গাজার উত্তরাঞ্চলে মুজাহিদদের সাহসী অভিযান: ১ জায়োনিস্ট সৈন্য নিহত, গুরুতর আহত ৩

উত্তর গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ বাহিনী এবং জায়োনিস্ট ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ১ দখলদার সৈন্য নিহত এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সহ আরও ৩ সেনা আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
দখলদার ইসরায়েলের নির্মিত সীমান্ত থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে উত্তর গাজার বেইত হ্যানুন এলাকা। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই বাফার জোন তৈরির মাধ্যমে গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে এলাকাটির উপর সামরিক নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে জায়োনিস্ট বাহিনী। গত বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ তারিখ, এই বাফার জোনের ভেতরেই জায়োনিস্ট বাহিনীর বিরুদ্ধে একটি সাহসী অভিযান পরিচালনা করছেন ফিলিস্তিনভিত্তিক সশস্ত্র ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী আল-কাসসাম ব্রিগেডের মুজাহিদিনরা।
এই অভিযানের বিষয়ে জানা যায় যে, এদিন বাফার জোনের ভিতর দিয়ে জায়োনিস্ট বাহিনীর ৭২তম ব্যাটালিয়নের একটি ট্যাংক যাচ্ছিল। ট্যাংকটি কিছু দূর যাওয়ার পর থেমে যায় এবং জায়োনিস্ট সৈন্যরা একটি সামরিক অভিযান পরিচালনার জন্য ট্যাংক থেকে বেরিয়ে পড়ে। এসময় মুজাহিদিনরা শত্রুর এই গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করতে থাকেন, শত্রু বাহিনীর এই দলটি যখন মুজাহিদদের কাছাকাছি চলে আসে, তখন মুজাহিদিনরা একটি ট্যাংক-বিধ্বংসী শেল নিক্ষেপ করে দলটিকে সফল লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেন। এতে জায়োনিস্ট বাহিনীর বেশ কিছু সৈন্য হতাহত হয়।
আক্রমণের শিকার জায়োনিস্ট সৈন্যরা যখন ছুটাছুটি শুরু করে, তখন একজন স্নাইপার মুজাহিদ জায়োনিস্ট বাহিনীর ৭৯তম ব্যাটালিয়নের ট্যাংক চালককে টার্গেট করে শুট করেন। এতে ঘটনাস্থলেই এই জায়োনিস্ট সৈন্য নিহত হয়। পরে সংঘর্ষে হতাহত জায়োনিস্ট সৈন্যদের সরিয়ে নিতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারগুলি এলাকায় অবতরণ করে। জায়োনিস্ট বাহিনীর এই দলটি আসার আগেই মুজাহিদিনরা তাদের অভিযান সম্পন্ন করে নিরাপদে স্কয়ার থেকে সরে পড়েন।
এদিকে ২৫ এপ্রিল শুক্রবার, জায়োনিস্ট বাহিনী দাবি করেছে যে, গত বৃহস্পতিবারের সংঘর্ষের ঘটনায় ইসরায়েলের “ইয়েলহম” ইউনিটের এক অফিসার নিহত এবং একই ব্যাটালিয়নের দুই রিজার্ভিস্ট গুরুতর আহত হয়েছে। এছাড়াও তৃতীয় এক জায়োনিস্ট সৈন্য মাঝারিভাবে আহত হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, মুজাহিদিনরা মানুষের ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই গুণগত অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে জায়োনিস্ট বাহিনীতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঘটাচ্ছেন। মুজাহিদিনরা গেরিলা যুদ্ধের উপর ভিত্তি করে একটি নতুন কৌশলে সুনির্দিষ্ট নজরদারি এবং শত্রুকে শিকারে পরিণত করার পর নিরাপদ প্রত্যাহারের দিকে ঝুঁকছেন। এতে শত্রুর বিমান হামলা, কামানের গোলাবর্ষণ এবং ভারী গুলিবর্ষণ সত্ত্বেও মুজাহিদদের উপর এর কোনও প্রভাব পড়ছে না।
তথ্যসূত্র:
– https://tinyurl.com/3y87kw3s
Comment