Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুজাহিদীন নিউজ || ২৭ যিলক্বদ, ১৪৪৬ হিজরী || ২৬ মে, ২০২৫ ঈসায়ী​​

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুজাহিদীন নিউজ || ২৭ যিলক্বদ, ১৪৪৬ হিজরী || ২৬ মে, ২০২৫ ঈসায়ী​​

    মুজাহিদদের হামলায় উত্তর বেনিনের মেকরু এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে সেনাবাহিনী



    বুর্কিনা ফাসোর সীমান্তবর্তী মেকরু গ্রামে শত্রু সামরিক ব্যারাকে অতর্কিত আক্রমণ চালিয়েছেন মুজাহিদিনরা। এতে বেনিনিজ সেনাবাহিনী মেকরু গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছে।

    আয-যাল্লাকা মিডিয়া ২৪শে মে শনিবার নিশ্চিত করেছে যে, আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন (জেএনআইএম) মুজাহিদিনরা গত ১৯শে মে সোমবার, উত্তর বেনিনে একটি অতর্কিত আক্রমণ চালিয়েছেন। আক্রমণটি বুরকিনা ফাসোর সীমান্ত সংলগ্ন উত্তর বেনিনের মেকরু এলাকায় অবস্থিত সেনা বাহিনীর একটি সামরিক ব্যারাক লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে।

    সামরিক ব্যারাক লক্ষ্য করে মুজাহিদিনরা পরিকল্পিত আক্রমণ শুরু করলে শুরু পর্যায়ে আক্রমণের শিকার বেনিনিজ সৈন্যরা মুজাহিদদের অগ্রগতি প্রতিহত করার চেষ্টা করে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মুজাহিদদের তীব্র আক্রমণের সামনে বেনিনিজ সেনাবাহিনীর প্রতিরক্ষা ভেঙে পড়ে, এতে বেনিনিজ সেনাবাহিনী জয়ের হাল ছেড়ে দিয়ে জীবন বাঁচাতে পালাতে শুরু করে। ততক্ষণে মুজাহিদদের হামলায় বেশ কিছু বেনিনিজ সৈন্য হতাহত হয়।

    এদিকে ‘জেএনআইএম’ অফিসিয়ালি এই অভিযানে শত্রু শিবিরে হতাহতদের সুনির্দিষ্ট সংখ্যা উল্লেখ করা ছাড়াই নিশ্চিত করেছে যে, মুজাহিদিনরা অভিযান শেষে বেশ কিছু অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম গনিমত হিসাবে পেয়েছেন। এসবের মধ্যে রয়েছে ১টি দুশকা অস্ত্র, ২৬টি গোলাবারুদের বাক্স, ৭০টি মর্টার শেল এবং অন্যান্য বহু সামরিক সরঞ্জাম।


    তথ্যসূত্র:
    https://tinyurl.com/nb4khmb7
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    গাজায় মুজাহিদদের বীরত্বপূর্ণ প্রতিরোধে ইহুদিবাদী সৈন্যদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি




    ইহুদিবাদী দখলদার পক্ষের গণহত্যা ও নৃশংসতার বিরুদ্ধে গাজা উপত্যকায় ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনীর অপারেশন আরও তীব্র হয়েছে। ফিলিস্তিনি মুজাহিদদের সমন্বিত আক্রমণে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। ফিলিস্তিন ইসলামিক জিহাদের সশস্ত্র শাখা আল-কুদস ব্রিগেড এবং আল-কাসসাম ব্রিগেড এর সাম্প্রতিক সফল অপারেশনগুলো ইহুদিবাদী আগ্রাসনের মুখে প্রতিরোধের এক জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ২৬ মে, সোমবার প্যালেস্টাইন ক্রনিকেল তাদের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

    আল-কুদস ব্রিগেড গাজা সিটির পূর্বাঞ্চলীয় শেখাইয়া এলাকায় ইহুদিবাদী দখলদার বাহিনীর উপর এক জটিল ও পরিকল্পিত অ্যাম্বুশ পরিচালনা করেছে। মুজাহিদরা দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর ফেলে যাওয়া একটি অবিস্ফোরিত বোমা ও একটি “সাকিব” বিস্ফোরক ব্যবহার করে দখলদার সৈন্যদের যানবাহনগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে।

