Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুজাহিদীন নিউজ || ২৫ শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরী || ২৪ এপ্রিল, ২০২৫ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুজাহিদীন নিউজ || ২৫ শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরী || ২৪ এপ্রিল, ২০২৫ ঈসায়ী

    বুরকিনায় ৩টি শত্রু ঘাঁটিতে মুজাহিদদের সমন্বিত আক্রমণ: অন্তত ২৫ শত্রু সেনা নিহত




    পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোতে সম্প্রতি বেশ কিছু সমন্বিত অপারেশন পরিচালনা করেছেন আল-কায়দা সংশ্লিষ্ট ‘জেএনআইএম’ মুজাহিদিনরা। এতে বুরকিনান জান্তা বাহিনীর বহু সৈন্য হতাহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

    আয-যাল্লাকার রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ১৮ এপ্রিল, শুক্রবার, বুরকিনা ফাসোর নামানতেঙ্গা প্রদেশে একটি অতর্কিত আক্রমণ চালিয়েছেন মুজাহিদিনরা। আক্রমণটি এই অঞ্চলের বানাপা এলাকায় অবস্থিত বুরকিনান জান্তা বাহিনীর একটি সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে চালান মুজাহিদিনরা। এতে বুরকিনান জান্তা বাহিনীর অন্তত ১০ সৈন্য নিহত হয়। সেই সাথে মুজাহিদিনরা সামরিক অবস্থান থেকে ১টি মর্টার, ৪টি আরপিজি, একটি পিকা, একটি আরপিআইসিএ, ১০টি ক্লাশিনকোভ, ৩টি মোটরসাইকেল এবং অন্যান্য সরঞ্জাম গনিমত হিসাবে জব্দ করেন।

    এদিন বিকেলে মুজাহিদিনরা কিয়া রাজ্যের বোনাম এলাকায় বৃহৎ পরিসরে একটি সামরিক অপারেশন পরিচালনা করেন। মুজাহিদিনরা উক্ত এলাকায় বুরকিনান সেনাবাহিনী এবং মিলিশিয়াদের একটি যৌথ সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে অভিযানটি পরিচালনা করেন। প্রায় অর্ধ শতাধিক মুজাহিদ ভারী অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে এই অভিযানে অংশ নেন, তাঁরা বিভিন্ন দিক থেকে সামরিক ঘাঁটিতে অতর্কিত আক্রমণ চালান এবং শত্রু বাহিনীর সাথে তীব্র লড়াইয়ে অবতীর্ণ হন। এসময় মুজাহিদদের তীব্র আক্রমণে বহু শত্রু সৈন্য হতাহত হয়।

    ‘জেএনআইএম’ মুজাহিদিনরা সংক্ষিপ্ত এক বিবৃতিতে এই হামলার তথ্য নিশ্চিত করে জানান যে, অভিযান শেষে মুজাহিদিনরা জান্তা বাহিনী থেকে সামরিক ঘাঁটিটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন। তবে এসময় মুজাহিদদের আক্রমণে কত শত্রু সৈন্য নিহত ও আহত হয়েছে তা বিবৃতিতে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয় নি।

    অপরদিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত মুজাহিদদের ব্যাক্তিগত ক্যামেরায় ধারণ করা কয়েকটি ভিডিওতে দেখা যায়, এই অভিযান শেষে মুজাহিদিনরা শত্রু সামরিক ঘাঁটি থেকে ১টি সরবরাহ ভর্তি ট্রাক, ২টি সামরিক গাড়ি, বেশ কিছু মোটরসাইকেল এবং প্রচুর সংখ্যক অস্ত্র গনিমত হিসাবে জব্দ করেছেন। এসময় সামরিক ঘাঁটির ভিতরে এক ডজনেরও বেশি শত্রু সৈন্যের মৃত দেহ পড়ে থাকতেও দেখা যায়।

    এদিকে গত ২০ এপ্রিল রবিবার, মুজাহিদিনরা বুরকিনা ফাসোর বানফোরা রাজ্যে একযোগে ২টি অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানগুলো উক্ত রাজ্যের কারা এবং র‍্যাম্বো নামক এলাকায় জান্তা বাহিনীর দুটি সামরিক অবস্থান লক্ষ্য করে চালানো হয়। এসময় কারা এলাকায় মুজাহিদদের পরিচালিত অভিযানে ৩ জান্তা সৈন্য নিহত হয় এবং অন্যরা পালিয়ে যায়। গনিমত হিসাবে মুজাহিদিনরা দুটি ক্লাশিনকোভ, ৫টি মোটরসাইকেল এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম জব্দ করেন।

