Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুজাহিদীন নিউজ || ২২ শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরী || ২১ এপ্রিল, ২০২৫ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুজাহিদীন নিউজ || ২২ শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরী || ২১ এপ্রিল, ২০২৫ ঈসায়ী

    গাজায় ৩০ হাজার তরুণ যোদ্ধা নিয়োগ: প্রতিরোধ শক্তির নতুন দিগন্ত





    ইহুদিবাদী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি জাতির সংগ্রামে নতুন উদ্দীপনা আনতে ৩০,০০০ নতুন যোদ্ধা নিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে আল-কাসসাম ব্রিগেড। সৌদি আরবভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-আরাবিয়ার বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল। এই উদ্যোগকে ফিলিস্তিনের আত্মরক্ষার এক সাহসী ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

    প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এসব তরুণকে ইজ আদ-দ্বীন আল-কাসসাম ব্রিগেডে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং তাদের গোপন সামরিক ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আল-আরাবিয়ার তথ্য অনুযায়ী, এই যোদ্ধাদের শহরাঞ্চলের যুদ্ধ, রকেট নিক্ষেপ এবং বিস্ফোরক স্থাপন সহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

    আল-কাসসাম ব্রিগেড জানিয়েছে যে, এই নিয়োগ কার্যক্রমের মাধ্যমে গাজা এবং অন্যান্য অধিকৃত এলাকায় প্রতিরোধ শক্তিকে আরো সুসংগঠিত ও কার্যকর করা হবে। সংগঠনটির মুখপাত্র বলেছেন, “আমাদের ভূমি ও জনগণের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য এই যোদ্ধারা হবে প্রতিরোধের মজবুত প্রাচীর।”

    এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় শুধু সামরিক প্রশিক্ষণই নয়, বরং আদর্শিক শিক্ষা, নেতৃত্বগুণ এবং ফিলিস্তিনের মুক্তির লক্ষ্যে নিবেদিত প্রাণ সৃষ্টিতেও জোর দেওয়া হচ্ছে। এতে অংশ নিচ্ছে নানা বয়সের উৎসাহী তরুণ, যারা জাতির মুক্তির স্বপ্নকে বাস্তব করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

    স্থানীয় জনগণের মধ্যে এই উদ্যোগ ব্যাপক উৎসাহের জন্ম দিয়েছে। বহু তরুণ ইতোমধ্যেই স্বেচ্ছায় নাম নিবন্ধন করেছেন এবং প্রশিক্ষণে অংশ নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বিশ্লেষকদের মতে, হামাসের এই পরিকল্পনা শুধু গাজায় নয়, বরং সমগ্র ফিলিস্তিনি জনগণের মনোবলকে জোরদার করবে। অব্যাহত অবরোধ, দমন-পীড়ন ও আন্তর্জাতিক নিষ্ক্রিয়তার বিপরীতে এ এক সাহসী জবাব।


    তথ্যসূত্র :
    1. Hamas said to recruit 30,000 Gaza youths into its military wing
    -https://tinyurl.com/yc5u79n2
    2.Hamas pushes to recruit 30,000 fighters after losses to IDF – report
    https://tinyurl.com/y5zp6kwd
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    আফগান বিমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন তালিবানের ১০ জন পাইলট


    আফগান বিমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্প্রতি ১০ জন পাইলট সফলভাবে তাদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি সম্পন্ন করেছেন। উক্ত কর্মসূচিতে ৬ জন পাইলট ‘সেসনা ২০৮’ বিমান চালনায় পেশাগত প্রশিক্ষণ লাভ করেছেন। এছাড়া বাকি ৪ জন পাইলট এম-১৭ হেলিকপ্টার চালনায় প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। প্রশিক্ষণ কোর্সটি সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্ট পাইলটদের প্রায় ৩ বছর সময় লেগেছে।

    সফলভাবে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করায় পাইলটদের একটি আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনা প্রদান করেছে ইমারতে ইসলামিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। অনুষ্ঠানে তালিবান বিমান বাহিনীর চিফ অব স্টাফ নাকিবুল্লাহ মুকিম হাফিযাহুল্লাহ বলেন, পাইলটিং একটি জটিল পেশা, এর জন্য প্রয়োজন বুদ্ধিমত্তা। পাইলটিং এর শিক্ষা ও অধ্যয়নের কোনও শেষ নেই। তিনি এ শিক্ষা অর্জনে কঠোর পরিশ্রম চালিয়ে যেতে নতুন পাইলটদের উৎসাহিত করেছেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রী বাজ মুহাম্মদ হাফিযাহুল্লাহ। তিনি সকলকে সত্য পথের উপর অবিচল থাকতে উপদেশ প্রদান করেন।

