মালি | আল-কায়েদার বীরত্বপূর্ণ হামলায় জাতিসংঘের ৫৩ এরও বেশি সৈন্য হতাহত
বিজয়ের মাস পবিত্র রমজানে ক্রুসেডার ও মুরতাদ বাহিনীর উপর একের পর এক বীরত্বপূর্ণ হামলা চালাচ্ছেন আল-কায়েদার পশ্চিম আফ্রিকা শাখার জানবায মুজাহিদিনগণ। তাদের ৩টি অভিযানেই জাতিসংঘ ও চাদিয়ান বাহিনীর ১১ সৈন্য নিহত এবং ৪২ এরও অধিক সৈন্য আহত হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ৮ এপ্রিল, মালিতে অবস্থান নেওয়া ক্রুসেডার মিনোসুমা বাহিনীর হয়ে মুজাহিদদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী চাদিয়ান বাহিনীর একটি ঘাঁটিতে বীরত্বপূর্ণ হামলা চালিয়েছেন জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিনের মুজাহিদগণ।
ঐদিন মালির আগুয়েলহক অঞ্চলে চাদিয়ান বাহিনীর ঘাঁটি লক্ষ্য করে বিশাল আকারের সামরিক অভিযান চালান মুজাহিদগণ। সকাল ছয়টার দিকে শুরু হওয়া এই অভিযান প্রায় দেড় ঘন্টা যাবত স্থায়ী হয়েছিল। এই সময়ের মধ্যে মুজাহিদগণ ঘাঁটি লক্ষ্য করে ৪০টি মর্টার ছুঁড়েছিলন। চাদিয়ান স্পেশাল ফোর্স নিয়ে গঠিত জাতিসংঘের এই দলটি সেদিন মুজাহিদদের হামলায় ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে।
আঞ্চলিক সূত্রগুলো জানায়, মুজাহিদগণ ঘাঁটিতে অভিযানের পূর্বে ঐদিন ঘাঁটির আশপাশে থাকা মিনোসুমা বাহিনীর চেকপয়েন্টগুলোতে তীব্র হামলা চালিয়েছিলেন এবং অধিকাংশ চেকপয়েন্ট গুড়িয়ে দিয়েছিলেন। এরপর মুজাহিদগণ সরাসরি ঘাঁটিতে আক্রমণ করেছিলেন।
একইদিন সকাল ৮টায় আগুয়েলহক অঞ্চল থেকে ৫০০ মিটার দক্ষিণে মিনোসুমা জোটের চাদিয়ান বাহিনীর আরো একটি সামরিক ক্যাম্পে হামলা চালিয়েছেন মুজাহিদগণ। এখানেও তারা প্রায় এক ঘন্টা যবৎ অভিযান পরিচালনা করেন।
এই হামলার বিষয়ে মিনোসুমা জোটের চিফ অফ স্টাফ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পিয়ের জোসেফ বলেছিল, এই অভিযানে প্রায় শতাধিক জিহাদী অংশ নিয়েছিল। তারা গাড়ি ও মোটরসাইকেলে আরোহন করে আরপিজি, রকেট লঞ্চার ও ভারি অস্ত্র দ্বারা হামলা চালিয়েছে।
মুজাহিদদের এই অভিযান নিয়ন্ত্রণ করতে ক্রুসেডার ফ্রান্সের বোরখান ফোর্স ও ক্রুসেডার জার্মানি ফোর্স ২টি যুদ্ধ বিমান, কয়েকটি হেলিকপ্টার ও বোমারু ড্রোন নিয়ে উভয় স্থানে ঘাটির বাইরে অবস্থান নেয়। তবে ক্রুসেডার বাহিনী বিমান আর হেলিকপ্টার নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই মুজাহিদগণ কয়েক ডজন সৈন্যকে হত্যা ও আহত করেন। এরপর সকাল সাড়ে ৯ টায় মুজাহিদগণ স্থান ত্যাগ করেন।
মিনোসুমা ও মালিয়ান সরকারি পরিসংখান অনুযায়ী, মুজাহিদদের এই অভিযানে ৬ চাদিয়ান সৈন্য নিহত এবং ৩৪ সৈন্য আহত হয়েছে। ধ্বংস হয়েছে ক্রুসেডার ও মুরতাদ বাহিনীর অনেক যুদ্ধাস্ত্র এবং সাঁজোয়া যান। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে সামরিক ঘাঁটি ২টি।
