বিগত এক মাসে শতাধিক নিম্নমানের জ্বালানি ট্যাংকার বাতিল করেছে ইমারতে ইসলামিয়া

২০১৯ সালে সোমালিয়ার বালি-দুগলে মার্কিন বিমান ঘাঁটি লক্ষ্য করে ঐতিহাসিক অপারেশন পরিচালনা করেছিলেন আশ-শাবাব মুজাহিদিন। সম্প্রতি মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ (পেন্টাগনের) সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যম “স্টারস অ্যান্ড স্ট্রাইপস” শাবাবের উক্ত অভিযানের ফলাফল নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে।
গত ৮ মে ২০২৫ তারিখ বৃহস্পতিবার, প্রকাশিত রিপোর্টে দাবি করা হয় যে, ২০১৯ সালে বালি-দুগলে মার্কিন বিমান ঘাঁটি লক্ষ্য করে আশ-শাবাব মুজাহিদিনদের পরিচালিত অভিযানটি ছিল ১৯৯৩ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে সোমালিয়ায় মার্কিন বাহিনীর উপর সবচেয়ে বড় আক্রমণ। আশ-শাবাব মুজাহিদিনরা বিমান ঘাঁটিটিতে অবস্থানরত মার্কিন সৈন্য ও সামরিক কর্মকর্তাদের লক্ষ্যবস্তু করে টানা দেড় ঘন্টা যাবৎ অভিযান পরিচালনা করেন।
২০১৯ সালে সংবাদপত্রটির প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল যে, আশ-শাবাবের একজন ইস্তেশহাদী মুজাহিদ প্রথমে মার্কিন বিমান ঘাঁটির কেন্দ্রে বিস্ফোরক ভর্তি একটি গাড়ির বিস্ফোরণ ঘটান। এই বিস্ফোরণের আকার এবং প্রভাব এতটাই মারাত্মক ছিলো যে, এর ফলে বিস্ফোরণস্থলে আনুমানিক ২০ মিটার গভীর একটি গর্ত তৈরি হয়। এই বিস্ফোরণের পর প্রায় এক ডজন শাবাব যোদ্ধা ঘাঁটিতে প্রবেশ করে এবং দেড় ঘন্টা যাবৎ মার্কিন বাহিনীর সাথে তীব্র সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। যদিও সেসময় সংবাদপত্রটি ঘটনাস্থলে মুজাহিদদের হামলায় মার্কিন বাহিনীর ক্ষয়ক্ষতির সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য প্রকাশ করে নি।
তবে বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে সংবাদপত্রটি উক্ত আক্রমণে হতাহতের বিষয়ে প্রথমবারের মতো মন্তব্য করেছে। এতে বলা হয়েছে যে, ২০১৯ সালে মার্কিন বিমান ঘাঁটি লক্ষ্য করে মুজাহিদদের পরিচালিত অভিযানে কমপক্ষে ১২১ মার্কিন সৈন্য ও অফিসার নিহত হয়েছে। এসময় বেশ কিছু বিমান ও যুদ্ধযান ধ্বংসের পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ সামরিক সরঞ্জামও ধ্বংস হয়েছে।
এই প্রতিবেদনটি এমন এক সময় প্রকাশ করা হয়েছে, যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে বালি-দুগলে বিমানঘাঁটি সংস্কার করতে শুরু করেছে। এতে অবস্থান করবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন টাস্ক ফোর্সের দেড় শতাধিক সৈন্য। যারা এই অঞ্চলে শাবাবের বিরুদ্ধে মোগাদিশু বাহিনীকে চিকিৎসা সহায়তার পাশাপাশি প্রশিক্ষিণ ও পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করবে।
তথ্যসূত্র:
– https://tinyurl.com/ys2mzmfh



Comment