    অপারেশনের ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, বিস্ফোরক স্থাপনের পর মুজাহিদরা অপেক্ষা করছিলেন, এসময় দখলদার সৈন্যরা কিছু সামরিক যানবাহনসহ অ্যাম্বুশের স্থানে প্রবেশ করে। এর কিছুক্ষণ পরেই এক শক্তিশালী বিস্ফোরণের ফলে ধোঁয়ার পুরু মেঘে আকাশ ঢেকে যায়। এই সফল আক্রমণে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

    এই অপারেশনটি ইহুদিবাদী দখলদার পক্ষের জন্য একটি বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে, বিশেষত যখন তারা “গিডিয়নস চ্যারিয়টস” নামক এক নয়া সামরিক আগ্রাসন বাস্তবায়নের চেষ্টা চালাচ্ছে। এই আগ্রাসনের অংশ হিসেবে ইসরায়েলি বাহিনী হাজার হাজার রিজার্ভ সৈন্য মোতায়েন করেছে, কিন্তু ইসলামি প্রতিরোধের মুখে তাদের এই সকল পরিকল্পনা বারবার ধূলিসাৎ হয়ে যাচ্ছে।

    এদিকে, প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সশস্ত্র শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেড খান ইউনিসের পূর্বাঞ্চলীয় আল-কারারা শহরে ইহুদিবাদী বাহিনীর উপর একটি দ্বৈত অপারেশন পরিচালনা করেছে। মুজাহিদরা একটি বাড়িতে অবস্থানরত ইসরায়েলি সৈন্যদের লক্ষ্য করে শক্তিশালী বিস্ফোরক ব্যবহার করেন, যার ফলে বাড়িটি ধসে যায় এবং ইহুদিবাদী সৈন্যরা নিহত ও আহত হয়।

    এই অপারেশনটি ২০ মে সকালে পরিচালিত হয়, যা ইসরায়েলি আগ্রাসনগুলোর বিরুদ্ধে চলমান প্রতিরোধের অংশ। অপারেশন চলাকালে ইসরায়েলি হেলিকপ্টারগুলো আহত সৈন্যদের উদ্ধার করতে দেখা গেছে, যা ইহুদিবাদী পক্ষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিরই প্রমাণ দেয়।

    দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী তাদের ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত সংখ্যা গোপন করলেও, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সূত্রে জানা গেছে যে গাজায় ইহুদিবাদী সৈন্যদের মৃত্যু ও আহতের সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলোও স্বীকার করেছে যে, প্রতিরোধ যোদ্ধাদের ও ইসলামিক জিহাদের প্রতিরোধ কৌশল তাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    গাজায় মুজাহিদদের এই বীরত্বপূর্ণ অপারেশনগুলো প্রমাণ করে যে, ইহুদিবাদী দখলদার পক্ষ যতই অস্ত্র ও সৈন্য মোতায়েন করুক না কেন, ফিলিস্তিনি জনগণের সংগ্রাম ও ত্যাগের কাছে তাদের সকল পরিকল্পনা ধ্বংস হতে বাধ্য। পাশ্চাত্যের সমর্থনপুষ্ট এই ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীরা ফিলিস্তিনি ভূমি দখলের মাধ্যমে একটি অবৈধ রাষ্ট্র গঠন করতে চাচ্ছে, কিন্তু ইসলামি প্রতিরোধের অগ্রযাত্রা তাদের সকল ষড়যন্ত্রকে ব্যর্থ করে দিচ্ছে।


    তথ্যসূত্র:
    1. Al-Quds Brigades Target Israeli Vehicles in Explosive Ambush in Sheja’iyya
    https://tinyurl.com/4nwdt9sb
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      আফগানিস্তানের পাঞ্জশির প্রদেশে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট আধুনিক হাসপাতাল গড়ে তোলার উদ্যোগ


