Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুজাহিদীন নিউজ || ১০ যিলক্বদ, ১৪৪৬ হিজরী || ০৯ মে, ২০২৫ ঈসায়ী​​

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুজাহিদীন নিউজ || ১০ যিলক্বদ, ১৪৪৬ হিজরী || ০৯ মে, ২০২৫ ঈসায়ী​​

    গাজায় আল-কাসসামের অপারেশন “জাহান্নামের দরজা”: একদিনেই নিহত অন্তত ১৯ জায়োনিস্ট সৈন্য



    ফিলিস্তিন ভিত্তিক সশস্ত্র ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী আল-কাসসাম বিগ্রেড সম্প্রতি গাজায় জায়োনিস্ট বাহিনীর বিরুদ্ধে “জাহান্নামের দরজা/গেটস অফ হেল” নামে একটি নতুন সামরিক অপারেশন শুরু করেছেন। এই অপারেশনের ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার মুজাহিদদের ২টি পৃথক অভিযানেই অন্তত ১৯ জায়োনিস্ট সৈন্য নিহত হয়েছে।

    আল-কাসসাম ব্রিগেড বৃহস্পতিবার ০৮ মে, ২টি বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে যে, মুজাহিদিনরা এদিন গাজা উপত্যকার দক্ষিণে জায়োনিস্ট ইসরায়েলি বাহিনীর দুটি সামরিক ইউনিটকে টার্গেট করে সফল অভিযান পরিচালনা করেছেন। মুজাহিদিনরা এদিন তাদের প্রথম অভিযানটি পরিচালনা করেছেন রাফাহ শহরের পূর্বে আল-তান্নুর এলাকার “ওমর ইবনে আব্দুল আজিজ” মসজিদের কাছে। অভিযানটি জায়োনিস্ট বাহিনীর ৭ সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত একটি দলকে টার্গেট করে শক্তিশালী আইইডি বিস্ফোরণের মাধ্যমে চালানো হয়। এতে সমস্ত জায়োনিস্ট সৈন্য নিহত হয়, যাদের দেহাংশ ঘটনাস্থলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। পরে নিহত জায়োনিস্ট সৈন্যদের উদ্ধারে ঘটনাস্থলে অন্য জায়োনিস্ট সৈন্যরা পৌছালে আরও একটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

    মুজাহিদিনরা এদিন দ্বিতীয় অভিযানটি পরিচালনা করেন একই অঞ্চলের আল-ফিদাই এলাকার কাছে একটি বাড়ির ভিতরে। জায়োনিস্ট বাহিনীর ১২ সদস্যের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিট উক্ত বাড়িটি ধ্বংসের প্রস্তুতি সরূপ সেখানে মাইন স্থাপন করে। মুজাহিদিনরা পূর্ব থেকেই জায়োনিস্ট বাহিনীর এই দলটির কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করতে থাকেন। ফলে জায়োনিস্ট বাহিনী ১২ সদস্যের এই ইউনিটটি যখন মাইন স্থাপনের জন্য বাড়িতে প্রবেশ করে, তখন মুজাহিদিনরা উপযুক্ত সময় বুঝে বাড়িটি লক্ষ্য করে ২টি অ্যান্টি-পার্সোনেল শেল এবং ১টি অ্যান্টি-আর্মর শেল নিক্ষেপ করেন।

    মুজাহিদদের নিক্ষিপ্ত শেলগুলো বাড়িতে আঘাতের সাথে সাথে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে, সেই সাথে এর তেজস্ক্রিয়ায় বাড়ির ভিতরে জায়োনিস্ট বাহিনীর স্থাপন করা মাইনগুলোও বিস্ফোরিত হয়। এতে ১২ সদস্যের পুরো জায়োনিস্ট দলটিই বিস্ফোরণ ও ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়ে মারা যায়। পরে নিহতদের সরিয়ে নিতে ইসরায়েলি ৪টি হেলিকপ্টার ঘটনাস্থলে অবতরণ করতে দেখা যায়।