    এদিন র‍্যাম্বো এলাকায় মুজাহিদদের পরিচালিত অভিযানেও বেশ কিছু শত্রু সৈন্য হতাহত হয়। তবে এর বিস্তারিত পরিসংখ্যান জানা যায় নি। একইভাবে এদিন সকালে সৌম প্রদেশের জিবো শহরের উপকণ্ঠে জান্তা বাহিনীর একটি দলকে বিস্ফোরক ডিভাইস দিয়ে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেন।


    তথ্যসূত্র:
    https://tinyurl.com/589jntjb
    https://tinyurl.com/4djz3e6w
    https://tinyurl.com/3cmzfxru
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    পর্যটক নয়, টার্গেট করা হয়েছে ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনীকে: কাশ্মীরি প্রতিরোধ আন্দোলন






    কাশ্মীরের পহেলগাঁও এলাকায় সদ্য সংঘটিত সশস্ত্র হামলাকে ভারতীয় মিডিয়া সাধারণ পর্যটকদের ওপর ‘নৃশংস হামলা’ হিসেবে প্রচার করছে। তবে কাশ্মীরের প্রতিরোধ সংগঠনের প্রকাশিত বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, এই হামলা ছিল একটি পূর্বপরিকল্পিত ও কৌশলগত প্রতিক্রিয়া, যার লক্ষ্য ছিল একটি ভারতীয় গোয়েন্দা গবেষণা দল।

    বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হামলার শিকার ব্যক্তিরা কোনো সাধারণ পর্যটক ছিল না। তারা ছিল ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (আইবি), রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং (র), নৌবাহিনী এবং সরকার-সমর্থিত সংস্থার সঙ্গে যুক্ত একটি ছদ্মবেশী প্রতিনিধি দল। যারা তথাকথিত গবেষণার আড়ালে কাশ্মীরের বাস্তবতা বিশ্লেষণের নামে একটি গোপন গোয়েন্দা মিশনে এসেছিল। এমনকি দলটিতে কিছু বিদেশি কর্মকর্তাও ছিল বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

    সংগঠনটি স্পষ্ট করে জানিয়েছে, এই হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল কেবলমাত্র ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থার সদস্য ও তাদের সহযোগীরা। সাধারণ নারী কিংবা নিরীহ স্থানীয় মানুষজনকে ইচ্ছাকৃতভাবে আক্রমণ না করে বরং ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রতিরোধ যোদ্ধারা বোঝাতে চেয়েছে যে হামলাটি ছিল নির্দিষ্ট ও কৌশলগত, কোনো বেসামাল প্রতিহিংসা নয়।

    বিবৃতিতে কাশ্মীরের চলমান দমন-পীড়নের প্রেক্ষাপটে ভারত সরকারের বিভিন্ন নীতিরও তীব্র সমালোচনা করা হয়। বলা হয়, দিল্লি পরিকল্পিতভাবে অস্থানীয়দের কাশ্মীরে ডোমিসাইল (আবাসিক স্বীকৃতি বা নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র) দিয়ে স্থায়ী বসবাসের সুযোগ করে দিচ্ছে, সরকারি চাকরিতে নিয়োগ দিচ্ছে এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের স্থানীয় পরিচয়ের ছদ্মবেশে সমাজে সংস্থাপন করছে। এ ছাড়া স্থানীয় জনগণের উচ্চশিক্ষা, কর্মসংস্থান ও সিদ্ধান্তগ্রহণের অধিকারকে ধারাবাহিকভাবে খর্ব করা হচ্ছে।

    প্রতিরোধ সংগঠনটি অভিযোগ করেছে, শিল্প উন্নয়নের নামে কাশ্মীরের জমি অধিগ্রহণ করে তা অস্থানীয়দের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে জনপদ কাঠামো বদলে দিয়ে একটি নতুন বাস্তবতা চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।

    বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়, এখন পর্যন্ত ৮৫,০০০-এর বেশি অস্থানীয়কে ডোমিসাইল দেওয়া হয়েছে। তারা প্রথমে পর্যটকের ছদ্মবেশে আসে, পরে সরকারি কাগজপত্র জোগাড় করে নিজেকে কাশ্মীরি দাবি করতে শুরু করে—যেন এই জমির প্রকৃত মালিক তারাই। সংগঠনটি হুঁশিয়ারি দিয়ে জানায়, যারা এই আগ্রাসী নীতিকে বাস্তবায়নে সহায়তা করছে, তারা কেউই ছাড় পাবে না।