      আফগানিস্তানের পাঞ্জশির প্রদেশের বাহরাক অঞ্চলে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট আধুনিক মানসম্পন্ন হাসপাতাল নির্মাণের ঘোষণা জানিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসন। এই উদ্দেশ্যে ১৪ কোটি ৮০ লক্ষ আফগানি বাজেট অনুমোদন করেছেন ইমারতে ইসলামিয়ার সর্বোচ্চ আমীর।

      প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র সাইফুদ্দিন লাতুন হাফিযাহুল্লাহ জানান, উক্ত হাসপাতালে অস্ত্রোপচার, অভ্যন্তরীণ মেডিসিন, শিশুরোগ, স্ত্রীরোগ, অর্থোপেডিক এবং অন্যান্য বিশেষায়িত বিভাগ অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এছাড়া ৩ তলা বিশিষ্ট হাসপাতালটিতে চক্ষু, ইএনটি, অপারেশন থিয়েটার, ফার্মেসি, এক্স-রে, মর্গ এবং রোগীর অপেক্ষার জন্য পৃথক পৃথক ইউনিট থাকবে।

      এটি পাঞ্জশির প্রদেশের কেন্দ্রীয় ও প্রত্যন্ত সকল জেলার বাসিন্দাদের মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা সরবরাহ করবে বলে তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন।

      স্বাস্থ্যসেবায় একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে উক্ত পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন প্রদেশটির গভর্নর হাফিজ মুহাম্মদ আগা হাকিম হাফিযাহুল্লাহ। এই সহায়তার জন্য ইমারতে ইসলামিয়ার সংশ্লিষ্ট নেতৃত্ব পরিষদের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।


      তথ্যসূত্র:
      1. Standard 100-Bed Hospital to Be Constructed in Panjshir Center
      https://tinyurl.com/ydu9z3kw
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        মালি | মুজাহিদদের নিয়ন্ত্রণে জান্তার সামরিক ব্যারাক ও এলাকা: নিহত ৪০ শত্রু সেনা



        মালিতে জান্তা বাহিনীর একটি সামরিক ব্যারাকে হামলা চালিয়েছেন আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ‘জেএনআইএম’ মুজাহিদিনরা। এতে ৪০ শত্রু সেনা নিহত হওয়া ছাড়াও জান্তা বাহিনীর ২১টি যানবাহন ধ্বংস করা হয়েছে।

        আয-যাল্লাকা মিডিয়ার তথ্যমতে, জামাআত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন (জেএনআইএম) মুজাহিদিনরা গত ২৩ মে সন্ধ্যায়, মালির মোপ্তি রাজ্যে একটি সফল সামরিক অপারেশন পরিচালনা করছেন। অপারেশনটি উক্ত রাজ্যের দিওরা এলাকায় অবস্থিত জান্তা বাহিনীর একটি শক্তিশালী সামরিক ব্যারাক লক্ষ্য করে পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানে অংশ নেন ‘জেএনআইএম’ এর অর্ধশতাধিক মুজাহিদ, যারা হালকা ও মাঝারি অস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালাতে চালাতে ঘাঁটির দিকে অগ্রসর হন।