    অপরদিকে দেশের ভূখণ্ড রক্ষা ও জনগণের সেবায় নিজেদের প্রস্তুতি প্রকাশ করেছেন সদ্য প্রশিক্ষণ লাভকারী পাইলটগণ। তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারায় তারা সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

    উল্লেখ্য যে, ইমারতে ইসলামিয়া ক্ষমতা গ্রহণের পর ৮৪টি প্রশিক্ষণ কোর্স পরিচালনা করেছে আফগান বিমান বিশ্ববিদ্যালয়। এ সকল কোর্সে বিভিন্ন বিভাগ থেকে ১ হাজার ১৮২ জন সদস্য প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন।


    তথ্যসূত্র:
    1. Ten pilots graduate from Afghan Air University
    https://tinyurl.com/2e6fy6f2
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      বুরকিনায় ৪টি শত্রু শিবিরে মুজাহিদদের হামলা: অন্তত ১৭ জান্তা সেনা নিহত


      পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোতে জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে ধারাবাহিক অপারেশন পরিচালনা করে যাচ্ছেন আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট “জেএনআইএম” মুজাহিদিনরা। সেই ধারাবাহিকতায় গত ১২-১৩ এপ্রিল দলটির মুজাহিদদের ৪টি পৃথক অভিযানে জান্তা বাহিনীর অন্তত ১৭ সৈন্য নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

      আয-যাল্লাকা মিডিয়ার তথ্যমতে, মুজাহিদিনরা এই অভিযানগুলো বুরকিনা ফাসোর কোলবেলোগো, সোম, দেদুগু ও কিয়া রাজ্যে দেশটির জান্তা বাহিনীর ৪টি সামরিক অবস্থান লক্ষ্য করে পরিচালনা করেছেন। মুজাহিদিনরা তাদের প্রথম ২টি অভিযান পরিচালনা করেন গত ১২ এপ্রিল শনিবার। এরমধ্যে একটি অভিযান পরিচালনা করা হয় দেদুগু রাজ্যের কিনজিরি এলাকায়, যা বুরকিনান জান্তা বাহিনীর একটি সামরিক চৌকি লক্ষ্য করে চালানো হয়। এসময় জান্তা বাহিনী ও মুজাহিদদের মধ্যে তীব্র লড়াই সংঘটিত হয় এবং এক পর্যায়ে জান্তা বাহিনী সামরিক অবস্থান ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়। ততক্ষণে মুজাহিদদের তীব্র আক্রমণে জান্তা বাহিনীর অন্তত ৪ সৈন্য নিহত হয় এবং অন্যরা আহত অবস্থায় পালিয়ে যায়। অভিযান শেষে মুজাহিদিনরা শত্রু বাহিনী থেকে ৪টি পিকা, ১০টি মোটরসাইকেল এবং অন্যান্য অনেক সামরিক সরঞ্জাম জব্দ করেন এবং দুটি সামরিক যানবাহন পুড়িয়ে দেন।

      এদিন সন্ধ্যায় মুজাহিদিনরা তাদের দ্বিতীয় অভিযানটি পরিচালনা করেন কিয়া রাজ্যের সাফি নামক এলাকায়, যা রাজধানী ওয়াগাডুগু থেকে প্রায় ১৩০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত। মুজাহিদদের এই অভিযানে বুরকিনান জান্তা বাহিনীর অন্তত ১০ সদস্য নিহত এবং আরও বহু সংখ্যক সৈন্য আহত হয়। অভিযান শেষে মুজাহিদিনরা ঘটনাস্থল থেকে ৩টি পিকা, ১টি আরপিজি, ১০টি ক্লাশিনকোভ, প্রচুর পরিমাণে গোলাবারুদ এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম গনিমত লাভ করেন।

      এমনিভাবে গত ১৩ এপ্রিল রবিবার, বুরকিনা ফাসোর সোমা রাজ্যের কিলবো এলাকা এবং কোলবেলোগো রাজ্যের দিয়া-ইমবিন্দো এলাকায় মুজাহিদিনরা আরও ২টি সফল অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানগুলো জান্তা বাহিনীর দুটি সামরিক পয়েন্ট লক্ষ্য করে চালানো হয়, ফলে একটি অভিযানে সুনির্দিষ্টভাবে ৩ জান্তা সৈন্য নিহত হয়, এবং অন্যটিতেও আরও বেশ কিছু সৈন্য হতাহত হয়। এই অভিযান শেষে মুজাহিদিনরা ঘটনাস্থল থেকে ১টি পিকা অস্ত্র, ৩টি ক্লাশিনকোভ, ১টি মোটরসাইকেল, অনেকগুলো গোলাবারুদ বাক্স এবং বুলেট বাক্স সহ অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম গনিমত হিসাবে জব্দ করেন। সেই সাথে মুজাহিদিনরা শত্রু বাহিনীর ১টি সামরিক যান এবং ৩০টি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেন।