    এদিন দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরের আল-জেনিন ও শুজাইয়্যা এলাকায়ও জায়োনিস্ট বাহিনীর অনুপ্রবেশকারী ২টি দলের সাথে তীব্র যুদ্ধ সংঘটিত হয় মুজাহিদদের। এতে আরও অনেক জায়োনিস্ট সৈন্য হতাহতের শিকার হয়।


    তথ্যসূত্র:
    https://tinyurl.com/f73u5hhh
    https://tinyurl.com/3u8tatsp
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    পাকিস্তানে ভারতীয় আগ্রাসন: ইসলাম ও মুসলিমদের প্রতিরক্ষায় ভারতের বিরুদ্ধে জিহাদের ঘোষণা আল-কায়েদার




    পাকিস্তানের মাটিতে ভারতের সাম্প্রতিক আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়ে “আল-কায়েদা উপমহাদেশ” একটি বিবৃতি জারি করেছে। এতে জনবসতি ও মসজিদসমূহকে লক্ষ্যবস্তু করে হিন্দুত্ববাদী ভারতের এই আগ্রাসনকে মুসলিমদের বিরুদ্ধে বৃহত্তর যুদ্ধের অংশ বলে উপস্থাপন করা হয়েছে। তাই ভারতের এধরণের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে জিহাদকে এই অঞ্চলের মুসলমানদের জন্য ফরজ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

    গত ৭ মে, বুধবার আল-কায়েদা উপমহাদেশ এর কেন্দ্রীয় মিডিয়া শাখা আস-সাহাব থেকে “পাকিস্তানের মাটিতে ভারতীয় আগ্রাসন প্রসঙ্গে বার্তা” শিরোনামে এই বিবৃতিটি জারি করা হয়। বিবৃতিতে গত ৬ মে ২০২৫ তারিখ রাতে, ভারতের কট্টর হিন্দুত্ববাদী সরকার কর্তৃক পাকিস্তানের ৯টি স্থানে বোমাবর্ষণে শহিদ ও আহত হওয়া নিরপরাধদের মাগফিরাত ও সুস্থতা কামনা করা হয়।

    বার্তাটিতে ভারতের এই বর্বর বোমাবর্ষণকে কট্টর হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্রের অপরাধপঞ্জিতে আরেকটি অন্ধকারতম অধ্যায় বলে অবিহিত করা হয়। এতে বলা হয়, “ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে ভারতের এই যুদ্ধ পেহেলগাঁও ঘটনার পর শুরু হয়নি—বরং এই আগ্রাসন বহু দশক ধরে চলে আসছে। হিন্দুস্তান ও কাশ্মীরের মুসলমানরা যুগের পর যুগ ধরে ইতিহাসের নির্মমতম নির্যাতন ও জুলুম সহ্য করে আসছে। ভারতের হিন্দুত্ববাদী গেরুয়া সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ও তাদের মোদি সরকার আজ পুরো উপমহাদেশ থেকে ইসলাম ও মুসলমানদের নিশ্চিহ্ন করে দিতে চায়। তারা সামরিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, দাওয়াতি ও মিডিয়া—সব ক্ষেত্রেই এই যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।”

    বার্তাটির শেষ পর্যায়ে এসে আগ্রাসী ভারত রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে জিহাদের ঘোষণা দেয় আল-কায়েদা উপমহাদেশ। এসময় ৩টি পয়েন্ট উল্লেখ করে বিবৃতিটি শেষ করা হয়। পয়েন্টগুলোতে বলা হয়:

    – ভারতের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধ, এই জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ—সমস্ত মুজাহিদিন এবং উপমহাদেশের মুসলমানদের জন্য ফরজ হয়ে গেছে! এখন—আল্লাহর কালিমাকে সমুন্নত করতে, ইসলাম ও মুসলমানদের রক্ষা করতে, এবং এই অঞ্চলের মজলুম মুসলমানদের সাহায্য করতে এই জিহাদে অংশগ্রহণ করা আমাদের জন্য ফরজ দায়িত্ব।

    – আমাদের দাওয়াত ও জিহাদ, বন্ধু ও শত্রু, এবং হক ও বাতিল সম্পর্কে আমাদের অবস্থান ও উদ্দেশ্য উপমহাদেশে আগে থেকেই পরিচিত ছিল—আর এই অবস্থান ও লক্ষ্যের জন্য আজ উপমহাদেশের মুসলিমদের জাগ্রত হওয়ার প্রয়োজন আগের চেয়েও বেশি!

