Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুজাহিদীন নিউজ || ২রা মুহাররম, ১৪৪৭ হিজরী || ২৮ জুন, ২০২৫ ঈসায়ী​​

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুজাহিদীন নিউজ || ২রা মুহাররম, ১৪৪৭ হিজরী || ২৮ জুন, ২০২৫ ঈসায়ী​​

    আফগানিস্তানের ৯টি প্রদেশকে সংযুক্ত করতে রেলপথ সম্প্রসারণ প্রকল্পের রূপরেখা প্রণয়ন


    ইমারতে ইসলামিয়ার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিশেষ নির্দেশে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলকে দেশজুড়ে একটি পরিকল্পিত রেলপথ করিডোর রুট চূড়ান্ত করার দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে। এই উদ্দেশ্যে প্রতিনিধি দলটি দেশব্যাপী ৯টি প্রদেশে সফর করেছেন। তারা বালখ প্রদেশের হাইরাতান বন্দর থেকে হেরাত, আবার হেরাত প্রদেশের তুরগন্দি বন্দর থেকে কান্দাহার পর্যন্ত একটি সামগ্রিক সফর সম্পাদন করেছেন। প্রস্তাবিত রেলপথের মাধ্যমে জাতীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে রেল যোগাযোগ বাড়বে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

    বিভিন্ন সংস্থা ও মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ এই মিশনে অংশগ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, খনিজ সম্পদ ও পেট্রোলিয়াম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, কৃষি, সেচ ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, গ্রামীণ পুনর্বাসন ও উন্নয়ন মন্ত্রণালয়, তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এবং অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

    প্রতিনিধিদলটি প্রস্তাবিত রেলপথের উপর প্রাকৃতিক, প্রযুক্তিগত, অর্থনৈতিক, পরিবেশগত ও সামাজিক প্রভাব মূল্যায়ন করেছেন। দেশের ৯টি প্রদেশে তারা সরেজমিনে এই মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। এর উদ্দেশ্য হল সংশ্লিষ্ট প্রদেশজুড়ে একটি রেলপথ চূড়ান্ত করা, যা আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, আঞ্চলিক যোগাযোগ ও পরিবহনের জন্য সর্বোত্তম সুবিধা প্রদান করবে।

    এছাড়া স্থানীয় কর্মকর্তাদের সাথে উক্ত প্রতিনিধি দল বৈঠক করেছেন, বৈঠকের উদ্দেশ্য হল স্থানীয় বিভিন্ন সম্প্রদায়ের দৃষ্টিভঙ্গি ও চাহিদা সম্পর্কে মতামত গ্রহণ করে, সামগ্রিক মূল্যায়ন শেষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি কারিগরি প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।

    উক্ত প্রতিবেদনের আলোকে রেলপথের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ও বাস্তবায়নের দিকনির্দেশনা পাওয়া যাবে।

    আফগানিস্তানকে প্রতিবেশী দেশ এবং বৈশ্বিক বাণিজ্য নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত করতে এই কৌশলগত রেলওয়ে প্রকল্পের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এটি দেশজুড়ে পর্যাপ্ত কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে এবং মূল বাণিজ্য করিডোর উন্মুক্ত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী, সম্পূর্ণ রেলপথটি ৯টি প্রদেশ, ৩৭টি জেলা ও ৮০০টি গ্রামকে অতিক্রম করবে, যার দৈর্ঘ্য হবে ১,৪৬৮ কিলোমিটার।

    রেলপথ প্রকল্পটির ২টি পর্যায় থাকবে। ১ম পর্যায়ে, মাজার-ই-শরিফ থেকে হেরাত পর্যন্ত ৬৫৭ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করবে। ২য় পর্যায়ে এটি হেরাত থেকে শুরু হয়ে ফারাহ, নিমরুজ এবং হেলমান্দ প্রদেশের মধ্য দিয়ে অব্যাহত থাকবে, যা কান্দাহার প্রদেশের স্পিন বোল্ডাক জেলায় পৌঁছে সমাপ্ত হবে। ২য় পর্যায়ে রেলপথের দৈর্ঘ্য হবে ৮১১ কিলোমিটার।


    তথ্যসূত্র:
    1. Railway Project to Link Nine Provinces Under Review
    https://tinyurl.com/mrwt898z
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    বুরকিনান জান্তাকে হটিয়ে ২টি সামরিক ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন ‘জেএনআইএম’ মুজাহিদিনরা



    পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোতে ভারী সামরিক অপারেশন অব্যাহত রেখেছেন ‘জেএনআইএম’ যোদ্ধারা। এসকল অভিযানের মাধ্যমে ‘জেএনআইএম’ মুজাহিদিনরা জান্তা বাহিনীকে হটিয়ে দেশের বিস্তীর্ণ ভূমির উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছেন।

    সেই ধারাবাহিকতায় ‘জেএনআইএম’ মুজাহিদিনরা ২৫ জুন বুধবার, বুরকিনা ফাসোর কায়া রাজ্যে একযোগে দুটি সফল অভিযান পরিচালনা করছেন। অভিযানগুলো এদিন সন্ধ্যায় রাজ্যের ফোরগুই এবং পিসিলার এলাকায় অবস্থিত জান্তা বাহিনীর ২টি সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে চালানো হয়। ঘাঁটিগুলোতে মুজাহিদদের অতর্কিত আক্রমণে বহু সংখ্যক শত্রু সৈন্য হতাহত হয় এবং অন্যরা জীবন বাঁচাতে সামরিক ঘাঁটি ছেড়ে পালিয়ে যায়।