        এই অভিযানের সময় মালিয়ান সেনাবাহিনী (জান্তা) শক্তিশালী কোনো প্রতিরোধ ছাড়াই দৌঁড়ে পালাতে শুরু করে। আর কিছু সংখ্যক সৈন্য যারা পাল্টা আক্রমণের চেষ্টা করে, তাদের অধিকাংশ সৈন্যই মুজাহিদদের তীব্র আক্রমণে নিহত ও আহত হয়। মুজাহিদদের আক্রমণে নিহত কিছু শত্রু সৈন্য
        সূত্রমতে, মুজাহিদিনরা এক ঘন্টারও কম সময়ের তীব্র লড়াইয়ের পর জান্তা বাহিনীকে হটিয়ে সামরিক ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নেন। এসময় মুজাহিদদের হামলায় অন্তত ৪০ জান্তা সদস্য নিহত এবং আরও অসংখ্য সৈন্য আহত হয়। অন্য সৈন্যরা পালিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে মুজাহিদিনরা দিওরা এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেন। সামরিক ঘাঁটি থেকে মুজাহিদদের অর্জিত কিছু গনিমত সামরিক ঘাঁটি থেকে মুজাহিদদের অর্জিত কিছু গনিমত
        মুজাহিদিনরা এই অভিযান শেষে জান্তা বাহিনীর সামরিক ব্যারাক থেকে ৬টি যানবাহন, ৯৭টি অস্ত্র, ১২৬টি ম্যাগাজিন, ১৬২টি গোলাবারুদের বাক্স এবং অন্যান্য বহু সামরিক সরঞ্জাম গনিমত লাভ করেন। এসমস্ত গনিমতের মধ্যে রয়েছে ৪টি 14.5mm মেশিনগান, ৫টি দুশকা, ১৩টি পিকে, ৪টি আরপিজি, ৫৭টি ক্লাশিনকোভ, ৪টি পিস্তল, ২টি মর্টার, ১২৬টি ম্যাগাজিন, ১৬২টি গোলাবারুদের বাক্স, ৩৬টি পিকে, ১৬টি আরপিজি শেল এবং অন্যান্য আরও বহু সামরিক সরঞ্জাম। সেই সাথে এই অভিযানে সময় মুজাহিদিনরা শত্রু বাহিনীর ৩টি সাঁজোয়া যান সহ ২১টি যানবাহন ধ্বংস করেন।


        তথ্যসূত্র:
        https://tinyurl.com/nb4khmb7
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিক্ষা-সুবিধা বিস্তৃত করছে ইমারতে ইসলামিয়া, হেরাত প্রদেশে ৪৩টি নতুন স্কুল প্রতিষ্ঠা




          মার্চ, ২০২৪ ইং এর পর থেকে শুরু হওয়া শিক্ষাবর্ষে আফগানিস্তানের হেরাত প্রদেশে ৪৩টি নতুন স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছে ইমারতে ইসলামিয়া সরকার। এর ফলে হাজার হাজার শিশুর শিক্ষা লাভের সুযোগ সম্প্রসারিত হয়েছে।

          হেরাত প্রদেশের শিক্ষা পরিচালক মৌলভী রহমতুল্লাহ জব্বার হাফিযাহুল্লাহ জানান, হেরাতের ৫টি সরকারি ও ৩৮টি বেসরকারি স্কুলে নতুন শিক্ষা-সুবিধাসমূহ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। স্কুলগুলো বর্তমানে হেরাত শহর ও আশেপাশে ৭টি জেলায় পরিচালিত হচ্ছে।

          তিনি আরও জানান, প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্কুলগুলোকে প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণ ও যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক দ্বারা পরিপূর্ণভাবে প্রস্তুত করা হচ্ছে।

          অপরদিকে ইতোপূর্বে সুবিধাবঞ্চিত থাকা পরিবারগুলো তাদের সন্তানদের শিক্ষায় উন্নতির কথা ব্যক্ত করেছেন। অনেক পরিবারের শিশুরা এখন কয়েক মিনিটের মধ্যেই স্কুলে উপস্থিত হতে পারছেন। অথচ ইতোপূর্বে তাদেরকে স্কুলে যেতে অনেক দুর্গম পথ অতিক্রম করতে হত।

          শিক্ষা ব্যবস্থায় সংস্কার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্প্রসারণের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে ইমারতে ইসলামিয়া প্রশাসন। সরবরাহকৃত শিক্ষা-সুবিধাসমূহ নিয়মিত তদারকি করা হবে বলেও জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ।


          তথ্যসূত্র:
          1. Herat Opens 43 New Schools in Current Academic Year
          https://tinyurl.com/bdep273r
          নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            ভারত, পাকিস্তান, ইরান এমনকি চীনের কাছেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে ইমারতে ইসলামিয়া



