Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুজাহিদিন নিউজ # ৯ই রমজান, ১৪৪২ হিজরি | ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ ঈসায়ী |

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুজাহিদিন নিউজ # ৯ই রমজান, ১৪৪২ হিজরি | ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ ঈসায়ী |

    পাকিস্তান | কোয়েটায় পাক-তালিবানের বীরত্বপূর্ণ শহিদী হামলা, দুই কমিশনারসহ ১৭ এরও বেশি হতাহত

    পাকিস্তানের কোয়েটা শহরে “ফাইভ স্টার সেরেনা হোটেল” এ একটি শক্তিশালী গাড়ি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মুরতাদ বাহিনীর ১২টি গাড়ি ধ্বংস এবং ১৭ এরও অধিক মুরতাদ সৈন্য হতাহত হয়েছে।

    উমর মিডিয়ার সূত্র জানা গেছে, গত ২১ এপ্রিল রাত ইশার সময় পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের রাজধানী কোয়েটারের সেরেনা পুলিশ স্টেশনের কাছে “ফাইভ স্টার সেরেনা হোটেল” এ একটি শক্তিশালী গাড়ি বোমা বিস্ফোরণের মাধ্যমে শহিদী হামলা চালানো হয়েছে।

    সূত্র আরো জানায় যে, তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের (টিটিপি) ইস্তেশহাদী ইউনিটের ‘মোহাম্মদ আব্বাস ফারুক’ (রহিমাহুল্লাহ) পাকিস্তানের মুরতাদ পুলিশ স্টেশনের নিকটস্থ “ফাইভ স্টার সেরেনা হোটেল” এ একটি শক্তিশালী গাড়ি বোমা বিস্ফোরণের মাধ্যমে শহিদী হামলা চালিয়েছেন।

    গাড়ি বোমাটি সফলভাবে বিস্ফোরীত হলে কোয়েটার সহকারী কমিশনার এবং জাফরাবাদের সহকারী কমিশনারসহ মুরতাদ বাহিনীর বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিহত হয়েছে। তালেবান সুনির্দিষ্ট কোন সংখ্যা উল্লেখ না করে আরো জানিয়েছে যে, এই হামলায় নিহত এবং আহত হয়েছে আরো কয়েক ডজনেরও বেশি মুরতাদ পুলিশ ও সরকারি কর্মকর্তা।

    এছাড়াও ধ্বংস পুড়ে ছাই হয়ে গেছে সিটিংয়ের জন্য আসা মুরতাদ প্রশাসনের ১২টিরও অধিক গাড়ি। ধ্বসে পড়েছে হোটেলটির বিভিন্ন অংশ।

    অপরদিকে পাকিস্তান ভিত্তিক সংবাদ সংস্থা ‘ট্রাবেল নিউজ’ জানিয়েছে, এই হামলায় বিলাল ও ইজাজ নামক দুই সহকারী কমিশনারসহ কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো ১৫ এরও বেশি পুলিশ সদস্য ও অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তা। সংবাদ সূত্রগুলো থেকে আরো জানা যায় যে, হামলার সময় ঘটনাস্থলে চীনা রাষ্ট্রদূতসহ অনেক ভিনদেশী ক্রুসেডার কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিল।

    তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের (টিটিপি) মুখপাত্র মোহাম্মদ খোরাসানী হাফিজাহুল্লাহ্ তাঁর টুইট বার্তায় এই হামলার দায় স্বীকার করে বলেছিলেন যে, এটি পুলিশ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের লক্ষ্যবস্তু করে পরিচালনা করা হয়েছে।

    উল্লেখ্য, গত দু’বছরে পাকিস্তানি তালেবানদের দ্বারা এটি প্রথম বড় ধরণের বিস্ফোরণ। গত বছরের আগস্টে জামায়াত-উল-আহরার, হিযব-উল-আহররসহ বেশ কয়েকটি দল তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের (টিটিপি) সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল, আর এই ঐক্যবদ্ধ হওয়ার পর থেকে পাকিস্তানে টিটিপির আক্রমণ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে।




    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    খারেজি আইএসের হামলায় শহিদ হলেন তালেবানের প্রাদেশিক সেনা প্রধান মোল্লা নেইক মোহাম্মদ রাহবার

    ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক দায়িত্বশীল মোল্লা নেইক মোহাম্মদ রাহবারকে (রহঃ) শহিদ করার দাবি করেছে খারেজি গোষ্ঠী আইএস।

    খারেজি আইএসের অফিসিয়াল সংবাদ মিডিয়ায় প্রকাশিত এক খবরে দাবি করা হয়েছে যে, গত ১৯ এপ্রিল সন্ধ্যায়, আফগান সীমান্তবর্তী পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখুয়ার রাজধানী পেশোয়ারে তালেবানদের গুরুত্বপূর্ণ কমান্ডার মোল্লা নেইক মোহাম্মদ রাহবার (রহঃ) কে শহিদ করেছে খারেজি আইএসরা। পেশওয়ারের ‘হাজী ক্যাম্প’ এলাকায় এই হৃদয়বাদারক ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছিল।

