Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুজাহিদীন নিউজ || ২৫ যিলক্বদ, ১৪৪৬ হিজরী || ২৪ মে, ২০২৫ ঈসায়ী​​

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুজাহিদীন নিউজ || ২৫ যিলক্বদ, ১৪৪৬ হিজরী || ২৪ মে, ২০২৫ ঈসায়ী​​

    আফগানিস্তানের পাকতিয়ায় ৪০ বছরের জাতিগত দ্বন্দ্বের অবসান করলো ইমারতে ইসলামিয়া


    চার দশক ধরে চলা রক্তক্ষয়ী দ্বন্দ্বের অবসান ঘটিয়ে শান্তির এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো আফগানিস্তানের পাকতিয়া প্রদেশে। ইমারতে ইসলামিয়া প্রশাসনের সুনিপুণ তত্ত্বাবধান ও স্থানীয় আলেম-উলামা এবং উপজাতীয় প্রবীণ নেতাদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় লাজ্জা মঙ্গল জেলার দুটি জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী শত্রুতা অবশেষে মীমাংসিত হয়েছে।

    বাখতার নিউজ ২৩ মে এক প্রতিবেদনে জানায়, দীর্ঘদিনের উত্তেজনার কারণে ওই এলাকায় অতীতে কমপক্ষে চারজন প্রাণ হারিয়েছিলেন। সংঘর্ষ থামাতে আলেম-উলামা ও অভিজ্ঞ উপজাতীয় নেতারা শান্তি প্রতিষ্ঠায় মধ্যস্থতার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ধারাবাহিক আলোচনা, বোঝাপড়া ও পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে উভয় পক্ষ একটি ঐতিহাসিক চুক্তিতে উপনীত হয়।

    শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে আয়োজিত পুনর্মিলন সভায় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও আলেম-উলামাগণ অংশ নেন। সেখানে আলেম-উলামাগণ বলেন, ‘ইসলামে হিংসা, ঘৃণা বা বিভেদের কোনো স্থান নেই। শান্তি ও সহনশীলতা ইসলামের মৌলিক শিক্ষা।’ এ সময় আলেম-উলামাগণ জাতিগত বিভেদ ভুলে ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ববোধ জোরদার করার আহ্বান জানান।


    তথ্যসূত্র:
    1. 40 Years of Enmity between Ethnic Groups in Paktia Comes to an End
    https://tinyurl.com/4fdr6ea6
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    আফগানিস্তানের হেরাতে থ্যালাসেমিয়া হাসপাতাল নির্মাণ করল ইমারতে ইসলামিয়া



    ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ হেরাতে প্রথমবারের মতো থ্যালাসেমিয়া রোগীদের চিকিৎসার জন্য একটি সম্পূর্ণ সুসজ্জিত হাসপাতাল নির্মিত হয়েছে। ইমারতে ইসলামিয়ার জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে নির্মিত এ হাসপাতালটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছেন জনস্বাস্থ্যমন্ত্রী মৌলভি নূর জালাল জালালি হাফিযাহুল্লাহ।

    গত ২৩ মে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ইমারতে ইসলামিয়া প্রশাসন। প্রতিবেদনে জানানো হয়, সরকারি সফরে হেরাতে অবস্থানকালে নতুন এই থ্যালাসেমিয়া চিকিৎসা কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জনস্বাস্থ্যমন্ত্রী। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন হেরাতের গভর্নর শেখ নূর আহমেদ ইসলাম জার হাফিযাহুল্লাহ এবং ইরান, তুরস্ক ও তুর্কমেনিস্তানের উচ্চ পর্যায়ের কূটনৈতিক প্রতিনিধিরা।

    এই হাসপাতালটি থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের জন্য একটি বিশেষায়িত সেবা কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে। সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, রোগীদের নিয়মিত চিকিৎসা ও মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে এই কেন্দ্র একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

    উদ্বোধনী বক্তব্যে মন্ত্রী জালালি হেরাতের ব্যবসায়ী ও প্রবীণ সম্প্রদায়ের উদারতা ও অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, ‘থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের চিকিৎসার সুযোগ বাড়াতে এই উদ্যোগ একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক। দেশের অন্যান্য প্রদেশেও এমন উন্নত চিকিৎসা সুবিধা পৌঁছে দিতে উদ্যোক্তাদের ভূমিকা নিতে হবে। সরকার দেশের অভ্যন্তরীণ আর্থিক সম্পদ ব্যবহার করে স্বাস্থ্যসেবায় আত্মনির্ভরশীলতা অর্জনের লক্ষ্যে দৃঢ়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’


    তথ্যসূত্র:
    1. Minister of Public Health Inaugurates Thalassemia Treatment Center in Herat
    https://tinyurl.com/48c9nc35
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      লাঘমান সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প: ক্লিন এনার্জি উৎপাদনে ইমারতে ইসলামিয়ার নবসংযোজন



