Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুজাহিদীন নিউজ || ০৯ যিলহজ্ব, ১৪৪৬ হিজরী || ০৬ জুন, ২০২৫ ঈসায়ী​​

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুজাহিদীন নিউজ || ০৯ যিলহজ্ব, ১৪৪৬ হিজরী || ০৬ জুন, ২০২৫ ঈসায়ী​​

    পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ইমারতে ইসলামিয়ার সর্বোচ্চ নেতা আমীরুল মু’মিনীন শাইখ হিবাতুল্লাহ আখুন্দযাদা হাফিযাহুল্লাহর শুভেচ্ছা বার্তা




    পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়েছেন ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ প্রধান বা আমীরুল মু’মিনীন শাইখ হিবাতুল্লাহ আখুন্দযাদা হাফিযাহুল্লাহ।

    গত ৪ জুন, পবিত্র হজ্ব ও ঈদুল আজহা উপলক্ষে আমীরুল মু’মিনীন শাইখ হিবাতুল্লাহ আখুন্দযাদা হাফিযাহুল্লাহ এর পক্ষ থেকে একটি বার্তা প্রকাশিত হয়। এই বার্তায় তিনি সকলকে পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা ও হাজ্বীদের জন্য দোয়া চাওয়ার পাশাপাশি ইসলামি বিশ্বাস, কুরবানীর চেতনা, শরিয়াহর গুরুত্ব, মুসলিম উম্মাহর সামষ্টিক দায়িত্ব, আফগানিস্তানের মন্ত্রী, আলেম-ওলামা সহ সর্বস্তরের জনগণের দায়দায়িত্ব ও কর্তব্যের ব্যাপারে নসিহত ও দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।

    বার্তায় হামদ, সানা, তাকবীরের মাধ্যমে তিনি শুরু করেন। কুরবানী, নামাজ, হজ্ব ও তাওহীদের গুরুত্ব সম্বলিত আয়াত ও হাদিস উল্লেখ করেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম‌ এর কুরবানীর সুন্নাহকে তুলে ধরেন। মহান আল্লাহর নিকট কুরবানী কতটা প্রিয়, তা বর্ণনা করেন। কুরবানীর প্রকৃত চেতনা হিসেবে ইখলাস (নিষ্ঠা), তাওয়াক্কুল (আল্লাহর ওপর ভরসা) এবং পরিপূর্ণ আনুগত্যের কথা তুলে ধরেন।

    তিনি শরিয়াহ পুনঃপ্রতিষ্ঠায় সকলের ত্যাগ-তিতিক্ষার কথা স্মরণ করেন এবং আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া আদায় করেন। শরিয়াহ শাসন ধরে রাখতে সকলকে সংকল্পবদ্ধ হওয়ার এবং সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার প্রতি জোর দেন।

    আলেম-ওলামাদের দায়িত্ব সম্পর্কে বলেন, কুরআনের আয়াতের মধ্যে স্পষ্ট বলা হয়েছে যে, দ্বীন প্রচার ও সত্য কথা বলার সবচেয়ে বড় দায়িত্ব আলেমদের। তারা যেনো কোন ভয় ও লোভ-লালসার বশবর্তী না হন এবং শরিয়াহর বিধান সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেন। এই প্রসঙ্গে তিনি অন্যান্য আসমানী ধর্মের আলেমদের উদাহরণ টেনে আনেন, যারা দুনিয়াবি স্বার্থে দ্বীনকে বিকৃত করেছিলো।

    শাসক ও নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্বদের ব্যাপারে বলেন, তারা যদি দ্বীন অনুযায়ী চলেন, তাহলে জনগণও সৎ পথে থাকবে। এই প্রসঙ্গে তিনি হযরত আবু বকর সিদ্দীক রাদিয়াল্লাহু আনহু ও হযরত উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু এর কিছু বর্ণনা তুলে ধরেন। এর মাধ্যমে তিনি ফুটিয়ে তুলেন যে, ইসলামি নেতৃত্ব ও শাসনের স্থায়িত্ব শরিয়াহর আনুগত্যের সাথে জড়িত।