    পহেলগাঁও হামলা এই বাস্তবতারই একটি কৌশলগত প্রকাশ। কাশ্মীর এখন আর কেবল পর্যটনভিত্তিক ভূখণ্ড নয়—এটি প্রতিরোধে দাঁড়িয়ে থাকা এক ভূখণ্ড, যেখানে মানুষ তাদের পরিচয়, অধিকার ও ভবিষ্যৎ রক্ষার লড়াইয়ে জীবন বিলিয়ে দিচ্ছে। দখলদার ভারত যতই ‘উন্নয়ন’ বা ‘পর্যটন’-এর নামে পরিস্থিতি স্বাভাবিক দেখাতে চায়, বাস্তবে কাশ্মীরের মাটি এখনও প্রতিরোধের স্পন্দনে জেগে আছে।


    তথ্যসূত্র:
    1. The Pahalgam incident should serve as a wake-up call not only for Delhi but also for
    those who support Delhi’s questionable strategies
    https://tinyurl.com/y57vd6bk
    ​​
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      অতর্কিত হামলায় কোণঠাসা দখলদার সেনারা, চাঞ্চল্যকর ভিডিও প্রকাশ





      গাজায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান আগ্রাসনের মধ্যে এক নাটকীয় মুহূর্তের ভিডিও সম্প্রতি প্রকাশ করেছেন ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা। মাত্র ৪৫ সেকেন্ডের এই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, প্রতিরোধ যোদ্ধাদের অতর্কিত হামলায় চরমভাবে বিপর্যস্ত হচ্ছে দখলদার সেনারা।

      ঘটনাটি ঘটে গাজার একটি ভবনে, যেখানে সন্ত্রাসী ইসরায়েলি বাহিনী স্থল অভিযান পরিচালনা করছিল। আচমকা প্রতিরোধ যোদ্ধারা পাল্টা আক্রমণ শুরু করলে একে একে গুলিবিদ্ধ হতে থাকে আইডিএফ সেনারা। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ হয়ে ওঠে যে, প্রাণ বাঁচাতে তারা একটি ক্ষতিগ্রস্ত কক্ষে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়।

      কিন্তু সেই কক্ষেই যেন নেমে আসে মৃত্যু। প্রতিরোধ যোদ্ধারা টার্গেট করে একের পর এক গ্রেনেড ছুঁড়তে থাকেন। একদিকে গুলি বর্ষণ, অন্যদিকে নেই কোনো পালানোর পথ- চারপাশে যেন যুদ্ধক্ষেত্র নয়, নরক হয়ে ওঠে। ভিডিওতে এসব মুহূর্তই স্পষ্টভাবে ধরা পড়েছে।

      এই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর থেকে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, এত প্রযুক্তি ও শক্তিশালী অস্ত্রের অধিকারী ইসরায়েলি বাহিনী কীভাবে একের পর এক এমন হামলায় ধরাশায়ী হচ্ছে?

      বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইসরায়েলের ব্যর্থতার অন্যতম প্রধান কারণ প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সুসংগঠিত টানেল নেটওয়ার্ক। ধারণা করা হয়, গাজা উপত্যকাজুড়ে মাকড়সার জালের মতো ছড়িয়ে থাকা টানেলগুলোর দৈর্ঘ্য ৭০০ কিলোমিটার ছাড়িয়েছে।

      প্রতিরোধ যোদ্ধাদের নিয়মিতভাবে প্রকাশিত সম্মুখ যুদ্ধের ভিডিও প্রমাণ করছে, গাজায় তাদের প্রতিরোধ এখনো সক্রিয় এবং কার্যকর। গাজায় চলমান আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৮৪৬ জন আইডিএফ সেনা ও ৬৯ জন পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে তেলআবিব যদিও প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি।


      তথ্যসূত্র :
      1. Video circulating online shows close-range clash between Israeli soldiers and Hamas fighters
      https://tinyurl.com/2vuz23un
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        বিমানঘাঁটি সহ সোমালিয়ার ওয়ারগাদি শহরের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে আশ-শাবাব: অন্তত ৯০ সেনা হতাহত



        সোমালিয়ায় কুখ্যাত “দানাব” নামক একটি সামরিক ইউনিটের ঘাঁটিতে বৃহৎ পরিসরে সামরিক অপারেশন পরিচালনা করেছেন হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন। ক্রুসেডার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দ্বারা প্রশিক্ষিত এবং সজ্জিত এই বাহিনীকে ধ্বংস করার মাধ্যমে মুজাহিদিনরা কেন্দ্রীয় সোমালিয়ার ওয়ারগাদি শহরের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন বলে জানা গেছে।