    আয-যাল্লাকা মিডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, জান্তা বাহিনীর এই পলায়নের পর মুজাহিদিনরা সামরিক ঘাঁটি ২টির নিয়ন্ত্রণ নেন। তবে ঘাঁটিগুলোতে মুজাহিদদের অতর্কিত আক্রমণে কত সংখ্যক শত্রু সৈন্য হতাহত হয়েছে তার সুনির্দিষ্ট সংখ্যা উল্লেখ করা হয় নি।

    উল্লেখ্য যে, আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন (জেএনআইএম) মুজাহিদিনরা সম্প্রতি কায়া রাজ্যে বুরকিনান জান্তা বাহিনীর উপর ক্রমবর্ধমান চাপ প্রয়োগ করে চলছেন। এই লক্ষ্যে মুজাহিদিনরা রাজ্যটির কেন্দ্রীয় শহরকে ঘিরে ধরতে শহরের উপকণ্ঠে অবস্থিত শত্রু ঘাঁটি ও এলাকাগুলোর উপর নিয়ন্ত্রণ প্রসারিত করছেন।

    তথ্যসূত্র:
    https://tinyurl.com/4vy5m4c7
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      অর্থের বিনিময়ে নাবালিকা মেয়েকে বিয়ে দেয়ায় পিতাকে গ্রেপ্তার করল ইমারতে ইসলামিয়া প্রশাসন



      আফগানিস্তানের হেলমান্দ প্রদেশে একটি নাবালিকা মেয়েকে আর্থিক লেনদেনের বিনিময়ে বৃদ্ধের কাছে বিবাহ দেয়ার বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপ করেছে ইমারতে ইসলামিয়ার সৎ কাজে আদেশ ও অসৎ কাজে নিষেধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

      উক্ত মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাইফুল ইসলাম খাইবার হাফিযাহুল্লাহ জানান, ভুক্তভোগী কন্যার বয়স ৭ বছর। অর্থের বিনিময়ে তার পিতা ৪৫ বছরের এক ব্যক্তির সাথে তাকে বিয়ে দিয়েছেন। এছাড়া নাবালিকা হওয়া সত্ত্বেও মেয়েটিকে বরের নিকট হস্তান্তর করতে যাচ্ছিলেন তার পিতা।

      ঘটনাটি তদন্তের পর মেয়ের বাবা ও বরকে দ্রুত গ্রেপ্তার করেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীতে বিচারের জন্য তাদেরকে শরিয়াহ আদালতের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।

      ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার ঝড় তুলেছে, অর্থের বিনিময়ে নাবালিকা সন্তানের এই ধরনের বিবাহের ঘটনায় জনগণ ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।


      তথ্যসূত্র:
      1. Father Arrested in Helmand for child marriage
      https://tinyurl.com/536kzumt
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        শিল্পখাতে ১৩০টি খাতে পূর্ণ ও ১০০টি খাতে আংশিক স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে ইমারতে ইসলামিয়া


        আফগানিস্তান জুড়ে বর্তমানে চলমান শিল্পকারখানার সংখ্যা প্রায় ৬ হাজার। এই কারখানাগুলোর মাধ্যমে ১৩০টি খাতে আফগানিস্তান পূর্ণ স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে, এছাড়া আরও ১০০টি খাতে আংশিক স্বয়ংসম্পূর্ণতা লাভ করেছে।

        এই সকল কারখানায় প্রায় ৫৭০ ধরনের বিভিন্ন প্রকার পণ্য উৎপাদন হয়ে থাকে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল আটা, তেল, লবণ, ওষুধ, লোহা, সিমেন্ট, ইস্পাত, বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য, ভোগ্যপণ্য এবং অন্যান্য। প্রায় ১ লক্ষ ৩৫ হাজার আফগান নাগরিক প্রত্যক্ষভাবে এই সকল কারখানায় কর্মরত রয়েছেন।

        শিল্পখাতকে সমৃদ্ধ করে তুলতে নানাবিধ সুযোগ-সুবিধা সরবরাহ করে যাচ্ছে ইমারতে ইসলামিয়া সরকার। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হল:
        – দেশের বিভিন্ন স্থানে শিল্পপতিদের জন্য পৃথক জমি বরাদ্দ,
        – উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল সরবরাহ।
        – আমদানিকৃত কাঁচামাল ও যান্ত্রিক পণ্যের উপর শুল্কহার ১ শতাংশে কমিয়ে আনা, এমনকি অনেক ক্ষেত্রে শুল্কমুক্তের ব্যবস্থা রাখা।
        – কারখানায় উৎপাদিত পণ্যের চোরাচালান প্রতিরোধ করা।
        – আমদানিকৃত যে সকল পণ্যের বিকল্প দেশীপণ্য সহজলভ্য রয়েছে সেগুলোতে উচ্চ মাত্রার শুল্ক আরোপ করা, যেন জনগণ দেশীপণ্য ব্যবহারে উৎসাহিত হয়।
        – দেশী শিল্পকে শক্তিশালী করে তুলতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বড় পরিসরের প্রদর্শনীর আয়োজন করা।

        তথ্যসূত্র:
        1. Afghanistan Achieves Full Self-Sufficiency in 130 Sectors and Partial Self-Sufficiency in 100 Sectors
        https://tinyurl.com/4hduv9mr
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment

        Working...
        X