    মোল্লা নেইক মোহাম্মদ রাহবার (রহঃ) ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের একজন প্রাদেশিক সেনা প্রধান হিসাবে নানগারহারে দায়িত্বরত ছিলেন। তিনি প্রদেশটির খোগিয়ান অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। আফগানিস্তানের সুরখারোড, খোগিয়ান ও শেরজাদ জেলায় ক্রুসেডার আমেরিকা ও আইএস বিরুধী যুদ্ধে তিনি সবাচাইতে বেশি সক্রিয় ছিলেন। একসময় তিনটি জেলার সিংহভাগ অঞ্চলই খারেজি আইএসদের দখলে ছিল। এই জেলাগুলো থেকেই খারেজি আইএসরা আফগানিস্তান জুড়ে সবাচাইতে বেশি সন্ত্রাসী কার্মকান্ড পরিচালনা করতো এবং অনেক মুজাহিদ ও সাধারন আফগানীদের শহিদ করতো। তবে মোল্লা নেইক মোহাম্মদ রাহবারের দক্ষ রণকৌশলের কারণে এই জেলাগুলোর উপর আইএস বেশিদিন তাদের নিয়ন্ত্রণ টিকিয়ে রাখতে পারেনি। কেননা মোল্লা নেইক মোহাম্মদ রাহবার তাঁর রণকৌশল আর সাহসীকতার মাধ্যমে নানগারহারের প্রতিটি জেলায় আইএস সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে তীব্র অভিযান চালান এবং প্রদেশটির প্রতিটি অঞ্চলে খারেজি আইএসদের ঘাঁটিগুলোকে কবরস্থানে রুপান্তর করেন। যেসব খারেজি সদস্যগুলো তখন প্রাণে বেঁচে গিয়েছি, তারা মুরতাদ কাবুল বাহিনীর ছত্রছায়ায় নানগারহার থেকে লেজগুটিয়ে পলায়ন করে। এভাবেই মোল্লা নেইক মোহাম্মদ রাহবার (রহ) খারেজীদের ফেতনা নির্মূলে আফগানিস্তানে সবাচাইতে বড় ভূমিকা পালন করেন। একথায় আফগানিস্তানে আইএস সন্ত্রাসীদের নির্মূলে তিনি অধম্যসাহসীকতার পরিচয় দিয়েছেন। তিনি ছিলেন একাধারে ক্রুসেডার আমেরিকা ও কাবুলের মুরতাদ বাহিনীর পাশাপাশি আইএসদের জন্য এক আতংকের নাম।

    মোল্লা নেক মোহাম্মদ রাহবারকে (রহঃ) শহিদ করতে বেশ কয়েকবার ক্রুসেডার আমেরিকা বিমান ও ড্রোন হামলা চালিয়েছিল। অপরদিকে খারেজি আইএসরা ২টি আত্মঘাতী হামলাসহ অনেক গুপ্ত হামলাও চালিয়েছিল। কিন্তু মহান আল্লাহ্ তা’আলার অনুগ্রহে তিনি প্রতিবারই বেঁচে গিয়েছিলেন।

    একজন তালেবান কমান্ডার ‘হামাদ আফগান শেরজাদ’ লিখেন- কিছুদিন পূর্বে আমি তাকে বলেছিলাম, তিনি যেন নিজের নিরাপত্তা আরো জোরদার করেন, পরিস্থিতি খুব ভালো না। তখন জবাবে তিনি বলেছিলেন, মৃত্যু জীবনে একবারই আসে, যা থেকে আমরা নিজেকে যতটাই লুকিয়ে রাখিনা কেন সে আমাদের পিছু ছাড়বেনা, তবে আমার ইচ্ছা শাহাদাত বরণ করা।

    আল্লাহু আকবার, এভাবেই নেতারা শাহাদাত কামনার মাধ্যমে আল্লাহর দরবারে নিজেদের দো’আ কবুল করিয়ে নিয়েছেন এবং শাহাদাতের গৌরব লাভে ধন্য হয়েছেন।

    তালেবান সংশ্লিষ্ট টুইটার থেকে জানা যায় যে, মোল্লা নেইক মোহাম্মাদ রাহবার হাফিজাহুল্লাহ্ তাঁর ভাইদের মধ্যে পঞ্চম ও শেষ শহিদ ব্যাক্তি, ইতিপূর্বে তার আরো ৪ ভাই পবিত্র এই জিহাদে শাহাদাত বরণ করেছেন। তাঁর এক ভাই তোরাবোরা যুদ্ধের সাহসী মুজাহিদ ছিলেন। যিনি শাইখ ওসামা বিন লাদেন (রহঃ) ও আরব মুহাজির মুজাহিদ ভাইদেরকে ক্রুসেডার আমেরিকার ভারী বোমাবর্ষণ থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনতে সহায়তা করেছিলেন।

    শহিদ নেইক মোহাম্মদ রাহবার ও তার ভাইরা।

    ওস্তাদ ইয়াসির রহিমাহুমুল্লাহ বলেন, শহীদরা হল চলমান জিহাদের জন্য পেট্রোল, আর পেট্রোল জিহাদ নামক এই যন্ত্রটিকে তার গন্তব্যে চালিত করে।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ও আল্লাহ্ খারিজিদের ধ্বংস করুন... এদের আক্রমণ থেকে মুজাহিদদের হেফাযত করুন,আমিন ইয়া রব্ব।

      Comment


      • #4
        হাসিমাখা উজ্জ্বল চেহারা নিয়ে পাঁচ ভাইয়ের কোমল সাক্ষাত।
        সত্যিই হৃদয়ের পাতা গুলো ভিজে গেছে।
        পাঁচ ভাইয়েই শহীদ ইনশাআল্লাহ।
        হে পরাক্রমশালী শক্তিধর! কৃপণতা আর কাপুরুষতা থেকে আশ্রয় চাই সর্বক্ষণ।

        Comment

        Working...
        X