Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুজাহিদীন নিউজ || ২২ যিলক্বদ, ১৪৪৬ হিজরী || ২১ মে, ২০২৫ ঈসায়ী​​

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুজাহিদীন নিউজ || ২২ যিলক্বদ, ১৪৪৬ হিজরী || ২১ মে, ২০২৫ ঈসায়ী​​

    ইমারতে ইসলামিয়ার প্রচেষ্টায় পাকিস্তানে ২ দিনে ৫৩২ জন আফগান বন্দীকে মুক্তি প্রদান


    ইমারতে ইসলামিয়া সরকারের অব্যাহত প্রচেষ্টার ফলস্বরূপ ২ দিনে ৫৩২ জন আফগান নাগরিককে পাকিস্তানের বিভিন্ন বন্দিশালা থেকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। মুক্তির পর তাদেরকে আফগানিস্তানে ফেরত আনা হয়েছে। ইমারতে ইসলামিয়ার শরণার্থী ও প্রত্যাবাসন বিষয়ক মন্ত্রণালয় এই তথ্য প্রদান করেছে।

    ইমারতে ইসলামিয়ার স্পিন বোল্ডাক কর্তৃপক্ষের মতে, ২৮৬ জন আফগান নাগরিককে এক বা দুই দিন ধরে আটক রাখা হয়েছিল। বর্তমানে তাদেরকে মুক্তি দেয়া হয়েছে এবং তাদেরকে স্বদেশে ফেরত আনা হয়েছে। এছাড়া এর আগে আরও ২৪৬ জন আফগানকে পাকিস্তানের বিভিন্ন আটক কেন্দ্র থেকে মুক্তি দেয়া হয়েছিল।

    উল্লেখ্য যে, সাধারণত ডকুমেন্ট সমস্যার কারণে অধিকাংশ আফগান শরণার্থীকে এভাবে আটক করা হচ্ছে। তবে তালিবান সরকারের আন্তরিক পদক্ষেপের মাধ্যমে তাদেরকে মুক্ত করে স্বদেশে ফেরত আনা হচ্ছে।


    তথ্যসূত্র:
    1. https://tinyurl.com/mpxeada6
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    পাকিস্তানে টিটিপির ৩টি পৃথক অভিযানে ৯৫ শত্রু সেনা হতাহত



    পাকিস্তান ভিত্তিক সশস্ত্র ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)। গত ২০ মে মঙ্গলবার, পাকিস্তান জুড়ে শত্রু সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে দলটির মুজাহিদিনরা অন্তত ১৫টি পৃথক অপারেশন পরিচালনা করেছেন বলে জানা গেছে। এরমধ্যে ঝোপ, খাইবার এবং পিশিন অঞ্চলে টিটিপির ৩টি পৃথক অভিযানেই অন্তত ৪৫ শত্রু সেনা নিহত এবং আরও ৫০ এরও বেশি সৈন্য আহত হয়েছে।

    টিটিপির মুখপাত্র মুহাম্মদ খোরাসানি (হাফিযাহুল্লাহ) কর্তৃক প্রকাশিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, মুজাহিদিনরা সোমবার, পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে যেসকল সফল অভিযান পরিচালনা করেছিলেন, তারমধ্যে একটি অভিযান চালানো হয় বেলুচিস্তানের ঝোপ জেলার আবদুল্লাহ হাই এলাকায়। অভিযানটি পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর একটি গাড়ি লক্ষ্য করে রাস্তার পাশে পুঁতে রাখা মাইন বিস্ফোরণের মাধ্যমে চালানো হয়। এতে সামরিক গাড়িতে থাকা ১২ শত্রু সৈন্য হতাহত হয়।

    এদিন খাইবার প্রদেশের জামরুদ জেলার রাজগাল এলাকায় টিটিপির মুজাহিদিনরা একটি বীরত্বপূর্ণ সফল অপারেশন পরিচালনা করেন। অভিযানটি উক্ত এলাকায় অবস্থিত পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর একটি ঘাঁটি লক্ষ্য করে পরিকল্পিতভাবে চালানো হয়। মুজাহিদিনরা এই যুদ্ধে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীকে টার্গেট করে ১৭টি আরপিজি শেল নিক্ষেপ করেন এবং মাঝারি অস্ত্র দ্বারা প্রায় ২ ঘন্টা যাবৎ তীব্র আক্রমণ চালান। এতে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর অন্তত ১৫ সৈন্য নিহত এবং আরও ৮ সৈন্য আহত হয়।