এর আগে গত ২ এপ্রিল, মালির মুপ্তি রাজ্যে মুজাহিদদের প্রথম আক্রমণের শিকার হয় চাদিয়ান বাহিনী। দেশটির জেনারেল গ্লেনস্পোর ও জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, মুজাহিদদের উক্ত হামলায় ৪ চাদিয়ান সৈন্য নিহত হয়েছে। আঞ্চলিক সূত্র জানায়, আহত হয়েছে আরো ৬ এরও অধিক।
মালিতে চলিত মাসে চাদিয়ান বাহিনীর উপর মুজাহিদগণ সর্বশেষ অভিযানটি চালান গত ১৫ এপ্রিল। মুজাহিদ সমর্থক ও আঞ্চলিক সূত্র জানায়, মালির মন্ডোরো বা ডুয়েঞ্জা শহর থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে চাদিয়ান বাহিনীর একটি সামরিক কাফেলা টার্গেট করে সফল হামলা চালিয়েছেন আল-কায়েদা শাখা জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন। এতে ক্রুসেডার জাতিসংঘের জোটবদ্ধ চাদিয়ান বাহিনীর ১ সৈন্য নিহত এবং আরো ২ সৈন্য আহত হয়েছে।
সামরিক দিক থেকে চাদিয়ান বাহিনী পশ্চিম আফ্রিকার সবচাইতে শক্তিশালী ও দক্ষ সামরিক বাহিনী হিসাবে পরিচিত। আর এতে গর্ববোধও করে থাকে চাদ। কিন্তু মুজাহিদদের বিরুদ্ধে মালিতে যুদ্ধে নামার দেড় মাসের মাথাই মুজাহিদগণ চাদিয়ান বাহিনীকে যুদ্ধের ময়দানে লাঞ্ছনাকর পরাজয় ও লাশের কফিন উপহার দিতে শুরু করেছেন,আলহামদুলিল্লাহ্
বিজয়ের মাস পবিত্র রমজানে ক্রুসেডার ও মুরতাদ বাহিনীর উপর একের পর এক বীরত্বপূর্ণ হামলা চালাচ্ছেন আল-কায়েদার পশ্চিম আফ্রিকা শাখার জানবায মুজাহিদিনগণ। তাদের ৩টি অভিযানেই জাতিসংঘ ও চাদিয়ান বাহিনীর ১১ সৈন্য নিহত এবং ৪২ এরও অধিক সৈন্য আহত হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ৮ এপ্রিল, মালিতে অবস্থান নেওয়া ক্রুসেডার মিনোসুমা বাহিনীর হয়ে মুজাহিদদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী চাদিয়ান বাহিনীর একটি ঘাঁটিতে বীরত্বপূর্ণ হামলা চালিয়েছেন জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিনের মুজাহিদগণ।
ঐদিন মালির আগুয়েলহক অঞ্চলে চাদিয়ান বাহিনীর ঘাঁটি লক্ষ্য করে বিশাল আকারের সামরিক অভিযান চালান মুজাহিদগণ। সকাল ছয়টার দিকে শুরু হওয়া এই অভিযান প্রায় দেড় ঘন্টা যাবত স্থায়ী হয়েছিল। এই সময়ের মধ্যে মুজাহিদগণ ঘাঁটি লক্ষ্য করে ৪০টি মর্টার ছুঁড়েছিলন। চাদিয়ান স্পেশাল ফোর্স নিয়ে গঠিত জাতিসংঘের এই দলটি সেদিন মুজাহিদদের হামলায় ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে।
আঞ্চলিক সূত্রগুলো জানায়, মুজাহিদগণ ঘাঁটিতে অভিযানের পূর্বে ঐদিন ঘাঁটির আশপাশে থাকা মিনোসুমা বাহিনীর চেকপয়েন্টগুলোতে তীব্র হামলা চালিয়েছিলেন এবং অধিকাংশ চেকপয়েন্ট গুড়িয়ে দিয়েছিলেন। এরপর মুজাহিদগণ সরাসরি ঘাঁটিতে আক্রমণ করেছিলেন।
