্ষতির পর মোগাদিশু বাহিনী শহর ছেড়ে পালিয়ে গেলে মুজাহিদিনরা শহরটির উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেন। সেই সাথে শহরের আশেপাশের ৩টি এলাকা সহ বিস্তীর্ণ এলাকা মুজাহিদিনরা কোনো প্রতিরোধ ছাড়াই বিজয় করে নেন।



zz0.vu1woderw9zz

[Al-Firdaws]

অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপারের সময় আটক শিশুদের নিজ নিজ পরিবারে ফেরত পাঠিয়েছে ইমারতে ইসলামিয়া

অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপারের সময় আটক হওয়া ১৮ বছরের কম বয়সী তরুণ ও শিশুদের নিজ পরিবারে নিরাপদে ফেরত পাঠিয়েছে ইমারতে ইসলামিয়া প্রশাসন। বিগত বছরে বাগলান প্রদেশে এরূপ ৩৮০ জনকে তাদের আপন আপন ঠিকানায় স্থানান্তর করেছে ইমারতে ইসলামিয়ার শ্রম ও সমাজ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

আটককৃত আফগান তরুণ ও শিশুরা অবৈধভাবে সীমান্ত পথে পাকিস্তান, তুরস্ক ও ইরান যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। এ প্রসঙ্গে ক্বারী নুসরাতুল্লাহ হাফিযাহুল্লাহ বলেন, এ সকল অবৈধ অভিবাসনের পেছনে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কারণ হল দারিদ্র্যতা ও বেকারত্ব।

তাই আটককৃতদের অনেককে আনুষ্ঠানিক ও পেশাগত প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে, ছোট ব্যবসা করার মত সুযোগ তৈরি করে দেয়া হয়েছে, যেন তারা স্বাবলম্বী হয়ে উন্নত ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে সক্ষম হয়।

এছাড়া নিরাপদে নিজ ঠিকানায় স্থানান্তরের আগ পর্যন্ত তাদেরকে বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সহায়তা সরবরাহ করা হয়েছে।

পরবর্তীতে অবৈধভাবে বিদেশ ভ্রমণে বাঁধা প্রদান করতে তাদের অভিভাবকদের বোঝানো হয়েছে। সন্তানদের শিক্ষা ও সুস্থ বিকাশের প্রতি মনোযোগ দিতে তাদেরকে উপদেশ দেয়া হয়েছে।

---

তথ্যসূত্র:
1. Children Deported from Abroad Reunited with Families in Baghlan
– https://tinyurl.com/yev524t5