      তথ্যসূত্র:
      https://tinyurl.com/2r68mn4r
      https://tinyurl.com/54926m2v
      https://tinyurl.com/bdtn4a2u
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        সোমালিয়া || আদান-ইয়াবাল যুদ্ধে মুজাহিদদের হামলায় নিহত শত্রু সৈন্য সংখ্যা ৪০০ ছাড়িয়েছে



        হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন নিশ্চিত করেছে যে, সম্প্রতি সোমালিয়ার আদান-ইয়াবাল শহরে সংঘটিত যুদ্ধে মোগাদিশু বাহিনীর চার শতাধিক সৈন্য নিহত এবং আরও অসংখ্য সৈন্য আহত হয়েছে।

        গত ১৯ এপ্রিল শনিবার, আল-আন্দালুস রেডিওকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন হারাকাতুশ শাবাব প্রশাসনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তিত্ব ও মধ্য শাবেলি অঞ্চলের গভর্নর শাইখ ইউসুফ হাফিজাহুল্লাহ্। প্রায় ৭ মিনিটের উক্ত সাক্ষাৎকারে তিনি ১৬ এপ্রিল মধ্য শাবেলির আদান-ইয়াবেলে সংঘটিত যুদ্ধর বিষয়েও কথা বলেন। তিনি জানান, মোগাদিশু বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযান শেষে মুজাহিদিনরা শহরটিতে চিরুনী অভিযান পরিচালনা করেছেন। সেই সাথে মুজাহিদিনরা শহর জুড়ে যুদ্ধের ধ্বংসাবশেষ অপসারণ, রাস্তাঘাট মেরামত এবং অলিতে-গলিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মৃত ধর্মত্যাগী মোগাদিশু সৈন্যদের কবর দিয়েছেন।

        শাইখ ইউসুফ হাফিজাহুল্লাহ্ বলেন, মুজাহিদিনরা শহর জুড়ে পরিষ্কার অভিযানের সময় ৪০০ এরও বেশি শত্রু সেনাদের মৃতদেহ কবর দিয়েছেন, যাদের মধ্যে শত্রু শিবিরে যুদ্ধের নেতৃত্বে থাকা কমান্ডার ইসমাইল তুর্যারীও রয়েছে। এছাড়াও মুজাহিদিনরা আরও শত শত হতাহত শত্রু সেনাদের ক্ষতস্থান থেকে মাটিতে টপকে পড়া দুর্গন্ধযুক্ত রক্ত পরিষ্কার করেছেন।

        সাক্ষাৎকারে হারাকাতুশ শাবাব প্রশাসনের শাবেলি রাজ্যের গভর্নর জানান, শহরের ধ্বংসাবশেষ অপসারণ করা সম্পন্ন হয়েছে, দুর্গন্ধ ছড়াতে পারে এমন জায়গাগুলো পরিষ্কার করা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার করা হয়েছে। তাই শহরের বাসিন্দাদের এখন নিরাপদে নিজেদের বাড়িতে ফিরে যেতে পারেন।


        তথ্যসূত্র:
        ١. ارتفاع عدد قتلى الميليشيات الحكومية إلى 400 قتيل في تحديث الحصيلة هجمات مقاتلي حركة الشباب المجاهدين على قواعدهم في مدينة أدم يبال
        https://tinyurl.com/2tr3b4mv
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          বুরকিনায় জান্তা বাহিনীর সামরিক ঘাঁটিতে মুজাহিদদের তীব্র আক্রমণ: ২০ সেনা নিহত




          বুরকিনা ফাসোর ফাদাঙ্গুরমা প্রদেশে দেশটির জান্তা বাহিনীর একটি সামরিক ঘাঁটিতে মুজাহিদদের অতর্কিত এক আক্রমণের ঘটনায় ২০ শত্রু সেনা নিহত হয়েছে। এসময় মুজাহিদিনরা সামরিক ঘাঁটিটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন বলেও জানা গেছে।

          আয-যাল্লাকা মিডিয়ার তথ্যমতে, আল-কায়েদা পশ্চিম আফ্রিকা শাখা জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন (জেএনআইএম) মুজাহিদিনরা, গত ১৪ এপ্রিল সোমবার, বুরকিনা ফাসোর ফাদাঙ্গুরমা প্রদেশের নাগারি এলাকায় একটি সফল অতর্কিত আক্রমণ পরিচালনা করছেন। অভিযানটি এই অঞ্চলে অবস্থিত জান্তা বাহিনীর একটি সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে চালানো হয়। এসময় ‘জেএনআইএম’ মুজাহিদিনরা এক ডজনেরও বেশি মোটরসাইকেল ও ২টি সাঁজোয়া যানে চড়ে ভারী অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে এই অভিযানে অংশ নেন। মুজাহিদিনরা বিভিন্ন দিক থেকে আক্রমণ চালিয়ে সামরিক ঘাঁটির বিভিন্ন অবকাঠামো ধ্বংসের পাশাপাশি একটি সামরিক যান ও কয়েকটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন।