            চার বছর আগে কাবুল পুনর্দখলের পর তালিবান মুজাহিদিনের হাতে প্রতিষ্ঠা লাভ করে ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান। আজও কোনো রাষ্ট্র আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি না দিলেও, একে উপেক্ষা করার ক্ষমতা হারিয়েছে আঞ্চলিক শক্তিগুলো। ভারতের মতো চিরবিরোধী শক্তি থেকে শুরু করে পাকিস্তান, ইরান ও চীনের মতো প্রভাবশালী প্রতিবেশী পর্যন্ত তালিবান নেতৃত্বাধীন ইমারতে ইসলামিয়ার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখতে বাধ্য হচ্ছে। এ যেন স্বীকৃতি না দিয়েও বাস্তবতাকে মেনে নেওয়ারই নামান্তর।

            বিশেষ করে ইমারতে ইসলামিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি হাফিযাহুল্লাহ সম্প্রতি একাধিক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে অংশ নিয়েছেন, যা ইমারতে ইসলামিয়াকে আঞ্চলিক কূটনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছে। পাকিস্তান, ভারত, ইরান ও চীনের মতো পরাশক্তিগুলোর সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে মুত্তাকির অংশগ্রহণ প্রমাণ করছে, তালিবান সরকারকে বাদ দিয়ে এখন আর দক্ষিণ এশিয়ায় কূটনৈতিক হিসাব কষা সম্ভব নয়।

            ভারত একসময় তালিবানকে পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের হাতের পুতুল মনে করত, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর কাবুলে দূতাবাসও বন্ধ করে দেয় দিল্লি। কিন্তু এখন সেই ভারতই ২০২২ সালের মধ্যে কাবুলে দূতাবাসে ‘প্রযুক্তিগত বিশেষজ্ঞ’ পাঠিয়েছে।

            অন্যদিকে, পাকিস্তানের জন্য তালিবান এখন এক বিরাট কৌশলগত চ্যালেঞ্জ। তেহরিক-ই-তালিবানের হামলার সংখ্যা বেড়েছে, যার জন্য ইসলামাবাদ আফগান ভূখণ্ডকে দায়ী করছে। যদিও ইমারতে ইসলামিয়া এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। সীমান্তে বাণিজ্য বাধা, আফগান শরণার্থীদের জোরপূর্বক বহিষ্কার, এসবই দুই দেশের সম্পর্কে উত্তেজনার ইঙ্গিত দেয়। এর মধ্যেই পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশহাক দার কাবুল সফর করেছেন এবং মুত্তাকি হাফিযাহুল্লাহর সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনাও করেছেন, যা সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তালিবান সরকারের ওপর ইসলামাবাদের নির্ভরতা তুলে ধরে।

            ইরানের সঙ্গেও এখন বাস্তববাদী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছে ইমারতে ইসলামিয়া। ১৯৯৮ সালের মাজার-ই-শরীফ হত্যাকাণ্ডের পর সম্পর্কের অবনতি হলেও, বর্তমান সময়ে সীমান্ত নিরাপত্তা, বাণিজ্য ও পানিবণ্টন ইস্যুতে ইরান তালিবানের সঙ্গে সরাসরি সমঝোতায় যাচ্ছে।

            চীন এখনো স্বীকৃতি দেয়নি ঠিকই, তবে তালিবানের সঙ্গে একাধিক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক এবং বিনিয়োগ পরিকল্পনা স্পষ্ট করছে—বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ, খনিজ সম্পদ আহরণসহ নানা বিষয়ে বেইজিং এখন কৌশলগতভাবে তালিবান সরকারের সাথে কাজ করতে চায়। আফগানিস্তানের ভূ-অবস্থান এবং সম্পদ চীনকে এই অঞ্চলে এক নতুন মিত্র খুঁজে পেতে বাধ্য করছে।

            আজকে যে তালিবান সরকারকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি, সেটি একপ্রকার আনুষ্ঠানিকতার প্রশ্ন মাত্র। আসল সত্য হলো, ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানই এখন আফগান ভূখণ্ডের একমাত্র কার্যকর সরকার, যার সঙ্গে উপেক্ষা নয় বরং সমঝোতার দিকেই ঝুঁকছে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার শক্তিধর রাষ্ট্রগুলো।