        শাহাদাহ এজেন্সির সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, বৃহস্পতিবার ২৪ এপ্রিল ভোরে, সোমালিয়ার মধ্য শাবালি রাজ্যের ওয়ারগাদি শহরে অবস্থিত একটি শত্রু সামরিক ঘাঁটিতে বৃহৎ পরিসরে একটি সামরিক অপারেশন চালিয়েছেন হারাকাতুশ শাবাবের জানবায মুজাহিদিনরা। লক্ষ্যবস্তু শহর ও সামরিক ঘাঁটিটি সোমালিয়ার উপকূলীয় কৌশলগত শহর আদেল থেকে প্রায় ৫৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। শহর ও সামরিক ঘাঁটিটির নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক প্রশিক্ষিত এবং অত্যাধুনিক সব অস্ত্রে সজ্জিত “দানাব” নামক সোমালি স্পেশাল ফোর্সের সৈন্যরা।

        হারাকাতুশ শাবাব প্রশাসন এই যুদ্ধে দানব ফোর্সকে ধ্বংস করতে তাদের সবচাইতে চৌকস ইস্তেশহাদী ব্রিগেডের মুজাহিদদের নিয়োগ করেন, যারা ভারী অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে শহরের ২ দিক থেকে অগ্রসর হন। এসময় মুজাহিদিনরা দানাব ফোর্সের সাথে তীব্র এক রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ে অবতীর্ণ হন। ফলে ভারী অস্ত্রের ঝনঝনানি আর মুহুর্মুহু বোমার আঘাতে পুরো শহর কেঁপে উঠে।

        মার্কিন প্রশিক্ষিত “দানাব” ফোর্স এসময় সর্বাত্মকভাবে শহরটির উপর নিজেদের দখলদারিত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করে। কিন্তু মুজাহিদদের তীব্র আর কৌশলি আক্রমণের সামনে তা শেষ পর্যন্ত সম্ভব হয়নি। মুজাহিদিনরা এদিন শত্রু বাহিনীর মনোবল ভেঙে দিতে সবচাইতে বেশি শক্তি ব্যায় করেন ওয়ারগাদি শহরে অবস্থিত মধ্য শাবেলি রাজ্যের “দানাব” ফোর্সের সদর দপ্তর ধ্বংস করতে।

        মহান রব্বুল আলামিনের সাহায্যে মুজাহিদিনরা তীব্র লড়াইয়ের মাধ্যমে প্রথমেই দানাব” ফোর্সের সদর দপ্তর ধ্বংস করতে সক্ষম হন। এতে শত্রু বাহিনীর মনোবল ভেঙে পড়লে মুজাহিদিনরা শহরের অন্যান্য সামরিক ঘাঁটি ও বিমানঘাঁটির দিকে অগ্রসর হতে শুরু করেন। এসময় দানাব ফোর্স ও মোগাদিশু সৈন্যরা যুদ্ধক্ষেত্র ছেড়ে পালাতে শুরু করে। শত্রু বাহিনীর এই পালানো শুরু হলে মুজাহিদিনরা একে একে শহরের একমাত্র বিমান ঘাঁটি ও সমস্ত সামরিক ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নেন, সর্বশেষ পুরো শহরের উপর মুজাহিদিনরা নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেন।

        মুজাহিদদের বীরত্বপূর্ণ এই অভিযানে দানাব ফোর্সের অন্তত ৬০ সৈন্য নিহত এবং আরও ২০ এরও বেশি সৈন্য আহত হয়। এসময় শহরটির পতন রোধে একটি সামরিক কনভয়ও পাঠানোর চেষ্টা করে মোগাদিশু প্রশাসন। কিন্তু এই কনভয় শহরের উপকণ্ঠে পৌঁছা মাত্রই মুজাহিদদের ভারী আক্রমণের মুখোমুখি হয়। ফলে শত্রু বাহিনীর ২টি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেই সাথে ৭ সৈন্য নিহত এবং আরও ৩ এরও বেশি সৈন্য আহত হয়। পরে বাধ্য হয়ে এই দলটি সামনে অগ্রসর হওয়ার পরিবর্তে পিছনে পালাতে বাধ্য হয়।


        তথ্যসূত্র:
        https://tinyurl.com/42duuvd5
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment

        Working...
        X