    – এই উপলক্ষে আমরা আবারও দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতি করছি যে, আল্লাহর সাহায্য ও তাওফিক নিয়ে, আমরা আমাদের এই যুদ্ধ ততক্ষন পর্যন্ত চালিয়ে যাব, যতক্ষণ না ইসলাম ও মুসলমানদের ওপর আগ্রাসন চালানো প্রতিটি জালিমের প্রতিটি অপরাধের জবাব আমরা দিতে সক্ষম হবো, এবং আল্লাহর কালিমা আল্লাহর জমিনে বিজয়ী ও উচ্চ স্থানে প্রতিষ্ঠিত হবে!
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      আজাদ কাশ্মীরে ভারতের তীব্র গোলাবর্ষণে নবজাতকসহ নিহত ৫



      পেহেলগামে হামলার পর থেকেই পাক-ভারত নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলওসি) তীব্র গোলাগুলিতে জড়ায় দু’দেশ। পাকিস্তানে ভারতের বিমান হামলার পর থেকে সীমান্তে গোলাবর্ষণের মাত্রা আরও তীব্র হয়েছে। সর্বশেষ ৮ মে, বৃহস্পতিবার পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীরে ভারতীয় সেনাদের গোলাবর্ষণে এক নবজাতকসহ প্রাণ হারিয়েছে পাঁচজন।

      ৯ মে, শুক্রবার বিবিসির খবরে বলা হয়, পাকিস্তান-শাসিত আজাদ কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর বেশ কয়েকটি জেলায় গোলাবর্ষণ অব্যাহত ছিল। এই হামলায় এক নবজাতকসহ পাঁচজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।

      এর আগে মঙ্গলবার ভারতীয় বিমান হামলায় ৩১ জন পাকিস্তানি নাগরিক নিহত হয়েছিল। বৃহস্পতিবার নিহতদের মিলিয়ে পাকিস্তানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৩৬ জনে।

      ইসলামাবাদ জানিয়েছে, মসজিদ থেকে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প পর্যন্ত মোট ছয়টি পাকিস্তানি স্থান লক্ষ্যবস্তু করে মঙ্গলবার মধ্যরাতে হামলা চালায় ভারত। পাঞ্জাবের আহমেদপুর, মুরিদকে, শিয়ালকোট ও শক্করগড় এবং আজাদ কাশ্মীরের মুজাফফরাবাদ ও কোটলিতে বিনা উস্কানিতে ভারত হামলা চালালে শিশুসহ কমপক্ষে ৩১ জন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত এবং ৫৭ জন আহত হন।

      প্রতিশোধ হিসেবে, পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী পাঁচটি ভারতীয় বিমান বাহিনীর (আইএএফ) যুদ্ধবিমান ও সাতটি ড্রোন ভূপাতিত করে। নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর একটি ব্রিগেড সদর দপ্তর এবং বেশ কয়েকটি চেকপোস্ট ধ্বংস করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসলামাবাদ।

      এছাড়া নিয়ন্ত্ররেখায় লাগাতার গোলা নিক্ষেপ করে পাকিস্তান। এতে ভারতে অন্তত ১৬ জন নিহত হয় বলে দাবি করেছে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এ সময় আহত হয় আরও প্রায় ৫৯ জন ভারতীয় নাগরিক।


      তথ্যসূত্র:
      1. Five killed in shelling in Pakistan-administered Kashmir
      -https://tinyurl.com/4nardt47
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment

      Working...
      X