      গত ২২ মে আফগানিস্তানের লাঘমান প্রদেশে ১০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ স্থাপন প্রকল্পের কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন ইমারতে ইসলামিয়ার অর্থনীতি বিষয়ক উপপ্রধানমন্ত্রী মোল্লা আব্দুল গনি বারাদার হাফিযাহুল্লাহ। যা উক্ত অঞ্চলে ক্লিন এনার্জি উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

      উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা ও দেশের বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আলোকপাত করেছেন মোল্লা বারাদার হাফিযাহুল্লাহ।

      প্রকল্পটিকে বিদ্যুৎ খাতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে ইমারতে ইসলামিয়ার বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেছেন। এছাড়া এটি দেশি-বিদেশি বিনিয়োগে আকৃষ্ট করবে, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে এবং নাগরিকদের জন্য সেবা বৃদ্ধি করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

      দেশজুড়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন সংশ্লিষ্ট ৭টি মেগাপ্রকল্পের আওতায় ২২৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নতুন সংযুক্ত হবে। যা আফগানিস্তানের বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে একটি অভূতপূর্ব পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেছেন উপপ্রধানমন্ত্রী।

      এছাড়া বিদ্যুৎ খাতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন ও আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে আনতে এ ধরনের প্রকল্পের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। এই উদ্দেশ্যে বিনিয়োগকারীদের বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগের প্রতি উৎসাহিত করেন। পাশাপাশি তিনি উদ্যোক্তাদের জন্য অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করতে ইমারতে ইসলামিয়া সরকারের নানামুখী উদ্যোগ সম্পর্কে বর্ণনা করেন।

      উল্লেখ্য যে, লাঘমান সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পে ৬ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে সংশ্লিষ্ট বেসরকারি খাত। এটি সমাপ্ত হলে স্থানীয় বাসিন্দাদের বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ হবে এবং স্থানীয় শিল্প খাতের কার্যক্রম বৃদ্ধি পাবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।


      তথ্যসূত্র:
      1. 10 MW Solar Power Project Launched in Laghman
      https://tinyurl.com/yc8854cv
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        পূর্ব হিরানে ভয়াবহ পরাজয়ের শিকার মোগাদিশু বাহিনী: শাবাব মুজাহিদদের অভিযানে অন্তত ৭৩৪ শত্রু সেনা হতাহত



        সোমালিয়ার পূর্ব হিরান রাজ্যে টানা ৫ দিনের তীব্র লড়াই শেষে পশ্চিমা সমর্থিত মোগাদিশু বাহিনী পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে। অঞ্চলটিতে গত ১৭ মে থেকে ২১ মে পর্যন্ত সংঘটিত তীব্র যুদ্ধে প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাবের আক্রমণে মোগাদিশু বাহিনীর অন্তত ৭৩৪ সৈন্য হতাহত হয়েছে।

        শাহাদাহ এজেন্সির তথ্য অনুযায়ী, ১৭ ও ১৮ মে প্রথম দুদিনের যুদ্ধটি সংঘটিত হয় হিরান রাজ্যের মোকোকোরি জেলার উপকণ্ঠে দুটি এলাকায়। অঞ্চলটিতে মুজাহিদদের প্রথম দুদিনের লড়াইয়ে মোগাদিশু বাহিনীর অন্তত ৩৮৪ শত্রু সৈন্য হতাহত হয়, হতাহতদের মধ্যে নিহত সৈন্য সংখ্যা ছিলো ১৪৩ জন, আর আহত শত্রু সৈন্য সংখ্যা ছিলো ২৪১ জন।

        এমনিভাবে অঞ্চলটিতে তৃতীয় দিনের (১৯ মে) যুদ্ধে অন্তত ১২৩ শত্রু সেনা হতাহত হয়, যাদের মধ্যে নিহত শত্রু সৈন্য সংখ্যা ছিলো ৫৬ জন এবং আহত শত্রু সৈন্য সংখ্যা ছিলো ৬৭ জন।

        এদিকে গত ২০ মে, চতুর্থদিনের মতো এলাকাটিতে হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন ও মোগাদিশু বাহিনীর মধ্যে ভারী যুদ্ধ সংঘটিত হয়। লড়াইটি এদিন ভোরে মোকোকোরি জেলার আইল-হারিরি এলাকায় শুরু হয় এবং তা দুপুর ২:০০ নাগাদ চলতে থাকে। এসময় মুজাহিদদের তীব্র আক্রমণে মোগাদিশু বাহিনীর অন্তত ১৯০ সেনা হতাহত হয়।