    বিচারব্যবস্থা ও অন্যান্য সরকারি দপ্তরের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বিচারকদেরকে নিরপেক্ষভাবে ন্যায়বিচার কায়েম ও নির্যাতিতদের অধিকার রক্ষা করতে হবে। রায় প্রদানে সততা অবলম্বন করতে হবে এবং কারো প্রতি ন্যূনতম জুলুম করা যাবে না।

    এছাড়া হজ্ব ও ওয়াকফ মন্ত্রণালয়, ‘আমর বিল মারুফ ও নাহী আনিল মুনকার মন্ত্রণালয়’, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শরণার্থী মন্ত্রণালয়কেও তাদের ধর্মীয় ও নৈতিক দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দেন। বিশেষত, আমর-নাহী মন্ত্রণালয়কে দায়িত্বের প্রতি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বারোপ করেন।

    অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও স্বনির্ভরতা প্রসঙ্গে বলেন, ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে যে, তারা যেনো দেশকে অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতার পথে নিয়ে যান। যেনো আমাদের দেশ পরনির্ভরশীলতা থেকে মুক্ত হতে পারে।

    তিনি দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার ক্ষেত্রে সম্পদ ও অর্থনৈতিক শক্তিকে বর্তমান যুগের মূল হাতিয়ার হিসেবে উল্লেখ করেন।

    শরণার্থীদের প্রত্যাবাসন ও পুনর্বাসন এবং নিরাপত্তা বাহিনীর দায়িত্ব নিয়েও কথা বলেন। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে সাধারণ জনগণের সঙ্গে সদাচরণ, বিনয় এবং জনসেবার শিক্ষা দেন।

    ছাত্র সমাজের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আমি মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয় এবং স্কুল সহ সবধরণের প্রতিষ্ঠানের ছাত্রদেরকে সময়ের অপচয় থেকে বাঁচতে, জ্ঞানার্জনের প্রতি মনোযোগী হতে এবং জাতির ভবিষ্যৎ নির্মাণের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করার নসিহত করছি।’

    বার্তায় ফিলিস্তিন ইস্যুতে তিনি সন্ত্রাসী ইসরায়েল কর্তৃক গণহত্যা ও আগ্রাসনকে ইতিহাসের সবচেয়ে নৃশংস মানবিক ট্রাজেডি আখ্যা দেন। এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান সরকারের সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।

    পরিশেষে তিনি সকলকে আবারও পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানান এবং সমগ্র মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনা করে দোয়া করেন। আল্লাহ পাক যেনো সকলের আমল কবুল করে নেন, সেই দোয়াও করেন।


    তথ্যসূত্র:
    1. Congratulatory Message from His Highness Amir al-Mu’minin, Sheikh al-Quran wal-Hadith, Mawlawi Hibatullah Akhundzada (may Allah protect him), on the Auspicious Occasion of Eid al-Adha
    https://tinyurl.com/bdm4mf5y
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    বোলিকেসির যুদ্ধ: জেএনআইএম’এর যন্ত্রণাদায়ক আঘাতে মালির জান্তা ও ওয়াগনারের ৪৩৩ সৈন্য হতাহত



    আল-কায়েদা পশ্চিম আফ্রিকা সংশ্লিষ্ট সামরিক শাখা জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন (জেএনআইএম)। দলটির মুজাহিদিনরা মালির কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত ডুয়েন্তজা অঞ্চলের বোলিকেসি শহরে বৃহৎ পরিসরে একটি সামরিক অপারেশন পরিচালনা করছেন। এতে শত্রু বাহিনীর কয়েক শতাধিক সৈন্য নিহত এবং ৩৩টি সামরিক যান ধ্বংস হয়েছে বলে জানা গেছে।