            তথ্যসূত্র:
            1. Guess who India, Pakistan and Iran are all wooing? The Taliban
            https://tinyurl.com/2fxp3u46
            নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              একজন প্রকৃত মুসলিমের কাছে পদ কিংবা ক্ষমতার কোনো মূল্য নেই: ইমারতে ইসলামিয়ার সেনাপ্রধান




              ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের সেনাপ্রধান ফাসিহউদ্দিন ফিতরত (হাফিযাহুল্লাহ) বলেছেন, ইমারতে ইসলামিয়ার জিহাদ ছিল কেবলমাত্র দেশের স্বাধীনতা অর্জন এবং ইসলামি শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য; এটি কোনোভাবেই পদ, মর্যাদা বা ক্ষমতার জন্য ছিল না। গত ২৪ মে কাবুলে এক বিশাল সমাবেশে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এ কথা বলেন।

              তিনি বলেন, ‘জিহাদের শুরু থেকেই আমাদের লক্ষ্য ছিল আমাদের ইসলামি ভূমি আফগানিস্তানকে আমেরিকা ও তার মিত্রদের দখল থেকে মুক্ত করা। আমরা একটি স্বাধীন আফগানিস্তান চাই। এমন একটি দেশ যেখানে জনগণ ইসলাম চায়, ইসলামি শাসন চায় এবং একটি পূর্ণাঙ্গ ইসলামি ব্যবস্থার অধীনে জীবনযাপন করতে চায়।’

              ফাসিহউদ্দিন ফিতরত আরও বলেন, ‘একজন প্রকৃত মুসলিমের কাছে ব্যক্তিগত পদ, পদমর্যাদা কিংবা ক্ষমতা মূখ্য কোনো বিষয় না। আমাদের লক্ষ্য ছিল পরাধীনতা থেকে মুক্তি ও আল্লাহর বিধান প্রতিষ্ঠা।’

              সমাবেশে ইমারতে ইসলামিয়ার অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। তারাও দৃঢ়ভাবে বলেন, তাদের জিহাদ ছিল মার্কিন দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে, যার মূল উদ্দেশ্য ছিল একটি খাঁটি ইসলামি রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা। তারা আরও জানান, আজ আফগানিস্তান একক নেতৃত্ব, এক পতাকা, এক কণ্ঠস্বর এবং একক কমান্ড কাঠামোর অধীনে পরিচালিত হচ্ছে, যা জাতির জন্য এক ঐতিহাসিক নিয়ামত।


              তথ্যসূত্র:
              1. Position and power hold no value for a Muslim, says Chief of Army Staff
              https://tinyurl.com/5vampa76
              নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                ইমারতে ইসলামিয়ার প্রচেষ্টায় পাকিস্তানের কারাগার থেকে ২৮৭ আফগান নাগরিক মুক্ত


                পাকিস্তানের বিভিন্ন কারাগারে আটক ২৮৭ জন আফগান নাগরিককে মুক্ত করে দেশে ফিরিয়ে নিয়েছে ইমারতে ইসলামিয়ার শরণার্থী ও প্রত্যাবাসন মন্ত্রণালয়।

                গত ২৪ মে ইমারতে ইসলামিয়ার শরণার্থী মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, আটক ব্যক্তিদের বেশিরভাগের কাছেই বৈধ কাগজপত্র থাকলেও, পাকিস্তানের বিভিন্ন শহর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং একদিন থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ দশদিন পর্যন্ত আটকে রাখা হয়েছিল।

                আফগান গণমাধ্যম সূত্রে জানা জানায়, দেশে ফেরার পর প্রত্যেককে নিবন্ধন প্রক্রিয়ার আওতায় আনা হয় এবং প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা দেওয়ার পর তাদের নিজ নিজ পৈতৃক বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।

                বিশ্লেষকরা এই উদ্যোগকে ইমারতে ইসলামিয়ার প্রতিশ্রুত নিরাপদ প্রত্যাবাসন ও মানবিক দায়িত্ব পালনের একটি বাস্তব দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখছেন।


                তথ্যসূত্র:
                1. د پاکستان له زندانونو نږدې ۳۰۰ افغانان ازاد شول
                https://tinyurl.com/4embxbaw
                নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                Comment

                Working...
                X