          ফলশ্রুতিতে এই অভিযানে মুজাহিদদের হাতে বুরকিনান জান্তা বাহিনীর অন্তত ২০ সৈন্য নিহত এবং অপর এক সৈন্য আটক হয়। সেই সাথে মুজাহিদিনরা অভিযান শেষে ঘটনাস্থল থেকে ১টি সামরিক যান, ২টি দুশকা মেশিনগান, ৯টি পিকা, ৫টি আরপিজি, ২৩টি ক্লাশিনকোভ, ১৭টি গোলাবারুদের বাক্স এবং অন্যান্য বিবিধ সামরিক সরঞ্জাম মুজাহিদিনরা গনিমত হিসাবে অর্জন করেন।


          তথ্যসূত্র:
          https://tinyurl.com/2m589sr5
          নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            উত্তর গাজায় মুজাহিদদের হামলায় অন্তত ৮ জায়োনিস্ট সৈন্য হতাহত





            ফিলিস্তিন ভিত্তিক সশস্ত্র ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী আল-কাসসাম ব্রিগেড, সম্প্রতি উত্তর গাজায় মুজাহিদদের পরিচালিত অভিযানের তথ্য প্রকাশ করতে শুরু করেছে।

            সূত্রমতে, গত ১৯ এপ্রিল শনিবার, গাজা উপত্যকার উত্তরে বেইত হানুনে একটি সামরিক যানবাহন লক্ষ্য করে হামলা চালান আল-কাসসাম ব্রিগেডের মুজাহিদিনরা। এতে সামরিক যানটি ধ্বংস হয়ে যায় এবং তাতে থাকা সমস্ত জায়োনিস্ট সৈন্য হতাহতের শিকার হয়। এসময় জায়োনিস্ট বাহিনীর একটি উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছালে, মুজাহিদিনরা এই দলটিকে টার্গেট করেও গুলি চালাতে শুরু করেন। ফলশ্রুতিতে উদ্ধারকারী দলটির ১ সৈন্য নিহত এবং আরও ৪ সৈন্য আহত হয়। এই হামলায় আহত জায়োনিস্টদের মধ্যে তিন জনের অবস্থাই গুরুতর বলে জানা গেছে। পরে সামরিক হেলিকপ্টারগুলি হতাহত জায়োনিস্ট সৈন্যদের ইসরায়েলের অভ্যন্তরের স্থানান্তর করে।

            এমনিভাবে গত ২০ এপ্রিল রবিবার, আল-কাসসাম ব্রিগেডের মুজাহিদিনরা উত্তর গাজায় জায়োনিস্ট বাহিনীকে টার্গেট করে আরও একটি সফল অভিযান পরিচালনা। এতে জায়োনিস্ট বাহিনীর ৩ নারী সৈন্য হতাহত হয়। এদের মধ্যে একজন কোম্পানি কমান্ডার ছিল, যে পূর্বে মুজাহিদদের হামলায় আহত হওয়ার পর কয়েকদিন পূর্বে নতুন করে সামরিক চাকরিতে ফিরে এসেছিল।

            সূত্রমতে, এই অভিযানটি উত্তর গাজার এমন একটি এলাকায় সংঘটিত হয়েছিল, যেই এলাকাটিকে ইসরায়েল নিজেদের জন্য নিরাপদ হিসাবে চিহ্নিত করেছিল। যেখানে তারা মুজাহিদদের সমস্ত সুড়ঙ্গ ধ্বংস ও মুজাহিদদের ইউনিটগুলোকে নিষ্ক্রিয় করার দাবি করে আসছিল। কিন্তু মুজাহিদিনরা এই এলাকার বিষয়ে শত্রুর গোয়েন্দা তথ্য এবং মূল্যায়নকে ব্যর্থ করে দিয়ে সুড়ঙ্গ থেকে হামলা চালিয়েছেন। মুজাহিদিনরা এই একটি সুচিন্তিত ও আক্রমণাত্মক পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এই অভিযানে একটি পুরানো, নিষ্ক্রিয় সুড়ঙ্গ ব্যবহার করেছিলেন।

            তথ্যসূত্র:
            https://tinyurl.com/54r9uj9k
            নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

            Comment

            Working...
            X