    আয-যাল্লাকার প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত ১লা জুন রবিবার ভোর ৫:৩০ মিনিটের সময়, ভারী ও মাঝারি অস্ত্রে সজ্জিত জেএনআইএম’এর প্রায় ২০০ বীর মুজাহিদ মালির মোপ্তি রাজ্যে একটি সফল অভিযান চালিয়েছেন। রাজ্যের ডুয়েন্তজা অঞ্চলের উপকন্ঠে বোলিকেসি শহরে অবস্থিত জান্তা বাহিনীর একটি বৃহৎ সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে অভিযানটি চালানো হয়। জেএনআইএমের এই অভিযানটি ছিলো সাম্প্রতিক সময়ে মালিতে জান্তা ও ওয়াগনার বিরুদ্ধে মুজাহিদদের পরিচালিত একটি যন্ত্রণাদায়ক আঘাত।

    এই অভিযানের তীব্রতা এতোটাই প্রকট ছিলো যে, শত্রু সৈন্যরা মুজাহিদদের বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ করার এবং জীবন বাঁচাতে পালানোর মতো সুযোগও পায় নি। ফলে শত শত জান্তা এবং ওয়াগনার সদস্য হতাহতের শিকারে পরিণত হয়েছে। এই যুদ্ধের সময় শত্রুর একটি বোমারু বিমান ও কয়েকটি তুর্কি ড্রোন জান্তা বাহিনীকে সহায়তা করার চেষ্টা করে, কিন্তু মুজাহিদিনরা বিমানগুলি লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করলে সেগুলো দিক পরিবর্তন করে ফিরে যায়।

    জেএনআইএম প্রাথমিকভাবে ১৫ ওয়াগনার ভাড়াটে সৈন্য সহ ১০০ এর বেশি জান্তা সদস্য নিহত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছে। অপরদিকে স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে, জেএনআইএম’এর হামলার সময় ঘাঁটিতে ৪৮৯ জান্তা ও ওয়াগনার সৈন্য ছিলো, কিন্তু হামলার পর মাত্র ৫৬ সৈন্যই জীবত ফিরে আসতে পেরেছে, হামলার পর নিখোঁজ বাকি ৪৩৩ সৈন্যের ভাগ্য অজানা। স্থানীয় সূত্রগুলো দাবি করছে যে, জেএনআইএম যোদ্ধারা ঘাঁটি ছেড়ে চলে যাওয়ার পর ঘাঁটির চারপাশে নিরাপত্তার জন্য খনন করা পরিখা থেকে ৯০ জান্তা সদস্যের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, এছাড়াও ঘাঁটির অন্যান্য স্থানেও আরও কয়েক ডজন সৈন্যের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা গেছে।

    আয-যাল্লাকার রিপোর্ট অনুযায়ী, বোলিকেসির যুদ্ধে শতাধিক শত্রু সৈন্য নিহত হওয়া ছাড়াও মুজাহিদিনরা শত্রু বাহিনীর বিভিন্ন ধরনের ৩৩টি সামরিক যান ধ্বংস করেছেন, যার মধ্যে ১১টি সাঁজোয়া যান এবং সরবরাহ বোঝাই ১টি সামরিক ট্রাকও রয়েছে।

    এদিকে রবিবারের বোলিকেসির যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালানোর সময় ২২ শত্রু সৈন্যকেও আটক করেছেন মুজাহিদিনরা, বন্দীদের বন্দী সামরিক ঘাঁটির প্রধান কমান্ডারও রয়েছে। এছাড়াও যুদ্ধ শেষে মুজাহিদিনরা শত্রু সামরিক ঘাঁটি থেকে বিপুল সংখ্যক অস্ত্র শস্ত্র, গোলাবারুদ এবং সামরিক যান জব্দ করেছেন। এসকল জব্দকৃত গনিমতের মধ্যে রয়েছে ৩টি সামরিক যান, ২টি মর্টার, ২টি আরপিজি, ৫টি দুশকা মেশিনগান, ১৭৪টি ক্লাশিনকোভ রাইফেল, ২৭৪টি ম্যাগাজিন, ৪টি পিস্তল এবং অন্যান্য বহু সামরিক সরঞ্জাম।