    এই যুদ্ধটি এতটাই তীব্র ছিলো যে, পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর প্রায় ২০০ সৈন্য ঘাঁটি ছেড়ে পিছু হটতে বাধ্য হয়, পরে যাদের অনেকেই মুজাহিদদের অবরোধের কবলে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে শত্রু সৈন্যদের উদ্ধারে চারটি গানশিপ হেলিকপ্টার এবং দুটি আমেরিকান ড্রোন উক্ত এলাকায় ব্যাপক বোমাবর্ষণ শুরু করে। তখন মুজাহিদিনরা অবরোধ তুলে নেন এবং কোনো হতাহতের ঘটনা ছাড়াই সকল মুজাহিদিনরা নিরাপদ অবস্থানে সরে পড়েন।

    এদিন সন্ধ্যায় টিটিপির মাত্র ৩ জন ইস্তেশহাদী মুজাহিদের একটি দল, পিশিন প্রদেশের কালা আব্দুল্লাহ জেলার গুলিস্তান এলাকায় অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর একটি ঘাঁটিতে অতর্কিত আক্রমণ চালান। এই অভিযানে শহিদ জারার (রহিমাহুল্লাহ্) নামে টিটিপি একজন মুজাহিদ বিস্ফোরক বোঝাই একটি গাড়ি নিয়ে প্রথমে সামরিক ঘাঁটিতে প্রবেশ করেন এবং এর সফল বিস্ফোরণ ঘটান। এতে বহু সংখ্যক শত্রু সৈন্য হতাহত হয়। সফল এই বিস্ফোরণের পর আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত দুইজন ইস্তেশহাদী মুজাহিদিন ক্যাম্পে প্রবেশ করেন।

    মুহাম্মদ উমর এবং মুহাম্মদ কাসিম নামে টিটিপির উক্ত দুই ইস্তেশহাদী মুজাহিদ সাহসিকতার সাথে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে দীর্ঘ এক যুদ্ধে অবতীর্ণ হন। এসময় তারা পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর আঘাতে শাহাদাত বরণের আগ পর্যন্ত তীব্র লড়াই চালিয়ে যান এবং কয়েক ডজন শত্রু সৈন্য ও এফসি সদস্যকে হতাহত করেন। অভিযানের প্রাথমিক ফলাফল থেকে জানা যায়, দীর্ঘ এই যুদ্ধে মুজাহিদদের হামলায় পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর অন্তত ১৮ সৈন্য নিহত এবং আরও ৪২ এরও বেশি সৈন্য আহত হয়েছে।


    তথ্যসূত্র:
    https://tinyurl.com/3tbhk5mn
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ইমারতে ইসলামিয়া’র আইনি কাঠামো সম্পূর্ণ ইসলামি শরিয়াহ ভিত্তিক: আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তালিবান আইনমন্ত্রী



      ইমারতে ইসলামিয়ার সকল আইন ও বিচার প্রক্রিয়া ইসলামি শরিয়াহ ভিত্তিক, যা সকল নাগরিকের অধিকার নিশ্চিত করছে। সম্প্রতি রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক আইনি ফোরামের ১৩তম অধিবেশনে বক্তব্য প্রদানের সময় এই কথা বলেন ইমারতে ইসলামিয়ার আইনমন্ত্রী মৌলভী আব্দুল হাকিম হাফিযাহুল্লাহ।

      আন্তর্জাতিক এই সমাবেশে ইসলামি শরিয়াহ’র পবিত্রতা, অপরিহার্যতা এবং এর প্রতি ইমারতে ইসলামিয়ার গভীর শ্রদ্ধাবোধের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন মৌলভী আব্দুল হাকিম হাফিযাহুল্লাহ। তিনি মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় ইসলামি শরিয়াহ’র গুরুত্ব তুলে ধরেন, এই শরিয়াহ ব্যবস্থাকে সম্মান জানানো সকলের জন্য বাধ্যতামূলক বলে জোরালোভাবে মন্তব্য করেন।

      তিনি আরও বলেন, ইসলামের মূলনীতির আলোকে যেকোনো দেশ বা সংস্থার সাথে আইনি সমন্বয়ে ইমারতে ইসলামিয়া প্রস্তুত রয়েছে। তিনি আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা ও ইমারতে ইসলামিয়ার স্বাধীনতা স্বীকার করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

      উল্লেখ্য যে, রাশিয়ান ফেডারেশন আয়োজিত ৩ দিনব্যাপী এই আন্তর্জাতিক সম্মেলন বিগত ১৯মে আরম্ভ হয়। এতে ৮০টিরও বেশি দেশের দেশের আইনমন্ত্রী, আইন বিষয়ক কর্তৃপক্ষ ও বিশেষজ্ঞমণ্ডলী উপস্থিত ছিলেন এবং স্ব স্ব আলোচনা উপস্থাপন করেছেন।


      তথ্যসূত্র:
      1. IEA’s legal system is wholly based on Sharia law, aiming to protect everyone’s rights
      https://tinyurl.com/8wk6rnc5
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment

      Working...
      X