        এমনিভাবে গত ২১ মে বুধবার, এলাকাটিতে পঞ্চম দিনের মতো উভয় বাহিনীর মধ্যে তীব্র লড়াই শুরু হয়। এদিন ভোরে মুজাহিদদের কয়েক ঘন্টার আক্রমণেই মোগাদিশু বাহিনীর মনোবল ভেঙে পড়ে। ফলে দুপুরের আগেই মোগাদিশু বাহিনী এলাকা ছেড়ে পিছু হটতে বাধ্য হয়। তবে ততক্ষণে মুজাহিদদের হামলায় মোগাদিশু বাহিনীর কয়েক ডজন সৈন্য হতাহত হয়। এদিনের অভিযানে শত্রু বাহিনীতে হতাহতের প্রাথমিক গণনায় কমপক্ষে ৩ সৈন্য নিহত এবং ৩৪ সৈন্য আহত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

        বুধবারের এই যুদ্ধে মুজাহিদদের হামলায় মোগাদিশু বাহিনীর শীর্ষ সামরিক অফিসার কমান্ডার হুজালে নিহত হয়। এদিন তার শেষকৃত্যে যোগ দেয় মধ্য শাবেলি রাজ্যের উপ-প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ দাবা-গেদ। শেষকৃত্যে যোগ দেওয়ার সময় এই মন্ত্রী সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় চোখের জল ধরে রাখতে পারে নি। সে স্বীকার করেছে যে, এই যুদ্ধে আশ-শাবাবের হামলায় সৈন্যদের মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। কিন্তু উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতিই করতে পারে নি মোগাদিশু বাহিনী।


        তথ্যসূত্র:
        https://tinyurl.com/k3smw8uh
        https://tinyurl.com/t8exuyat
        https://tinyurl.com/2we4th5n
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          কুফরি শাসনব্যবস্থায় অবহেলিত নারী সমাজ, ইসলামে প্রকৃত মুক্তি, দৃষ্টান্ত ইমারতে ইসলামিয়া




          নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা ও সামাজিক কল্যাণ নিশ্চিত করতে প্রশংসনীয় অবদান রেখে চলেছে ইমারতে ইসলামিয়ার সৎ কাজে আদেশ ও অসৎ কাজে নিষেধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিগত আফগান মাসের (২০ এপ্রিল থেকে ২০ মে পর্যন্ত) উল্লেখযোগ্য সাফল্য তুলে ধরেছেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র।

          বিগত মাসে ৩৮ জন নারীর জোরপূর্বক বিবাহ প্রতিরোধ করা হয়েছে, ২৪ জন নারীর শরিয়াহ উত্তরাধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে এবং ৪০ জন নারীকে পারিবারিক সহিংস পরিস্থিতি থেকে রক্ষা করা হয়েছে।

          এছাড়া যৌতুকের কবল থেকে ২২ জন নারীকে মুক্ত করা হয়েছে। ৮ জন নারীর বিবাহ রোধ করা হয়েছে, যেখানে নারীগণ প্রতারণার স্বীকার হয়েছিল।

          উল্লেখ্য যে, উল্লিখিত সমস্যাগুলো আমাদের বাংলাদেশেও প্রকট, কিন্তু তা সমাধানে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে উল্লেখযোগ্য কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা যায় না।

          অথচ সম্প্রতি বাংলাদেশে নারী বৈষম্য দূর করার নামে ইসলাম বিরোধী নানা সুপারিশ উপস্থাপন করে তথাকথিত নারী সংস্কার কমিশন। নারী অধিকারের আড়ালে নারীদের কোনঠাসা করা, তাদের স্বাভাবিকত্ব নষ্ট করাই যেন কথিত নারী কমিশনের উদ্দেশ্য। যেখানে পতিতাবৃত্তির মতো হারাম ও অবমাননাকর পেশাকে স্বীকৃত দেয়ার মত উদ্ভট দাবি তোলা হয়েছে। এছাড়া পারিবারিক ও উত্তরাধিকার আইনে মহান আল্লাহর বিধানকে চ্যালেঞ্জ করার মত দুঃসাহস দেখানো হয়েছে। দেশের আলেম-ওলামা থেকে সর্বস্তরের মুসলমান জনগণ ঘৃণার সাথে এই সকল দাবির বিরোধিতা করে যাচ্ছেন।

          যেখানে কুফরি শাসনব্যবস্থার আওতাধীন বাংলাদেশের মত মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোতে নারী সমাজ অবহেলিত হচ্ছে, এর বিপরীতে মহান আল্লাহর বিধানের আলোকে নারীদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে কাজ করে যাচ্ছে ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান। ইমারতে ইসলামিয়ার সৎ কাজে আদেশ ও অসৎ কাজে নিষেধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত কার্যক্রম থেকে তা বারংবার সুস্পষ্ট হয়েছে।


          তথ্যসূত্র:
          1. Ministry of Promotion of Virtue and Prevention of Voice deterred 38 forced marriages last month
          https://tinyurl.com/43fw8v4k
          নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

          Comment

          Working...
          X