একইদিন সকাল ৮টায় আগুয়েলহক অঞ্চল থেকে ৫০০ মিটার দক্ষিণে মিনোসুমা জোটের চাদিয়ান বাহিনীর আরো একটি সামরিক ক্যাম্পে হামলা চালিয়েছেন মুজাহিদগণ। এখানেও তারা প্রায় এক ঘন্টা যবৎ অভিযান পরিচালনা করেন।
এই হামলার বিষয়ে মিনোসুমা জোটের চিফ অফ স্টাফ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পিয়ের জোসেফ বলেছিল, এই অভিযানে প্রায় শতাধিক জিহাদী অংশ নিয়েছিল। তারা গাড়ি ও মোটরসাইকেলে আরোহন করে আরপিজি, রকেট লঞ্চার ও ভারি অস্ত্র দ্বারা হামলা চালিয়েছে।
মুজাহিদদের এই অভিযান নিয়ন্ত্রণ করতে ক্রুসেডার ফ্রান্সের বোরখান ফোর্স ও ক্রুসেডার জার্মানি ফোর্স ২টি যুদ্ধ বিমান, কয়েকটি হেলিকপ্টার ও বোমারু ড্রোন নিয়ে উভয় স্থানে ঘাটির বাইরে অবস্থান নেয়। তবে ক্রুসেডার বাহিনী বিমান আর হেলিকপ্টার নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই মুজাহিদগণ কয়েক ডজন সৈন্যকে হত্যা ও আহত করেন। এরপর সকাল সাড়ে ৯ টায় মুজাহিদগণ স্থান ত্যাগ করেন।
মিনোসুমা ও মালিয়ান সরকারি পরিসংখান অনুযায়ী, মুজাহিদদের এই অভিযানে ৬ চাদিয়ান সৈন্য নিহত এবং ৩৪ সৈন্য আহত হয়েছে। ধ্বংস হয়েছে ক্রুসেডার ও মুরতাদ বাহিনীর অনেক যুদ্ধাস্ত্র এবং সাঁজোয়া যান। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে সামরিক ঘাঁটি ২টি।
এর আগে গত ২ এপ্রিল, মালির মুপ্তি রাজ্যে মুজাহিদদের প্রথম আক্রমণের শিকার হয় চাদিয়ান বাহিনী। দেশটির জেনারেল গ্লেনস্পোর ও জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, মুজাহিদদের উক্ত হামলায় ৪ চাদিয়ান সৈন্য নিহত হয়েছে। আঞ্চলিক সূত্র জানায়, আহত হয়েছে আরো ৬ এরও অধিক।
মালিতে চলিত মাসে চাদিয়ান বাহিনীর উপর মুজাহিদগণ সর্বশেষ অভিযানটি চালান গত ১৫ এপ্রিল। মুজাহিদ সমর্থক ও আঞ্চলিক সূত্র জানায়, মালির মন্ডোরো বা ডুয়েঞ্জা শহর থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে চাদিয়ান বাহিনীর একটি সামরিক কাফেলা টার্গেট করে সফল হামলা চালিয়েছেন আল-কায়েদা শাখা জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন। এতে ক্রুসেডার জাতিসংঘের জোটবদ্ধ চাদিয়ান বাহিনীর ১ সৈন্য নিহত এবং আরো ২ সৈন্য আহত হয়েছে।
সামরিক দিক থেকে চাদিয়ান বাহিনী পশ্চিম আফ্রিকার সবচাইতে শক্তিশালী ও দক্ষ সামরিক বাহিনী হিসাবে পরিচিত। আর এতে গর্ববোধও করে থাকে চাদ। কিন্তু মুজাহিদদের বিরুদ্ধে মালিতে যুদ্ধে নামার দেড় মাসের মাথাই মুজাহিদগণ চাদিয়ান বাহিনীকে যুদ্ধের ময়দানে লাঞ্ছনাকর পরাজয় ও লাশের কফিন উপহার দিতে শুরু করেছেন,আলহামদুলিল্লাহ্