    তথ্যসূত্র:
    https://tinyurl.com/mushjwp4
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      রাজধানী বামাকোয় জান্তা সরকারের উপর আল-কায়েদার বিরাট অর্থনৈতিক আঘাত



      আল-কায়েদা পশ্চিম আফ্রিকা শাখা জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন (জেএনআইএম) মুজাহিদিনরা, মালির রাজধানী বামাকোর উপকন্ঠে একটি অভূতপূর্ব গেরিলা আক্রমণ চালিয়েছেন।

      আয-যাল্লাকা মিডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ১লা জুন, রবিবার সকালে, মুজাহিদিনরা রাজধানী বামাকোর উপকন্ঠে এক অনন্য ও অভূতপূর্ব অভিযান পরিচালনা করছেন। অভিযানটি মালির জান্তা প্রশাসনের একটি সরকারি অর্থ স্থানান্তরকারী গাড়ি লক্ষ্য করে চালানো হয়। এসময় মুজাহিদদের হামলায় জান্তা বাহিনীর এক সদস্য নিহত হয় এবং অন্যরা পালিয়ে যায়।

      শত্রু সদস্যদের এই পলায়নের পর মুজাহিদিনরা জান্তা সরকারের বিপুল অর্থ স্থানান্তরকারী গাড়িটি জব্দ করেন। জব্দকৃত অর্থের আনুমানিক পরিমাণ বাংলাদেশি টাকায় ১৫ কোটিরও বেশি।

      জব্দকৃত অর্থের ভিডিওঃ https://x.com/i/status/1930604178314817693


      তথ্যসূত্র:
      https://tinyurl.com/yxuhvzy9
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        শাবাব মুজাহিদিন কর্তৃক সোমালিয়ার আইল-হারেরি শহর বিজয়: নিহত ১৯ শত্রু সেনা, আহত ১০




        হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন সোমালিয়ায় পূর্ব হিরান রাজ্যের আইল-হারেরি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন, যেখানে মুজাহিদদের অভিযানে অন্তত ২৯ শত্রু সেনা হতাহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

        সূত্রমতে, হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদিনরা গত ৪ জুন বুধবার, হিরান রাজ্যের পূর্বে মোকোকোরির অঞ্চলের উপকণ্ঠে একটি সমন্বিত সামরিক অপারেশন পরিচালনা করছেন। মুজাহিদদের এই অভিযানের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয় অঞ্চলটির পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত আইল-হারেরি শহর ও মার্কোলি এলাকা। বুধবার সকালে অঞ্চলটিতে শুরু হওয়া এই লড়াই দুপুরের পরেও শহরের বিভিন্ন স্থানে অব্যাহত থাকে। এসময় মুজাহিদদের তীব্র আক্রমণ মোগাদিশু বাহিনী ভারী ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়।

        সর্বশেষ মহান রব্বুল আলামিনের সাহায্যে মুজাহিদিনরা আইল-হারেরি শহর ও মার্কোলি এলাকার সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হন। এই যুদ্ধে মুজাহিদদের হামলায় শত্রু বাহিনীর ২ অফিসার সহ অন্তত ১৯ সৈন্য নিহত এবং আরও ১০ এরও বেশি সৈন্য আহত হয়। সেই সাথে মুজাহিদিনরা এক সৈন্যকে বন্দী করেন এবং একটি গাড়ি ও বেশ কিছু অস্ত্র গনিমত হিসাবে জব্দ করেন।


        তথ্যসূত্র:
        https://tinyurl.com/2kn4u63h
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment

        Working...
        X